পোষ্ট মোবাইল নজরদারীঃ পদ্ধতি, কিভাবে বুঝবেন ও বাচার উপায় ( গুরুত্বপূর্ন )
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
والصلاة والسلام على نبي الرحمة
মোবাইল নজরদারী
মোবাইলে নজরদারী করার জন্য প্রত্যেকটা দেশেই ৪ ধরনের অফিস থাকে
১/ সীম কার্ড কোম্পানীর অধীনে পরিচালিত অফিস।
যেমনঃ গ্রামীন বা রবি। এবং প্রত্যেক দেশের নিজস্ব সমস্ত সীম কোম্পানীরই তা থাকে। তো সীম কোম্পানীর ভিতরে আবার দুই ধরনের অফিস থাকেঃ
ক/ স্বাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য মেশিনঃ এর মাধ্যমে কাস্টমার কেয়ার আপনার আসা-যাওয়া সমস্ত ফোন কল জানতে পারবে। এবং আপনার মোবাইলের ধরন জানতে পারবে। কিন্তু তাদের পক্ষে আপনার কথা শুনা সম্ভব নয়।
খ/ মূল মেশিনঃ যা কোম্পানীর পর্যবেক্ষন সদস্যদের অধীনে থাকেঃ তাদের পক্ষে আওয়াজের রেকর্ড শুনা সম্ভব, তবে মূল পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক অনুমতি লাগবে। এছাড়া সম্বব নয়। কারণ তা সংরক্ষনের পাসওয়ার্ড একমাত্র পরিচালকের কাছেই থাকে।
২/ পুলিশ ত্বাগুতদের অধিনস্ত অফিসঃ
এই অফিসের মাধ্যমে পুলিশের পক্ষে আপনার আসা-যাওয়া কলের নাম্বার, ব্যবহারকারীর নাম, এবং GPRS এর মাধ্যমে সুক্ষ ভাবে ব্যক্তির স্থান নির্ধারন করা সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু কথা শুনা বা অন্যান্য তথ্য নেয়া সভব নয়।
৩/ সরকারী মোবাইল পর্যবেক্ষন বিভাগঃ তাদের পক্ষে সম্পূর্নভাবে পর্যবেক্ষন ও নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
এই অফিসে সিগনাল গ্রহন ও প্রেরনের বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ঐ সমস্ত কাজ ব্যবস্থাপনা করে থাকে। যন্ত্রগুলো হলঃ
1- GPRS system
2- VICE system
3- IMSI-catcher
এই অফিসে সরকার বা গোয়েন্দা বাহিনির অধিনের পাচ ধরনের কর্মচারী থাকেঃ
১- সুক্ষভাবে অবস্থান নির্নয়কারী দল
২- কথা বা আওয়াজ রেকর্ডকারী দল
৩- পরোয়ানা জারীকৃত বা অপরাধী ব্যাক্তিদের পর্যবেক্ষনের দ্বায়িত্বশীল কর্মচারী
৪- সাহায্যকারী দলঃ যারা অন্যদের কাজে সাহায্য করে, বা ভিবিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে
৫- এই সমস্ত কর্মচারীদের পরিচালনাকারী
পর্যবেক্ষনের পদ্ধতি সমূহঃ
১- সীম কার্ড পর্যবেক্ষন
২- মোবাইল পর্যবেক্ষন
৩- নাম বা শব্দের মাধ্যমে পর্যবেক্ষন
সীম কার্ড পর্যবেক্ষনঃ
পুলিশের জন্য আপনার মোবাইল নাম্বার পাওয়াই যতেষ্ঠ। সে এটার মাধ্যমে স্থান সুক্ষভাবে নির্ধারণ করতে পারবে GPRS এর মাধ্যমে এবং আপনার সমস্ত কল নাম্বার ও আওয়াজ সুক্ষভাবে শুনতে পারবে । এবং যার সাথে কথা বলছেন তার পূর্ন ঠিকানা ও স্থান নির্ধারন করতে পারবে। এবং আপনার সমস্ত মেসেজ ও তথ্য জানতে পারবে। যদিও আপনি তা কেটে দেন। আপনার এবং অপর ব্যক্তির পূর্ন তথ্য তারা পেয়ে যাবে।
এবং আপনি সীম ক্রয়ের সময় রেজিশটেশন খাতার আপনার সমস্ত রেকর্ড তারা পেয়ে যাবে, যদি আপনি ভূল তথ্য দিয়ে থাকেন তো সরকারী বাহিনী পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে তা জানতে পারবে, এমন কি আরেকজনের সীম ব্যবহার করলেও জানতে পারবে।
মোবাইল পর্যবেক্ষনঃ
আপনি যে কোন ধরনের মোবাইলই ক্রয় করেন না কেন, আপনি মোবাইলের সাথে নির্দিষ্ট একটি সিরিয়াল নাম্বার পায়ে থাকেন, যাকে IMEI নাম্বার বলা হয়। গোয়েন্দারা তাদের মেশিনে আপনার সিরিয়াল নাম্বার প্রবেশের মাধ্যমে সিম কার্ডের মতই আপনারকে পূর্ন পর্যবেক্ষন করতে পারবে।
কোন ব্যক্তি থেকে যখন মোবাইল চুরি হয়ে যায় তখন সে পুলিশকে তার মোবাইলের সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে থাকে, যার ফলে তারা চোরের অবস্থান নির্নয় করতে পারে। এবং অনেক অনেক বড় চুরিতেও অপরাধীদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেমনঃ কেউ দশ মিলিয়ন ডলার চুরি করল, যাওয়ার আগে একটা মোবাইল দেখতে পায় ও তা চুরি করে। এবং পুলিশ এর মাধ্যমেই তাকে অনুসরন করে ও ধরে ফেলে। তাই মোবাইলের সিরিয়াল নাম্বার অনেক গুরুত্বপূর্ন।
কিন্তু পুলিশের অনুসরন করতে অনেক কষ্ট হয় যাখন কোন ব্যক্তি মোবাইল সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয়। ফলে তাকে নেটে খুজে পওয়া যায় না। তবে যদি না সে আবার মোবাইল চালু করে। এবং তারা যখন তার মোবাইল অনুসরণে সম্ভব না হয় তখন তার সীমকে অনুসরন করে।
এবং কোন মুবাইল যখন চুরি হয় এবং সিম কার্ড নষ্ট করে ফেলা হয় এবং মোবাইলটাকেও বন্ধ করে অন্য দেশে নিয়ে বিক্রয় করা হয়। তখন বাহিনির পক্ষে আর অনুসরন করা সম্ভব হয় না।
নাম বা শব্দের মাধ্যমে পর্যবেক্ষনঃ
পুলিশ তাদের মেশিনে আপনার নাম প্রবেশ করাবে। তখন সাথে সাথে আপনার বিস্তারিত বিবরণ তাদের সামনে ভেসে উঠবে। এবং আপনার অন্যান্য মোবাইলের নাম্বারও চলে আসবে। এবং আপনার কথোপকথন ও মেসেজ সহ মোবাইলের সমস্ত তথ্য ভেসে উঠবে।
এত লাখ লাখ মোবাইল তাদের পক্ষে কি ভাবে অনুসরণ সম্ভব হয় ???
অনেক অনেক মানুষ এই প্রশ্ন করে কিন্তু তার উত্তর তারা জানে না। উত্তর হচ্ছেঃ হ্যাঁ তাদের পক্ষে সম্ভব। ইহা কি ভাবে ?
গোয়েন্দা বাহিনী তাদের মেশিনে কিছু শব্দকে নির্দষ্ট ভাবে সংরক্ষণ করে থাকে। যেমনঃ চুরি, সন্ত্রাসী, বিস্ফোরণ, আক্রমন, হত্যা, অস্ত্র, মদ-গাজা, বোমা, রক্ত সহ এই ধরনের হাজার হাজার শব্দ।
পূরা দেশের যে কোন ব্যাক্তি এই শব্দগুলো অন্য কোন ব্যাক্তির সাথে উচ্চারণ করবে, চাই তা ইচ্ছা করেই হোক বা মজা করে। সাথে সাথেই গোয়েন্দার লোকদের কাছে বাতি বা লাল আলো জ্বলে উঠে ও সাইরেন বেজে উঠে সতর্ক করে যে, এই ব্যাক্তি কোন একটা শব্দ উচ্চারণ করেছে। এবং অটোমেটিক তার স্থান, নাম্বার ও কথা স্ক্রীনে ভেসে উঠে। তখন সেখানে লোকেরা তার পূর্ন কথাটা শুনে এবং নিশ্চিত হয় যে সে ইচ্ছা করেই বলেছে নাকি মজা করে। যদি ইচ্ছাকৃত বলে থাকে তো নিকটবর্তী থানাতে তার গ্রেফতারের আদেশ পাঠানো হয়।
এবং সমস্ত কথোপকথন অটোমেটিক জমা হতে থাকে। এবং গোয়েন্দদের পক্ষে ২০ বছর পরেও তা শুনা সম্ভব। কারণ এটা একটা ভান্ডার। এখন আপনি যদি নতুন কোন মোবাইল নেন তাও তারা বুঝবে। শুধু আপনার আগের কন্ঠের রেকর্ডের সাথে মিলিয়েই। এমনকি আপনার পরিবার বা বন্ধুদের ঠিকানাও তারা বের করতে পারবে।
কি ভাবে বুঝবেন আপনার মোবাইলকে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে ???
১/ আওয়াজের মাধ্যমে
১- কথা বলার মাঝে বাতাসের আওয়াজ শুনবেন, কারণ আড়ি পাতা ব্যক্তি তার কানে হেডফোন লাগিয়েছে।
২- কিচির-মিচির আওয়াজ শুনবেন, কারণ পর্যবেক্ষনকারী ব্যাক্তি স্পিকার চালু করেছে।
৩- যার সাথে কথা বলছেন, মনে হবে তার কথা অনেক দূর থেকে ভেসে আসছে
৪- কথা বলার সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসবে, বাড়ি খাবে, ডাবল শুনা যাবে বা নিজের কথাই আবার নিজে শুনতে পাবেন।
৫- অনেক সময় তৃতীয় ব্যক্তির কথা শুনতে পাবেন।
২/ মোবাইলের ডাটা বা তথ্য এর ক্ষেত্রে
১- মোবাইলের গতি স্লো হয়ে যাবে, কেননা তখন বিপরীত ব্যাক্তি আপনার ফাইলগুলো দেখছে, যা আপনার মোবাইল ও নেটের উপর প্রভাব সৃষ্টি করছে।
২- কোন ফাইল খুলতে চাইলে তা দ্রুত খুলবে না।
পর্যবেক্ষনের সমস্যা সমাধানের পথঃ
১- টেলিফোন বন্ধ করুন
২- ব্যটারী খুলুন
৩- সীম কার্ড খুলুন
৪- সীম কার্ড অন্য মোবাইলে লাগান
৫- মোবাইল খুলুন এবং কোন সময় ব্যয় করা ছাড়াই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সাথে কথা বলুন
এই পদ্ধতিতে যে ব্যক্তি আপনাকে পর্যবেক্ষন করছে তার কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। কারণ নতুন মোবাইলের তথ্য তার কাছে যেতে সময় লাগবে। কিন্তু আপনার মোবাইলে তো মুহুর্তের মধ্যেই চলে এসেছে।
সরকারী বাহিনির লোক আপনাকে তখনই পর্যবেক্ষন করবে যখন সেই শব্দগুলোর কোন একটি উচ্চারণ করবেন। তখন সে আপনার কথা শুনবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখন যদি আপনার কথায় তেমন কোন শব্দ না পায় তাহলে আপনাকে ছেড়ে দিবে। অনেক সময় আপনি যার সাথে কথা বলছেন তাকে তারা অনুসরণ করে যখন সে অপরাধী বা পরোয়ানা জারিকৃত ব্যক্তি হয়।
4- সরকারের অধীনস্থ কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে পর্যবেক্ষন, যাকে নিকটবর্তী পর্যবেক্ষন পদ্ধতিও বলা হয়।
সরকারী বাহিনী কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ এক ধরনের মোবাইল দিয়ে থাকে, যাকে ডিজিটাল মোবাইল বলা হয়। তারা তাদের এই মোবাইলের মাধ্যমে ২০ মিটারের ভিতরে যেকোন ব্যক্তির কথাবার্তা, মেসেজ সহ যাবতীয় কিছু দেখতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তিরা বাজার, শপিংমল বা জনসমাগমের স্থানে বেশি থাকে। যাতে সন্দেহজনক ব্যক্তি কাছে আসার সাথে সাথেই তার সব কিছু দেখে ফেলতে পারে, তাকে সন্দেহে ফেলা ছাড়াই।
কি ভাবে বুঝবেন আপনার নিকিটের লোক আপনার কথা শুনছে ???
আপনি বিভিন্ন ধরনের ছোট আওয়াজ শুনতে পাবেন, আর এটা প্রমান করে যে সে আপনাকে পর্যবেক্ষন করছে।
সমাধানঃ আপনি মোবাইলটাকে বন্ধ করে আবার খুলুন। ফলে সে তার মোবাইলের আগের সিগনাল হারিয়ে ফেলবে।
আপনাদের দোয়া ভুলবেন না, ইংশাআল্লাহ।
( সামনে ইংশাআল্লাহ, বিভিন্ন স্থানের গোপন ক্যমেরা, সিসি ক্যমেরা বা গোপন কথা রেকর্ডের যন্ত্র বুঝা ও তা থেকে পরিত্রাণের পদ্ধতি নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করা হবে)
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
والصلاة والسلام على نبي الرحمة
মোবাইল নজরদারী
মোবাইলে নজরদারী করার জন্য প্রত্যেকটা দেশেই ৪ ধরনের অফিস থাকে
১/ সীম কার্ড কোম্পানীর অধীনে পরিচালিত অফিস।
যেমনঃ গ্রামীন বা রবি। এবং প্রত্যেক দেশের নিজস্ব সমস্ত সীম কোম্পানীরই তা থাকে। তো সীম কোম্পানীর ভিতরে আবার দুই ধরনের অফিস থাকেঃ
ক/ স্বাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য মেশিনঃ এর মাধ্যমে কাস্টমার কেয়ার আপনার আসা-যাওয়া সমস্ত ফোন কল জানতে পারবে। এবং আপনার মোবাইলের ধরন জানতে পারবে। কিন্তু তাদের পক্ষে আপনার কথা শুনা সম্ভব নয়।
খ/ মূল মেশিনঃ যা কোম্পানীর পর্যবেক্ষন সদস্যদের অধীনে থাকেঃ তাদের পক্ষে আওয়াজের রেকর্ড শুনা সম্ভব, তবে মূল পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক অনুমতি লাগবে। এছাড়া সম্বব নয়। কারণ তা সংরক্ষনের পাসওয়ার্ড একমাত্র পরিচালকের কাছেই থাকে।
২/ পুলিশ ত্বাগুতদের অধিনস্ত অফিসঃ
এই অফিসের মাধ্যমে পুলিশের পক্ষে আপনার আসা-যাওয়া কলের নাম্বার, ব্যবহারকারীর নাম, এবং GPRS এর মাধ্যমে সুক্ষ ভাবে ব্যক্তির স্থান নির্ধারন করা সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু কথা শুনা বা অন্যান্য তথ্য নেয়া সভব নয়।
৩/ সরকারী মোবাইল পর্যবেক্ষন বিভাগঃ তাদের পক্ষে সম্পূর্নভাবে পর্যবেক্ষন ও নিয়ন্ত্রন সম্ভব।
এই অফিসে সিগনাল গ্রহন ও প্রেরনের বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ঐ সমস্ত কাজ ব্যবস্থাপনা করে থাকে। যন্ত্রগুলো হলঃ
1- GPRS system
2- VICE system
3- IMSI-catcher
এই অফিসে সরকার বা গোয়েন্দা বাহিনির অধিনের পাচ ধরনের কর্মচারী থাকেঃ
১- সুক্ষভাবে অবস্থান নির্নয়কারী দল
২- কথা বা আওয়াজ রেকর্ডকারী দল
৩- পরোয়ানা জারীকৃত বা অপরাধী ব্যাক্তিদের পর্যবেক্ষনের দ্বায়িত্বশীল কর্মচারী
৪- সাহায্যকারী দলঃ যারা অন্যদের কাজে সাহায্য করে, বা ভিবিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে
৫- এই সমস্ত কর্মচারীদের পরিচালনাকারী
পর্যবেক্ষনের পদ্ধতি সমূহঃ
১- সীম কার্ড পর্যবেক্ষন
২- মোবাইল পর্যবেক্ষন
৩- নাম বা শব্দের মাধ্যমে পর্যবেক্ষন
সীম কার্ড পর্যবেক্ষনঃ
পুলিশের জন্য আপনার মোবাইল নাম্বার পাওয়াই যতেষ্ঠ। সে এটার মাধ্যমে স্থান সুক্ষভাবে নির্ধারণ করতে পারবে GPRS এর মাধ্যমে এবং আপনার সমস্ত কল নাম্বার ও আওয়াজ সুক্ষভাবে শুনতে পারবে । এবং যার সাথে কথা বলছেন তার পূর্ন ঠিকানা ও স্থান নির্ধারন করতে পারবে। এবং আপনার সমস্ত মেসেজ ও তথ্য জানতে পারবে। যদিও আপনি তা কেটে দেন। আপনার এবং অপর ব্যক্তির পূর্ন তথ্য তারা পেয়ে যাবে।
এবং আপনি সীম ক্রয়ের সময় রেজিশটেশন খাতার আপনার সমস্ত রেকর্ড তারা পেয়ে যাবে, যদি আপনি ভূল তথ্য দিয়ে থাকেন তো সরকারী বাহিনী পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে তা জানতে পারবে, এমন কি আরেকজনের সীম ব্যবহার করলেও জানতে পারবে।
মোবাইল পর্যবেক্ষনঃ
আপনি যে কোন ধরনের মোবাইলই ক্রয় করেন না কেন, আপনি মোবাইলের সাথে নির্দিষ্ট একটি সিরিয়াল নাম্বার পায়ে থাকেন, যাকে IMEI নাম্বার বলা হয়। গোয়েন্দারা তাদের মেশিনে আপনার সিরিয়াল নাম্বার প্রবেশের মাধ্যমে সিম কার্ডের মতই আপনারকে পূর্ন পর্যবেক্ষন করতে পারবে।
কোন ব্যক্তি থেকে যখন মোবাইল চুরি হয়ে যায় তখন সে পুলিশকে তার মোবাইলের সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে থাকে, যার ফলে তারা চোরের অবস্থান নির্নয় করতে পারে। এবং অনেক অনেক বড় চুরিতেও অপরাধীদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেমনঃ কেউ দশ মিলিয়ন ডলার চুরি করল, যাওয়ার আগে একটা মোবাইল দেখতে পায় ও তা চুরি করে। এবং পুলিশ এর মাধ্যমেই তাকে অনুসরন করে ও ধরে ফেলে। তাই মোবাইলের সিরিয়াল নাম্বার অনেক গুরুত্বপূর্ন।
কিন্তু পুলিশের অনুসরন করতে অনেক কষ্ট হয় যাখন কোন ব্যক্তি মোবাইল সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয়। ফলে তাকে নেটে খুজে পওয়া যায় না। তবে যদি না সে আবার মোবাইল চালু করে। এবং তারা যখন তার মোবাইল অনুসরণে সম্ভব না হয় তখন তার সীমকে অনুসরন করে।
এবং কোন মুবাইল যখন চুরি হয় এবং সিম কার্ড নষ্ট করে ফেলা হয় এবং মোবাইলটাকেও বন্ধ করে অন্য দেশে নিয়ে বিক্রয় করা হয়। তখন বাহিনির পক্ষে আর অনুসরন করা সম্ভব হয় না।
নাম বা শব্দের মাধ্যমে পর্যবেক্ষনঃ
পুলিশ তাদের মেশিনে আপনার নাম প্রবেশ করাবে। তখন সাথে সাথে আপনার বিস্তারিত বিবরণ তাদের সামনে ভেসে উঠবে। এবং আপনার অন্যান্য মোবাইলের নাম্বারও চলে আসবে। এবং আপনার কথোপকথন ও মেসেজ সহ মোবাইলের সমস্ত তথ্য ভেসে উঠবে।
এত লাখ লাখ মোবাইল তাদের পক্ষে কি ভাবে অনুসরণ সম্ভব হয় ???
অনেক অনেক মানুষ এই প্রশ্ন করে কিন্তু তার উত্তর তারা জানে না। উত্তর হচ্ছেঃ হ্যাঁ তাদের পক্ষে সম্ভব। ইহা কি ভাবে ?
গোয়েন্দা বাহিনী তাদের মেশিনে কিছু শব্দকে নির্দষ্ট ভাবে সংরক্ষণ করে থাকে। যেমনঃ চুরি, সন্ত্রাসী, বিস্ফোরণ, আক্রমন, হত্যা, অস্ত্র, মদ-গাজা, বোমা, রক্ত সহ এই ধরনের হাজার হাজার শব্দ।
পূরা দেশের যে কোন ব্যাক্তি এই শব্দগুলো অন্য কোন ব্যাক্তির সাথে উচ্চারণ করবে, চাই তা ইচ্ছা করেই হোক বা মজা করে। সাথে সাথেই গোয়েন্দার লোকদের কাছে বাতি বা লাল আলো জ্বলে উঠে ও সাইরেন বেজে উঠে সতর্ক করে যে, এই ব্যাক্তি কোন একটা শব্দ উচ্চারণ করেছে। এবং অটোমেটিক তার স্থান, নাম্বার ও কথা স্ক্রীনে ভেসে উঠে। তখন সেখানে লোকেরা তার পূর্ন কথাটা শুনে এবং নিশ্চিত হয় যে সে ইচ্ছা করেই বলেছে নাকি মজা করে। যদি ইচ্ছাকৃত বলে থাকে তো নিকটবর্তী থানাতে তার গ্রেফতারের আদেশ পাঠানো হয়।
এবং সমস্ত কথোপকথন অটোমেটিক জমা হতে থাকে। এবং গোয়েন্দদের পক্ষে ২০ বছর পরেও তা শুনা সম্ভব। কারণ এটা একটা ভান্ডার। এখন আপনি যদি নতুন কোন মোবাইল নেন তাও তারা বুঝবে। শুধু আপনার আগের কন্ঠের রেকর্ডের সাথে মিলিয়েই। এমনকি আপনার পরিবার বা বন্ধুদের ঠিকানাও তারা বের করতে পারবে।
কি ভাবে বুঝবেন আপনার মোবাইলকে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে ???
১/ আওয়াজের মাধ্যমে
১- কথা বলার মাঝে বাতাসের আওয়াজ শুনবেন, কারণ আড়ি পাতা ব্যক্তি তার কানে হেডফোন লাগিয়েছে।
২- কিচির-মিচির আওয়াজ শুনবেন, কারণ পর্যবেক্ষনকারী ব্যাক্তি স্পিকার চালু করেছে।
৩- যার সাথে কথা বলছেন, মনে হবে তার কথা অনেক দূর থেকে ভেসে আসছে
৪- কথা বলার সময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসবে, বাড়ি খাবে, ডাবল শুনা যাবে বা নিজের কথাই আবার নিজে শুনতে পাবেন।
৫- অনেক সময় তৃতীয় ব্যক্তির কথা শুনতে পাবেন।
২/ মোবাইলের ডাটা বা তথ্য এর ক্ষেত্রে
১- মোবাইলের গতি স্লো হয়ে যাবে, কেননা তখন বিপরীত ব্যাক্তি আপনার ফাইলগুলো দেখছে, যা আপনার মোবাইল ও নেটের উপর প্রভাব সৃষ্টি করছে।
২- কোন ফাইল খুলতে চাইলে তা দ্রুত খুলবে না।
পর্যবেক্ষনের সমস্যা সমাধানের পথঃ
১- টেলিফোন বন্ধ করুন
২- ব্যটারী খুলুন
৩- সীম কার্ড খুলুন
৪- সীম কার্ড অন্য মোবাইলে লাগান
৫- মোবাইল খুলুন এবং কোন সময় ব্যয় করা ছাড়াই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সাথে কথা বলুন
এই পদ্ধতিতে যে ব্যক্তি আপনাকে পর্যবেক্ষন করছে তার কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। কারণ নতুন মোবাইলের তথ্য তার কাছে যেতে সময় লাগবে। কিন্তু আপনার মোবাইলে তো মুহুর্তের মধ্যেই চলে এসেছে।
সরকারী বাহিনির লোক আপনাকে তখনই পর্যবেক্ষন করবে যখন সেই শব্দগুলোর কোন একটি উচ্চারণ করবেন। তখন সে আপনার কথা শুনবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখন যদি আপনার কথায় তেমন কোন শব্দ না পায় তাহলে আপনাকে ছেড়ে দিবে। অনেক সময় আপনি যার সাথে কথা বলছেন তাকে তারা অনুসরণ করে যখন সে অপরাধী বা পরোয়ানা জারিকৃত ব্যক্তি হয়।
4- সরকারের অধীনস্থ কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে পর্যবেক্ষন, যাকে নিকটবর্তী পর্যবেক্ষন পদ্ধতিও বলা হয়।
সরকারী বাহিনী কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ এক ধরনের মোবাইল দিয়ে থাকে, যাকে ডিজিটাল মোবাইল বলা হয়। তারা তাদের এই মোবাইলের মাধ্যমে ২০ মিটারের ভিতরে যেকোন ব্যক্তির কথাবার্তা, মেসেজ সহ যাবতীয় কিছু দেখতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তিরা বাজার, শপিংমল বা জনসমাগমের স্থানে বেশি থাকে। যাতে সন্দেহজনক ব্যক্তি কাছে আসার সাথে সাথেই তার সব কিছু দেখে ফেলতে পারে, তাকে সন্দেহে ফেলা ছাড়াই।
কি ভাবে বুঝবেন আপনার নিকিটের লোক আপনার কথা শুনছে ???
আপনি বিভিন্ন ধরনের ছোট আওয়াজ শুনতে পাবেন, আর এটা প্রমান করে যে সে আপনাকে পর্যবেক্ষন করছে।
সমাধানঃ আপনি মোবাইলটাকে বন্ধ করে আবার খুলুন। ফলে সে তার মোবাইলের আগের সিগনাল হারিয়ে ফেলবে।
আপনাদের দোয়া ভুলবেন না, ইংশাআল্লাহ।
( সামনে ইংশাআল্লাহ, বিভিন্ন স্থানের গোপন ক্যমেরা, সিসি ক্যমেরা বা গোপন কথা রেকর্ডের যন্ত্র বুঝা ও তা থেকে পরিত্রাণের পদ্ধতি নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করা হবে)
Comment