সাবধান !!! পুলিশ আড়িপেতে আপনার কথা শুনছে - মোবাইল ট্র্যাকিং
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা ,দয়া করে ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং share করুন |আমাদেরকে চতুর্পাশ থেকে আকড়ে ধরছে দাজ্জালের ডিজিটাল বাংলাদেশ
আপনি যদি আওয়ামীবিরোধী হন তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই দয়া করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আর জানুন আপনি মোবাইল ফোনে অথবা ল্যান্ড লাইনএ যে কথা বলছেন তা কিভাবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো শুনছে আর কিভাবে আপনার মোবাইলফোনের ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আপনাকে পুলিশ ধরতে পারে!
9/11 এর পর থেকে পৃথিবীর গোয়েন্দাসংস্থাগুলো “ভয়েসরিকগনিশন সফটওয়্যার” ব্যবহার করে সমস্ত ফোনালাপ মনিটর করছে, anti-terrorism act এ যেহেতু বাংলাদেশের সাথে USA ও ভারতের চুক্তি আছে, সেই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে| মোবাইল অথবা ল্যান্ডফোনের সকল কথা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটর করা হয় | ফোনে কথা বলার সময় কেউ যদি এমন শব্দ উচ্চারণ করে যা ওই সফটওয়্যার এর ডিকশনারিতে আছে, তবে সেটি সাথে সাথে নিযুক্ত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সতর্ক করে দেয়; ফোনালাপরত ব্যক্তিদের কথোপকথন , অবস্থান , ফোন নম্বর , কার নামে ওই ফোন নম্বর রেজিস্টার্ড , তার NID (যদি থাকে ) সকল তথ্যই পুলিশের কাছে চলে যায় !
ধরুন আপনি কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বললেন অথবা বললেন“শিবির” , “সাথী” “জিহাদ” , “শহীদ” অথবা অতি আবেগ ব্যবহার করলেন তখনই সফটওয়্যারটি এলার্ম ট্রিগার করে| শব্দের সাংকেতিক ব্যবহার সনাক্ত করার জন্যে কোনো বিশেষ শব্দের অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহারও এই সফটওয়্যারটি পর্যালোচনা করতে সক্ষম| বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল সিম একটিভ করতে আপনার ID প্রয়োজন হয় যার মাধ্যমে আপনার পরিচয়, বেবহৃত ফোন নম্বর ইত্যাদি সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অবহিত হয়ে যায় | আপনি অথবা আপনার পরিবারের কেউ যদি কোনো বিশেষ দলের সাথে সম্পর্ক রাখেন তখন সবার প্রথমে গোয়ন্দা সংস্থাগুলো যেটা করছে তা হলো আপনার এবং আপনার পরিবারের সবার ব্যবহৃত মোবাইল ও টেলিফোন নম্বরগুলো ট্র্যাক করার জন্যে বিশেষ তালিকাভুক্ত করে সমস্ত কথোপকথন রেকর্ড করছে| আপনার বাসার ড্রাইভার অথবা বাসার কাজের লোকের মোবাইল নম্বরটি পর্যন্ত বাদ যাচ্ছেনা , কারণ বাসার কাজের লোক অনেক বেশি তথ্য জানে যা নিয়ে তারা ফোনে আলাপ করে| এখন জানতে পারলেন যে কিভাবে আপনার ফোন নম্বর ও কথোপকথন গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর কাছে রেকর্ড করা থাকে| এখন জানা যাক কিভাবে আপনার অবস্থান খুঁজে বের করা যায় আপনার মোবাইল ফোনের সাহায্যে|
বর্তমানে বাজারে যে সকল মোবাইল ফোন পাওয়া যায়তার ৯০% ভাগেই জিপিএস আছে | এই হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করে রাখলেও জিপিএস এর মাধমে আপনার অবস্থান জানা সম্ভব| আপনারা যারা Intel vprochip সম্পর্কে জানেন না , তাদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, vPro চিপসেট যে কম্পিউটার এর আছে সে সব কম্পিউটার গুলোকে দূর থেকে রেডিওলিংক এর মাধ্যমে সচল করা যায় এবং কম্পিউটার এর তথ্য এক্সেস করা যায়|এই কাজের জন্যে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগেরও প্রয়োজন নেই , এটিই vPro chip এর বিশেষত্ব| স্মার্টফোন গুলোতে ২০০৯ সালেই এই প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ পায়! আপনার ফোন বন্ধ রাখলেও যে আপনার ফোনের জিপিএস ব্যবহারকরে আপনার অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব তা প্রমান করতেই তথ্যটি দিলাম | এই কাজটি করতে ভয়ঙ্কর যে যন্ত্রটি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন ব্যবহার করছে সেটির নাম হচ্ছে “Sting Ray” যা Triggerfish, IMSICatcher, Cell-site Simulator অথবা DigitalAnalyzer নামেও পরিচিত| এই “Sting Ray” যন্ত্রটি ব্যবহার করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান , ফোনালাপ আর ইন্টারনেট এর ব্যবহার সবই জানতে পারছে|
মোবাইল এর অবস্থান আর আড়ি পাতার যন্ত্র Sting Rayমোবাইল এর অবস্থান আর আড়ি পাতার যন্ত্র Sting Ray
পুরাতন মডেলের যে ফোন গুলি এখনো আমরা ব্যবহার করছি তাতে জিপিএস নেই , কিন্তু সেই ফোন গুলো অন্যান্য সেল ফোনের মতই অনবরত কাছের “সেল টাওয়ারগুলোতে”সংকেত পাঠায় যাকে “পিং” বলে| মোবাইল ফোনের “ping triangulation” এর মাধ্যমে আপনার অবস্থান, আপনার পরিচয় (ফোন নম্বর এর সাথে সম্পর্কযুক্ত ) সুনির্দিষ্ট ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব|
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং টেলকোগুলো সরকারী নীতিমালার কাছে দায়বদ্ধ, তাই সরকারের কাছে যেকোনো তথ্য প্রকাশ করতে তারা বাধ্য| আপনি কি কথা বলছেন (মোবাইল, ল্যান্ডলাইন , skype, whatsapp,viber) ইত্যাদি তা রেকর্ড করে রাখতেও telco গুলো চুক্তিবদ্ধ|যেহেতু বাংলাদেশে ‘Privacy Act’ বলে কোনো কিছু নাই তাই আপনার ব্যক্তিগত কোনো কিছুই নিরাপত্তা এই কোম্পানিগুলো আপনাকে দেবে না | Information and Communication Technology(ICT) Act-2006 as the Section 57 আইনটি সম্পর্কে যারা মাথা জানেন না এবং ধুমিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে লিখে যাচ্ছেন তাদ
েরকে সতর্ক হবার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে | ICT আইনটির দ্বারা আপনাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য গ্রেফতার করে রাখতে পারবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো| আপনার মোবাইলফোন,স্মার্টফোন , ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ আপনার জন্যে কাল হতে পারে|
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যে কি করণীয় :
রাজনৈতিক গ্রেফতার গুম হয়রানি এড়াতে মোবাইল ফোন আর টেলিফোনের ব্যবহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসুন| মনে রাখবেন ৮০%গোয়েন্দাতথ্য “কল রেকর্ড” মনিটরিং করেই পুলিশ পাচ্ছে | তাই ফোন ব্যবহার যত কম করবেন পুলিশ তত কম তথ্য পাবে |
ইন্টারনেট ব্যবহারে VPN ব্যবহার করুন|VPN ব্যবহার করলে আপনি কি তথ্য আদান প্রদান করছেন তা সরকারের পক্ষে জানা বেশ কঠিন| “tails” নামক একটি অপারেটিং সিস্টেম আছে যা আপনাকে ইন্টারনেট এ আপনার পরিচিতিকে আড়াল করে ফেলে, আর কম্পিউটারে কোনো তথ্য জমা থাকে না , তাই আপনার বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা কোনো প্রমান ব্যবহার করতে পারবে না ইন-শা-আল্লাহ|লিঙ্কটি দিয়ে দিলাম , https://tails.boum.org/doc/first_ste.../index.en.html এটি ফ্রি আর ইনস্টল করা এবং ব্যবহার করা অতি সহজ , tails এর ব্যবহার শিখুন| তথ্য প্রযুক্তিকে শুধু মাত্র পেশাগত ব্যবহারেই আপাতত সীমাবদ্ধ রাখুন |
মোবাইল ফোনের বদলে যেখানে সম্ভব tails ব্যবহার করে অথবা অন্য কোনো VPN এর মাধ্যমে ইন্টারনেট একে অপরকে মেসেজ পাঠান| অনেক ফ্রিVPN পাবেন ইন্টারনেট এ সার্চ দিলেই| অনেক ইমেইল প্রভাইডার আছে যেখানে একাউন্ট খুলতে কোনো ফোন নম্বর দেয়ার প্রয়োজন হয় না , সেসব সাইট এর ইমেইল একাউন্ট খুলুন | মনে রাখবেন এখন আপনাকে খুঁজে বার করতে আপনার ফোন নম্বর আর NID (জাতীয় পরিচয় পত্র )ব্যবহার করা হচ্ছে |
যদি রাজনৈতিক কারনে আপনার অবস্থান গোপন করতে চান তাহলে কোনো অবস্থাতেই “জাতীয় পরিচয়পত্র নেবেন না , কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করার একটি উদ্দেস্য হচ্ছে আপনার অবস্থান সনাক্ত করা , আপনাকে না পেলেও আপনার পরিবার পরিজনকে সনাক্ত করে তাদের উপর অত্যাচার করে আপনার অবস্থান জানা অথবা আপনাকে মানসিক ভাবে বিপন্ন করা যাবে এই ভেবেই জাতীয় পরিচয় পত্রে করা হয়েছে যাতে আপনার আঙ্গুলের ছাপ ও ছবির সাথে আপনার কাছের মানুষের ঠিকানা থাকে অথবা এমন একজনের পরিচয় আপনাকে দিতে হয় যার মাধ্যমে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে | যাদের "জাতীয় পরিচয়পত্র" আছে তাদেরকে খুঁজে বার করা পুলিশের জন্যে অনেক বেশি সহ্জ|
সাইন্স ফিকশনের মত মনে হলেও এটিই বাস্তব, আমাদেরকে চতুর্পাশ থেকে আকড়ে ধরেছে দাজ্জালের ডিজিটাল বাংলাদেশ|
আল্লাহ তা'আলা সব ভাইদের হেফাজত করুন। আমীন
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা ,দয়া করে ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং share করুন |আমাদেরকে চতুর্পাশ থেকে আকড়ে ধরছে দাজ্জালের ডিজিটাল বাংলাদেশ
আপনি যদি আওয়ামীবিরোধী হন তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই দয়া করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আর জানুন আপনি মোবাইল ফোনে অথবা ল্যান্ড লাইনএ যে কথা বলছেন তা কিভাবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো শুনছে আর কিভাবে আপনার মোবাইলফোনের ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আপনাকে পুলিশ ধরতে পারে!
9/11 এর পর থেকে পৃথিবীর গোয়েন্দাসংস্থাগুলো “ভয়েসরিকগনিশন সফটওয়্যার” ব্যবহার করে সমস্ত ফোনালাপ মনিটর করছে, anti-terrorism act এ যেহেতু বাংলাদেশের সাথে USA ও ভারতের চুক্তি আছে, সেই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে| মোবাইল অথবা ল্যান্ডফোনের সকল কথা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটর করা হয় | ফোনে কথা বলার সময় কেউ যদি এমন শব্দ উচ্চারণ করে যা ওই সফটওয়্যার এর ডিকশনারিতে আছে, তবে সেটি সাথে সাথে নিযুক্ত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সতর্ক করে দেয়; ফোনালাপরত ব্যক্তিদের কথোপকথন , অবস্থান , ফোন নম্বর , কার নামে ওই ফোন নম্বর রেজিস্টার্ড , তার NID (যদি থাকে ) সকল তথ্যই পুলিশের কাছে চলে যায় !
ধরুন আপনি কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম বললেন অথবা বললেন“শিবির” , “সাথী” “জিহাদ” , “শহীদ” অথবা অতি আবেগ ব্যবহার করলেন তখনই সফটওয়্যারটি এলার্ম ট্রিগার করে| শব্দের সাংকেতিক ব্যবহার সনাক্ত করার জন্যে কোনো বিশেষ শব্দের অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহারও এই সফটওয়্যারটি পর্যালোচনা করতে সক্ষম| বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল সিম একটিভ করতে আপনার ID প্রয়োজন হয় যার মাধ্যমে আপনার পরিচয়, বেবহৃত ফোন নম্বর ইত্যাদি সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অবহিত হয়ে যায় | আপনি অথবা আপনার পরিবারের কেউ যদি কোনো বিশেষ দলের সাথে সম্পর্ক রাখেন তখন সবার প্রথমে গোয়ন্দা সংস্থাগুলো যেটা করছে তা হলো আপনার এবং আপনার পরিবারের সবার ব্যবহৃত মোবাইল ও টেলিফোন নম্বরগুলো ট্র্যাক করার জন্যে বিশেষ তালিকাভুক্ত করে সমস্ত কথোপকথন রেকর্ড করছে| আপনার বাসার ড্রাইভার অথবা বাসার কাজের লোকের মোবাইল নম্বরটি পর্যন্ত বাদ যাচ্ছেনা , কারণ বাসার কাজের লোক অনেক বেশি তথ্য জানে যা নিয়ে তারা ফোনে আলাপ করে| এখন জানতে পারলেন যে কিভাবে আপনার ফোন নম্বর ও কথোপকথন গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর কাছে রেকর্ড করা থাকে| এখন জানা যাক কিভাবে আপনার অবস্থান খুঁজে বের করা যায় আপনার মোবাইল ফোনের সাহায্যে|
বর্তমানে বাজারে যে সকল মোবাইল ফোন পাওয়া যায়তার ৯০% ভাগেই জিপিএস আছে | এই হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করে রাখলেও জিপিএস এর মাধমে আপনার অবস্থান জানা সম্ভব| আপনারা যারা Intel vprochip সম্পর্কে জানেন না , তাদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, vPro চিপসেট যে কম্পিউটার এর আছে সে সব কম্পিউটার গুলোকে দূর থেকে রেডিওলিংক এর মাধ্যমে সচল করা যায় এবং কম্পিউটার এর তথ্য এক্সেস করা যায়|এই কাজের জন্যে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগেরও প্রয়োজন নেই , এটিই vPro chip এর বিশেষত্ব| স্মার্টফোন গুলোতে ২০০৯ সালেই এই প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ পায়! আপনার ফোন বন্ধ রাখলেও যে আপনার ফোনের জিপিএস ব্যবহারকরে আপনার অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব তা প্রমান করতেই তথ্যটি দিলাম | এই কাজটি করতে ভয়ঙ্কর যে যন্ত্রটি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন ব্যবহার করছে সেটির নাম হচ্ছে “Sting Ray” যা Triggerfish, IMSICatcher, Cell-site Simulator অথবা DigitalAnalyzer নামেও পরিচিত| এই “Sting Ray” যন্ত্রটি ব্যবহার করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান , ফোনালাপ আর ইন্টারনেট এর ব্যবহার সবই জানতে পারছে|
মোবাইল এর অবস্থান আর আড়ি পাতার যন্ত্র Sting Rayমোবাইল এর অবস্থান আর আড়ি পাতার যন্ত্র Sting Ray
পুরাতন মডেলের যে ফোন গুলি এখনো আমরা ব্যবহার করছি তাতে জিপিএস নেই , কিন্তু সেই ফোন গুলো অন্যান্য সেল ফোনের মতই অনবরত কাছের “সেল টাওয়ারগুলোতে”সংকেত পাঠায় যাকে “পিং” বলে| মোবাইল ফোনের “ping triangulation” এর মাধ্যমে আপনার অবস্থান, আপনার পরিচয় (ফোন নম্বর এর সাথে সম্পর্কযুক্ত ) সুনির্দিষ্ট ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব|
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং টেলকোগুলো সরকারী নীতিমালার কাছে দায়বদ্ধ, তাই সরকারের কাছে যেকোনো তথ্য প্রকাশ করতে তারা বাধ্য| আপনি কি কথা বলছেন (মোবাইল, ল্যান্ডলাইন , skype, whatsapp,viber) ইত্যাদি তা রেকর্ড করে রাখতেও telco গুলো চুক্তিবদ্ধ|যেহেতু বাংলাদেশে ‘Privacy Act’ বলে কোনো কিছু নাই তাই আপনার ব্যক্তিগত কোনো কিছুই নিরাপত্তা এই কোম্পানিগুলো আপনাকে দেবে না | Information and Communication Technology(ICT) Act-2006 as the Section 57 আইনটি সম্পর্কে যারা মাথা জানেন না এবং ধুমিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে লিখে যাচ্ছেন তাদ
েরকে সতর্ক হবার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে | ICT আইনটির দ্বারা আপনাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য গ্রেফতার করে রাখতে পারবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো| আপনার মোবাইলফোন,স্মার্টফোন , ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ আপনার জন্যে কাল হতে পারে|
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যে কি করণীয় :
রাজনৈতিক গ্রেফতার গুম হয়রানি এড়াতে মোবাইল ফোন আর টেলিফোনের ব্যবহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসুন| মনে রাখবেন ৮০%গোয়েন্দাতথ্য “কল রেকর্ড” মনিটরিং করেই পুলিশ পাচ্ছে | তাই ফোন ব্যবহার যত কম করবেন পুলিশ তত কম তথ্য পাবে |
ইন্টারনেট ব্যবহারে VPN ব্যবহার করুন|VPN ব্যবহার করলে আপনি কি তথ্য আদান প্রদান করছেন তা সরকারের পক্ষে জানা বেশ কঠিন| “tails” নামক একটি অপারেটিং সিস্টেম আছে যা আপনাকে ইন্টারনেট এ আপনার পরিচিতিকে আড়াল করে ফেলে, আর কম্পিউটারে কোনো তথ্য জমা থাকে না , তাই আপনার বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা কোনো প্রমান ব্যবহার করতে পারবে না ইন-শা-আল্লাহ|লিঙ্কটি দিয়ে দিলাম , https://tails.boum.org/doc/first_ste.../index.en.html এটি ফ্রি আর ইনস্টল করা এবং ব্যবহার করা অতি সহজ , tails এর ব্যবহার শিখুন| তথ্য প্রযুক্তিকে শুধু মাত্র পেশাগত ব্যবহারেই আপাতত সীমাবদ্ধ রাখুন |
মোবাইল ফোনের বদলে যেখানে সম্ভব tails ব্যবহার করে অথবা অন্য কোনো VPN এর মাধ্যমে ইন্টারনেট একে অপরকে মেসেজ পাঠান| অনেক ফ্রিVPN পাবেন ইন্টারনেট এ সার্চ দিলেই| অনেক ইমেইল প্রভাইডার আছে যেখানে একাউন্ট খুলতে কোনো ফোন নম্বর দেয়ার প্রয়োজন হয় না , সেসব সাইট এর ইমেইল একাউন্ট খুলুন | মনে রাখবেন এখন আপনাকে খুঁজে বার করতে আপনার ফোন নম্বর আর NID (জাতীয় পরিচয় পত্র )ব্যবহার করা হচ্ছে |
যদি রাজনৈতিক কারনে আপনার অবস্থান গোপন করতে চান তাহলে কোনো অবস্থাতেই “জাতীয় পরিচয়পত্র নেবেন না , কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করার একটি উদ্দেস্য হচ্ছে আপনার অবস্থান সনাক্ত করা , আপনাকে না পেলেও আপনার পরিবার পরিজনকে সনাক্ত করে তাদের উপর অত্যাচার করে আপনার অবস্থান জানা অথবা আপনাকে মানসিক ভাবে বিপন্ন করা যাবে এই ভেবেই জাতীয় পরিচয় পত্রে করা হয়েছে যাতে আপনার আঙ্গুলের ছাপ ও ছবির সাথে আপনার কাছের মানুষের ঠিকানা থাকে অথবা এমন একজনের পরিচয় আপনাকে দিতে হয় যার মাধ্যমে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে | যাদের "জাতীয় পরিচয়পত্র" আছে তাদেরকে খুঁজে বার করা পুলিশের জন্যে অনেক বেশি সহ্জ|
সাইন্স ফিকশনের মত মনে হলেও এটিই বাস্তব, আমাদেরকে চতুর্পাশ থেকে আকড়ে ধরেছে দাজ্জালের ডিজিটাল বাংলাদেশ|
আল্লাহ তা'আলা সব ভাইদের হেফাজত করুন। আমীন
Comment