Announcement

Collapse
No announcement yet.

তথ্যের তীর, বিশ্বাসের প্রাচীরে: মিডিয়া ওয়ারফেয়ার

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তথ্যের তীর, বিশ্বাসের প্রাচীরে: মিডিয়া ওয়ারফেয়ার


    তথ্যের তীর, বিশ্বাসের প্রাচীরে: মিডিয়া ওয়ারফেয়ার


    “আধুনিক যুদ্ধের নীরব অথচ শক্তিশালী অস্ত্র”



    আধুনিক যুদ্ধ এখন শুধু বন্দুক, ট্যাংক কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রের গর্জনে সীমাবদ্ধ নয়। আধুনিক যুদ্ধের ময়দান এখন ক্রমেই সরে এসেছে বারুদের ধোঁয়া থেকে তথ্যের প্রবাহ এবং জনমতের উত্তাল স্রোতের দিকে। এই পরিবর্তনের অন্যতম গভীর ও সূক্ষ্ম প্রতিফলন হলো ‘মিডিয়া ওয়ারফেয়ার’—এক নিঃশব্দ যুদ্ধ, যা সংঘাতের সময়ে যেমন, তেমনি শান্তির আবরণেও কৌশলগত প্রভাব বিস্তার করে। এর আঘাতে রক্তপাত হয় না, তবু এর তরঙ্গ মনোজগৎ, চিন্তাধারা ও সমাজের ভিতকে কাঁপিয়ে তোলে।

    মিডিয়া ওয়ারফেয়ার এমন একটি কৌশলগত কার্যক্রম, যেখানে সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভিজ্যুয়াল উপস্থাপন ও পরিকল্পিত প্রপাগান্ডাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের উপর মানসিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। এটি তথ্যযুদ্ধের (Information Warfare) একটি ঘনীভূত রূপ এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের (Psychological Warfare) কার্যকর শাখা, যা যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়িয়ে জনমনে প্রভাব বিস্তার করে।


    “মিডিয়া ওয়ারফেয়ারের শিকড় বহু পুরনো”


    [১]



    প্রাচীন চীনের সেনানায়ক সান ঝু তাঁর কিংবদন্তীতুল্য রচনা “The Art of War” এ বলেছিলেন, 'Therefore the skillful leader subdues the enemy’s troops without any fighting; he captures their cities without laying siege to them; he overthrows their kingdom without lengthy operations in the field.' — "অতএব, একজন সত্যিকারের কৌশলী নেতা শত্রুর সৈন্যবাহিনীকে পরাজিত করেন যুদ্ধের মাঠে নামা ছাড়াই; তিনি অবরোধের পথে না গিয়েই জয় করেন শত্রুর নগর; এবং দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী অভিযান ছাড়াই তিনি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান একটি রাজ্যকে।" এই ভাবনার মাঝেই নিহিত রয়েছে মিডিয়া ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবের সূক্ষ্ম শক্তি, যেখানে অস্ত্রের বদলে ব্যবহৃত হয় তথ্য, ধারণা ও মনোজগতের নিয়ন্ত্রণ।
    [২]



    ১৯৩৩ সালের জানুয়ারিতে অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে ক্ষমতায় আসে এবং সেই বছরের মার্চ মাসে জোসেফ গেবলসকে (গোয়েবলস) "জনসচেতনতা ও প্রপাগান্ডা বিষয়ক মন্ত্রী" হিসেবে নিয়োগ দেয়। এসময় গেবলসের হাতে জার্মানির সংবাদপত্র, সাময়িকী, বই, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটক, রেডিও প্রোগ্রাম এবং চিত্রকলার বিষয়বস্তু নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা ছিল। তার প্রধান দায়িত্ব ছিল হিটলারের বিরোধিতাকারী যেকোনো মত ও প্রকাশ দমন করা এবং সকলের সামনে হিটলার ও নাৎসি পার্টিকে সর্বোচ্চ ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা, সেই সাথে ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে ঘৃণা উসকে দেওয়া।
    [৩]



    শীতল যুদ্ধের সময়, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন কেবল অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নয়, বরং প্রপাগান্ডা যুদ্ধেও লিপ্ত ছিল। একে অপরের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং নিজ নিজ আদর্শকে বৈশ্বিক পরিসরে প্রতিষ্ঠা করতে তারা সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করেছিল মিডিয়া ওয়ারফেয়ারকে। রেডিও, চলচ্চিত্র, পত্রিকা এমনকি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীও হয়ে উঠেছিল এই মতাদর্শিক লড়াইয়ের প্রধান অস্ত্র। পশ্চিমা সম্প্রচারমাধ্যমগুলো মুক্তবাজার অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের পক্ষে বার্তা ছড়াত, অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্প্রচারমাধ্যমগুলো কমিউনিজমকে তুলে ধরত এক গৌরবময়, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে। সেসময় এই তথ্যযুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতিকে দুই বিপরীত মেরুতে ভাগ করে ফেলেছিলো এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক গভীর আদর্শিক বিভাজন গড়ে তুলেছিলো
    [৪]



    খুব সাম্প্রতিককালে, রাশিয়ার ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সি (Internet Research Agency) বট আইডি ব্যবহার করে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। তারা ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ভুয়া খবর, বিভ্রান্তিকর তথ্য, এবং প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জনমত প্রভাবিত করেছিল। প্রায় ৫০,০০০ বট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তারা সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, যার ফলে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব পড়েছিল বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া, ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সোশ্যাল মিডিয়ায় বট আইডি ব্যবহার করে জনমত প্রভাবিত করার জন্য কাজ করে। বিশেষ করে বিজেপি'র আইটি সেল এই কাজের জন্য কুখ্যাত।

    “সামরিক ডকট্রিনে মিডিয়া ওয়ারফেয়ারের ব্যবহার”



    আধুনিক সামরিক কৌশলে বিভিন্ন রাষ্ট্র মিডিয়া ওয়ারফেয়ারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করছে। এর একটি স্পষ্ট উদাহরণ হলো চীনের ২০০৩ সালের “থ্রি ওয়ারফেয়ার্স” (Three Warfares) নীতি, যেখানে মিডিয়া বা জনমত যুদ্ধ (public opinion warfare), মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ (psychological warfare) এবং আইনগত যুদ্ধ বা ল’ফেয়ার (legal warfare)—এই তিনটি উপাদানকে সমান গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    "থ্রি ওয়ারফেয়ার্স" ২০০৩ সালে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) এর সংশোধিত রাজনৈতিক কার্যবিধিতে (Political Work Regulations) কর্মনির্দেশিকা হিসেবে প্রণয়ন করা হয়। থ্রি ওয়ারফেয়ার্স” ধারণাটি চীনের প্রাচীন কৌশলবিদ সান জু এর বিখ্যাত গ্রন্থ “The Art of War” এর অনুপ্রেরণায় গড়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হয়; বিশেষ করে, তার সেই প্রখ্যাত মতবাদ—“যুদ্ধ না করেই শত্রুকে পরাস্ত করা”। এই প্রসঙ্গে মার্কিন চীন-বিশেষজ্ঞ লরা জ্যাকসন বলেছিলেন, “থ্রি ওয়ারফেয়ার্স কৌশলের লক্ষ্য হলো—আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করা, সীমান্ত পরিবর্তন করা এবং বৈশ্বিক মিডিয়াকে প্রভাবিত ও বিভ্রান্ত করা, সবই একটি গুলিও ছোড়া ছাড়াই।


    “মিডিয়া ওয়ারফেয়ার কীভাবে কাজ করে?”



    মিডিয়া ওয়ারফেয়ার একটি সুপরিকল্পিত ও বহুস্তরবিশিষ্ট কৌশল, যার মূল উদ্দেশ্য হলো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক কিংবা সামরিক লক্ষ্য অর্জন। এই প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপাদান ব্যাবহার করে—(প্রচার, বিভ্রান্তিকর তথ্য, মনস্তাত্ত্বিক চাপ, জনমত গঠন ও শত্রুকে ভিলিফাই করা)—একটি সমন্বিত কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি আচমকা নয়, বরং ধাপে ধাপে গঠিত হয়; এর মাধ্যমে জনমনে সংশয়, বিভ্রান্তি ও প্রভাব সৃষ্টি করে শত্রুপক্ষকে দুর্বল করা হয় এবং একইসাথে নিজের কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করা হয়।

    প্রচার:
    প্রচারের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজের অবস্থান, নীতি ও কর্মসূচিকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা। এটি একটি “ছবি নির্মাণের” প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডকে ন্যায্য, নৈতিক এবং গণমুখী হিসেবে তুলে ধরা হয়। রাষ্ট্র বা সংঘাতপীড়িত পক্ষ এটি ব্যবহার করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে চায়—দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে।


    বিভ্রান্তিকর তথ্য:
    বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে শত্রুর মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা, সন্দেহ এবং বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়। কখনো কখনো মিথ্যা খবর, বিকৃত সত্য বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো তথ্যের মাধ্যমে একটি বিকল্প বাস্তবতা তৈরি করা হয়, যা শত্রুর ভেতর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। এটি প্রতিপক্ষের নীতি, নেতৃত্ব এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে টার্গেট করে।


    মনস্তাত্ত্বিক চাপ:
    মিডিয়া ওয়ারফেয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হচ্ছে শত্রুপক্ষের জনগণ ও বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া। এর মাধ্যমে জনমনে ভয়, অনিশ্চয়তা, হতাশা কিংবা পরাজয়ের অনুভূতি সৃষ্টি করা হয়। কখনো এটি এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যেন প্রতিপক্ষ অদৃশ্য ও অপরাজেয় শক্তির মুখোমুখি।


    জনমত গঠন:
    মিডিয়া কৌশলের আরেকটি স্তম্ভ হলো জনমত গঠন—যা যুদ্ধ বা দ্বন্দ্বের নৈতিক ও কৌশলগত বৈধতা প্রতিষ্ঠা করে। রাষ্ট্র বা দলগুলো প্রচারের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডকে ‘ন্যায্য যুদ্ধ’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে এবং ঘরোয়া জনগণের পাশাপাশি বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট হয়।


    ভিলিফিকেশন:
    এই কৌশলের মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে খলনায়ক বা অমানবিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ও কর্মকাণ্ডকে হিংস্র, অন্যায়, বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিপন্থী বলে চিত্রিত করা হয়। এর ফলে প্রতিপক্ষের প্রতি আন্তর্জাতিক সহানুভূতি কমে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করা সহজ হয়।


    মিডিয়া ওয়ারফেয়ার কোনো বিচ্ছিন্ন বা তাৎক্ষণিক ঘটনা নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক, সুপরিকল্পিত ও কৌশলনির্ভর প্রক্রিয়া—যেখানে প্রতিটি বার্তা, প্রতিটি দৃশ্য, এমনকি প্রতিটি শব্দ একটি 'অস্ত্র' হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই কৌশল শুধু শত্রু বাহিনীকে লক্ষ্য করে না, বরং সাধারণ মানুষের মানসিক কাঠামো, বিশ্বাস ও আচরণকে প্রভাবিত করেও যুদ্ধক্ষেত্রে জয়লাভের পথ প্রশস্ত করে।

    মিডিয়া ওয়ারফেয়ার এখন আধুনিক যুদ্ধের এক অপরিহার্য উপাদান। এটি কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, বরং মনোজগতে প্রভাব বিস্তার করে শত্রুকে দুর্বল করে তোলে। সঠিক বার্তা, সময়োপযোগী প্রচার ও কৌশলগত বিভ্রান্তির মাধ্যমে এটি যুদ্ধ ছাড়াও বিজয়ের দ্বার খুলে দিতে সক্ষম। এই পদ্ধতি জনগণের চিন্তাভাবনা, মনোভাব এবং বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। ফলে, মিডিয়া ওয়ারফেয়ার আজ শুধুই সহায়ক নয়, বরং যুদ্ধনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

    আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বসবাস করছি—যেখানে ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমের অভাবনীয় বিকাশ মিডিয়া ওয়ারফেয়ারকে এনে দিয়েছে এক নতুন দিগন্ত। এখন তথ্য ছড়াতে সময় লাগে না; মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী পৌঁছে যায় যেকোনো বার্তা। এই দ্রুততার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভুয়া তথ্য বা বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ। ফলত, আধুনিক যুদ্ধের ময়দানে মিডিয়া ওয়ারফেয়ার হয়ে উঠেছে এক অবিচ্ছেদ্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল; এর গুরুত্ব উপেক্ষা করা শুধু অজ্ঞতা নয়, বরং কৌশলগতভাবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্তও হতে পারে।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 3 days ago.

  • #2
    মূলত মিডিয়া নামক অস্ত্রটি একইসাথে দুইটি আঘাত করতে সক্ষম। যার একটি মনস্তত্বে আর অপরটি বুলেট এবং Bomb এর বৈধতা তৈরীতে ব্যবহার হয়। ভাইজানকে অনেক অনেক শুকরিয়া। এত চমৎকার ভাবে উপস্থাপনের জন্য। মাশাআল্লাহ্।

    Comment


    • #3
      শের খাঁ ভাই,

      খুবই চমৎকার এবং গোছালোভাবে মিডিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

      মিডিয়ার জগতে লেখালেখির চেয়ে ছবি ও ভিডিওর প্রভাব সীমাহীন

      এ কথা নিশ্চিত যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই পড়ালেখা জানে না। এবং যারা জানে, তাদের কম সংখ্যকই বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে থাকে। এরচেয়ে আরো নগণ্য সংখ্যক মানুষ ভিজিট করে আমাদের এ মহতি ফোরাম।
      সুতরাং নিরক্ষর ও অধ্যয়ন-অমনোযোগী মুসলিম ভাই-বোনদের চিন্তা চেতনা পরিশুদ্ধ করার জন্য ভিডিও ভিত্তিক কন্টেন্টের গুরুত্ব আরো বেশি।

      উমমাহ নেটওয়ার্ক এ ক্ষেত্রে একটি উত্তম আদর্শ। আল্লাহ শায়েখকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমাদের উচিত, ইউটিউবে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে ঈমান জাগানিয়া বক্তব্য রাখার সাথে সাথে তথ্য ভিত্তিক কন্টেন্ট তৈরি করা। সংবাদ মাধ্যমের মিথ্যার মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে আজ গোটা উমমাহ।

      আলফিরদাউস সংবাদ মাধ্যম এতো এতো মিথ্যার ভেতরে সত্যের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভাইদের প্রতি মুবারকবাদ। কিন্তু এখন বর্তমানে ভাইয়েরা সংবাদকে লেখালেখির মধ্যে সীমিত করে নিয়ে আসছেন। ভিডিও যা আসে, তাও অপর্যাপ্ত।

      তাই এ মুহূর্তে মিডিয়ার ময়দানে ভিডিও ভিত্তিক কন্টেন্ট তৈরি করার প্রতি সকল এক্টিভিস্টের বিশেষ অনুরোধ রইল। সেই সাথে আল্লাহ তাদের সহায়ক হোন— এ কামনা করি।
      وما توفيقنا إلا بالله

      Comment


      • #4
        সুতরাং নিরক্ষর ও অধ্যয়ন-অমনোযোগী মুসলিম ভাই-বোনদের চিন্তা চেতনা পরিশুদ্ধ করার জন্য ভিডিও ভিত্তিক কন্টেন্টের গুরুত্ব আরো বেশি।
        হ্যা, তবে একটা বিষয়ে সাবধান হওয়া চাই—সবার মিডিয়া নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই, মিডিয়া সেক্টরটা গুরুত্বপূর্ণ, এর জন্য কাজ করতে হবে—তবে সবার উচিত হবে না মিডিয়া নিয়ে কাজ করা, কারণ এটাই একমাত্র কাজের ক্ষেত্র না, কাজের আরও অনেক শাখা আছে, সেগুলোও গুরুত্বপূর্ণ—এটা মাথায় রাখতে হবে।

        Comment

        Working...
        X