Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলামের শত্রুরা যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলামের শত্রুরা যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে

    পুরো মানব জাতি সম্পর্কে জানা কোন বিশেষজ্ঞের পক্ষে সহজ ব্যাপার; কিন্তু কোন নির্দ্দিষ্ট ব্যাক্তির সম্পর্কে জানা খুবই কঠিন। যারা কোরআন হাদীসের জ্ঞান রাখে তারা অন্তরের মাধ্যমে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারে। কিন্তু অন্যরা চোখে দেখে , প্রমান পেয়ে অতঃপর সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। গুগল, ইউটিউব, এক্ষেত্রে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্রাউজিং হিস্টোরি সংরক্ষন করে। গুগল , ইউটিউবের ইউজাররা যথা সম্ভব সকল কিছুর ট্র্যাক রাখার চেষ্টা করে এবং ট্রেন্ড হতে পরিসংখ্যান নিয়ে অনুমান করার চেষ্টা করে এবং তা ইসলামের বিরুদ্বে যুদ্বে কাজে লাগায়। তারা প্রোগ্রামারদের DRY (Dont Repeat Yourself ) পদ্বতিতে কাজ করে । ফলে তারা তাদের প্রোগ্রামারদের উচ্চ বেতন দিতে পাতে এবং তাদের কাজের গতি বেশি থাকে। boycotzionism.com এর মতে গুগল, ইউটিউব, amazon, Wix, DELL, Fiverr, Elementor, Oracle , Paypal , Viber, AirBnB ইহুদের প্রোডাক্ট । তাদের সাথে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর ও সরকারের সহযোগিতার চুক্তি আছে। আমি একজন প্রোগ্রামার, আমি জানি আমাদের এসব তৈরি করার সক্ষমতা আমাদের মুসলমানদের আছে । কিন্তু ফাইনেন্স নাই । খুব বেশি ফাইনেন্স লাগে তাও কিন্তু নয়। মুসলমানেরাও তাদের এড প্রোগ্রামে ফাইনেন্স করে । কিন্তু নিজেরা এসমস্ত কিছু করার উদ্দ্যোগ নেয়না। আর এসব করতে আহামরি টেকনোলজি লাগে না। কিন্তু উদ্দ্যোগ প্রয়োজন হয়। সফটওয়্যার আপডেট করতে হয়। মার্কেটিং করতে হয়। অফিসিয়াল কাজগুলো সারাতে হয়। আবার, আমাদের হোস্টিং যে সার্ভারে রাখবো ; তাদেরকে বিশ্বাস করা এপ্রিল ফুলের মত ঘটনা ঘটায়। একটি পুরাতন পিসি বেশি হলে ১৮ হাজার টাকা। রিয়েল আইপি ২৫০ টাকা মাসে । আমরা ইচ্ছা করলেই তাতে সার্ভার ইনস্টল করতে পারি। আরেকটি ত্রুটি হলো যে সফটওয়ার তৈরী করি তা কাফেরদের গিট সার্ভারে রাখা। নিজেদের গিট সার্ভারে রাখার ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও কেন আমরা কাফেরদের গিট সার্ভারে নিজেদের পরিশ্রমের ফসল রাখবো- আমার মাথায় ধরে না। আর ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থাকতে কেন আমরা এত রিস্ক নিবো। আর ফাইন্যান্স থাকলে অপারেটিং সিস্টেম বানানোও কোনো আহামরি বিষয় না। আর পাইরেসি না থাকলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমেও অনেক বিরাট সফটওয়ার তৈরি করা যায়। একজনে কাজ করলে যে আউটপুট হয়; দশ জনে একসাথে কাজ করলে তার দশগুন কাজ হবে এ ঐকিক নিয়ম এক্ষেত্রে খাটে না। বরং দশজনে কাজ করলে রেজাল্ট দশ গুনের চেয়ে অনেক বেশি হয়। একশ জন একত্রে কাজ করলে আউটপুট একশগুন হতে অনেক অনেক বেশি হয়। যে ম্যানেজমেন্ট করে তাকে সব কাজ হাতে কলমে করার যোগ্যতা থাকতে হয়। একটা গল্প বলি তিনজনের দায়িত্ব হলো প্রথম জুন গর্ত খুড়বে, দ্বিতীয়জন বীজ লাগাবে, তৃতীয় জন মাটি ভরাট করে পানি দিবে। একদিন যে বীজ দিবে সে ছুটিতে গেছে। অতঃপর প্রথম জন ডিউটি মত গর্ত করছে এবং পরবর্তী জন গর্ত ভারাট করে দিছে। রেজাল্ট কি হলো। এক মেশিন নষ্ট হওয়ার পর ; কোনো মিস্ত্রি তা ট্টহিক করতে না পারায় ইঞ্জিনিয়ার ডাকলো। ইঞ্জিনিয়ার হাতুড়ি দিয়ে এক আঘাতেই যন্ত্র সেড়ে যায়। যে পারিশ্রমিক চায় , তা কারখানার মালিক দিতে অস্বীকার করে । বলে এত অল্প কাজে এত পারিশ্রমিক কেন। ইঞ্জিনিয়ার বলে কাজের জন্য পারিশ্রমিক কম ; কিন্তু কিভাবে করতে হবে তার জন্য লেখাপড়ায় পরিশ্রম অনেক বেশি। যে জানে ; আর যে জানে না উভয়ে সমান নয়। এসব ক্ষেত্রে ভুটোভুটি চলে না।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 5 days ago.
Working...
X