লিনাক্স কেন ব্যবহার করবেন এবং উইন্ডোজ নয়?
আসসালামু আলাইকুম।
পৃথিবীব্যাপি এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ হলেও, দিন দিন লিনাক্সের জনপ্রিয়তা তুমুলহারে বাড়ছে। বর্তমানে, পৃথিবীর প্রায় প্রতি চল্লিশ জনের একজন পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহারকারী লিনাক্স ব্যবহার করে। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল, লিনাক্সের ব্যবহার পার্সোনাল কম্পিউটারে কিন্তু মোটামুটি ২০০৪ সালে উবুন্টুর মাধ্যমেই শুরু হয়। এর আগে পিসিতে লিনাক্স তেমন উপযুক্ত ছিল না।
লিনাক্সে আসার পূর্বে আসলেই বুঝিনি লিনাক্স কতটা দুর্দান্ত! এখন উইন্ডোজকে পুরো পানসে মনে হয়। লিনাক্স ব্যবহারের অনেক কারণই আছে, যা উইন্ডোজে নেই। তেমনই কিছু দিক তুলে ধরছি।
ভাইরাস? এটা কি?
লিনাক্সের সবচেয়ে ভাল দিক হল, এখানে ভাইরাসের যন্ত্রণা নেই বললেই চলে। এর দুটি কারণ আছে। উইন্ডোজ সবসময়ই ডেস্কটপ ইন্টারফেসের দিকে নজর রেখেছে। অথচ লিনাক্সের নিরাপত্তার দিকে নজর ছিল সবসময়ই। ফলে আজ উইন্ডোজিয়ানদের অবস্থা, ভাইরাসে ভাইরাসে জর্জরিত। আরেকটি বিষয় অস্বীকার করা যাবে না, ব্যবহারকারী কম হওয়ায় ভাইরাস নির্মাতাদের ফোকাস লিনাক্সের দিকে একটু কমই থাকে।
তবে ভাবার কারণ নেই, লিনাক্সে ভাইরাস নেই। কিন্তু পরিমাণ উইন্ডোজের তুলনায় খুবই নগণ্য। আর আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
উইন্ডোজের ক্ষেত্রে আপনি খুব কম সময়ই একটা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারবেন। আমি বলতে চাচ্ছি, বেশিরভাগ সময়ই একটা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে গেলে তার সাথে হাজারটা অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, ম্যালওয়্যার, এডওয়্যারের ঝামেলা পাবেন সম্পূর্ণ ফ্রি! কিন্তু লিনাক্সে এরকম ভয় নেই!
পকেট হলে খালি!
উইন্ডোজ ব্যবহারের দুইটা উপায় আছে, প্রথমত, পকেট থেকে দশ হাজার টাকা খসানো, দ্বিতীয়ত, পাইরেসি করা। কিন্তু লিনাক্সকে ধন্যবাদ, এর কোনটিরই প্রয়োজন নেই। বেশিরভাগ লিনাক্স ডিস্ট্রোই পাবেন সম্পুর্ণ বিনামূল্যে! আর এগুলো কিন্তু অনেক দিক দিয়েই উইন্ডোজের চেয়ে অনেক শক্তিশালী!
লিনাক্সে আমি নিরাপদ!
লিনাক্সের নিরাপত্তা বেষ্টনী অনেক শক্তিশালী!
লিনাক্স সবসময়ই নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। লিনাক্সে আপনার পিসির তথ্যগুলো উইন্ডোজ অপেক্ষা অনেকাংশেই নিরাপদ। এখানে কেউ চাইলেই আপনার কম্পিউটারের ক্ষতিসাধন করতে পারবে না! যেকোন এডমিনিস্ট্রেশনের কাজ করতে পাসওয়ার্ড প্রোভাইড করতে হবে। আপনি লিনাক্সে অনুভব করবেন অনেক নিরাপদ!
স্বাধীনতা কে না চায়?
লিনাক্সে আপনি পূর্ণ স্বাধীনতা আস্বাদন করতে পারবেন। উইন্ডোজ আপনি চাইলেই নিজের মত করে নিতে পারবেন না, কিন্তু লিনাক্সে সব দিক দিয়েই পাবেন পূর্ণ স্বাধীনতা। লিনাক্সের প্রায় সব ডিস্ট্রোই ব্যবহারকারীকে সোর্স উম্মুক্ত করে দেয়। ফলে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা থাকলে আপনি নিজের মত ডিস্ট্রো গড়ে নিতে পারেন। যেভাবে ডেবিয়ানের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে উবুন্টু আর উবুন্টুর উপর।
লিনাক্স অনেক পূর্নাঙ্গ!
লিনাক্সে আপনাকে অনলাইনে-অফলাইনে ডিভাইস ড্রাইভার খুঁজে বেড়াতে হবে না! অতি সাম্প্রতিক ভার্সনগুলোতে উইন্ডোজ এ বিষয়ে উন্নতি করেছে, কিন্তু তবু এখন পর্যন্ত লিনাক্স উইন্ডোজের চেয়ে অনেক বেশি পূর্ণাঙ্গ। লিনাক্সের বেশিরভাগ গ্রাফিকাল ডিস্ট্রোগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রায় সব সফটওয়্যার, ড্রাইভার প্রি ইন্সটলড থাকে। অন্যার প্রয়োজনীয় প্রোপ্রাইটরী ড্রাইভারগুলোও ইন্সটল করা খুবই সহজ!
পর্যাপ্ত ডিস্ট্রো
সবাই যেমন আলাদা, তেমনি দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ সবার আলাদা। অথচ উইন্ডোজে থাকলে বাণীটিকে বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু লিনাক্সে আপনি পাবেন পছন্দের মত বিভিন্ন ডিস্ট্রো! মানুষ হিসেবে আমি একটু অস্থির প্রকৃতির। এক ডিস্ট্রোতে বেশিদিন মন টেকে না। উইন্ডোজে থাকতে সর্বোচ্চ উইন্ডোজ ৭ বা ১০ এ সুইচ করতে পারতাম, তাও লেটেস্ট ডিস্ট্রো শুধু একটাই। আর লিনাক্সে? পাবেন শত শত অসাধারণ লেটেস্ট ডিস্ট্রো! ডেবিয়ান, ডিপিন, উবুন্টু, মিন্ট, এলিমেন্টরী, জরিন, আর্ক, মাঞ্জারো, ফিডোরা, . ডিস্ট্রোর অভাব নেই! আর বেশিরভাগই অসাধারণ! প্রতিটি ডিস্ট্রোতে আপনি এনভাইরনমেন্ট পরিবর্তন করতে পারবেন, এতে ইন্টারফেস সম্পূর্ণ বদলে যাবে! আর ছোটখাট পরিবর্তনের জন্য থিমিংয়ের সুবিধা তো থাকছেই! উইন্ডোজের থিমিং থেকে লিনাক্সের থিমিং অনেক কার্যকর। উইন্ডোজের থিম শুধু প্যানেল কালার আর ব্যাকগ্রাউন্ডই পরিবর্তন করে। কিন্তু উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্টের থিমগুলো বদলে দিবে অনেক কিছুই!
সম্পূর্ণই বিশ্বাসযোগ্য
'তারা আপনার পিসি বা ডিভাইসের সমস্ত কিছুই ট্র্যাক করছে। আপনার উপর নজর রাখছে। আপনি ওয়েবে কোথায় কি করছেন, পিসিতে কখন কোথায় কি করছেন, কি গান শুনছেন, কি ভিডিও দেখছেন সব নজরদারি করছে। এমনকি আপনার ওয়েব ক্যামের মাধ্যমে আপনার উপরেও নজর রাখছে।' অসম্ভব নয়। হতেই পারে আপনার উপর নজরদারি। সফটওয়্যার কোম্পানিটি না করলেও কোন গোয়েন্দা সংস্থা হয়ত করছে বা করছে অন্য কেউ।
আপনার সমস্ত তথ্য তাদের কাছে চলে যাওয়াটা কোন ব্যাপারই না। হ্যাক হতে পারে সমস্ত তথ্য। তারপর হয়ত আপনার সব তথ্য বিক্রি হয়ে যাবে অন্য কোথাও, আপনার অজান্তেই। হতেই পারে, মূল কোম্পানিটি না করলেও কোন হ্যাকার সেই কোম্পানির সার্ভার হ্যাক করে কোম্পানিটির সমস্ত ব্যবহারকারীর তথ্যও হ্যাক করতেই পারে। সারাবিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ দেখলে বোঝা যায় কতশত নামিদামী কোম্পানি গোপনে তাদের ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারী করছে।
মাইক্রোসফটের মত একটি কোম্পানি উইন্ডোস টেন এর জন্য একজন ব্যবহারকারীর যেসব তথ্য নিয়েছে সেটা কি আসলেই দরকার ছিল? মাইক্রোসফট ফ্রীতে উইন্ডোস টেন দিয়েছে কিছুদিন আগে। এর পেছনেও তো থাকতে পারে কোন কারণ। বলছি না গোপন কিছু আছে আছে, শুধু আশংকার কথাটা বললাম (কে জানে থাকতেও তো পারে। হতে পারে fbi মাইক্রোসফটকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে যার বদলে এই ফ্রী উইন্ডোস দেয়া। আর fbi হয়ত আপনার সমস্ত তথ্য পাবার ব্যবস্থাটাও করে রেখেছে মাইক্রোসফটকে টাকা দিয়ে😉😉😉। আর এইসমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্ত লিনাক্স। সম্পূর্ণই মুক্ত। লিনাক্সে নেই কোন ট্র্যাকিং, তথ্য সংগ্রহ বা এমন কিছু। আর তাই লিনাক্সকে আমি বিশ্বাস করি সম্পূর্ণই।
তাহলে, আপনার সিদ্ধান্ত আপনার হাতে! লিনাক্সের উম্মুক্ত জগৎ রইলো আপনার প্রতীক্ষায়!
আল্লাহ হাফেজ!
আসসালামু আলাইকুম।
পৃথিবীব্যাপি এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ হলেও, দিন দিন লিনাক্সের জনপ্রিয়তা তুমুলহারে বাড়ছে। বর্তমানে, পৃথিবীর প্রায় প্রতি চল্লিশ জনের একজন পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহারকারী লিনাক্স ব্যবহার করে। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল, লিনাক্সের ব্যবহার পার্সোনাল কম্পিউটারে কিন্তু মোটামুটি ২০০৪ সালে উবুন্টুর মাধ্যমেই শুরু হয়। এর আগে পিসিতে লিনাক্স তেমন উপযুক্ত ছিল না।
লিনাক্সে আসার পূর্বে আসলেই বুঝিনি লিনাক্স কতটা দুর্দান্ত! এখন উইন্ডোজকে পুরো পানসে মনে হয়। লিনাক্স ব্যবহারের অনেক কারণই আছে, যা উইন্ডোজে নেই। তেমনই কিছু দিক তুলে ধরছি।
ভাইরাস? এটা কি?
লিনাক্সের সবচেয়ে ভাল দিক হল, এখানে ভাইরাসের যন্ত্রণা নেই বললেই চলে। এর দুটি কারণ আছে। উইন্ডোজ সবসময়ই ডেস্কটপ ইন্টারফেসের দিকে নজর রেখেছে। অথচ লিনাক্সের নিরাপত্তার দিকে নজর ছিল সবসময়ই। ফলে আজ উইন্ডোজিয়ানদের অবস্থা, ভাইরাসে ভাইরাসে জর্জরিত। আরেকটি বিষয় অস্বীকার করা যাবে না, ব্যবহারকারী কম হওয়ায় ভাইরাস নির্মাতাদের ফোকাস লিনাক্সের দিকে একটু কমই থাকে।
তবে ভাবার কারণ নেই, লিনাক্সে ভাইরাস নেই। কিন্তু পরিমাণ উইন্ডোজের তুলনায় খুবই নগণ্য। আর আপনার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
উইন্ডোজের ক্ষেত্রে আপনি খুব কম সময়ই একটা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারবেন। আমি বলতে চাচ্ছি, বেশিরভাগ সময়ই একটা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে গেলে তার সাথে হাজারটা অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, ম্যালওয়্যার, এডওয়্যারের ঝামেলা পাবেন সম্পূর্ণ ফ্রি! কিন্তু লিনাক্সে এরকম ভয় নেই!
পকেট হলে খালি!
উইন্ডোজ ব্যবহারের দুইটা উপায় আছে, প্রথমত, পকেট থেকে দশ হাজার টাকা খসানো, দ্বিতীয়ত, পাইরেসি করা। কিন্তু লিনাক্সকে ধন্যবাদ, এর কোনটিরই প্রয়োজন নেই। বেশিরভাগ লিনাক্স ডিস্ট্রোই পাবেন সম্পুর্ণ বিনামূল্যে! আর এগুলো কিন্তু অনেক দিক দিয়েই উইন্ডোজের চেয়ে অনেক শক্তিশালী!
লিনাক্সে আমি নিরাপদ!
লিনাক্সের নিরাপত্তা বেষ্টনী অনেক শক্তিশালী!
লিনাক্স সবসময়ই নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। লিনাক্সে আপনার পিসির তথ্যগুলো উইন্ডোজ অপেক্ষা অনেকাংশেই নিরাপদ। এখানে কেউ চাইলেই আপনার কম্পিউটারের ক্ষতিসাধন করতে পারবে না! যেকোন এডমিনিস্ট্রেশনের কাজ করতে পাসওয়ার্ড প্রোভাইড করতে হবে। আপনি লিনাক্সে অনুভব করবেন অনেক নিরাপদ!
স্বাধীনতা কে না চায়?
লিনাক্সে আপনি পূর্ণ স্বাধীনতা আস্বাদন করতে পারবেন। উইন্ডোজ আপনি চাইলেই নিজের মত করে নিতে পারবেন না, কিন্তু লিনাক্সে সব দিক দিয়েই পাবেন পূর্ণ স্বাধীনতা। লিনাক্সের প্রায় সব ডিস্ট্রোই ব্যবহারকারীকে সোর্স উম্মুক্ত করে দেয়। ফলে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা থাকলে আপনি নিজের মত ডিস্ট্রো গড়ে নিতে পারেন। যেভাবে ডেবিয়ানের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে উবুন্টু আর উবুন্টুর উপর।
লিনাক্স অনেক পূর্নাঙ্গ!
লিনাক্সে আপনাকে অনলাইনে-অফলাইনে ডিভাইস ড্রাইভার খুঁজে বেড়াতে হবে না! অতি সাম্প্রতিক ভার্সনগুলোতে উইন্ডোজ এ বিষয়ে উন্নতি করেছে, কিন্তু তবু এখন পর্যন্ত লিনাক্স উইন্ডোজের চেয়ে অনেক বেশি পূর্ণাঙ্গ। লিনাক্সের বেশিরভাগ গ্রাফিকাল ডিস্ট্রোগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রায় সব সফটওয়্যার, ড্রাইভার প্রি ইন্সটলড থাকে। অন্যার প্রয়োজনীয় প্রোপ্রাইটরী ড্রাইভারগুলোও ইন্সটল করা খুবই সহজ!
পর্যাপ্ত ডিস্ট্রো
সবাই যেমন আলাদা, তেমনি দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ সবার আলাদা। অথচ উইন্ডোজে থাকলে বাণীটিকে বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু লিনাক্সে আপনি পাবেন পছন্দের মত বিভিন্ন ডিস্ট্রো! মানুষ হিসেবে আমি একটু অস্থির প্রকৃতির। এক ডিস্ট্রোতে বেশিদিন মন টেকে না। উইন্ডোজে থাকতে সর্বোচ্চ উইন্ডোজ ৭ বা ১০ এ সুইচ করতে পারতাম, তাও লেটেস্ট ডিস্ট্রো শুধু একটাই। আর লিনাক্সে? পাবেন শত শত অসাধারণ লেটেস্ট ডিস্ট্রো! ডেবিয়ান, ডিপিন, উবুন্টু, মিন্ট, এলিমেন্টরী, জরিন, আর্ক, মাঞ্জারো, ফিডোরা, . ডিস্ট্রোর অভাব নেই! আর বেশিরভাগই অসাধারণ! প্রতিটি ডিস্ট্রোতে আপনি এনভাইরনমেন্ট পরিবর্তন করতে পারবেন, এতে ইন্টারফেস সম্পূর্ণ বদলে যাবে! আর ছোটখাট পরিবর্তনের জন্য থিমিংয়ের সুবিধা তো থাকছেই! উইন্ডোজের থিমিং থেকে লিনাক্সের থিমিং অনেক কার্যকর। উইন্ডোজের থিম শুধু প্যানেল কালার আর ব্যাকগ্রাউন্ডই পরিবর্তন করে। কিন্তু উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্টের থিমগুলো বদলে দিবে অনেক কিছুই!
সম্পূর্ণই বিশ্বাসযোগ্য
'তারা আপনার পিসি বা ডিভাইসের সমস্ত কিছুই ট্র্যাক করছে। আপনার উপর নজর রাখছে। আপনি ওয়েবে কোথায় কি করছেন, পিসিতে কখন কোথায় কি করছেন, কি গান শুনছেন, কি ভিডিও দেখছেন সব নজরদারি করছে। এমনকি আপনার ওয়েব ক্যামের মাধ্যমে আপনার উপরেও নজর রাখছে।' অসম্ভব নয়। হতেই পারে আপনার উপর নজরদারি। সফটওয়্যার কোম্পানিটি না করলেও কোন গোয়েন্দা সংস্থা হয়ত করছে বা করছে অন্য কেউ।
আপনার সমস্ত তথ্য তাদের কাছে চলে যাওয়াটা কোন ব্যাপারই না। হ্যাক হতে পারে সমস্ত তথ্য। তারপর হয়ত আপনার সব তথ্য বিক্রি হয়ে যাবে অন্য কোথাও, আপনার অজান্তেই। হতেই পারে, মূল কোম্পানিটি না করলেও কোন হ্যাকার সেই কোম্পানির সার্ভার হ্যাক করে কোম্পানিটির সমস্ত ব্যবহারকারীর তথ্যও হ্যাক করতেই পারে। সারাবিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ দেখলে বোঝা যায় কতশত নামিদামী কোম্পানি গোপনে তাদের ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারী করছে।
মাইক্রোসফটের মত একটি কোম্পানি উইন্ডোস টেন এর জন্য একজন ব্যবহারকারীর যেসব তথ্য নিয়েছে সেটা কি আসলেই দরকার ছিল? মাইক্রোসফট ফ্রীতে উইন্ডোস টেন দিয়েছে কিছুদিন আগে। এর পেছনেও তো থাকতে পারে কোন কারণ। বলছি না গোপন কিছু আছে আছে, শুধু আশংকার কথাটা বললাম (কে জানে থাকতেও তো পারে। হতে পারে fbi মাইক্রোসফটকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে যার বদলে এই ফ্রী উইন্ডোস দেয়া। আর fbi হয়ত আপনার সমস্ত তথ্য পাবার ব্যবস্থাটাও করে রেখেছে মাইক্রোসফটকে টাকা দিয়ে😉😉😉। আর এইসমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্ত লিনাক্স। সম্পূর্ণই মুক্ত। লিনাক্সে নেই কোন ট্র্যাকিং, তথ্য সংগ্রহ বা এমন কিছু। আর তাই লিনাক্সকে আমি বিশ্বাস করি সম্পূর্ণই।
তাহলে, আপনার সিদ্ধান্ত আপনার হাতে! লিনাক্সের উম্মুক্ত জগৎ রইলো আপনার প্রতীক্ষায়!
আল্লাহ হাফেজ!
Comment