Announcement

Collapse
No announcement yet.

এনটিএমসি যেভাবে নজরদারি করতো !?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এনটিএমসি যেভাবে নজরদারি করতো !?

    এনটিএমসি যেভাবে নজরদারি করতো

    রাজনৈতিকভাবে কাউকে হেনস্তা করতে হলে আগে টার্গেট করা হতো ব্যক্তিকে।

    তারপর তার মোবাইল ফোনে আড়িপাতা হতো।

    ব্যক্তিগত বা স্পর্শকাতর আলোচনা প্রথমেই ফাঁস করা হতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

    তারপর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হতো সেসব ফাঁস করা বিষয়গুলো ছড়িয়ে দিতে।

    দেশীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশে থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও এ কাজে লাগানো হতো।

    আর এসব করা হতো ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মাধ্যমে।

    গত ১৫ বছরে হাজারেরও বেশি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

    শুধু রাজনৈতিক নয় সরকারের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে তার কল রেকর্ডও ফাঁস করা হয়েছে। এমন নজির রয়েছে ভূরি ভূরি।

    তাই নাগরিকের মোবাইলে আড়িপাতা, নজরদারিতে রাখা, ফেসবুক- মেসেঞ্জার, এক্স, টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো ও স্কাইপিতে এমনকি ওয়েবসাইট ব্লক ও ই-মেইলে আড়িপাতার অভিযোগ ওঠা বিতর্কিত টেলি যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এনটিএমসি’র বিলুপ্তির দাবি উঠেছে।

    ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে ডিজিএফআই ভবনে ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার (এনএমসি) গঠিত হয়।

    পরে ২০১৩ সালের ৩১শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে এনএমসি পরিবর্তিত হয়ে ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)’ নামে নবরূপে আত্মপ্রকাশ করে।

    সংস্থাটি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম শুরু করে।

    ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসি’র মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

    অভিযোগ রয়েছে- এনটিএমসি’র দায়িত্বে থাকাকালীন একের পর এক কল রেকর্ড ফাঁস করেন তিনি।

    রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য হুমকি এমন সব ব্যক্তির স্পর্শকাতর কল রেকর্ড তার নির্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে ছড়িয়ে দেয়া হতো।

    এসব কল রেকর্ডের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে অনেক সুশীল সমাজের লোকজনকে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হতো।


    ৭টি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এনটিএমসি গঠন করা হলেও মূলত সরকার বিরোধীদের দমনে সংস্থাটি কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্টরা।

    প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় সরকারের নির্দেশক্রমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহকে আইনানুগ ইন্টারসেপশন সুবিধা প্রদান এবং নির্ধারিত কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা প্রদান।

    বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের কাজের সঙ্গে খুব কমই সম্পৃক্ত ছিল।

    অথচ এই সংস্থাটি গঠন করা হয় বিতর্কিত বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের পরামর্শে।

    মূলত নাগরিকের যোগাযোগে আড়িপাতা এবং নজরদারিতে রাখার জন্য সেইসঙ্গে ফোন কল, ফোনালাপ রেকর্ড, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন অ্যাপে আড়িপাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজই করেনি এই সংস্থাটি।

    "মোবাইল অপারেটরদেরও বাধ্য করতো বিভিন্ন ধরনের মেসেজ গ্রাহকদের মাঝে প্রদান করতে। ফোনালাপ রেকর্ড এমনকি ভিডিও কলিং রেকর্ড করে অনেক সম্ভ্রান্ত নাগরিককে হেনস্তা করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি"

    *তিনি বলেন, বিক্যাল মাউন্টেন ডাটা ইন্টার সেপ্টর এর মতো ভয়ানক যন্ত্র ব্যবহার করে আসছিল সংস্থাটি*

    এমনকি বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন বিতর্কিত ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর কাছ থেকে পেগাসাস স্পাই ওয়ার কেনা হয়েছিল বলে দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছিল।


    পেগাসাস স্পাইবার অ্যাপটি গ্রাহকের কাছে ম্যালওয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হতো সংস্থার পক্ষ থেকে।

    অনেক গ্রাহক না বুঝেই ইন্সটল করলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের ব্যবহৃত ডিভাইসটি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতো।

    এইভাবে নাগরিকদের সকল কার্যক্রমের তথ্য হাতিয়ে নিতো এই বিতর্কিত সংস্থাটি।

    তথ্য; রিপোর্ট মানবজমিন থেকে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ নেয়া হয়েছে

    এনটিএমসি পরিচালিত হয় সরকারের বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার অধীনে।

    "মোবাইল ফোনের ভয়েস ও এসএমএস, ল্যান্ডফোন ভয়েস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আড়ি পাততে পারে এনটিএমসি"

    "সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো, স্কাইপি ইত্যাদি অ্যাপে আড়ি পাততে পারে এনটিএমসি"

    "অনলাইন যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে ওয়েবসাইট ব্লগ, ই-মেইলে ইত্যাদি মাধ্যমেও শতভাগ আড়িপাতার সক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির"

    "ভিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর, ভিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টরের মতো নজরদারি যন্ত্র ব্যবহার করে এনটিএমসি"

    ***সংস্থাটির জন্য ইসরায়েলি সাইবার গোয়েন্দা কোম্পানি এনএসও গ্রুপের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যারও ক্রয় করা হয়েছিল।

    সফটওয়্যারটির মাধ্যমে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায়। অ্যাপটি একবার কারো মোবাইল ফোনে ইনস্টল করা হলে তা দিয়ে নজরদারি প্রতিষ্ঠান সেই ফোনের মেসেজ, ফটো বা ই-মেইল হস্তগত করতে পারে।

    একই সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা রেকর্ডের পাশাপাশি গোপনে মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা চালু করতে পারে***

    সম্প্রতি এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাদের এ পেগাসাস সফটওয়্যার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একনায়কতান্ত্রিক সরকারের কাছে বিক্রি করা হয়েছে এবং তারা এটির অপব্যবহার করেছে।

    মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নজরদারি বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে ২৩৬ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ অনুমোদন দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার।

    এনটিএমসিতে ব্যবহৃত নজরদারি সরঞ্জাম পুরনো হয়ে যাওয়ায় নতুন নজরদারি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।
    এরপর ২০২১ সালে ভিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টর ক্রয়ের জন্য ৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

    "এনটিএমসি ব্যবহৃত আরেকটি আড়িপাতার যন্ত্র স্পিয়ারহেড সিস্টেম"

    ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে এটি কেনে বাংলাদেশ।

    প্রায় ১ হাজার কেজি ওজনের এ স্পিয়ারহেড এনটিএমসির কাছে বিক্রি করে সুইস কোম্পানি পেসিটোরা।

    একই বছর এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নজরদারি করে সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে সরকার।

    ***এছাড়া ওয়েব ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম ও সেলুলার ট্রেকিং সিস্টেম নামে আরো দুটি নজরদারি যন্ত্র ব্যবহার করে এনটিএমসি***

    এনটিএমসির এসব হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করা হতো নাগরিকদের গতিবিধি।

    এমনকি তারা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কী ধরনের যোগাযোগ করছেন তা-ও পর্যবেক্ষণ করা হতো।

    এনটিএমসিতে সংরক্ষিত যন্ত্রের মাধ্যমে একটি ফোন নাম্বার দিয়ে ওই নাম্বারে আসা-যাওয়া সব ফোনকলের রেকর্ড করা হতো।

    এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হতো।

    সম্প্রতি সরকারের ‘অতি সংবেদনশীল সার্ভার’ থেকে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে অপরাধী চক্রের কাছে বিক্রি করে দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

    এনটিএমসির সার্ভারে প্রবেশ করে সংবেদনশীল তথ্য যোগাযোগের অনলাইন প্লাটফর্ম টেলিগ্রাম চ্যানেলভিত্তিক একটি গ্যাংয়ের কাছে বিক্রি করেন তারা।

    এনটিএমসি সূত্রে জানা গেছে,

    নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও এনটিএমসির কাছে সংরক্ষিত থাকে। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রয়োজনে এসব তথ্য ব্যবহার করা হতো।

    সূত্র ; বিবিসি , মানবজমিন
    নিউজ রিপোর্ট​

    [সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত]
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের এই ত্বগুতদের নজরদারি থেকে হিফাজত করুন, বরং তাদের উপর নজরদারি করার এবং তাদের কে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলার তাওফিক আমাদের দান করুন, আমীন

    Comment


    • #3
      কি ভয়ঙ্কর, আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করুন।

      Comment

      Working...
      X