বিশ্বের মধ্যে যতো অস্ত্র ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও অধিক ব্যবহৃত অস্ত্র হচ্ছে AK-47.
AK-47 হচ্ছে* বিশ্বের প্রথম কার্যকর অটোমেটিক রাইফেল। এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ- সহজ ব্যবহার, নির্ভরতা ও অধিক প্রাণঘাতী। জলে ভিজিয়ে, ধুলায় রেখে, এমনটি এর ওপর দিয়ে রাস্তা মেরামতের রোলার চালালেও এই অস্ত্র আগের মতোই ব্যবহার করা যায়। এটা জ্যাম হয় না খুব সহজে , ওভারহিটেড হয় না, অতি গরম বা অতি শীতল আবহাওয়াতেও ভালভাবে কাজ করে। বছরের পর বছর কোনো যত্ন না নিলেও চলে।* এর পরীক্ষায়* দেখা গেছে, আমেরিকান এম ১৬ প্রতি ৫০০ রাউন্ড ফায়ারে যে জ্যাম হয়, সেই পরিমাণ জ্যাম AK-47 এর হতে ১৩৭৫ রাউন্ড ফায়ার করতে হয়। অন্যান্য অস্ত্র যখন অবিরাম গুলি করতে থাকলে ওভারহিটেড হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, AK-47 এর বেলায় তেমন টা ঘটে না।
আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে AK-47 পার করেছে ৬০ বছরেরও বেশি সময়। এই সময়ের মধ্যে এ আগ্নেয়াস্ত্রটি প্রায় ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বার উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশে।
AK-47 এর বিবরণঃ
তথ্যাবলিওজনWithout magazine:
৩.৪৭*কেজি (৭.৭*পা)
Magazine, empty:
০.৪৩*কেজি (০.৯৫*পা) (early issue)[৫]
০.৩৩*কেজি (০.৭৩*পা) (steel)[৬]
০.২৫*কেজি (০.৫৫*পা) (plastic)[৭]
০.১৭*কেজি (০.৩৭*পা) (light alloy)[৬]দৈর্ঘ্যFixed wooden stock:
৮৮০*মিমি (৩৫*ইঞ্চি)[৭]
৮৭৫*মিমি (৩৪.৪*ইঞ্চি) folding stock extended
৬৪৫*মিমি (২৫.৪*ইঞ্চি) stock folded[৫]ব্যারেলের*দৈর্ঘ্যসার্বিক লম্বা:
৪১৫*মিমি (১৬.৩*ইঞ্চি)[৭]
Rifled bore length:
৩৬৯*মিমি (১৪.৫*ইঞ্চি)[
প্রস্তুতকারক দেশঃ সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া)
এমুনিশানঃ* ৭.৬২*৩৯ মি.মি.
মাজল ভেলোসিটিঃ ৭১৫ মিটার/সেকেন্ড
কার্যকরী দূরত্বঃ ৪০০ মিটার/সেমি অটোমেটিক , ৩০০ মিটার/অটোমেটিক
ফায়ারিং রেটঃ ৬০০ রাউন্ড/মিনিট
ম্যাগাজিনঃ ৩০ বা ৪৫ রাউন্ডের বক্স ম্যাগাজিন* অথবা ৭৫ বা ১০০ রাউন্ডের ড্রাম ম্যাগাজিন।
AK-47 এর অন্যতম সুবিধা হল এর মারাত্মক ভেদন করার ক্ষমতা।
এটি ৭.৬২*৩৯ মি.মি. বুলেটকে ৭১৫ মিটার/সেকেন্ডে ছুড়ে যা ৮” কাঠ বা ৫” কনক্রিটের দেয়াল ভেদ করতে পারে।* এছাড়া এতে কাস্টমাইজড বুলেট ব্যবহার করা যায়। এর ফলে এটি হতে পারে আরো মারাত্মক।*উদাহরণে ভারতের মুম্বাই হামলার সময় মুম্বাই পুলিসের এন্টি টেররিষ্ট স্কোয়াডের চীফ হেমন্ত কারেকারের উদাহরণ দেয়া যায়। যার বডি আর্মার ভেদ করেছিল AK-47 এর কাষ্টমাইজ বুলেট।* এতে সিঙ্গেল শট, ব্রাশ ফায়ার এবং গ্রেনেড ছুড়ার সুবিধাও আছে। AK-47 এ কখনো ব্যাক ফায়ার হয় না। এ এক অনন্য নির্ভরযোগ্য* অস্ত্র।
AK-47 কিভাবে চালাবেনঃ
অন্যান্য অস্ত্র থেকে AK-47 চালানো অনেক সহজ।বলা হয়ে থাকে মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে তা শেখা যায়।যদিও পুরোপুরি পারদর্শী হতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়।
এটি চালাতে হলে আপনাকে ২ টি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।প্রথমটি হচ্ছে সেমি অটোমেটিক মোড এবং ২য় টি হচ্ছে ফুল অটোমেটিক মোড।
সেমি অটোমেটিক মোড এর ক্ষেত্রে প্রথমে ম্যাগাজিন লোড করে নিয়ে সিলেক্টরকে লেভেল অফে নিয়ে আবার ছেড়ে দিতে হবে।
তারপর টিগার চেপে ধরবেন,যতোক্ষণ ম্যাগাজিন শেষ না হবে ততোক্ষণই ফায়ারিং চলতে থাকবে।ম্যাগাজিন শেষ হলে পুনরায় আবার লোড করে নিতে হবে।
ফুল অটোমেটিক মোড এর ক্ষেত্রে প্রথমে ম্যাগাজিন লোড করবেন তারপর সিলেক্টরকে লেভেল অফে নিয়ে আবার ছেড়ে না দিয়ে মাঝামাঝি রাখতে হবে।এই পদ্ধতিতে টিগার চেপে দিলে ফায়ার শুরু হয়ে যাবে।এ ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে বারবার টিগার চাপতে হয় না।
সাম্প্রতিক পৃথিবীতে AK-47 ছাড়া কোনো সামরিক বাহিনী কল্পনা করা অসম্ভব। ধারণা করা হয়, প্যাটেন্ট সংরক্ষিত না থাকায় আবিষ্কারের পর থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকারি, বেসরকারি অস্ত্র কারখানাগুলো প্রকাশ্যে, গোপনে AK-47 উৎপাদন করেই যাচ্ছে। ফলে AK-47 হচ্ছে, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রাইফেল এবং পৃথিবীতে গুলি খেয়ে মারা যাওয়া মানুষদের মধ্যে অধিক সংখ্যক লোক এর দ্বারা নিহত হয়েছে।
AK-47 এর মধ্যে ও অনেক ধরনের ভার্সন রয়েছে।যেমনঃহাঙ্গেরি বের করে AMD 65M, চায়না বের করে TYPE 56, ফিনল্যান্ডের টা হল RK -52. ভারতের ভ্যারিয়েন্ট হল INSAS Rifle, KALANTAK CARBAIN.* কিছু কিছু দেশ বাদে প্রায় সব দেশের সেনাবাহিনীতেই ব্যাবহার করা হয় AK-47 বা এর মোডীফাইড ভার্সন গুলো।* আমেরিকা এবং ইরাকে এর আমেরিকান ভার্সন AKS ব্যবহার করা হয়।* বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও ব্যাবহার করা হয় এটি । বাংলাদেশে যে টা ব্যাবহার করা হয় সেটি হল AK-47 এর চাইনিজ সংস্করণ TYPE 56.* এ সংস্করণটির সত্ব কিনে নিয়ে নাম দেয় BD-08.
AK-47 রাইফেলটিতে মাত্র আটটি নড়াচড়া করানো সম্ভব এমন অংশ রয়েছে। এই রাইফেলটির অংশগুলো খুলে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই তা আবারও জোড়া লাগানো সম্ভব।যেটি এই অস্ত্রকে আরো বিখ্যাত করেছে।
কার্য ক্ষমতা,বৈশিষ্ট্য,গুনাগুন সব দিক বিবেচনায় এটি অধিক মারাত্মক একটি অস্ত্র যার কারণেই মূলত এর ব্যবহার অধিক।
# সম্মানিত পাঠক।আমাদের প্রতিটা পদক্ষেপের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হলো দুনিয়ার বুকে দীনকে প্রতিষ্ঠিত করা।
আমরা সকলেই এ বিষয়ে অবগত যে, অচীরেই এই উপমহাদেশে বিরাট যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে।বর্তমান পরিস্থিতি ও পেক্ষাপট থেকেই এর প্রমাণ মেলে।
এ যুদ্ধে শরিক হবার ইচ্ছে আমাদের সকলেরই।তার জন্য প্রয়োজন সর্ব দিকে প্রস্তুতি।এর মধ্যে অস্ত্র বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা খুবই দরকার।যুদ্ধের জন্য অস্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।সাধারণ অস্ত্র সম্পর্কে প্রস্তুতি নেয়াটা কোনে কঠিন বিষয় নয় কিন্তু আধুনিক বিশ্বের তৈরি আধুনিক অস্ত্র সম্পর্কে প্রস্তুতি নেয়াটা অনেক কঠিন।কঠিন এ কারণে বলছি না যে এটা চালানো কঠিন।এ জন্য বলছি যে প্রস্তুতি নেবার জন্য যা উপকরণ প্রয়োজন তা এখন আমাদের কাছে নেই আর এ উপকরণগুলোর ব্যবস্থা করা গেলেও আমাদের তার উপযোগী পরিবেশ নেই।
বাংলাদেশের পেক্ষাপট লক্ষ করলে দেখা যায় সরাসরি অস্ত্রগত প্রস্তুতি নেয়া প্রায় অসম্ভবই।নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় তা করাটাও বোকামি কেননা এর দ্বারা গ্রেফতার বা বন্দী হবার আশঙ্কা থাকে।পাশাপাশি অন্য ভাইদেরও নিরাপত্তা জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।আমরা কেউই চাইনা আমার জন্য অন্য ভাই বিপদে পরুক।
অনেকে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও পড়তে পারি যে,আমার হাতে আধুনিক অস্ত্র রয়েছে কিন্তু ব্যবহার করার পদ্ধতি না জানার কারণে তা কোনো কাজে আসতেছে না।
এখন সকলের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এখন আমাদের করণীয় কী?এ মূহুর্তে আমরা অস্ত্র গত প্রস্তুতি কিভাবে নেব?
প্রশ্নের সমাধানে আমি বলব,যেহেতু আমরা সরাসরি অস্ত্র ব্যবহার শিখতে পারছি না সেহেতু আমাদের উচিত এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য ও জ্ঞান রাখা।আপনি হয়ত সরাসরি অস্ত্র চালানো শিখেননি কিন্তু এ বিষয়ে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে তাহলে আশা রাখা যায় এই জ্ঞান আপনার কোনো না কোনো ভাবে কাজে আসবে।
সকলেরই ইচ্ছে অস্ত্র চালানো শেখা কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও নানা কারণ বসত আমরা তা পূরণ করতে পারছি না।তাই বলে নিরাশ হয়ে বসে থাকাও ঠিক হবে না।যতোটা পারা যায় এ বিষয়ে জানা।একটি অস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিরাপত্তার কোনো প্রকার সমস্যাও হয় না যদি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।সরাসরি প্রশিক্ষণ না পেলেও অনলাইন এর মাধ্যমে যতোটা পারা যায় তার চেষ্টা করতে থাকা।ইনশাআল্লাহ এই চেষ্টা বিথা যাবে না।
একটি বিষয়ে জানা তথ্য অনেক সময় অনেক বড় সফলতার কারণ হয় যা হয়ত চিন্তার মধ্যেও আসে না।যুদ্ধের জন্য অস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিটি যুদ্ধের মধ্যেই এসোব আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।এ বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জুরুরি।
পরিশেষে বলবো সর্বদিক বিবেচনা করে আমাদের পথ অগ্রসর হতে হবে।এ পথ পিচ্ছিল কাটা যুক্ত পথ।সতর্ক না হলে বিপদ আমাদের সর্বদিক দিয়ে ঘীরে ফেলবে।যতোটা পারা যায় ততোটা প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার।আল্লাহর রহমতে ছোট একটি বিষয় অনেক বড় ফায়দার কারণ হতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জিহাদের ময়দানে কবুল করুক এবং এ ময়দানে জিহাদরত অবস্থায় শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।আমীন ইয়া রব্বাল আল আমীন।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আপনাদের নেক দোয়ায় এই গুনাহগার ভাইকে একটু সরণ করার দরখাস্ত।
AK-47 হচ্ছে* বিশ্বের প্রথম কার্যকর অটোমেটিক রাইফেল। এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ- সহজ ব্যবহার, নির্ভরতা ও অধিক প্রাণঘাতী। জলে ভিজিয়ে, ধুলায় রেখে, এমনটি এর ওপর দিয়ে রাস্তা মেরামতের রোলার চালালেও এই অস্ত্র আগের মতোই ব্যবহার করা যায়। এটা জ্যাম হয় না খুব সহজে , ওভারহিটেড হয় না, অতি গরম বা অতি শীতল আবহাওয়াতেও ভালভাবে কাজ করে। বছরের পর বছর কোনো যত্ন না নিলেও চলে।* এর পরীক্ষায়* দেখা গেছে, আমেরিকান এম ১৬ প্রতি ৫০০ রাউন্ড ফায়ারে যে জ্যাম হয়, সেই পরিমাণ জ্যাম AK-47 এর হতে ১৩৭৫ রাউন্ড ফায়ার করতে হয়। অন্যান্য অস্ত্র যখন অবিরাম গুলি করতে থাকলে ওভারহিটেড হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, AK-47 এর বেলায় তেমন টা ঘটে না।
আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে AK-47 পার করেছে ৬০ বছরেরও বেশি সময়। এই সময়ের মধ্যে এ আগ্নেয়াস্ত্রটি প্রায় ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বার উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে এই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশে।
AK-47 এর বিবরণঃ
তথ্যাবলিওজনWithout magazine:
৩.৪৭*কেজি (৭.৭*পা)
Magazine, empty:
০.৪৩*কেজি (০.৯৫*পা) (early issue)[৫]
০.৩৩*কেজি (০.৭৩*পা) (steel)[৬]
০.২৫*কেজি (০.৫৫*পা) (plastic)[৭]
০.১৭*কেজি (০.৩৭*পা) (light alloy)[৬]দৈর্ঘ্যFixed wooden stock:
৮৮০*মিমি (৩৫*ইঞ্চি)[৭]
৮৭৫*মিমি (৩৪.৪*ইঞ্চি) folding stock extended
৬৪৫*মিমি (২৫.৪*ইঞ্চি) stock folded[৫]ব্যারেলের*দৈর্ঘ্যসার্বিক লম্বা:
৪১৫*মিমি (১৬.৩*ইঞ্চি)[৭]
Rifled bore length:
৩৬৯*মিমি (১৪.৫*ইঞ্চি)[
প্রস্তুতকারক দেশঃ সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া)
এমুনিশানঃ* ৭.৬২*৩৯ মি.মি.
মাজল ভেলোসিটিঃ ৭১৫ মিটার/সেকেন্ড
কার্যকরী দূরত্বঃ ৪০০ মিটার/সেমি অটোমেটিক , ৩০০ মিটার/অটোমেটিক
ফায়ারিং রেটঃ ৬০০ রাউন্ড/মিনিট
ম্যাগাজিনঃ ৩০ বা ৪৫ রাউন্ডের বক্স ম্যাগাজিন* অথবা ৭৫ বা ১০০ রাউন্ডের ড্রাম ম্যাগাজিন।
AK-47 এর অন্যতম সুবিধা হল এর মারাত্মক ভেদন করার ক্ষমতা।
এটি ৭.৬২*৩৯ মি.মি. বুলেটকে ৭১৫ মিটার/সেকেন্ডে ছুড়ে যা ৮” কাঠ বা ৫” কনক্রিটের দেয়াল ভেদ করতে পারে।* এছাড়া এতে কাস্টমাইজড বুলেট ব্যবহার করা যায়। এর ফলে এটি হতে পারে আরো মারাত্মক।*উদাহরণে ভারতের মুম্বাই হামলার সময় মুম্বাই পুলিসের এন্টি টেররিষ্ট স্কোয়াডের চীফ হেমন্ত কারেকারের উদাহরণ দেয়া যায়। যার বডি আর্মার ভেদ করেছিল AK-47 এর কাষ্টমাইজ বুলেট।* এতে সিঙ্গেল শট, ব্রাশ ফায়ার এবং গ্রেনেড ছুড়ার সুবিধাও আছে। AK-47 এ কখনো ব্যাক ফায়ার হয় না। এ এক অনন্য নির্ভরযোগ্য* অস্ত্র।
AK-47 কিভাবে চালাবেনঃ
অন্যান্য অস্ত্র থেকে AK-47 চালানো অনেক সহজ।বলা হয়ে থাকে মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে তা শেখা যায়।যদিও পুরোপুরি পারদর্শী হতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়।
এটি চালাতে হলে আপনাকে ২ টি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।প্রথমটি হচ্ছে সেমি অটোমেটিক মোড এবং ২য় টি হচ্ছে ফুল অটোমেটিক মোড।
সেমি অটোমেটিক মোড এর ক্ষেত্রে প্রথমে ম্যাগাজিন লোড করে নিয়ে সিলেক্টরকে লেভেল অফে নিয়ে আবার ছেড়ে দিতে হবে।
তারপর টিগার চেপে ধরবেন,যতোক্ষণ ম্যাগাজিন শেষ না হবে ততোক্ষণই ফায়ারিং চলতে থাকবে।ম্যাগাজিন শেষ হলে পুনরায় আবার লোড করে নিতে হবে।
ফুল অটোমেটিক মোড এর ক্ষেত্রে প্রথমে ম্যাগাজিন লোড করবেন তারপর সিলেক্টরকে লেভেল অফে নিয়ে আবার ছেড়ে না দিয়ে মাঝামাঝি রাখতে হবে।এই পদ্ধতিতে টিগার চেপে দিলে ফায়ার শুরু হয়ে যাবে।এ ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে বারবার টিগার চাপতে হয় না।
সাম্প্রতিক পৃথিবীতে AK-47 ছাড়া কোনো সামরিক বাহিনী কল্পনা করা অসম্ভব। ধারণা করা হয়, প্যাটেন্ট সংরক্ষিত না থাকায় আবিষ্কারের পর থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকারি, বেসরকারি অস্ত্র কারখানাগুলো প্রকাশ্যে, গোপনে AK-47 উৎপাদন করেই যাচ্ছে। ফলে AK-47 হচ্ছে, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রাইফেল এবং পৃথিবীতে গুলি খেয়ে মারা যাওয়া মানুষদের মধ্যে অধিক সংখ্যক লোক এর দ্বারা নিহত হয়েছে।
AK-47 এর মধ্যে ও অনেক ধরনের ভার্সন রয়েছে।যেমনঃহাঙ্গেরি বের করে AMD 65M, চায়না বের করে TYPE 56, ফিনল্যান্ডের টা হল RK -52. ভারতের ভ্যারিয়েন্ট হল INSAS Rifle, KALANTAK CARBAIN.* কিছু কিছু দেশ বাদে প্রায় সব দেশের সেনাবাহিনীতেই ব্যাবহার করা হয় AK-47 বা এর মোডীফাইড ভার্সন গুলো।* আমেরিকা এবং ইরাকে এর আমেরিকান ভার্সন AKS ব্যবহার করা হয়।* বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও ব্যাবহার করা হয় এটি । বাংলাদেশে যে টা ব্যাবহার করা হয় সেটি হল AK-47 এর চাইনিজ সংস্করণ TYPE 56.* এ সংস্করণটির সত্ব কিনে নিয়ে নাম দেয় BD-08.
AK-47 রাইফেলটিতে মাত্র আটটি নড়াচড়া করানো সম্ভব এমন অংশ রয়েছে। এই রাইফেলটির অংশগুলো খুলে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই তা আবারও জোড়া লাগানো সম্ভব।যেটি এই অস্ত্রকে আরো বিখ্যাত করেছে।
কার্য ক্ষমতা,বৈশিষ্ট্য,গুনাগুন সব দিক বিবেচনায় এটি অধিক মারাত্মক একটি অস্ত্র যার কারণেই মূলত এর ব্যবহার অধিক।
# সম্মানিত পাঠক।আমাদের প্রতিটা পদক্ষেপের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হলো দুনিয়ার বুকে দীনকে প্রতিষ্ঠিত করা।
আমরা সকলেই এ বিষয়ে অবগত যে, অচীরেই এই উপমহাদেশে বিরাট যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে।বর্তমান পরিস্থিতি ও পেক্ষাপট থেকেই এর প্রমাণ মেলে।
এ যুদ্ধে শরিক হবার ইচ্ছে আমাদের সকলেরই।তার জন্য প্রয়োজন সর্ব দিকে প্রস্তুতি।এর মধ্যে অস্ত্র বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা খুবই দরকার।যুদ্ধের জন্য অস্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।সাধারণ অস্ত্র সম্পর্কে প্রস্তুতি নেয়াটা কোনে কঠিন বিষয় নয় কিন্তু আধুনিক বিশ্বের তৈরি আধুনিক অস্ত্র সম্পর্কে প্রস্তুতি নেয়াটা অনেক কঠিন।কঠিন এ কারণে বলছি না যে এটা চালানো কঠিন।এ জন্য বলছি যে প্রস্তুতি নেবার জন্য যা উপকরণ প্রয়োজন তা এখন আমাদের কাছে নেই আর এ উপকরণগুলোর ব্যবস্থা করা গেলেও আমাদের তার উপযোগী পরিবেশ নেই।
বাংলাদেশের পেক্ষাপট লক্ষ করলে দেখা যায় সরাসরি অস্ত্রগত প্রস্তুতি নেয়া প্রায় অসম্ভবই।নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় তা করাটাও বোকামি কেননা এর দ্বারা গ্রেফতার বা বন্দী হবার আশঙ্কা থাকে।পাশাপাশি অন্য ভাইদেরও নিরাপত্তা জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।আমরা কেউই চাইনা আমার জন্য অন্য ভাই বিপদে পরুক।
অনেকে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও পড়তে পারি যে,আমার হাতে আধুনিক অস্ত্র রয়েছে কিন্তু ব্যবহার করার পদ্ধতি না জানার কারণে তা কোনো কাজে আসতেছে না।
এখন সকলের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এখন আমাদের করণীয় কী?এ মূহুর্তে আমরা অস্ত্র গত প্রস্তুতি কিভাবে নেব?
প্রশ্নের সমাধানে আমি বলব,যেহেতু আমরা সরাসরি অস্ত্র ব্যবহার শিখতে পারছি না সেহেতু আমাদের উচিত এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য ও জ্ঞান রাখা।আপনি হয়ত সরাসরি অস্ত্র চালানো শিখেননি কিন্তু এ বিষয়ে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে তাহলে আশা রাখা যায় এই জ্ঞান আপনার কোনো না কোনো ভাবে কাজে আসবে।
সকলেরই ইচ্ছে অস্ত্র চালানো শেখা কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও নানা কারণ বসত আমরা তা পূরণ করতে পারছি না।তাই বলে নিরাশ হয়ে বসে থাকাও ঠিক হবে না।যতোটা পারা যায় এ বিষয়ে জানা।একটি অস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিরাপত্তার কোনো প্রকার সমস্যাও হয় না যদি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।সরাসরি প্রশিক্ষণ না পেলেও অনলাইন এর মাধ্যমে যতোটা পারা যায় তার চেষ্টা করতে থাকা।ইনশাআল্লাহ এই চেষ্টা বিথা যাবে না।
একটি বিষয়ে জানা তথ্য অনেক সময় অনেক বড় সফলতার কারণ হয় যা হয়ত চিন্তার মধ্যেও আসে না।যুদ্ধের জন্য অস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিটি যুদ্ধের মধ্যেই এসোব আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।এ বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জুরুরি।
পরিশেষে বলবো সর্বদিক বিবেচনা করে আমাদের পথ অগ্রসর হতে হবে।এ পথ পিচ্ছিল কাটা যুক্ত পথ।সতর্ক না হলে বিপদ আমাদের সর্বদিক দিয়ে ঘীরে ফেলবে।যতোটা পারা যায় ততোটা প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার।আল্লাহর রহমতে ছোট একটি বিষয় অনেক বড় ফায়দার কারণ হতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জিহাদের ময়দানে কবুল করুক এবং এ ময়দানে জিহাদরত অবস্থায় শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।আমীন ইয়া রব্বাল আল আমীন।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আপনাদের নেক দোয়ায় এই গুনাহগার ভাইকে একটু সরণ করার দরখাস্ত।
Comment