ইন্টারনেটে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যক্তির কিছু ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
সংস্থাটি বলছে, জসিমউদ্দীন রাহমানী নামে একজন কারাবন্দী অভিযুক্ত জঙ্গি নেতাসহ তিনজন ব্যক্তির বক্তব্য বিভিন্নভাবে তরুণদের উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হতে আকৃষ্ট করছে এমন তথ্য পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে এসব ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকবার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিভিন্ন ব্যক্তি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা জসিমউদ্দীন রাহমানীর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে।
এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পুলিশ বিটিআরসিকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছে, মি. রহমানীর বক্তব্য সম্বলিত কিছু ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিতে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলছেন, তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তির আওতায় এই অনুরোধ করেছেন।
আর ইউটিউব থেকে কিভাবে সরানো যায় সেই প্রক্রিয়া তারা খুঁজছেন।
তিনি বলেন, “এর আগেও আমরা যখন ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করেছি তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।”
ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে মূলত ইন্টারনেটের নানা পাতায়, ফেসবুকে, ইউটিউবে রয়েছে এই মিস্টার রাহমানী শত শত ভিডিও।
এমনকি ফেসবুকে মি. রাহমানীর কতগুলো ফ্যানপেজও রয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. মাহমুদ আরো বলছেন, জসিমউদ্দিন রহমানী ছাড়াও আরো দু’জন ব্যক্তির বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও সরানোর জন্যও তাদেরকে অনুরোধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদের একজন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, অপরজন তারিক মনোয়ার।
মি. মনোয়ার সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি, তবে রাজ্জাক বিন ইউসুফ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক একজন ইসলামপন্থী নেতা, অধিকাংশ সময়েই তিনি দুবাইতে অবস্থান করেন বলেও দু’একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তবে সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
অবশ্য ইন্টারনেটে এই দু’জনের নাম অনুসন্ধান করে তাদের বক্তব্য বা ওয়াজ সম্বলিত বহু ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
মি. মাহমুদ বলছেন, সব ভিডিওই যে তারা সরানোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন তা নয়। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট যেসব বক্তব্য সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো সরানোর ব্যবস্থাই তারা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, “ধর্মের ব্যাপারে বললে তো আমাদের আপত্তি করার কিছু ছিলো না। কিন্তু ধর্মের ছদ্মবেশে যদি উস্কানিমূলক কথা বলে তখনতো বিষয়টিকে আর উপেক্ষা করা যায় না।”
তবে ফেসবুক ও ইউটিউব ছাড়া অন্য যেসব ওয়েবসাইটে এসব ভিডিও রয়েছে সেগুলো সরানোর কোন কার্যকর ব্যবস্থা বিটিআরসির নেই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
জঙ্গিবাদকে উসকে দেবার অভিযোগে জসিমউদ্দিন রাহমানীকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জঙ্গিবাদ নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের কাছে এর আগে বিভিন্ন সময়ে শোনা গেছে মি. রহমানীর নাম।
এরকম একজন গবেষক এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নুর খান লিটন বলছেন, জসিমউদ্দিন রাহমানী প্রতি শুক্রবার যে বয়ান দিতেন তাই ভিডিও করেই তার অনুসারীরা ইন্টারনেটে আপলোড করতেন। তার বক্তব্য সম্বলিত সিডিও বাজারে পাওয়া যায়।
জসিমউদ্দিন রাহমানী ছাড়াও আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ ও তারিক মনোয়ারের বক্তব্য বা ওয়াজেও জিহাদ উসকে দেয়ার মতো যথেষ্ট মাল-মশলার অস্তিত্ব পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করছেন নুর খান লিটন।
“শুধুমাত্র ইন্টারনেট থেকে এসব ভিডিও সরিয়ে দিয়ে খুব ভাল ফল পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না”, বলছিলেন মি. খান।
বিটিআরসি অবশ্য বলছে, এদের সব ভিডিওই যে সরানো হচ্ছে তা নয়, সুনির্দিষ্টভাবে উগ্রবাদ ছড়ানোর উসকানি রয়েছে যেসব ভিডিওতে শুধু সেগুলোই তারা সরানোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি যেসব জঙ্গি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তাদের বেশিরভাগই আদালতে দেওয়া তাদের জবানবন্দিতে জসিমউদ্দিন রাহমানীর ওয়াজ ও বয়ানের কথা উল্লেখ করেছে। তার অর্থ রাহমানীর বক্তব্যে জঙ্গিদেরকে উৎসাহিত করার মতো উপাদান আছে।”
সংস্থাটি বলছে, জসিমউদ্দীন রাহমানী নামে একজন কারাবন্দী অভিযুক্ত জঙ্গি নেতাসহ তিনজন ব্যক্তির বক্তব্য বিভিন্নভাবে তরুণদের উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হতে আকৃষ্ট করছে এমন তথ্য পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে এসব ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকবার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিভিন্ন ব্যক্তি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা জসিমউদ্দীন রাহমানীর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে।
এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পুলিশ বিটিআরসিকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছে, মি. রহমানীর বক্তব্য সম্বলিত কিছু ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিতে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলছেন, তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তির আওতায় এই অনুরোধ করেছেন।
আর ইউটিউব থেকে কিভাবে সরানো যায় সেই প্রক্রিয়া তারা খুঁজছেন।
তিনি বলেন, “এর আগেও আমরা যখন ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করেছি তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।”
ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে মূলত ইন্টারনেটের নানা পাতায়, ফেসবুকে, ইউটিউবে রয়েছে এই মিস্টার রাহমানী শত শত ভিডিও।
এমনকি ফেসবুকে মি. রাহমানীর কতগুলো ফ্যানপেজও রয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. মাহমুদ আরো বলছেন, জসিমউদ্দিন রহমানী ছাড়াও আরো দু’জন ব্যক্তির বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও সরানোর জন্যও তাদেরকে অনুরোধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদের একজন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, অপরজন তারিক মনোয়ার।
মি. মনোয়ার সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি, তবে রাজ্জাক বিন ইউসুফ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক একজন ইসলামপন্থী নেতা, অধিকাংশ সময়েই তিনি দুবাইতে অবস্থান করেন বলেও দু’একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তবে সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
অবশ্য ইন্টারনেটে এই দু’জনের নাম অনুসন্ধান করে তাদের বক্তব্য বা ওয়াজ সম্বলিত বহু ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
মি. মাহমুদ বলছেন, সব ভিডিওই যে তারা সরানোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন তা নয়। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট যেসব বক্তব্য সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো সরানোর ব্যবস্থাই তারা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, “ধর্মের ব্যাপারে বললে তো আমাদের আপত্তি করার কিছু ছিলো না। কিন্তু ধর্মের ছদ্মবেশে যদি উস্কানিমূলক কথা বলে তখনতো বিষয়টিকে আর উপেক্ষা করা যায় না।”
তবে ফেসবুক ও ইউটিউব ছাড়া অন্য যেসব ওয়েবসাইটে এসব ভিডিও রয়েছে সেগুলো সরানোর কোন কার্যকর ব্যবস্থা বিটিআরসির নেই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
জঙ্গিবাদকে উসকে দেবার অভিযোগে জসিমউদ্দিন রাহমানীকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জঙ্গিবাদ নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের কাছে এর আগে বিভিন্ন সময়ে শোনা গেছে মি. রহমানীর নাম।
এরকম একজন গবেষক এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নুর খান লিটন বলছেন, জসিমউদ্দিন রাহমানী প্রতি শুক্রবার যে বয়ান দিতেন তাই ভিডিও করেই তার অনুসারীরা ইন্টারনেটে আপলোড করতেন। তার বক্তব্য সম্বলিত সিডিও বাজারে পাওয়া যায়।
জসিমউদ্দিন রাহমানী ছাড়াও আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ ও তারিক মনোয়ারের বক্তব্য বা ওয়াজেও জিহাদ উসকে দেয়ার মতো যথেষ্ট মাল-মশলার অস্তিত্ব পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করছেন নুর খান লিটন।
“শুধুমাত্র ইন্টারনেট থেকে এসব ভিডিও সরিয়ে দিয়ে খুব ভাল ফল পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না”, বলছিলেন মি. খান।
বিটিআরসি অবশ্য বলছে, এদের সব ভিডিওই যে সরানো হচ্ছে তা নয়, সুনির্দিষ্টভাবে উগ্রবাদ ছড়ানোর উসকানি রয়েছে যেসব ভিডিওতে শুধু সেগুলোই তারা সরানোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি যেসব জঙ্গি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তাদের বেশিরভাগই আদালতে দেওয়া তাদের জবানবন্দিতে জসিমউদ্দিন রাহমানীর ওয়াজ ও বয়ানের কথা উল্লেখ করেছে। তার অর্থ রাহমানীর বক্তব্যে জঙ্গিদেরকে উৎসাহিত করার মতো উপাদান আছে।”
Comment