কোন বান্দা আখেরাতের পাথেয় হিসেবে যত কিছু সঞ্চয় করে রাখতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হল 'গোপন নেক আমল'। আরবিতে যাকে বলে الخبيئة الصالحة - আল খাবিআতুস সালিহা। এমন নেক আমল যা সম্পর্কে সে এবং আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। হতে পারে আমলগুলো খুবই ছোট। কিন্তু তা সম্পর্কে যেহেতু আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না তাই*সেই আমলগুলো অবশ্যই আল্লাহর কাছে 'মকবুল' হবে।
হতে পারে তা শেষ রাতের কয়েক রাকাত নামায। কিংবা রাতের শেষ প্রহরের ইস্তেগফার কিংবা নফল রোযা বা কোন এতিম বা কোন বিধবাকে দেয়া কিছু গোপন সাদাকা কিংবা বন্দি কোন মুসলিম ভাই কিংবা বোনকে করা একটু সহায়তা। কিংবা ঋণগ্রস্ত কোন ভাই বা বোনের ঋণ পরিশোধ করে দেয়া ইত্যাদি।
যে আমলগুলো এমন ভাবে করা হয়েছে যে তা সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
এ সব গোপন নেক আমল আল্লাহর প্রতি পাকা ঈমানের দলিল। কারণ, মুনাফিক কখনো গোপন নেক আমল করতে পারে না।
হযরত* যুবায়ের বিন আওয়াম রাযি. থেকে বর্ণিত , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
من استطاع منكم ان يكون له خبء من عمل صالح فليفعل .
*-তোমাদের মধ্যে কেউ কিছু গোপন নেক আমল সঞ্চয় করে রাখতে পারলে সে যেন তা করে।-সহীহ আল জামে
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত গুহায় আটকে পড়া বনি ইসরাইলের তিন ব্যক্তির ঘটনা আমাদের সবারই জানা। রিয়াদুস সালেহীনেও (হাদিস : 12) ঘটনাটি এসেছে। সেখানে গুহায় আটকে পড়ার পর সেই তিন ব্যক্তি তাদের গোপন নেক আমলের উসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া কবুলও করেছিলেন।
এবার আমরা নিজেরা একটু ভেবে দেখি, আমাদের এমন কোন নেক আমল আছে কি যা আমরা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় করেছি। যে আমল সম্পর্কে আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ জানে না। কোন বিপদে পড়লে আমরা কি বলতে পারব, হে আল্লাহ! আমাকে উমুক নেক আমলের উসিলায় বিপদ থেকে উদ্ধার করুন, যা আমি একমাত্র আপনার সন্তুষ্টি লাভের আশায় করেছিলাম।
যদি থাকে তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ আর যদি না থাকে তাহলে এখনই নিজের জন্য এমন বেশ কিছু গোপন নেক আমল সঞ্চয় করুন।
আমরা যদি সচেতন হই তাহলে আমাদের নফল আমলগুলোর মধ্যে অধিকাংশ আমলগুলোকেই খাবিয়া তথা গোপন নেক আমলে পরিনত করতে পারি।
আমরা আমাদের নেক আমলগুলোকে যত বেশি গোপন রাখব তার মূল্য আল্লাহর কাছে তত বেশি হবে এবং তা শয়তানের ঝুঁকি থেকেও তত বেশি মুক্ত থাকবে।
আমাদের সালাফদের একজনের মন্তব্য, মানুষ* তার গুনাহকে যে ভাবে গোপন রাখে নেক আমলগুলোকেও ঠিক ওভাবেই গোপন রাখা উচিত। বরং তা আরো বেশি গোপন রাখা উচিত।
গোপন নেক আমলের ওসিলায় ফিতনা ও পরীক্ষার সময় দ্বীনের উপর অবিচল থাকা সহজ হয়।
শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারিফী হাফি: বলেন, আমল যত গোপনে করা হবে এর মাধ্যমে দ্বীনের উপর তত বেশি দৃঢ়তা আসবে। ঠিক যেমন পেরেক কাঠের যত গভীরে পোঁতা হয় তা তত বেশি মজবুত হয়।
এজন্য আমাদের উচিত নেক আমল যথাসম্ভব অন্যদের থেকে গোপন রাখার চেষ্টা করা।
হযরত জয়নুল আবেদীন বিন হুসাইন রাহি.র মৃত্যুর পর তার পিঠে বোঝা বহনের চিহ্ন পাওয়া যায়। অথচ*জীবদ্দশায় তাঁকে কখনো কোন কিছু বহন করতে দেখা যায়নি। কিছুদিন পর যখন দেখা গেল তার এলাকার বেশ কিছু ঘরের লোকজন বলতে শুরু করল যে, তার মৃত্যুর পূর্বে কে যেন রাতের বেলা আমাদের ঘরের সামনে খাবার দিয়ে যেত এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। তখন সবাই বুঝতে পারল যে এটা হযরত যাইনুল আবেদীন রহ.রই কাজ। তিনিই রাতের বেলা খাবারের বোঝা বহন করে এতিম ও বিধবাদের ঘরের সামনে রেখে আসতেন।
হযরত দাউদ বিন আবূ হিন্দ রহ. দীর্ঘদিন পর্যন্ত নফল রোজা রেখেছেন। কেউ জানত না যে তিনি রোজা রাখেন। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে বাজারের দিকে চলে যেতেন। বাজারে গিয়ে খাবার অন্যদেরকে দিয়ে দিতেন। সন্ধ্যাবেলা বাড়ি এসে খাবার খেতেন। বাজারের লোকজন ভাবতো বাড়ি থেকে খেয়ে এসেছেন। আর বাড়ির লোকজন ভাবতো বাজারে গিয়ে খেয়েছেন।
হযরত আইয়ুব সাখতিয়ানী রহ. রাতে দীর্ঘ সময় নামাযে কাটাতেন। কিন্তু শেষ রাত হলে একটু উচু স্বরে তেলাওয়াত করতে শুরু করতেন মনে হত যেন এই মাত্র জেগেছেন।
ইমাম মালেক রহ.র ব্যাপারে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রহ. বলতেন, তাঁর মতো এত উঁচু মর্যাদা সম্পন্ন অন্য কাউকে আমি দেখিনি।
তিনি যে খুব বেশি নফল নামায পড়তেন, রোযা রাখতেন এমন নয় তবে তাঁর প্রচুর গোপন নেক আমল ছিল।
ইমাম ইবনুল জাউযী রহ. বলেন, আমি এমন বহু*লোক দেখেছি যারা নফল নামাজ, নফল রোজা ও অন্যান্য আমল অনেক করেন। কথাবার্তায় মনে হয় যেন খুব বিনয়ী। কিন্তু মানুষের অন্তরে তাদের প্রতি তেমন কোন আকর্ষণ নেই। এর বিপরীত এমন কিছু লোকও দেখেছি যারা বাহ্যত তত বেশি নফল নামাজ, নফল রোজা ও অন্যান্য আমল করেন না। কিন্তু তাদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা সীমাহীন। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে যা পেয়েছি তা হল, গোপন নেক আমল।
* গোপন নেক আমলের বিপরীত হলো গোপন গুনাহ। যা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে করা হয়। যা সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই জানেন। অন্য কেউ জানে না।
সালাফদের মধ্য হতে কোন একজন আলেম বলেছেন, কোন মুমিন গোপন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে বড় কোন বিপদে পড়তে পারে না। আর এর একমাত্র প্রতিষেধক হল গোপন নেক আমল।
এজন্যই হযরত যুবায়ের বিন আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, তোমরা বেশি পরিমাণে গোপন নেক আমল কর। কারণ সবারই কিছু না কিছু গোপন গুনাহ থাকে।
আমাদের থেকে যখনই কোন গোপন গুনাহ হয়ে যাবে সাথে সাথে বেশ কিছু গোপন নেক আমল করে ফেলব। তাহলে ইনশাআল্লাহ সেই গোপন নেক আমলের উসিলায় আল্লাহ তা'আলা গোপন গুনাহের কুপ্রভাব এবং শাস্তি থেকে রেহাই দেবেন।
গোপন নেক আমলের কিছু নমুনা
# নিজের ঘরে বা অন্য কোথাও একা থাকা কালে নফল নামায পড়া। বিশেষ করে শেষ রাতের নামায পড়া। মনোযোগ সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করা। দোয়া করা। নিজের জন্য। অন্য ভাইদের জন্য। সকল মুসলমানদের জন্য। নিজের গুনাহের কথা স্মরণ করে চোখ থেকে এক দু' অশ্রু ফেলা।
# নফল রোযা রাখা। প্রতি সোমবার ও বৃহ:পতি বার। আরবি মাসের মাঝামাঝি তিন দিন।
# নফল সাদাকা করা। দীনদার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনের মধ্যে যারা বাহ্যতঃ সচ্ছল কিন্তু মূলত অসচ্ছল তাদেরকে সাদাকা করা।
দীনের এমন কাজে সাদাকা করা যেখানে খুব কম মানুষই সাদাকা করে। যে কাজের সাথীরা কারো কাছে প্রয়োজনের কথা বলতেও পারেন না। অথচ প্রয়োজন অনেক বেশি।
# পশু,পাখি, পোকামাকড় ইত্যাদি থেকে কষ্ট* দূর করা। তাদের জন্য খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করা।
# বাহ্যত সচ্ছল কিন্তু ঋণগ্রস্ত এমন কোন ভাইয়ের ঋণ গোপনে পরিশোধ করে দেয়া।
# অন্যায় ভাবে বন্দী ভাইদের মুক্তির জন্য চেষ্টা করা। এ কাজে অর্থ ব্যয় করা। তাদের পরিবার-পরিজনের পিছনে অর্থ ব্যয় করা।
*
হতে পারে তা শেষ রাতের কয়েক রাকাত নামায। কিংবা রাতের শেষ প্রহরের ইস্তেগফার কিংবা নফল রোযা বা কোন এতিম বা কোন বিধবাকে দেয়া কিছু গোপন সাদাকা কিংবা বন্দি কোন মুসলিম ভাই কিংবা বোনকে করা একটু সহায়তা। কিংবা ঋণগ্রস্ত কোন ভাই বা বোনের ঋণ পরিশোধ করে দেয়া ইত্যাদি।
যে আমলগুলো এমন ভাবে করা হয়েছে যে তা সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
এ সব গোপন নেক আমল আল্লাহর প্রতি পাকা ঈমানের দলিল। কারণ, মুনাফিক কখনো গোপন নেক আমল করতে পারে না।
হযরত* যুবায়ের বিন আওয়াম রাযি. থেকে বর্ণিত , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
من استطاع منكم ان يكون له خبء من عمل صالح فليفعل .
*-তোমাদের মধ্যে কেউ কিছু গোপন নেক আমল সঞ্চয় করে রাখতে পারলে সে যেন তা করে।-সহীহ আল জামে
সহীহ বুখারীতে বর্ণিত গুহায় আটকে পড়া বনি ইসরাইলের তিন ব্যক্তির ঘটনা আমাদের সবারই জানা। রিয়াদুস সালেহীনেও (হাদিস : 12) ঘটনাটি এসেছে। সেখানে গুহায় আটকে পড়ার পর সেই তিন ব্যক্তি তাদের গোপন নেক আমলের উসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া কবুলও করেছিলেন।
এবার আমরা নিজেরা একটু ভেবে দেখি, আমাদের এমন কোন নেক আমল আছে কি যা আমরা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় করেছি। যে আমল সম্পর্কে আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ জানে না। কোন বিপদে পড়লে আমরা কি বলতে পারব, হে আল্লাহ! আমাকে উমুক নেক আমলের উসিলায় বিপদ থেকে উদ্ধার করুন, যা আমি একমাত্র আপনার সন্তুষ্টি লাভের আশায় করেছিলাম।
যদি থাকে তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ আর যদি না থাকে তাহলে এখনই নিজের জন্য এমন বেশ কিছু গোপন নেক আমল সঞ্চয় করুন।
আমরা যদি সচেতন হই তাহলে আমাদের নফল আমলগুলোর মধ্যে অধিকাংশ আমলগুলোকেই খাবিয়া তথা গোপন নেক আমলে পরিনত করতে পারি।
আমরা আমাদের নেক আমলগুলোকে যত বেশি গোপন রাখব তার মূল্য আল্লাহর কাছে তত বেশি হবে এবং তা শয়তানের ঝুঁকি থেকেও তত বেশি মুক্ত থাকবে।
আমাদের সালাফদের একজনের মন্তব্য, মানুষ* তার গুনাহকে যে ভাবে গোপন রাখে নেক আমলগুলোকেও ঠিক ওভাবেই গোপন রাখা উচিত। বরং তা আরো বেশি গোপন রাখা উচিত।
গোপন নেক আমলের ওসিলায় ফিতনা ও পরীক্ষার সময় দ্বীনের উপর অবিচল থাকা সহজ হয়।
শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারিফী হাফি: বলেন, আমল যত গোপনে করা হবে এর মাধ্যমে দ্বীনের উপর তত বেশি দৃঢ়তা আসবে। ঠিক যেমন পেরেক কাঠের যত গভীরে পোঁতা হয় তা তত বেশি মজবুত হয়।
এজন্য আমাদের উচিত নেক আমল যথাসম্ভব অন্যদের থেকে গোপন রাখার চেষ্টা করা।
হযরত জয়নুল আবেদীন বিন হুসাইন রাহি.র মৃত্যুর পর তার পিঠে বোঝা বহনের চিহ্ন পাওয়া যায়। অথচ*জীবদ্দশায় তাঁকে কখনো কোন কিছু বহন করতে দেখা যায়নি। কিছুদিন পর যখন দেখা গেল তার এলাকার বেশ কিছু ঘরের লোকজন বলতে শুরু করল যে, তার মৃত্যুর পূর্বে কে যেন রাতের বেলা আমাদের ঘরের সামনে খাবার দিয়ে যেত এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। তখন সবাই বুঝতে পারল যে এটা হযরত যাইনুল আবেদীন রহ.রই কাজ। তিনিই রাতের বেলা খাবারের বোঝা বহন করে এতিম ও বিধবাদের ঘরের সামনে রেখে আসতেন।
হযরত দাউদ বিন আবূ হিন্দ রহ. দীর্ঘদিন পর্যন্ত নফল রোজা রেখেছেন। কেউ জানত না যে তিনি রোজা রাখেন। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে বাজারের দিকে চলে যেতেন। বাজারে গিয়ে খাবার অন্যদেরকে দিয়ে দিতেন। সন্ধ্যাবেলা বাড়ি এসে খাবার খেতেন। বাজারের লোকজন ভাবতো বাড়ি থেকে খেয়ে এসেছেন। আর বাড়ির লোকজন ভাবতো বাজারে গিয়ে খেয়েছেন।
হযরত আইয়ুব সাখতিয়ানী রহ. রাতে দীর্ঘ সময় নামাযে কাটাতেন। কিন্তু শেষ রাত হলে একটু উচু স্বরে তেলাওয়াত করতে শুরু করতেন মনে হত যেন এই মাত্র জেগেছেন।
ইমাম মালেক রহ.র ব্যাপারে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রহ. বলতেন, তাঁর মতো এত উঁচু মর্যাদা সম্পন্ন অন্য কাউকে আমি দেখিনি।
তিনি যে খুব বেশি নফল নামায পড়তেন, রোযা রাখতেন এমন নয় তবে তাঁর প্রচুর গোপন নেক আমল ছিল।
ইমাম ইবনুল জাউযী রহ. বলেন, আমি এমন বহু*লোক দেখেছি যারা নফল নামাজ, নফল রোজা ও অন্যান্য আমল অনেক করেন। কথাবার্তায় মনে হয় যেন খুব বিনয়ী। কিন্তু মানুষের অন্তরে তাদের প্রতি তেমন কোন আকর্ষণ নেই। এর বিপরীত এমন কিছু লোকও দেখেছি যারা বাহ্যত তত বেশি নফল নামাজ, নফল রোজা ও অন্যান্য আমল করেন না। কিন্তু তাদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা সীমাহীন। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে যা পেয়েছি তা হল, গোপন নেক আমল।
* গোপন নেক আমলের বিপরীত হলো গোপন গুনাহ। যা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে করা হয়। যা সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই জানেন। অন্য কেউ জানে না।
সালাফদের মধ্য হতে কোন একজন আলেম বলেছেন, কোন মুমিন গোপন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে বড় কোন বিপদে পড়তে পারে না। আর এর একমাত্র প্রতিষেধক হল গোপন নেক আমল।
এজন্যই হযরত যুবায়ের বিন আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, তোমরা বেশি পরিমাণে গোপন নেক আমল কর। কারণ সবারই কিছু না কিছু গোপন গুনাহ থাকে।
আমাদের থেকে যখনই কোন গোপন গুনাহ হয়ে যাবে সাথে সাথে বেশ কিছু গোপন নেক আমল করে ফেলব। তাহলে ইনশাআল্লাহ সেই গোপন নেক আমলের উসিলায় আল্লাহ তা'আলা গোপন গুনাহের কুপ্রভাব এবং শাস্তি থেকে রেহাই দেবেন।
গোপন নেক আমলের কিছু নমুনা
# নিজের ঘরে বা অন্য কোথাও একা থাকা কালে নফল নামায পড়া। বিশেষ করে শেষ রাতের নামায পড়া। মনোযোগ সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করা। দোয়া করা। নিজের জন্য। অন্য ভাইদের জন্য। সকল মুসলমানদের জন্য। নিজের গুনাহের কথা স্মরণ করে চোখ থেকে এক দু' অশ্রু ফেলা।
# নফল রোযা রাখা। প্রতি সোমবার ও বৃহ:পতি বার। আরবি মাসের মাঝামাঝি তিন দিন।
# নফল সাদাকা করা। দীনদার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনের মধ্যে যারা বাহ্যতঃ সচ্ছল কিন্তু মূলত অসচ্ছল তাদেরকে সাদাকা করা।
দীনের এমন কাজে সাদাকা করা যেখানে খুব কম মানুষই সাদাকা করে। যে কাজের সাথীরা কারো কাছে প্রয়োজনের কথা বলতেও পারেন না। অথচ প্রয়োজন অনেক বেশি।
# পশু,পাখি, পোকামাকড় ইত্যাদি থেকে কষ্ট* দূর করা। তাদের জন্য খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করা।
# বাহ্যত সচ্ছল কিন্তু ঋণগ্রস্ত এমন কোন ভাইয়ের ঋণ গোপনে পরিশোধ করে দেয়া।
# অন্যায় ভাবে বন্দী ভাইদের মুক্তির জন্য চেষ্টা করা। এ কাজে অর্থ ব্যয় করা। তাদের পরিবার-পরিজনের পিছনে অর্থ ব্যয় করা।
*
Comment