আমরা দু’জন: কম্পিউটার ও নেট। আমরা আধুনিক প্রযুক্তির বড় দু’টি উদ্ভাবন। আমাদের সৌভাগ্য যে, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জিহাদের আসবাবরূপে নির্বাচন করেছেন। আমরা সর্বদাই মুজাহিদদের সাথে থাকি। তারা আমাদের ভালবাসে। আমরাও তাদের ভালবাসি। তারা আমাদের দিয়ে কাফেরদের মোকাবেলায় এগিয়ে যায়। আমাদের কত যে ভাল লাগে!
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনারা জানেন- আধুনিক প্রযুক্তি ব্যতীত কাফেরদের মোকাবেলা প্রায় অসম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তি জিহাদের বড় হাতিয়ার। আর আমরা আধুনিক প্রযুক্তির অনবদ্য দু’টি আবিষ্কার। আমাদের এই দু’জন ছাড়া জিহাদের কাজ এই যামানায় বড়ই কঠিন। এ কারণে, আমরা দু’জন ফরয ই’দাদের অন্তর্গত আছি। তাই, প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনারা যদি আমাদের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন, তাহলে কিন্তু ই’দাদ তরকের গুনাহ হবে। আপনারা ময়দানে এগুতে পারবেন না। পদে পদে মুসিবতে পড়বেন। বিশেষত আমাদের এই বাংলাদেরশের মতো দেশ, যেখানে জিহাদের কাজ এখনও দাওয়াত ও ই’দাদের মারহালা পার করেনি, সেখানে কিন্তু আমাদের দরকার খুব বেশি। বলতে গেলে বলা যায়, এই মূহুর্তে আমরা দু’জন মুজাহিদদের প্রধান হাতিয়ার।
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, যেহেতু আমাদেরকে সাথে নিয়ে আপনাদের চলতে হবে, তাই আমাদের ব্যাপারে কিছু কথা আপনাদের বলি। একেবারে কিন্তু মনের কথা বলব। তাই, আপনারা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। আমলে আনার চেষ্টা করবেন।
সচেতন মুজাহিদরা আমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন। তাই, আমরা তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবো না। আমরা বলবো নতুন মুজাহিদদের উদ্দেশ্যে। নতুনরা আমাদের সম্বন্ধে অনেক কথাই জানেন না। এই না জানার কারণে অনেক কাজে তারা তেমন অগ্রগতি আনতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, অনেক সময় মুসিবতেও পড়ছেন। অনেক সময় মুসিবত থেকে উদ্ধার হতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনারা সব ছেড়ে জিহাদের মাঠে এসে যদি আমাদের কারণে মুসিবতে পড়েন, যদি আমাদের কারণে আপনাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে আমরা কিভাবে বসে থাকতে পারি!! তাই, দায়িত্ববোধ নিয়ে ক’টি কথা আপনাদের বলবো। একেবারে মনের কথা। আপনারা ভুল বুঝবেন না। আমাদেরকে বেয়াদব বলবেন না। বেশি পণ্ডিত বলবেন না। আপনাদের জন্য মন কাঁদে। তাই ক’টি মনের কথা আপনাদের বলছি।
ভাইয়েরা! মূল কথায় যাই-
আপনাদের দেখছি, জিহাদের পাগলপারা। জিহাদের পথে নিজের জীবন দিতেও কুণ্ঠা নেই। কিন্তু আপনাদের কেউ কেউ আমাদের দু’জনকে অবহেলার চোখে দেখেন বা অন্তত আমাদের দিকে তেমন দৃষ্টি দেন না। সবার বেলায় এমনটা নয়, কারো কারো বেলায়। বিশেষ করে অযোগ্য আলেমদের সোহবতে যারা পড়েছেন, তারা। এ সব আলেম বলে- আমরা না’কি দাজ্জালী ফেতনা। তাই আমাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। তারা তালিবুল ইলমদেরকে আমাদের থেকে দূরে রাখে। এ কারণে আপনারা অনেক দারুল ইফতায় দেখবেন- কম্পিউটারে ফতোয়া লেখা নিষেধ। সব হাতে লিখতে হবে। কম্পিউটারে লিখলে উস্তাদ ফতোয়া দেখে না। তাই, তারা কম্পিউটা, ল্যাপটপ এগুলো থেকে দূরে। এগুলোর কারণে না’কি ফেতনা হয়।
ভাইয়েরা, আমরা অস্বীকার করছি না যে, আমাদের দ্বারা ফেতনা হচ্ছে না। অসৎ লোক আমাদের দিয়ে ফেতনা করছে। কিন্তু আপনারা তো আর ফেতনা করবেন না। আপনারা তো ফেতনা দূর করবেন। তাই তাদের ফেতনার কারণে আপনাদের উচিৎ হবে না আমাদের পরিত্যাগ করা। তাই প্রিয় তালিবুল ইলম ভাইয়েরা, আপনারা যারা জিহাদ করতে আগ্রহী, কিন্তু এখনও কম্পিউটার বা ল্যাপটপে লেখাখেখি পারেন না, তারা দ্রুত টাইপ শিখে ফেলুন। অবুঝ আলেমদের কথায় কান দেবেন না। যদি মাদ্রাসার ভিতরে টাইট শিখার সুযোগ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। চুপেচাপে শিখে ফেলুন। আর মাদ্রাসায় সম্ভব না হলে প্রয়োজনে চুপেচাপে দোকানে গিয়ে শিখুন। পরে দেখবেন, আমি আপনার কত্তো উপকারে আসি। স্কুলের ভাইদের বলছি না, কারণ- তাদের টাইপ শিখতে কোন বাধা-নিষেধ নেই বললেই চলে।
প্রিয় ভাইয়েরা, আমি ক’জনকে দেখেছি, যারা ইফতা পড়ে জিহাদের কাজে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু টাইপ পারেন না। মাসআলা যদি বের করতেও পারেন, লিখতে কিন্তু পারেন না। লিখতে হলে কাগজে লিখতে চান। প্রিয় ভাইয়েরা, আপনারাই বিচার করুন- কাগজের ফতোয়া কি নেটে ছাড়া যাবে? তাছাড়া অনেক সময় ফতোয়া নিয়ে এখানে সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রিয় ভাইয়েরা, বলুন তো, তাগুতরা কাগজে লেখা ফতোয়া পেলে আপনাকে কি করবে? শুধু আপনাকে করবে? আপনার মাধ্যমে আরো দশ জনকে ধরতে তদন্ত চালাবে না? বলুন, একজন মুজাহিদ কি জেনে শুনে এমন মুসিবতে পড়তে পারে? কিছুতেই না। কিছুতেই না। তাই ভাইয়েরা দ্রুত টাইপ শিখুন। আর অবহেলা করবেন না।
আর ভাইয়েরা, আমি বলছি- আপনারা স্কুল-মাদ্রাসায় থাকতেই টাইপ শিখে নিন। যাতে পরে যখন আপনি সক্রিয়ভাবে কাজে নামছেন, তখন আপনি পাকাপোক্তা টাইপার। আপনাকে নিয়ে আর তানজীমের কোন চিন্তা নেই। আপনি তো টাইপ পারেন। আপনাকে কাজ দেবে, আর আপনারা দ্রুত কাজ করে ফেলবেন। কেমন! অনেক ভাল না? আর যদি এখন আপনারা টাইপ না শিখেন, তাহলে কিন্তু পরে অনেক অসুবিধা। আপনাকে ল্যাপটপ দিতে হবে, একজন দেখিয়ে দিতে হবে, আবার তাগুতরা দেখে ফেলে কি’না সে চিন্তা, টাকা খরচ, খানা খরচ, কাজ পিছিয়ে পড়ছে... আরো অনেক কিছু। তাই, আপনারা সক্রিয়ভাবে কাজে আসার আগেই টাইপ শিখে ফেলুন। ভাল টাইপার হয়ে যান। আর আবার সাবধান করে দিচ্ছি- ঐ যে অবুঝ আলেম, তাদের কথায় কিন্তু কান দেবেন না।
আর ভাইয়েরা, টাইপ কিন্তু বিজয় অভ্র উভয়টাই শিখবেন। শুধু বিজয়ে ক্ষান্ত করবেন না। কারণ, অনেক সময় বিজয় পাওয়া যায় না। তখন অভ্রতে লিখতে হয়।
আর ভাইয়েরা, ইউনিকোডের কথা তো জানেন। ইউনিকোড ছাড়া কিন্তু বিজয়ের লেখা নেটে সাপোর্ট করে না। তখন লিখেও না লেখার মতোই হবে। তাই ইউনিকোডের কথা ভুলবেন।
অনেকে হয়তো বলবেন- টাইপ ভাইয়া! আপনি তো অনেক বাচাল। এসব সাধারণ কথাও কি বলতে হয়!
আমার আবেদন! ভাইয়েরা ভুল বুঝবেন না। আমি এমন কতক মুজাহিদ ভাইকে দেখেছি, যারা বিজয় পারে, কিন্তু ইউনিকোড পারে না। এমনকি জানেও না যে, নেটে বিজয়ের লেখা সাপোর্ট করে না। তাই বলছি।
এ গেল টাইপের কথা। আর টাইপের সাথে যে আনুষঙ্গিক বিষয়াশয়, সেগুলো মিলেই কিন্তু টাইপ। তাই, সেগুলোও বুঝতে হবে ভাল টাইপার হতে হলে।
আপনারা হয়তো আশ্চর্য হবেন, টাস্কবারে ল্যাঙ্গুয়েজ বারটা গায়েব হয়ে গেলেই কিন্তু অনেক ভাই আর লিখতে পারেন না। তাই খুটিনাটি বিষয়েও একটু সাবধান করে যাচ্ছি। ভিডিও দেখে দেখে আর হুজুরদের গীবত করতে করতে কিন্তু কত রাত আমরা পার করেছি বলতে পারবো না। ততক্ষণে কি এগুলো শিখা হতো না?
যাহোক, টাইপ নিয়ে ক’টা কথা বললাম। বাকি আপনারা টাইপ শিখতে গেলে তখন অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।
***
এবার আসুন ল্যাপটপ নিয়ে ক’টা কথা বলি।
ল্যাপটপ মুজাহিদের নিত্যসঙ্গী। ল্যাপটপ কিন্তু চালাতে পারেন প্রায় সবাই। কিন্তু অনেকে একটু এদিক সেদিক হয়ে গেলেই আর পারেন না। পূর্ণ ফিটিং করা থাকলে পারেন, একটু এদিক সেদিক হলেই আর পারেন না। একটু এদিক সেদিকের কারণে যে কারো কারো তিন দিন পার হয়ে গেছে, কোন কাজই হচ্ছে না, এমন খবর কিন্তু আমার আছে। তাই তো ক’টা বলা বলতে হচ্ছে।
মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনারা চিলা কলা খেতে অভ্যস্থ হবেন না, কলা চিলে খেতে শিখুন। শুধু তাই নয়, নিজেই গাছ লাগিয়ে কলা চাষ করতে শিখুন। সব বিষয়ে অন্যের দ্বারস্থ হওয়ার প্রবণতা ছাড়ুন। অনেকে কাজ শিখে না। বলে, আরে অমুক ভাই তো আছেই। তিনিই সব ঠিক করে দেবেন। কেমন অবুঝের কথা দেখুন!! আপকি কি সব সময় অমুক ভাইয়ের কাছে যেতে পারবেন? আবার পারলেও একজনের কাছে আরেকজন প্রায় সময় যাওয়াটা কি নিরাপদ? তাগুতরা যদি খবর পেয়ে যায়, তাহলে? আর সময় নষ্ট হচ্ছে না? যতক্ষণে আপনি যাবেন-আসবেন ততক্ষণে তো শিখেই ফেলতে পারতেন। আরো কত্তো ঝামেলা। তাই, মুজাহিদ ভাইয়েরা, আপনারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখুন।
কথা চলছিল ল্যাপটপ নিয়ে। তো ল্যাপটপের মৌলিক কাজগুলো আপনি নিজেই শিখে নিন, যাতে সব সময় অন্যের দ্বারস্থ হতে না হয়। মৌলিক কাজ বলতে যেমন ধরুন- কম্পিউটারের জরুরী সফটওয়ারগুলো কি কি জানা, সেগুলোর কোনটার কি কাজ তা জানা। যেমন ধরুন- রার বা জিপ। এটা ছাড়া কিন্তু আপনি অনেক ফাইল খোলতে পারবেন না। তেমনই পাওয়ার আইএসও, পিডিএক রিডার, মাইক্রোসফট অফিস। এগুলো ছাড়া কিন্তু ফাইল খোলাই যাবে না। তাই এসব সফটওয়ার আপনার কাছে থাকতে হবে। ইনস্টল-আনইনস্টল শিখতে হবে। আবার কাছে না থাকলে কিভাবে নেট থেকে ডাউনলোড করবেন, সেটা জানতে হবে। এ ছাড়াও আরোও অনেক সফটওয়ার, যেগুলো কাজের জন্য লাগে সেগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় জ্ঞান রাখতে হবে। এমন যেন না হয়, আপনার মাকইক্রোসফটটা কোন কারণে কাজ করছে না, ফলে আপনি তিন দিন হতাশ হয়ে বসে আছেন।
ল্যাপটপের একটা বড় কাজ- সেট আপ দেয়া। অনেকে মনে করেন, এটা যার তার কাজ নয়। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ সেট পারবে না। দেখুন, একজন মুজাহিদের হিম্মত এমন হবে?? সেট আপ দেয়া কি কঠিন? দুয়েকবার দেখলে কি পারা যাবে না? কয়েকটা সফটওয়ারই তো শুধু লাগে, আর উইন্ডোজটা লাগে। আপনি শুধু চালু করে দেবেন। বাকি কাজ তো কম্পিউটার নিজেই করবে। এটাও পারবেন না! বড় আশ্চর্যের কথা! প্রথমে বোট করবেন, এরপর ল্যাপটপকে কাজে লাগিয়ে দেবেন। আবার একবার বোট করে নিলে তো ব্যস। এটাই চলবে ভাইরাসাক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত। তো যাহোক, সেট আপ সহজ কাজ। আশাকরি সব মুজাহিদ ভাই-ই সেট আপ শিখে নেবেন।
দেখুন, সেট আপের কিন্তু অনেক দরকার। ধরুন, হঠাৎ আপনারা খবর পেলেন, তাগুতরা আপনাদের খবর পেয়ে গেছে। আপনার ল্যাপটপ থেকে তারা তথ্য বের করবে। তখন কিন্তু সেট আপ দিতে হয়। যদি তাড়াতাড়ি সেটআপ দিতে না পারেন, তখন পড়বেন মুসিবতে। আপনার ল্যাপটপ ঘেঁটেগুটে তাগুতরা তথ্য বের করবে। নতুন সেপ আপ দিয়ে নিলে বিপদ অনেকটাই আসান হয়ে যেত।
আর ভাইয়েরা, ড্রাইভার দেয়া কিন্তু অবশ্যই শিখবেন। অনেক সহজ। ড্রাইভার সলিউশন প্যাক থাকলে তো কথাই নেই। আপনি শুধু চালু করে দেবেন। বাকি কাজ সে নিজেই করে নেবে। ড্রাইভার ছাড়া কিন্তু বিপদ। বিশেষ করে উইন্ডেজ সেভেন। এটাতে ড্রাইভার লাগে বেশি। দেখবেন সেট আপের পর স্কিনটা কেমন বড় হয়ে গেছে। লেখাগুলো, ফাইলগুলো কেমন যেন লাগছে। তখন কিন্তু ড্রাইভার দিতে হবে। আবার উইন্ডোজ সেভেনে অনেক সময়ই ড্রাইভার না দিলে নেট চলে না। তখন কিন্তু মুসিবতে পড়বেন। তাই ড্রাইভার দেয়া শিখতে ভুলবেন না।
ভাইয়েরা, আরেকটা কথা। সেট আপ দেয়ার পর কিন্তু কিছু অপশন বন্ধ করতে হয়। না হলে এগুলো আপনার নেট খেয়ে ফেলবে দ্রুত। দেখবেন এক ঘণ্টায় এক জি.বি শেষ। কোন আয়-ই পাচ্ছেন না। উইন্ডোজ টেনে এমন অপশন অনেক। আর কিছু না হলেও অন্তত উইন্ডোজ আপডেট তো অবশ্যই বন্ধ করবেন। না হলে সে দেখবেন, কিভাবে ১ এম.বি-২ এম.বি/সেকেন্ড করে আপনার এম.বি শেষ করছে।
আরেকটা কথা- অনেক সময় এক কম্পিউটারের লেখা আরেক কম্পিউটারে নিলে ভেঙ্গে যায়। কত জনের কত লেখা যে ভেঙ্গেছে আল্লাহ মা’লূম। অথচ একটা ছোট কাজ করলেই কিন্তু আর ভাঙ্গে না। যেখানেই যাক, আপনার লেখা আস্তই থাকবে ইনশাআল্লাহ। তাই, এটা শিখতে ভুলবেন না কিছুতেই।
আমি কথা শেষ করতে চাচ্ছি ভাইয়েরা। নেট ভাইয়ের আকুতি আছে। তাকে সময় দিতে হবে। শেষে ভাইরাস নিয়ে একটা কথা বলি- ভাইরাস আমার দুশমন। সে আপনাদেরও দুশমন। সে আমাকে যেমন অচল করে দেয়, আপনাদের ফাইলও নষ্ট করে দেয়। তাই এর ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। প্রয়োজনে ভাল এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন। আর শুনুন, কোন কোন এন্টি ভাইরাসের কিন্তু ফ্রি ভার্সন আছে। কোন কোনটা এক মাস ফ্রি দেয়। অন্য ব্যবস্থা না হলে আপাতত নেট থেকে ফ্রি ভার্সন নামিয়ে কাজ চালাতে পারেন। এটা কিন্তু কঠিন না। কিন্তু কোন কোন ভাইকে দেখলাম, তার ল্যাপটপ ভাইরাসের গুদাম হয়ে গেছে। তার কাছে নেটও আছে। কিন্তু একটা এন্টি ভাইরাস যে নামানো যায়, তা তার জানাই নেই।
ভাইয়েরা, আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা- অনেক সময় ভাইরাস আপনার ফাইল খেয়ে ফেলে। অনেক সময় শর্টকাট বানিয়ে ফেলে। তখন মনের দুঃখে আপনি আপনার পেনড্রাইভ বা মেমোরি ফরমেট দিয়ে দেন। ভাইয়েরা এমনটা করবেন না। ভাইরাসে খাওয়া ফাইল উদ্ধার করা যায়। একটু সবর করুন। খুব ছোট্ট একটা জিনিস লাগে। তাই ফরমেট দেবেন না। না-জানি এটা জানা না থাকার কারণে কত ভাইয়ের কত ফাইল নষ্ট হয়েছে।
ভাইয়েরা, আমি বিদায় নিচ্ছি। এবার নেট ভাইয়ের কিছু আকুতি শুনুন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন। আমীন!
(ইনশাআল্লাহ! নেটের আকুতি সামনের পর্বে আসবে।)
Comment