Announcement

Collapse
No announcement yet.

সহজে লিনাক্স শিখি: পর্ব ০২ - লিনাক্স কেন এবং এর সুবিধাগুলো কি কি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সহজে লিনাক্স শিখি: পর্ব ০২ - লিনাক্স কেন এবং এর সুবিধাগুলো কি কি?

    পর্ব ০২ - লিনাক্স কেন এবং এর সুবিধাগুলো কি কি?
    উইন্ডজের সমস্যা ও অসুবিধাগুলো এড়িয়ে চলার জন্য লিনাক্স। পাশাপাশি আপনি পাবেন অতিরিক্ত আরও অনেক কিছু।


    যদি আপনি এমন কাজ করেন যেগুলো চান না আপনি কেউ দেখুক, চান না আপনার লোকেশান কেউ জানুক- তাহলে আপনার জন্য লিনাক্স ভালো। লিনাক্সে আপনার তথ্য তুলনামূলক নিরাপদ। হাঁ, লিনাক্সেও আপনাকে এর জন্য কিছু সিকিউরিটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কিন্তু উইন্ডজে সিকিউরিটি গ্রহণ করার পরও আপনার যথেষ্ট ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ, উইন্ডজের কোথায় কি আছে আপনি জানেন না। সে কিভাবে কিভাবে আপনাকে ফাঁদে ফেলছে তা আপনার অজানা। যেহেতু তারা তাদের সিস্টেমের গোপন বিষয়গুলো উন্মোক্ত করে না। পক্ষান্তরে লিনাক্স উন্মোক্ত। যাছাই করা যায়। কোনো সমস্যা হলে সমাধান করা যায়। হাজারো বিশেষজ্ঞের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করাটা এখানে একটু দুষ্কর। এখানেই উইন্ডজ লিনাক্সের একটা বড় ফারাক।

    আর যদি আপনি এমন কেউ হয়ে থাকেন, যার কাজগুলো যেকেউ দেখলেও কোনো সমস্যা নাই, যার লোকেশান যেকেউ জানলেও কোনো সমস্যা নাই- তাহলে কি আপনি লিনাক্স ব্যবহার করবেন?

    এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে কথা হচ্ছে: তথ্য আর লোকেশান ছাড়াও আরও ব্যাপার আছে। যেগুলোর দিকে তাকালে আপনি লিনাক্স ব্যবহারকে হাঁ বলতে পারেন। যেমন:

    ০১. উইন্ডজে আপনি একজন ব্যবহারকারী মাত্র, জিনিসটা অন্যের, নিয়ন্ত্রণটা অন্যের হাতে। পক্ষান্তরে লিনাক্সে আপনি শুধু একজন নিছক ব্যবহারকারীই নন, আপনি নিজেই এর মালিক। এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। স্বাধীনতার স্বাদ যে আলাদা তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

    ০২. উইন্ডজ একটি হেভিওয়েট তথা ভারী ওএস। পক্ষান্তরে লিনাক্স মোটাদাগে একটি লাইটওয়েট তথা হালকা ওএস। লিনাক্সে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার থাকে না। আপনার যতটুকু দরকার ততটুকু ইনস্টলে রাখতে পারবেন। ফলে রিসোর্স কম লাগে। সিস্টেম হালকা ও ফার্স্ট থাকে। আপনার পিসি একটু কম দামী বা কম মানের হলেও ভালো পারফরমেন্স পাবেন আশা করা যায়। কোনো কোনো লিনাক্স ২ জিবি রেমেও চলবে। ৪ জিবি রেম হলে ভালো চলবে ইনশাআল্লাহ। এত কম রেমে উইন্ডজ চালিয়ে কাজ করা যথেষ্ট মুশকিল।

    ০৩. অটো আপডেট ও অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আপনার অজান্তে রান হয়ে পিসি ভারী করা বা আপনার ইন্টারনেট ডাটা ফুরিয়ে দেয়ার ভয় নাই। আপনি যতটুক ব্যবহার করবেন ততটুকুই ব্যবহার হবে। উইন্ডজে নামায পড়ে এসে কতবার হয়তো দেখেছেন আপনার ডাটা শেষ। এরপর পিসি বন্ধ করতে গেলে বলে: আপডেট শেষ হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। লিনাক্সে আলহামদুলিল্লাহ সারাদিন চালু রেখে কাজ করে দেখেছি অজান্তে ডাটা ফুরায়নি। আপডেট আসলে আপনাকে ওয়ার্নিং দিবে। আপনি আপনার সুবিধামতো আপডেট করতে পারবেন। আপডেটের জন্য বা প্রোগ্রাম ইনস্টলের জন্য উইন্ডজের মতো এতো বেশি ডাটারও প্রয়োজন পড়ে না।

    ০৪. ভাইরাস সমস্যা উইন্ডজে একটি বড় সমস্যা। লিনাক্সে এই সমস্যা খুবই কম। লিনাক্স সিস্টেমটা নিজেই একটা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত সিস্টেম। আলাদা করে এন্টিভাইরাস ব্যবহারের দরকার পড়ে না। ভাইরাস একেবারে ধরতে পারবেই না তা না, তবে খুব কম।

    ০৫. উইন্ডজে আমরা এক রকম ইউজার ইন্টারফেসই দেখে আসছি। লিনাক্সে ইন্টারফেস আছে বিভিন্ন রকম, যেগুলোকে বলা হয় DE তথা Desktop Environment। আপনি আপনার পছন্দ ও সুবিধামতো ইন্টারফেস গ্রহণ করতে পারেন। একেক লিনাক্স একেক রকম DE ব্যবহার করে। আবার একটির ভিতরে কয়েক রকম DE ব্যবহারেরও সুযোগ থাকে।

    অবশ্য এটি সুবিধা হলেও যদি আপনি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারেন তাহলে অসুবিধা। একেক দিন একেক DE মন চাইবে। এজন্য এ বিষয়টাতে বেশি ডুব না দিয়ে আপনার সুবিধা ও পছন্দমতো দুয়েক রকমের DE বেছে নিয়ে সেটাতে কাজ করাই ভালো। বিভিন্ন DE এর মধ্যে xfce ফার্স্ট ও কাজের জন্য সুবিধা। এ বিষয়ে ইনশাআল্লাহ আমরা পরে আলোচনা করবো।

    ০৬. অধিকন্তু লিনাক্স ওএস এবং এর সফটওয়ারগুলো আপনি সাধারণত ফ্রিতেই পাবেন, কিনতে হবে না।

    তো এধরনের সুবিধা অসুবিধা পর্যালোচনা করে আপনি সাধারণ ইউজার হলেও লিনাক্স ব্যবহার করতে পারেন।

    মোটাদাগে: কম রিসোর্সে ভালো পারফরমেন্স, তথ্য সুরক্ষা, ভাইরাস থেকে মুক্তি এবং সুবিধামতো কাস্টমাইজেশন ফ্যাসিলিটি। পরের নিয়ন্ত্রণে না থেকে স্বাধীন হওয়ার স্বাদ। তাছাড়া নতুন একটা জিনিস না হয় টেস্ট করে দেখার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেনই। মানুষ তো শখের বশেও অনেক কিছু করে।

    তবে হাঁ, নতুন একটা জগতে প্রথম প্রথম আপনি একটু অপরিচিত বোধ করতে পারেন। কিছুদিন গেলে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
    --------------------------------

    এই পর্বে আমরা যা জানলাম
    ☐ DE কি জিনিস এবং লিনাক্সে বিভিন্ন DE আছে।
    ☐ xfce একটি ফার্স্ট DE ও কাজের জন্য সুবিধা।
    ☐ লিনাক্সে কাস্টমাইজেশন তথা নিজের মতো করে সাজিয়ে নেয়ার সুবিধা বেশি। তবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সুবিধাটি অসুবিধায় পরিণত হবে।
    ☐ লিনাক্স একটি লাইটওয়েট তথা হালকা ওএস (অবশ্য কোনো কোনো লিনাক্স ভারীও আছে)।
    ☐ লিনাক্সের জগতে প্রথমে একটু অপরিচিত বোধ হতে পারে, তবে ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে।


  • #2
    লিনাক্সে কাস্টমাইজেশন তথা নিজের মতো করে সাজিয়ে নেয়ার সুবিধা বেশি। তবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সুবিধাটি অসুবিধায় পরিণত হবে।

    এই ব্যাপার টা একটু ভালভাবে বুঝিয়ে দিলে ভাল হত । নিজের মত করে কিভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায় ?

    Comment

    Working...
    X