.প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় সোমবার অনুমোদন পেয়েছে কথিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮। এতে ধর্ম অবমাননার চেয়ে শেখ মুজিবের অবমাননার জন্য বেশি শাস্তি রাখা হয়েছে।
আইনটির ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতীর পিতার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণা ও মদদ দিলে সর্ব্বোচ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। জরিমানা ৫০ লাখ টাকা।
একই আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে, তাহলে সর্ব্বোচ ১০ বছরের সাজা। জরিমানা ২০ লাখ টাকা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিম্বা মুজিবকে নিয়ে অবমাননাকর কিছু লিখছে শাস্তি হবে ১৪ বছর আর জরিমানা ৫০ লাখ। কিন্তু ইসলাম ধর্ম বা মহানবী (স) এর অবমাননা করা হলে শাস্তি ১০ বছর আর জরিমানা ২০ লাখ! আওয়ামী লীগের কাছে ধর্মের চেয়ে মুজিব আর দল বড়।
কী আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে?
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮’ এর খসড়া এই অনুমোদন পায়।
এটি কার্যকর হলে বিলুপ্ত হবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা। তার বদলে এসব ধারার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
নতুন আইনে মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, ধর্ম অবমাননা, মানহানির মতো সাইবার অপরাধের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল ও নিরাপত্তা এজেন্সি গঠনের কথা বলা হয়েছে।
আইনের ২১ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণা ও মদদ দিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর সর্ব্বোচ শাস্তি ১৪ বছরের সাজার পাশাপাশি জরিমানা দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা।
২৮ ধারায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত দিলে ভোগ করতে হবে সর্ব্বোচ ১০ বছরের কারাদণ্ড। অন্যদিকে, ২৯ ধারায় মানহানিকর কিছু প্রচার প্রকাশ করলে সাজা হবে ৩ বছরের।
৩০ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন বহির্ভূতভাবে ই-ট্রানজেকশন করলে সর্ব্বোচ ৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া হ্যাকিং, কম্পিউটারের সোর্স কোড ধ্বংস ও সরকারি তথ্য বেআইনিভাবে ধারণ, প্রেরণ ও সংরক্ষণ করলে থাকছে নানা শাস্তি ও জরিমানার বিধান। নতুন আইনের বেশিরভাগ ধারাই জামিনঅযোগ্য। তবে এর মধ্যে মানহানির ২৯ ধারাসহ ২০, ২৫ ও ৪৮ ধারার অপরাধে জামিনের বিধান আছে।
আইন বাস্তবায়নে থাকছে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি। আর তদারকিতে থাকবে উচ্চ পর্যায়ের ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল। এর প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব দাবি করেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা সাংবাদিকদের জন্য নিপীড়নমুলক কোন ধারা যুক্ত হয়নি।
আইনটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক-
বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ:
# ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হবে। ডিজি হবেন সংস্থার প্রধান। তিনি ক্ষতিকর তথ্য অপসারণ ও ব্লক করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করবেন।
# ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারিত কোন তথ্য-উপাত্ত বা এর কোনো অংশ যদি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ বা ঘৃণার সৃষ্টি করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উক্ত তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।
# ইর্মাজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা যাবে। সার্বক্ষণিক মনিটরের জন্য জাতীয় কম্পিউটার মনিটরিং টিম থাকবে।
# ১১ সদস্যের ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব। এর প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী।
অপরাধ ও দণ্ড :
# ১৭ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোয় বেআইনি প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন,বিনষ্ট বা অকার্যকরের চেষ্টা করে, তাহলে অনধিক সাত বছরের জেল; জরিমানা ২৫ লাখ টাকা।ক্ষতিসাধন করলে সর্ব্বোচ ১৪ বছরের কারাদন্ড। জরিমানা ১ কোটি টাকা।
# ১৮ ধারা অনুযায়ী, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কম্পিউটার সিস্টেমে বেআইনি প্রবেশ বা সহায়তা করলে সর্ব্বোচ ৩ বছরের কারাদণ্ড। জরিমানা ১০ লাখ টাকা।
# ১৯ ধারা মতে, বেআইনিভাবে যদি কোন ব্যাক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম হতে কোনো উপাত্ত, উপাত্ত ভান্ডার, তথ্য বা উদ্বৃতাংশ সংগ্রহ করেন বা কোন উপাত্তের অনুলিপি সংগ্রহ করেন, তাহলে সর্ব্বোচ ৭ বছরের কারাদণ্ড; জরিমানা ১০ লাখ টাকা।
# ২০ ধারা অনুযায়ী, কম্পিউটার সোর্স কোড পরিবর্তন, ধ্বংস করলে সর্ব্বোচ ৩ বছরের সাজা। জরিমানা ৩ লাখ টাকা।
# ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতীর পিতার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণা ও মদদ দিলে সর্ব্বোচ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। জরিমানা ৫০ লাখ টাকা।
# ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা,নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে এবং জনগণের মাঝে ভয়ভীতি সঞ্চারের জন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যমে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বা করায়, তাহলে সর্ব্বোচ সাজা ১৪ বছর কারাদণ্ড। জরিমানা ১ কোটি টাকা।
# ২৮ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে, তাহলে সর্ব্বোচ ১০ বছরের সাজা। জরিমানা ২০ লাখ টাকা।
# ২৯ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে পেনাল কোডের ৪৯৯ ভঙ্গ করে কোন অপরাধ করেন তাহলে সর্ব্বোচ ৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন।জরিমানা ৫ লাখ টাকা।
# ৩০ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক, বীমা বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে ট্রানজেকশন করলে সর্ব্বোচ ৫ বছরের কারাদণ্ড। ৫ লাখ টাকা জরিমানা।
# ৩২ ধারা মতে, যদি কোন ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ ও সংরক্ষণ করেন বা সহায়তা করেন, তাহলে সর্ব্বোচ ১৪ বছরের সাজা। ২৫ লাখ টাকা জরিমানা।
# ৩৪ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যাকিং করেন তাহলে সর্ব্বোচ ১৪ বছরের সাজা। জরিমানা ১ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় সোমবার অনুমোদন পেয়েছে কথিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮। এতে ধর্ম অবমাননার চেয়ে শেখ মুজিবের অবমাননার জন্য বেশি শাস্তি রাখা হয়েছে।
আইনটির ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতীর পিতার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণা ও মদদ দিলে সর্ব্বোচ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। জরিমানা ৫০ লাখ টাকা।
একই আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে, তাহলে সর্ব্বোচ ১০ বছরের সাজা। জরিমানা ২০ লাখ টাকা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিম্বা মুজিবকে নিয়ে অবমাননাকর কিছু লিখছে শাস্তি হবে ১৪ বছর আর জরিমানা ৫০ লাখ। কিন্তু ইসলাম ধর্ম বা মহানবী (স) এর অবমাননা করা হলে শাস্তি ১০ বছর আর জরিমানা ২০ লাখ! আওয়ামী লীগের কাছে ধর্মের চেয়ে মুজিব আর দল বড়।
কী আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে?
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮’ এর খসড়া এই অনুমোদন পায়।
এটি কার্যকর হলে বিলুপ্ত হবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা। তার বদলে এসব ধারার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
নতুন আইনে মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, ধর্ম অবমাননা, মানহানির মতো সাইবার অপরাধের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল ও নিরাপত্তা এজেন্সি গঠনের কথা বলা হয়েছে।
আইনের ২১ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণা ও মদদ দিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর সর্ব্বোচ শাস্তি ১৪ বছরের সাজার পাশাপাশি জরিমানা দিতে হবে ৫০ লাখ টাকা।
২৮ ধারায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত দিলে ভোগ করতে হবে সর্ব্বোচ ১০ বছরের কারাদণ্ড। অন্যদিকে, ২৯ ধারায় মানহানিকর কিছু প্রচার প্রকাশ করলে সাজা হবে ৩ বছরের।
৩০ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন বহির্ভূতভাবে ই-ট্রানজেকশন করলে সর্ব্বোচ ৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া হ্যাকিং, কম্পিউটারের সোর্স কোড ধ্বংস ও সরকারি তথ্য বেআইনিভাবে ধারণ, প্রেরণ ও সংরক্ষণ করলে থাকছে নানা শাস্তি ও জরিমানার বিধান। নতুন আইনের বেশিরভাগ ধারাই জামিনঅযোগ্য। তবে এর মধ্যে মানহানির ২৯ ধারাসহ ২০, ২৫ ও ৪৮ ধারার অপরাধে জামিনের বিধান আছে।
আইন বাস্তবায়নে থাকছে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি। আর তদারকিতে থাকবে উচ্চ পর্যায়ের ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল। এর প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব দাবি করেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা সাংবাদিকদের জন্য নিপীড়নমুলক কোন ধারা যুক্ত হয়নি।
আইনটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক-
বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ:
# ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করা হবে। ডিজি হবেন সংস্থার প্রধান। তিনি ক্ষতিকর তথ্য অপসারণ ও ব্লক করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করবেন।
# ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারিত কোন তথ্য-উপাত্ত বা এর কোনো অংশ যদি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ বা ঘৃণার সৃষ্টি করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উক্ত তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।
# ইর্মাজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা যাবে। সার্বক্ষণিক মনিটরের জন্য জাতীয় কম্পিউটার মনিটরিং টিম থাকবে।
# ১১ সদস্যের ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব। এর প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী।
অপরাধ ও দণ্ড :
# ১৭ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোয় বেআইনি প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন,বিনষ্ট বা অকার্যকরের চেষ্টা করে, তাহলে অনধিক সাত বছরের জেল; জরিমানা ২৫ লাখ টাকা।ক্ষতিসাধন করলে সর্ব্বোচ ১৪ বছরের কারাদন্ড। জরিমানা ১ কোটি টাকা।
# ১৮ ধারা অনুযায়ী, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কম্পিউটার সিস্টেমে বেআইনি প্রবেশ বা সহায়তা করলে সর্ব্বোচ ৩ বছরের কারাদণ্ড। জরিমানা ১০ লাখ টাকা।
# ১৯ ধারা মতে, বেআইনিভাবে যদি কোন ব্যাক্তি কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম হতে কোনো উপাত্ত, উপাত্ত ভান্ডার, তথ্য বা উদ্বৃতাংশ সংগ্রহ করেন বা কোন উপাত্তের অনুলিপি সংগ্রহ করেন, তাহলে সর্ব্বোচ ৭ বছরের কারাদণ্ড; জরিমানা ১০ লাখ টাকা।
# ২০ ধারা অনুযায়ী, কম্পিউটার সোর্স কোড পরিবর্তন, ধ্বংস করলে সর্ব্বোচ ৩ বছরের সাজা। জরিমানা ৩ লাখ টাকা।
# ২১ ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতীর পিতার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা, প্রচারণা ও মদদ দিলে সর্ব্বোচ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। জরিমানা ৫০ লাখ টাকা।
# ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা,নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে এবং জনগণের মাঝে ভয়ভীতি সঞ্চারের জন্য কোন ডিজিটাল মাধ্যমে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বা করায়, তাহলে সর্ব্বোচ সাজা ১৪ বছর কারাদণ্ড। জরিমানা ১ কোটি টাকা।
# ২৮ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে, তাহলে সর্ব্বোচ ১০ বছরের সাজা। জরিমানা ২০ লাখ টাকা।
# ২৯ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে পেনাল কোডের ৪৯৯ ভঙ্গ করে কোন অপরাধ করেন তাহলে সর্ব্বোচ ৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন।জরিমানা ৫ লাখ টাকা।
# ৩০ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক, বীমা বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে ট্রানজেকশন করলে সর্ব্বোচ ৫ বছরের কারাদণ্ড। ৫ লাখ টাকা জরিমানা।
# ৩২ ধারা মতে, যদি কোন ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ ও সংরক্ষণ করেন বা সহায়তা করেন, তাহলে সর্ব্বোচ ১৪ বছরের সাজা। ২৫ লাখ টাকা জরিমানা।
# ৩৪ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন ব্যাকিং করেন তাহলে সর্ব্বোচ ১৪ বছরের সাজা। জরিমানা ১ কোটি টাকা।
Comment