নেট সিকিউরিটির ব্যপারে মৌলিক ধারনা
প্রথম অধ্যায়
আমরা সিকিউরিটির ব্যপারে শুরু থেকে সব বিষয় গুলো আলোচনা করব। যাতে করে নিত্ব-নতুন যে বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে আসছে তার আলোকে সিকিউরিটির ব্যপারে অবগত করা যায়। এটা ধারাবাহিক ভাবে সময়ে সময়ে আপনাদের কে জানাব ইনশাআল্লাহ । আজ কিছু উপকারী বিষয় আপনাদের সামনে আলোচনা করব যেগুলো সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসির প্রাথমিক ধারনা বলা যায়।প্রথম অধ্যায়
বর্তমানে আমরিকার গোপন এজেন্সি "এন,এস,আই," ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল দেশের উপর বড় ধরনের নজরদারি করছে। আজ থেকে চার বছর পুর্বে 'এড ওয়ার্ড স্নোডেন' যে এন,এস,আইতে কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করত, সেখান থেকে সে তাদের সমস্ত গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এবং তাদের নজরদারির কথা পুরো দুনিয়ার সামনে প্রকাশ করেছিল যে, কোন মাধ্যমে তারা নজরদারি করে যাচ্ছে।
এই গোপন তথ্যে সে একটি প্রোগ্রামের নাম উল্লেখ করেছে যার নাম ছিল প্রিজম (prism)। এই প্রোগ্রামে আন্ডারে ৯টি বড় বড় কম্পানি তাদের ডাটা এন এস আই কে প্রদান করে থেকে। তাদের মধ্য থেকে এ সকল কম্পানি উল্লেখ যোগ্যঃ-
১/ মাইক্রোসফট
২/ গোগল
৩/ ফেসবুক
৪/ ইয়াহু
৫/ অ্যাপল
৬/ পালটাক
৭/ ইউটিউব
৮/ স্কাইপ
৯/ আই ও এল
এই কম্পানি গুলো নিজেদের বিভিন্ন এপ ও সোর্সের মাধ্যমে নজরদারী করে যাচ্ছে। যেমন: গোগল সার্চ ইঞ্জিন, গোগল প্লে স্টোর, জিমেইল ইত্যাদি,
কিছু কম্পানি তো একে অন্যের সাথে মিশে গেছে। এটা জেনে রাখুন যে গোগল, মাইক্রোসফট, অ্যাপেল এবং ফেসবুক এর মাঝে এক ধরনের যুদ্ধ চলছে। কে কার থেকে বেশি ব্যবহারকারীদের তথ্য নিতে পারে। এবং তারা তার বিভিন্ন পদ্ধতি ও বের করেছে। এবং এই সকল তথ্য, মেসেজ, মেইল ইত্যাদি এন,এস,আইকে প্রদান করে থাকে।
বর্তমানে গোগল, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সব থেকে বেশি তথ্য গ্রহণ করে, এবং তার বিভিন্ন পদ্ধতিও আপনারা প্রতিনিয়ত পত্রপত্রিকায় দেখতে পারছেন। গুগল এবং ফেসবুকে লগইন করে যদি আপনি ব্রাউজের মাধ্যমে কিছু সার্চ করেন, তখন সে আপনার ব্যপারে এটা জানতে পারবে যে আপনি কি চাচ্ছেন আর এই ডাটা সে সংরক্ষিত রাখে। এমনিতে মেইল, মেসেজ দেখা ও সংরক্ষণ তো অবশ্যই করে। সাথে সাথে সে তার চেয়েও কয়েকগুন বেশি আমাদের নজরদারি করছে।
যে যে ওয়েবসাইট খুলা হয়েছে, যদি ব্রাউজারের কুকিস এবং হিস্টরি সব সময় পরিস্কার না করে তাহলে তাদের কাছে এই তথ্য চলে যায়।
এ থেকে বাচার জন্যে এই সব সার্ভিস ব্যবহার ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমরা এর বিকল্পগুলো ব্যবহার করতে পারি ইনশাআল্লাহ।
এখন এখানে আরেকটি কথা যা অধিকাংশ সাথিরা জিজ্ঞাসা করে থাকে। যে এই দেশেও কি এগুলো ব্যবহার করার দ্বারা আমাদের মেইল এবং মেসেজ ট্র্যাক করা হয়? অর্থাৎ বাংলাদেশের এজেন্সি এটা ধরতে পারে?
স্বরণ রাখবেন যে, সরকারের কাছে এমন কোন যন্ত্র নেই যার দ্বারা মেইল এবং মেসেজ ট্রাস করতে পারবে। কেননা জিমেইল হোক বা ফেসবুক মেসেঞ্জার, এখন উভয়টাই ইনক্রিপ্টেড ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ মাঝখান থেকে কোন হ্যকার বা এজেন্সি ট্র্যাক করতে পারেনা। কিন্তু এখানে এই কথা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, গোগল এবং ফেসবুক প্রত্যেক দেশের ত্বাগুতী সরকারকে পুর্ণ সহযোগীতা করে। এবং এটা তাদের প্রাইভেসী নিয়মনীতির অংশ যে তারা এই ডাটা প্রশাসন চাওয়ার সাথে সাথে তাদের সাথে শেয়ার করে থাকে।
এটা আপনার উপর নির্ভর করে যে আপনি সরকারের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর ফেসবুক এবং গোগল মিনিমাম এক হাজার ব্যবহারকারীর ডাটা সরকারের কাছে হস্তান্তর করে থাকে। এখন আপনি দেখুন যে আপনি নেটের জগতে কতটুকু গুরুত্বপূর্ন। আপনি কি সেই ১ হাজার বা দেড় হাজারের রেঞ্জের ভিতরে পরবেন?
সতর্কতা এর ভিতরেই যে যোগাযোগ এর জন্য ফেসবুক ও জিমেইল একদম ব্যবহার না করা।
Comment