‘কী’ ও ‘কি’ এর মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানিনা। আজ এই সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছু জানাতে চাই।
‘কী’ ও ‘কি’ এই দুটি ী-কার এবং ি-কার যুক্ত (কী ও কি) বর্ণ এর ব্যবহারে রয়েছে বিরাট অর্থগত পার্থক্য, যা আমরা প্রায় সময়ই ভুল করি। হয়তো সেটা অজ্ঞতার কারণে বা বেখেয়ালে।
পার্থক্যটা হচ্ছে- ‘কী’ দ্বারা প্রশ্ন করলে তার উত্তর অবশ্যই ভাষার ব্যবহারে দিতে হবে- হয় মুখে, না হয় লিখে। কিন্তু ‘কি’ দ্বারা প্রশ্ন করলে তার উত্তর শুধু মাথা বা ঘাড় নেড়েই দেওয়া যায়। অর্থাৎ হ্যাঁ বা না-এর মাধ্যমে। যেমন- যদি প্রশ্ন করা হয়, তুমি কী খেয়েছ? তবে তার উত্তর হবে ভাত, মাছ, ডাল, দুধ ইত্যাদি। এখানে কী-এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ওই একই প্রশ্ন যদি কি দ্বারা করা হয় যেমন- তুমি কি খেয়েছ? তাহলে এর উত্তর হবে হ্যাঁ বা না। এখানে খেয়েছ-এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আবার তুমি কী জান? এরূপ প্রশ্নে ‘কী জান’ অর্থাৎ বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। আর ‘তুমি কি জান?’ অর্থাৎ তুমি জান কি না সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।
‘কি’ প্রশ্নবোধক, সংশয়সূচক এবং বিস্ময়বোধক অব্যয়। যেমন: তুমি কি খাবে, নাকি খেয়ে এসেছ? তুমি কি কথাটা তাকে বলেছ? । ‘কী’ প্রশ্নবোধক সর্বনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।যেমন: তুমি কী খাবে? ভাত, না রুটি? তুমি তাকে কী বলেছ যে সে এত রেগে আছে?
বোঝাতে পারলাম?? না !!
তুমি কি জানো সে আমার কত প্রিয়! (সংশয়সূচক)
তুমি কি জানো সে আমার কত প্রিয়? (প্রশ্নসূচক)
কোন এক কবি তার একটি বাক্যের মধ্যে ‘কি’ এবং ‘কী’ এর পার্থক্য খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেনঃ “ওদের মধ্যে কী নিয়ে আলাপ হলো, কি আলাপ একেবারেই হলো না, তা তো আমি জানি নে”…
—
সহজ কথায় বুঝাই, মানে যেভাবে আমি বুজছি। যেসব প্রশ্নের উত্তর হা/না দিয়ে অথবা মাথা নাড়িয়ে দেওয়া যায় সেসব প্রশ্নে “কি” ব্যাবহার হয়। আর যেসব প্রশ্নের উত্তর শুধু হা/না দিয়ে দেওয়া যায় না, অর্থাৎ মুখ দিয়ে শব্দ বের করতে হয় বা অনেকটা বিবরন দিতে হয় বা বিশদ বর্ণনা থাকে সেসব প্রশ্নে “কী” ব্যাবহার হয়।
—
‘কী’ ও ‘কি’ -এর মধ্যে ব্যবহারিক এই পার্থক্য বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বইয়ে অনুসৃত হলেও অন্য কোনো বই কিংবা পত্রিকায় পুরোপুরি অনুসৃত হচ্ছে না।
আশা করি, আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
জাজাকাল্লাহ
(সংগ্রহিত)
‘কী’ ও ‘কি’ এই দুটি ী-কার এবং ি-কার যুক্ত (কী ও কি) বর্ণ এর ব্যবহারে রয়েছে বিরাট অর্থগত পার্থক্য, যা আমরা প্রায় সময়ই ভুল করি। হয়তো সেটা অজ্ঞতার কারণে বা বেখেয়ালে।
পার্থক্যটা হচ্ছে- ‘কী’ দ্বারা প্রশ্ন করলে তার উত্তর অবশ্যই ভাষার ব্যবহারে দিতে হবে- হয় মুখে, না হয় লিখে। কিন্তু ‘কি’ দ্বারা প্রশ্ন করলে তার উত্তর শুধু মাথা বা ঘাড় নেড়েই দেওয়া যায়। অর্থাৎ হ্যাঁ বা না-এর মাধ্যমে। যেমন- যদি প্রশ্ন করা হয়, তুমি কী খেয়েছ? তবে তার উত্তর হবে ভাত, মাছ, ডাল, দুধ ইত্যাদি। এখানে কী-এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ওই একই প্রশ্ন যদি কি দ্বারা করা হয় যেমন- তুমি কি খেয়েছ? তাহলে এর উত্তর হবে হ্যাঁ বা না। এখানে খেয়েছ-এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আবার তুমি কী জান? এরূপ প্রশ্নে ‘কী জান’ অর্থাৎ বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। আর ‘তুমি কি জান?’ অর্থাৎ তুমি জান কি না সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।
‘কি’ প্রশ্নবোধক, সংশয়সূচক এবং বিস্ময়বোধক অব্যয়। যেমন: তুমি কি খাবে, নাকি খেয়ে এসেছ? তুমি কি কথাটা তাকে বলেছ? । ‘কী’ প্রশ্নবোধক সর্বনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।যেমন: তুমি কী খাবে? ভাত, না রুটি? তুমি তাকে কী বলেছ যে সে এত রেগে আছে?
বোঝাতে পারলাম?? না !!
তুমি কি জানো সে আমার কত প্রিয়! (সংশয়সূচক)
তুমি কি জানো সে আমার কত প্রিয়? (প্রশ্নসূচক)
কোন এক কবি তার একটি বাক্যের মধ্যে ‘কি’ এবং ‘কী’ এর পার্থক্য খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেনঃ “ওদের মধ্যে কী নিয়ে আলাপ হলো, কি আলাপ একেবারেই হলো না, তা তো আমি জানি নে”…
—
সহজ কথায় বুঝাই, মানে যেভাবে আমি বুজছি। যেসব প্রশ্নের উত্তর হা/না দিয়ে অথবা মাথা নাড়িয়ে দেওয়া যায় সেসব প্রশ্নে “কি” ব্যাবহার হয়। আর যেসব প্রশ্নের উত্তর শুধু হা/না দিয়ে দেওয়া যায় না, অর্থাৎ মুখ দিয়ে শব্দ বের করতে হয় বা অনেকটা বিবরন দিতে হয় বা বিশদ বর্ণনা থাকে সেসব প্রশ্নে “কী” ব্যাবহার হয়।
—
‘কী’ ও ‘কি’ -এর মধ্যে ব্যবহারিক এই পার্থক্য বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বইয়ে অনুসৃত হলেও অন্য কোনো বই কিংবা পত্রিকায় পুরোপুরি অনুসৃত হচ্ছে না।
আশা করি, আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
জাজাকাল্লাহ
(সংগ্রহিত)
Comment