نعمتان مغبون فيهما كثير من الناس، الصحة والفراغ
راه البخاري.
আমরা সত্যি স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদাসিন। সুস্থ্যতা কাজে লাগাতে যেমন, তেমনি সুস্থ্যতা ধরে রাখতে আরো বেশি। তার ঠিক উল্টা কাফেররা—যে কারণই হোক— তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন। এই আসবাবের কারণে আমাদের থেকে এগিয়ে আছে।
একজন মা সুস্থ্য ও শক্তিশালি মানে তাঁর সন্তানও শক্তিশালি। এখন যদি মুজাহিদ মা-বাবা শারিরিকভাবে দূর্বল,স্বাস্থ্য নিয়ে অসচেতন হয় তাহলে আগামি মুজাহিদ প্রযন্ম কীভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামরিকভাবে উন্নত ও অগ্রসর হবে?
এর প্রতি উদাসিনতা,অমনোযোগিতা,অবহেলা আমাদের শারিরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পঙ্গু করে ফেলবে। দেখা যাবে আমরা প্ল্যান করতে পারলেও বাস্তবায়ন করার মনোবল ও দেহবল আমাদের থাকবে না। কাজের প্রেশার নেয়ার মত শারিরিক ও মনস্তাত্তিক তাকত পাবো না। তাই একজন সচেতন মুজাহিদ হিসাবে স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া আমাদের একান্ত কাম্য।
আল-কায়দা'র অন্যতম রুপকার ড. আব্দুল কাদির ফাদল বলেছেন: ❝হাতিয়ার না থাকা অবস্থায় সর্বনিম্ন ইদাদ হলো কঠোর শরীরচর্চা করা। ইনশাল্লাহ খাঁটি নিয়ত থাকলে এতে ফায়দা হবে। এই শরীরচর্চা যে কোনো সামরিক প্রশিক্ষণের মূলভিত্তি। আর এই চর্চা সকল মুসলিমের জন্যই সহজ। যে কোনো সঙ্কীর্ণ রুমেই সাধারণ কিছু ব্যায়ামের উপকরণ দিয়ে করা সম্ভব। অন্তত এতটুকু থেকে উদাসিন না থাকা উচিত।❞-'উমদাহ ফি ইদাদিল উদ্দাহ' পৃষ্ঠা ৩২
সর্বপ্রথম স্বাস্থ্য বিষয়ক আমাদের মৌলিক কিছু ইলম হাসিল করতে হবে। না হলে অনুভূতিই সৃষ্টি হবে না যে—নিজের ক্ষতি হচ্ছে;এটা পরিহার করা দরকার। এই ইলম গ্রহণ-বর্জনের অনুভূতি সৃষ্টি করবে ইনশাল্লাহ।
খাদ্য,ব্যায়াম ও বিশ্রাম নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে। কোন খাবারের উপাদান ভালো? কোনগুলা খারাপ? কেন খারাপ?
ব্যায়াম কি,কেন,কীভাবে? এবং কত ধরণের?
বিশ্রাম কতটুকু,কখন করা জরুরি?
{খাবার}
আমাদের দেহের বল ও সুস্থতা অর্ধেক নির্ভর করে খাবারের উপর। কিছু খাবার গ্রহণের অভ্যাস, কিছু নিয়ন্ত্রণ আর কিছু বর্জনের মাধ্যমেই সুস্থ্য,স্বাভাবিক হওয়া যায়। এখানে মনে রাখতে হবে খাবার সবার উপর সমানভাবে কার্যকর হয় না। কারণ আল্লাহ মানুষের শরীর কয়েক ধরণে সৃষ্টি করেছেন। আবার কারো বেলায় অসুস্থতার কারণে খাবারের ফলাফল দেখা যায় না।
খাবারের যেই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের শক্তি যোগায় সেগুলো মোটামুটি এ রকমঃ
১/ মৌলিক উপাদান যেমন:
কার্বোহাইড্রেট (সংক্ষেপে: কার্ব)
প্রোটিন বা আমিষ,
ফ্যাট বা চর্বি।
২/ শাখা উপাদান। যেমন: ভিটামিন,আয়রন যেমন: Va,Vb,Vc ইত্যাদি।
* কার্বোহাইড্রেড হচ্ছে চর্বি, বা শক্তির একটা উৎস। এটা পরিমাণ মত রাখতে হয়। বেশি হলে শরীর মোটা হয়ে যায়। এটা পাওয়া যায় মূলত আটা,চাল জাতীয় খাবারে।
*ফ্যাট কিছুটা কার্বের মতোই। এটাও পরিমাণমত গ্রহণ করতে হয়। ভালো ফ্যাট: শরিষার তেল,অলিভ অয়েল,বিভিন্ন বাদাম বা বাদামের বাটার,ঘি ইত্যাদি।
* প্রোটিন 'মাসল' বা মাংসকে মজবুত করে,মাংস বাড়ায়। আমাদের চর্বিকে কাজে লাগায়।
আশলে আমাদের শক্তির জায়গাটা হলো আমাদের মাংসপেশি। আমরা ওজন ওঠালে বা হিট করলে আমাদের মাংসপেশিই সেই ভর এবং হিটের পাওয়ার দেয়। আর এই "প্রোটিন" নির্দিষ্ট কিছু দামি খাবারে বেশি মজুদ থাকে যেমন: মাছ,মাংস,ডিম,বাদাম এবং বিভিন্ন সবজির বিজ ইত্যাদি।
সব চেয়ে বেশি যে খাবারে প্রোটিন পাওয়া যায় তা হলো মুরগির বুকে ও গরুর গোশতে।
প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর গোশতে ২৫-২৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
সস্তা যেই খাবারগুলাতে 'প্রোটিন' মিলে:
১/ চিনা বাদাম
২/ ছোলা
৩/ বিভিন্ন প্রকারের ডাল...
চলবে ইনশাল্লাহ
راه البخاري.
আমরা সত্যি স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদাসিন। সুস্থ্যতা কাজে লাগাতে যেমন, তেমনি সুস্থ্যতা ধরে রাখতে আরো বেশি। তার ঠিক উল্টা কাফেররা—যে কারণই হোক— তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন। এই আসবাবের কারণে আমাদের থেকে এগিয়ে আছে।
একজন মা সুস্থ্য ও শক্তিশালি মানে তাঁর সন্তানও শক্তিশালি। এখন যদি মুজাহিদ মা-বাবা শারিরিকভাবে দূর্বল,স্বাস্থ্য নিয়ে অসচেতন হয় তাহলে আগামি মুজাহিদ প্রযন্ম কীভাবে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামরিকভাবে উন্নত ও অগ্রসর হবে?
এর প্রতি উদাসিনতা,অমনোযোগিতা,অবহেলা আমাদের শারিরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পঙ্গু করে ফেলবে। দেখা যাবে আমরা প্ল্যান করতে পারলেও বাস্তবায়ন করার মনোবল ও দেহবল আমাদের থাকবে না। কাজের প্রেশার নেয়ার মত শারিরিক ও মনস্তাত্তিক তাকত পাবো না। তাই একজন সচেতন মুজাহিদ হিসাবে স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া আমাদের একান্ত কাম্য।
আল-কায়দা'র অন্যতম রুপকার ড. আব্দুল কাদির ফাদল বলেছেন: ❝হাতিয়ার না থাকা অবস্থায় সর্বনিম্ন ইদাদ হলো কঠোর শরীরচর্চা করা। ইনশাল্লাহ খাঁটি নিয়ত থাকলে এতে ফায়দা হবে। এই শরীরচর্চা যে কোনো সামরিক প্রশিক্ষণের মূলভিত্তি। আর এই চর্চা সকল মুসলিমের জন্যই সহজ। যে কোনো সঙ্কীর্ণ রুমেই সাধারণ কিছু ব্যায়ামের উপকরণ দিয়ে করা সম্ভব। অন্তত এতটুকু থেকে উদাসিন না থাকা উচিত।❞-'উমদাহ ফি ইদাদিল উদ্দাহ' পৃষ্ঠা ৩২
সর্বপ্রথম স্বাস্থ্য বিষয়ক আমাদের মৌলিক কিছু ইলম হাসিল করতে হবে। না হলে অনুভূতিই সৃষ্টি হবে না যে—নিজের ক্ষতি হচ্ছে;এটা পরিহার করা দরকার। এই ইলম গ্রহণ-বর্জনের অনুভূতি সৃষ্টি করবে ইনশাল্লাহ।
খাদ্য,ব্যায়াম ও বিশ্রাম নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে। কোন খাবারের উপাদান ভালো? কোনগুলা খারাপ? কেন খারাপ?
ব্যায়াম কি,কেন,কীভাবে? এবং কত ধরণের?
বিশ্রাম কতটুকু,কখন করা জরুরি?
{খাবার}
আমাদের দেহের বল ও সুস্থতা অর্ধেক নির্ভর করে খাবারের উপর। কিছু খাবার গ্রহণের অভ্যাস, কিছু নিয়ন্ত্রণ আর কিছু বর্জনের মাধ্যমেই সুস্থ্য,স্বাভাবিক হওয়া যায়। এখানে মনে রাখতে হবে খাবার সবার উপর সমানভাবে কার্যকর হয় না। কারণ আল্লাহ মানুষের শরীর কয়েক ধরণে সৃষ্টি করেছেন। আবার কারো বেলায় অসুস্থতার কারণে খাবারের ফলাফল দেখা যায় না।
খাবারের যেই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের শক্তি যোগায় সেগুলো মোটামুটি এ রকমঃ
১/ মৌলিক উপাদান যেমন:
কার্বোহাইড্রেট (সংক্ষেপে: কার্ব)
প্রোটিন বা আমিষ,
ফ্যাট বা চর্বি।
২/ শাখা উপাদান। যেমন: ভিটামিন,আয়রন যেমন: Va,Vb,Vc ইত্যাদি।
* কার্বোহাইড্রেড হচ্ছে চর্বি, বা শক্তির একটা উৎস। এটা পরিমাণ মত রাখতে হয়। বেশি হলে শরীর মোটা হয়ে যায়। এটা পাওয়া যায় মূলত আটা,চাল জাতীয় খাবারে।
*ফ্যাট কিছুটা কার্বের মতোই। এটাও পরিমাণমত গ্রহণ করতে হয়। ভালো ফ্যাট: শরিষার তেল,অলিভ অয়েল,বিভিন্ন বাদাম বা বাদামের বাটার,ঘি ইত্যাদি।
* প্রোটিন 'মাসল' বা মাংসকে মজবুত করে,মাংস বাড়ায়। আমাদের চর্বিকে কাজে লাগায়।
আশলে আমাদের শক্তির জায়গাটা হলো আমাদের মাংসপেশি। আমরা ওজন ওঠালে বা হিট করলে আমাদের মাংসপেশিই সেই ভর এবং হিটের পাওয়ার দেয়। আর এই "প্রোটিন" নির্দিষ্ট কিছু দামি খাবারে বেশি মজুদ থাকে যেমন: মাছ,মাংস,ডিম,বাদাম এবং বিভিন্ন সবজির বিজ ইত্যাদি।
সব চেয়ে বেশি যে খাবারে প্রোটিন পাওয়া যায় তা হলো মুরগির বুকে ও গরুর গোশতে।
প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর গোশতে ২৫-২৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
সস্তা যেই খাবারগুলাতে 'প্রোটিন' মিলে:
১/ চিনা বাদাম
২/ ছোলা
৩/ বিভিন্ন প্রকারের ডাল...
চলবে ইনশাল্লাহ
Comment