একটি গাড়ি চালানোর জন্য দরকারি বিভিন্ন যন্ত্রপাতিগুলো কি কি
গাড়ি চালানোর জন্য একজন চালককে কিছু যন্ত্রপাতির ব্যবহার জানতে হয় আসুন জেনে নেই৷ যেমন-
১. স্টিয়ারিং:
গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে স্টিয়ারিং একটি খুবই জরুরি যন্ত্র৷ তাই গাড়ি চালানোর জন্যে ভালোভাবে স্টিয়ারিং ধরার অভ্যাস করতে হয়৷ সেইসাথে স্টিয়ারিং চালানো শিখতে হলে আপনাদের নিচের নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে:
গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হালকা করে ধরে চালককে সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে গাড়ি চালাতে হবে।
গাড়ি চালানো সময় বা থামানোর সময় দরকার না হলে অযথা স্টিয়ারিং-এর উপর জোর দিয়ে কিছুই করা উচিত নয়৷
ওভারটেকের সময় ভালোভাবে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷
গিয়ার পরিবর্তনের সময় হালকা করে স্টিয়ারিং ধরতে হয়৷
আঁকাবাঁকা ও খুব উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির গতি কমিয়ে দিয়ে চালাতে হয়৷ এ সময় স্টিয়ারিং শক্ত করে ধরে রাখা দরকার তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্বাবনা থাকে৷
ঢালু অথবা পাহাড়ি রাস্তার উপর থেকে নিচে নামার সময় গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হবে৷ সেইসাথে ব্রেক ধরে শক্ত করে স্টিয়ারিং ধরতে হবে৷
বাঁকা রাস্তায় বা মোড় ঘুরানোর সময় রাস্তার উপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে হালকা ভাবে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালাবেন।
এখন জানা দরকার স্টিয়ারিং ভালো রাখার জন্য কি কি করা যেতে পারে৷ স্টিয়ারিং ভালো রাখার উপায়গুলো হলো-
বিনা কারণে স্টিয়ারিং ঘুরানো ঠিক নয়৷ স্টিয়ারিং বেশি ঘুরলে বুশ বিয়ারিং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
গাড়ি দাঁড়ানো অবস্থায় স্টিয়ারিং ঘুরানো উচিত নয়৷ এটা করলে স্টিয়ারিং-এর যন্ত্রাংশ ঢিলে ও অকেজো হয়ে যাবে৷
গাড়ি খুব বেশি উঁচু-নিচু পথ অতিক্রম করলে স্টিয়ারিং এবং তার যন্ত্রাংশগুলো পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে৷
নিয়মিত স্টিয়ারিং ফ্লুইড দিতে হবে৷ যাই হোক এখন অাসি গিয়ার হোয়েলে।
বর্তমানে গাড়ির গিয়ার হচ্ছে দুই প্রকার একটি ম্যানুয়াল আরেকটি অটোমেটিক তবে বর্তমানে খুব শক্তিশালি গাড়িগুলোতে ম্যানুয়াল গেয়ার বক্স থাকে যা ক্লাচকে চেপে ধরে গিয়ার চেঞ্জই করতে হয়। আর অটোমেটিক গাড়িগুলো হচ্ছে ফ্যাশনসোলভ যা হালকা যান বাহন যেমন-কার, লাইটেস, নোহা এ জাতিয় গাড়িগুলো আর অটোমেটিক গাড়িগুলো চালাতেও সহজ সেই ম্যানুয়াল গিয়ার এর মত বার বার গিয়ার পাল্টাতে হয়না। শুধু একবার (D) তে ফেলে রাখবেন, তো কাজ শেষ যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার গন্তুব্যস্হানে পৌচ্ছে গিয়ার পাল্টান ততক্ষণ গিয়ার ঠিক থাকবে কোন সমস্যা করবে হবে না। আর ম্যানুয়ালতো খাইসে ১০ মিটার গেলেন সামনে একটা গাড়ি বা জাম লেগে গেছে তখন সাথে সাথেই আপনাকে গাড়ির গতি অনুযায়ী গিয়ার পাল্টাতে হবে। যাই হোক অাসুন জেনে নেই-- তা কিভাবে
২.ম্যানুয়াল গিয়ার লিভার:
এটি খুব জরুরি একটি জিনিস যা হাত দিয়ে টেনে জায়গামত বসাতে হয়৷ এর সাহায্যেই চাকায় শক্তি ও গতি পাঠানো হয়৷ ছোট-বড় গাড়ি ভেদে গিয়ারের সংখ্যা ও ধরন কম-বেশি আছে৷ যেমন- বড় বড় বা ভারী গাড়িতে ৫-৬টি গিয়ার থাকে৷ এগুলো হল- প্রথম গিয়ার, দ্বিতীয় গিয়ার, তৃতীয় গিয়ার, চতুর্থ গিয়ার, পঞ্চম গিয়ার (টপ গিয়ার), ও রিভার্স বা ব্যাক গিয়ার৷ মনে রাখা দরকার, সামনে এগিয়ে যাওয়ার গিয়ার (ফরওয়ার্ড গিয়ার) পাঁচটি থাকলে পঞ্চম গিয়ারই টপ গিয়ার হবে৷ আবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার গিয়ার চারটি হলে চতুর্থ গিয়ারই হল টপ গিয়ার৷ ছোট বা মাঝারি ধরনের গাড়িতে সাধারণত চারটি বা কখনও কখনও পাঁচটি গিয়ারও থাকে৷ যেমন- সামনে এগিয়ে যাবার গিয়ার ৩টি হলে তৃতীয় গিয়ারই টপ গিয়ার৷ এছাড়া উপরের গিয়ারের বাইরেও "নিউট্রাল গিয়ার" আছে৷ নিউট্রাল থেকেই দরকার মত গিয়ারকে নানাভাবে পরিবর্তন করা হয়৷
গিয়ার নানাভাবে কাজ করে৷ চলুন ধাপে ধাপে সেগুলো জেনে নেই-
ম্যানুয়াল গিয়ার এর ক্ষেত্রে ক্লাচ হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আর ক্লাচের নিয়ম হলো প্রথমে হালকা চাপ দিবেন, এটা হচ্ছে হাফ ক্লাচ, আবার আগের চেয়ে একটু বেশি চাপ দিবেন, হাফ ক্লাচের বেশি, আবার আগের চেয়ে আরেকটু বেশী চাপ দিবেন এটা হচ্ছে ফুল ক্লাচ। আর ম্যানুয়াল গিয়ারটাই হচ্ছে ক্লাচের উপর নির্ভরশীল তাই আসুন ম্যানুয়াল গিয়ার লাগানো জেনে নেই, - আপনারা ফুল ক্লাচ চাপ দিয়ে ধরবেন এবার গিয়ার এর উপর আপনার বাম হাতটি রাখবেন আর ডান হাতটি স্টিয়ারিং এর উপর রাখবেন। এবার বাম হাতটা গিয়ার এর উপর রেখে সোজা ডানে বামে নাড়া ছাড়া করবেন, সোজা ডানে বামে হচ্ছে নিউট্রাল। এর মানে আমরা কি জানলাম সুজা ডানে বামে নিউট্রাল, এবার আমরা গিয়ার লাগালো শুরু করি ক্লাচটিতো চেপে ধরে রাখবেকনেই। ফ্রাস্ট গিয়ার হচ্ছে নিউট্রাল থেকে একধম সোজা বামে গেসে উপরে এক নাম্বার গিয়ার, ঠিক সোজা নিচে দুই নাম্বার গিয়ার, ঠিক আবারও সোজা কিছুটা হালকা ডানে চেপে তিন নাম্বার গিয়ার, আবারও একধম সোজা নিচে চার নাম্বার গিয়ার, আর একধম ডানে চেপে নিচে ব্রেক গিয়ার তো এখন আমরা একসাথে পাঁচটি গিয়ার পাল্টালাম। এটা আপনাদের শিখানোর জন্য আপনারা আপনাদের গাড়ির গতি অনুযায়ী গিয়ার পাল্টাবেন।
আপনাদের বুঝানোর জন্য আবারও বলছি কারণ মুজাহিদেরকে অবশ্যই ম্যানুয়াল গিয়ার দিয়েই শিখতে হবে প্রথমে, কারণ এ গিয়ার লিভারটি বাংলাদেশে বেশির ভাগ গাড়িতেই থাকে একবারে ট্রাক থেকে শরু করে হালকা যান কার, লাইটেচ, নোহা, এজাতীয় গাড়িগুলো তাই আবারও একটু কেয়াল করুন
গাড়ি চালু করার সময় নিউট্রাল গিয়ারটি ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা দেখে নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিন৷
গাড়ি স্টার্ট করে বাম পা দিয়ে ক্লাচে চাপ দিয়ে প্রথম বা ফার্স্ট গিয়ার দিতে হয়৷
কমপক্ষে ১০-১২ মিটার ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চলার পর দ্বিতীয় বা সেকেন্ড গিয়ার দিতে হয়৷
দ্বিতীয় গিয়ারে প্রায় ১৫০-১৭০ মিটার গাড়ি চলার পর একসিলারেটর থেকে পা আলগা করতে হয় ও বাম পায়ের সাহায্যে ক্লাচকে চেপে ধরতে হয়৷
ডান হাতে স্টিয়ারিং ধরে বাম হাতে গিয়ার লিভারকে পিছনে টেনে নিউট্রালে আনতে হয়৷
তারপর ক্লাচ প্যাডেল থেকে পা আলগা করে আবার চেপে ধরতে হবে৷ সাথে সাথে গিয়ার লিভারকে বাম হাত দিয়ে ঠেলে দিয়ে আবার পিছনে নিয়ে আসতে হবে৷ তারপর দ্বিতীয় বা সেকেন্ড গিয়ার দিতে হবে৷
দ্বিতীয় গিয়ার দেওয়ার পর ধীরে ধীরে ক্লাচ প্যাডেল ছেড়ে দিয়ে একসিলারেটরে পা দিয়ে চাপ দিতে হবে৷
ক্লাচ প্যাডেলের উপর পা দিয়ে চাপ দিয়ে গিয়ার নিউট্রাল করতে হবে৷ তারপর একবার ক্লাচ প্যাডেলে চাপ দিয়েই ছেড়ে দিয়ে আবার চাপ দিতে হবে৷
ডান হাতে স্টিয়ারিং ধরে বাম হাতে গিয়ারকে নিজের দিকে টেনে আনতে হবে৷ তারপর গিয়ারকে তৃতীয় বা থার্ড গিয়ারের স্থানে ঠেলে দিতে হবে৷
এবার ক্লাচ প্যাডেল ছেড়ে দিয়েই সাথে সাথে একসিলারেটরে চাপ দিতে হবে৷ এর ফলে গাড়ির গতি বেড়ে যাবে৷
গাড়িতে যদি আরও গিয়ার থাকে তাহলে সেসব গিয়ার পরিবর্তনের নিয়মও একই হবে৷
ক্লাচ প্যাডেলের উপর চাপ আলগা করে আবার চাপ দিয়ে ডান হাতে স্টিয়ারিং ধরে বাম হাতে চতুর্থ বা পঞ্চম বা ষষ্ঠ গিয়ার লাগাতে হবে৷ পরের কাজও আগের মতই করতে হবে৷
গাড়ি থামাতে হলে ক্লাচ প্যাডেল চেপে গিয়ার নিউট্রাল করতে হবে৷ তারপর ফুট ব্রেক প্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷ তাহলে গাড়ি থেমে যাবে৷
গাড়ির গতি কমাতে হলে একসিলারেটর থেকে পায়ের চাপ কমাতে হবে ও সাথে সাথে ক্লাচ প্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷ একসিলারেটরের চাপ কমিয়ে দিলে বা ছেড়ে দিলে ইঞ্জিনের শক্তি কমে যায়৷ এতে গিয়ারের ক্ষমতাও কমে যায়৷ ফলে গাড়ির গতি কমে যায়৷ কারণ গিয়ার ছাড়াও গাড়ির শক্তি কমানো-বাড়ানোর আরেকটি যন্ত্র হল একসিলাটের৷
ক্লাচ প্যাডেলে চাপ দিয়ে গাড়ির গিয়ার পরিবর্তন, গাড়ির গতি বাড়ানো-কমানো এই কাজগুলো একই সাথে করতে হয়৷
স্টিয়ারিং গিয়ার সিস্টেম বলে একটি সিস্টেম আছে যাতে গাড়িতে সামনে এগিয়ে চলার জন্য তিন থেকে চারটি গিয়ার থাকে৷ এতেও গাড়িকে পিছনে নেওয়ার জন্য রিভার্স গিয়ার বা ব্যাক গিয়ার থাকে৷
গাড়ি থামানোর পরই ব্যাক গিয়ার বা রিভার্স গিয়ার দেওয়া উচিত৷ তা না হলে গিয়ারের সকল পিনিয়ন ভেঙে যাবে৷
৩. অটোমেটিক গিয়ার লিভারের নিয়ম:-
এটি চালানোর জন্য গিয়ার লিভার সামনে ও পেছনে জায়গামত বসিয়ে দিতে হয়৷ গিয়ার লিভারের পাশে গিয়ারের স্থান অনুযায়ী ইংরেজী বর্ণের ইঙ্গিত আছে৷ যেমন-
গাড়ি পার্কিং-এর সময় গিয়ার লিভার P-তে (পার্কিং) দিতে হবে৷
পেছনে নিতে হলে R-তে (রিভার্স) দিতে হবে৷
গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগে N-তে (নিউট্রাল) দিতে হবে৷
গাড়ি চলমান অবস্থায় D-তে দিতে হবে৷
গাড়ি উপরে তুলতে ও গর্ত থেকে তুলতে 2-তে দিতে হবে৷
পাহাড় বা উঁচু টিলায় গাড়ি তুলতে হলে L-তে দিতে হবে৷
৪. ক্লাচ প্যাডেল
গাড়ির ইঞ্জিন চালু করা এবং গিয়ার পরিবর্তনের সময় এবং গিয়ার কমানোর জন্য চালকের আসনের একেবারে বাঁ দিকে এই ক্লাচ প্যাডেল ব্যবহার করা হয়৷
ইঞ্জিন চালু করার সময় বাম পা দিয়ে এতে চাপ দিয়ে গিয়ার দিতে হয়৷
৫.একসিলারেটর প্যাডেল:
একসিলারেটর প্যাডেল মূল প্যাডেল হিসেবে গাড়ির গতি বাড়ানো-কমানোর জন্য গাড়ির চালকের ডান পায়ের কাছাকাছি থাকে৷ গাড়ি দ্রুতবেগে চালনা করা দরকার হলে এই প্যাডেলের চাপ বাড়িয়ে দিতে হয় আবার কমানোর জন্য চাপ কমিয়ে দিতে হয়৷
৬.ব্রেক
গাড়ি থামানোর যন্ত্র হল ব্রেক৷ গাড়িতে দুই রকম ব্রেক হয়-
ফুটব্রেক প্যাডেল বা পায়ের ব্রেক: ফুট ব্রেক প্যাডেলটি ক্লাচ প্যাডেলের কিছুটা উপরে থাকে৷ গাড়ি থামানোর প্রয়োজন হলে প্রথমেই ব্রেকে চাপ না দিয়ে একসিলারেটর প্যাডেলের উপর থেকে ডান পা উঠাতে হবে৷ তখনই ডান পা দিয়ে ফুটব্রেক প্যাডেলের উপর চাপ দিতে হবে৷ তাহলে গাড়ির চলা বন্ধ হয়ে যাবে৷ এসময় গীয়ার নিউট্রালে রাখতে হয়৷ চালককে এই কাজগুলো দ্রুততার সাথে করতে হবে৷ জরুরি অবস্থায় ক্লাচ প্যাডেলে চাপ না দিয়ে এবং গিয়ার নিউট্রাল না করেও শুধু এক্সিলারেটর ছেড়ে দিয়েই ব্রেক করতে হয়৷ এই নিয়মে গাড়ি থেমে গেলেও এতে ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়, যাত্রীদের আঘাত লাগে, গাড়ি উল্টে যাবার ভয় থাকে, ও গাড়ি আবার চালু করার সময় অনেক অসুবিধা হয়৷ তাই গাড়ি থামিয়ে দিতে হলে ক্লাচ প্যাডেল চেপে গিয়ার নিউট্রাল করতে হবে৷ তারপর একসিলারেটরের চাপ তুলে নিলেই গাড়ি থেমে যাবে৷ আর এতে ইঞ্জিনের উপরেও কোনো চাপ পড়বে না৷ হঠাত যদি গাড়ি থামাতে হয় তাহলে একসিলারেটর থেকে পা তুলে নিতে হবে৷ সেইসাথে ক্লাচ প্যাডেলে ও ফুট ব্রেক প্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷
হ্যান্ডব্রেক লিভার: হ্যান্ডব্রেক গাড়ির একটি অতিরিক্ত ব্রেক৷ কখনো পায়ের ব্রেক কাজ না করলে এটি ব্যবহার করা যায়৷ পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় চলার সময় অথবা রাস্তায় হঠাত কোনো কারণে হাত দিয়ে ব্রেক টেনে ধরলে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দাঁড়িয়ে যাবে৷ গাড়ি চলার সময় হ্যান্ডব্রেক আলগা করে রাখতে হবে৷ তা না হলে গাড়ি দ্রুত গতিতে চলবে না বরং ইঞ্জিনে বেশি বেশি ফুয়েল পুড়তে থাকবে৷ উঁচু থেকে নিচু পথ দীর্ঘ হলে হ্যান্ডব্রেক লিভার ব্যবহার করা উচিত৷
সবশেষে আপনাদের সুবিধার জন্য গাড়ি চালু করার নিয়মগুলো পর্যায়ক্রমে এক কথায় নিচে বলা হলো:
গিয়ার নিউট্রাল করে নিতে হবে৷
একসিলারেটর প্যাডেল সামান্য চেপে রাখতে হবে৷
ক্লাচ প্যাডেল চেপে গিয়ার দিতে হবে৷
এরপর স্টার্টিং সুইচ দিতে হবে৷
ইঞ্জিন চালু হবার পর ক্লাচ প্যাডেল আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতে হবে৷
আবারও ক্লাচ প্যাডেল চেপে গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে৷
ক্লাচ প্যাডেল ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে৷
দরকারি গতি অনুযায়ী একসিলারেটর প্যাডেলে চাপ দিতে হবে৷
এরপর গাড়ি আপনাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গাড়ি চলতে থাকবে৷
বিঃদ্রঃ আপনারা কেউ আমার পোষ্ট পরার পরই কেউ গাড়ি চালাতে যাবেন না। কারণ পেক্টিকেলি ভাবে চালানো না শিখলে সারা জিবন পড়েও কোন লাভ হবে না, জাষ্ট কিছু ধারণা দিলাম।
Comment