বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইন্নালহামদালিল্লাহ।। অয়াসসালাতু অয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ।।
মুহতারাম ভাই সকল,
কেমন আছেন সবাই? আশা রাখি আল্লাহ তা'আলা আপনাদের উত্তম ঈমানি এবং আমলি হালতে রেখেছেন।।
পর সমাচার,
আমাদের দেশের বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে গ্রাম এলাকায় একটি বিষয় প্রচলন রয়েছে তা হলঃ ধরা যাক কিছু কিছু কাজ এলাকার সর্ব সাধারণের সামস্টিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাধা হয়।।
- মসজিদের মাসিক পরিচালনার খরচ।
- নদী/খাল পার হওয়ার জন্য নির্দিস্ট নৌকার মাঝির মাসিক খরচ।
ইত্যাদি।।
এখন গ্রামের সাধারণ জনগণ যেটা করে তা হল তাদের বাড়িতে প্রতি বার যে চাল দিয়ে ভাত রান্না হয় সেই চাল থেকে এক মুষ্টি পরিমাণ চাল বিভিন্ন খাত অনুযায়ী আলাদা করে রাখে। অর্থাৎ মসজিদের জন্য এক মুষ্টি, খেয়া পারের জন্য এক মুষ্টি ইত্যাদি। এভাবে সবাই জমাতে থাকেন। আর সপ্তাহান্তে কোন একজন প্রতিনিধি এসে সবার বাড়ি থেকে এটা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। গ্রামদেশে এটাকে সবাই মুষ্টির চাল বলে থাকে।
উপরের এই বিষয়টি উত্থাপন করার পিছনে কারণ হল আমাদের মধ্যে যাদের আর্থিক সঙ্গতি কিছুটা কম তাদের জন্য দান সদকা করার সুযোগ কম থাকে। আবার অভাবের সংসার থাকলে আসলে অর্থ কোন না কোন খাতে খরচ হয়েই যায়। তাই দেখা যায় মাস শেষে সেভাবে সদকা করার সুযোগ হয় না। আবার বাড়ির পুরুষরা বাইরে যাওয়ার ফলে হয়ত বিভিন্ন সময় ফকির-মিসকিনদের কিছু কিছু দান-সদকার সুযোগ পান কিন্তু বাড়ির গৃহিণীরা এটা থেকে বঞ্চিত থাকেন। এজন্য খুব সহজে প্রতিদিন যত বেলা ভাত রান্না হবে তত বেলা দান করার এটি একটি সহজ তরীকা হতে পারে ভেবে আপনাদের সাথে এটি শেয়ার করা। এটার উপরে আমল করলে ২/১ জন সদস্যের পরিবার নিশ্চিন্তে ১০০/১৫০ টাকা প্রতি মাসে সাদাকা করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ।। এটার দ্বারা সম্ভাব্য আরও যে ফায়দা হতে পারেঃ
- প্রতিদিন দান করতে থাকায় দান সদকা করার একটি মানসিকতা তৈরি হতে পারে যা ভবিষ্যতে আরও বেশী দান করতে উৎসাহিত করতে পারে।
- সামর্থ্য সীমিত থাকলেও আপনি দানকারির খাতায় নিজের নাম উঠাতে পারেন।
- পরিবারের সদস্যদের দান করার শিক্ষা দেওয়া এবং দান করার প্রতি উৎসাহিত করা (যেহেতু তাদের সামনে এটি ঘটছে এ থেকে তারা শিক্ষা নিতে পারেন)।
- খাবারে বরকত আসা।
- কৃপ্রণ মানসিকতাকে বশে নিয়ে আসা যেতে পারে ইনশা আল্লাহ।।
ইত্যাদি।।
আল্লাহ সুবহানুতাআলা আমাদের বেশী বেশী দান-সদকা করার তৌফিক দান করুন। আমিন।।
ইন্নালহামদালিল্লাহ।। অয়াসসালাতু অয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ।।
মুহতারাম ভাই সকল,
কেমন আছেন সবাই? আশা রাখি আল্লাহ তা'আলা আপনাদের উত্তম ঈমানি এবং আমলি হালতে রেখেছেন।।
পর সমাচার,
আমাদের দেশের বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে গ্রাম এলাকায় একটি বিষয় প্রচলন রয়েছে তা হলঃ ধরা যাক কিছু কিছু কাজ এলাকার সর্ব সাধারণের সামস্টিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাধা হয়।।
- মসজিদের মাসিক পরিচালনার খরচ।
- নদী/খাল পার হওয়ার জন্য নির্দিস্ট নৌকার মাঝির মাসিক খরচ।
ইত্যাদি।।
এখন গ্রামের সাধারণ জনগণ যেটা করে তা হল তাদের বাড়িতে প্রতি বার যে চাল দিয়ে ভাত রান্না হয় সেই চাল থেকে এক মুষ্টি পরিমাণ চাল বিভিন্ন খাত অনুযায়ী আলাদা করে রাখে। অর্থাৎ মসজিদের জন্য এক মুষ্টি, খেয়া পারের জন্য এক মুষ্টি ইত্যাদি। এভাবে সবাই জমাতে থাকেন। আর সপ্তাহান্তে কোন একজন প্রতিনিধি এসে সবার বাড়ি থেকে এটা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। গ্রামদেশে এটাকে সবাই মুষ্টির চাল বলে থাকে।
উপরের এই বিষয়টি উত্থাপন করার পিছনে কারণ হল আমাদের মধ্যে যাদের আর্থিক সঙ্গতি কিছুটা কম তাদের জন্য দান সদকা করার সুযোগ কম থাকে। আবার অভাবের সংসার থাকলে আসলে অর্থ কোন না কোন খাতে খরচ হয়েই যায়। তাই দেখা যায় মাস শেষে সেভাবে সদকা করার সুযোগ হয় না। আবার বাড়ির পুরুষরা বাইরে যাওয়ার ফলে হয়ত বিভিন্ন সময় ফকির-মিসকিনদের কিছু কিছু দান-সদকার সুযোগ পান কিন্তু বাড়ির গৃহিণীরা এটা থেকে বঞ্চিত থাকেন। এজন্য খুব সহজে প্রতিদিন যত বেলা ভাত রান্না হবে তত বেলা দান করার এটি একটি সহজ তরীকা হতে পারে ভেবে আপনাদের সাথে এটি শেয়ার করা। এটার উপরে আমল করলে ২/১ জন সদস্যের পরিবার নিশ্চিন্তে ১০০/১৫০ টাকা প্রতি মাসে সাদাকা করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ।। এটার দ্বারা সম্ভাব্য আরও যে ফায়দা হতে পারেঃ
- প্রতিদিন দান করতে থাকায় দান সদকা করার একটি মানসিকতা তৈরি হতে পারে যা ভবিষ্যতে আরও বেশী দান করতে উৎসাহিত করতে পারে।
- সামর্থ্য সীমিত থাকলেও আপনি দানকারির খাতায় নিজের নাম উঠাতে পারেন।
- পরিবারের সদস্যদের দান করার শিক্ষা দেওয়া এবং দান করার প্রতি উৎসাহিত করা (যেহেতু তাদের সামনে এটি ঘটছে এ থেকে তারা শিক্ষা নিতে পারেন)।
- খাবারে বরকত আসা।
- কৃপ্রণ মানসিকতাকে বশে নিয়ে আসা যেতে পারে ইনশা আল্লাহ।।
ইত্যাদি।।
আল্লাহ সুবহানুতাআলা আমাদের বেশী বেশী দান-সদকা করার তৌফিক দান করুন। আমিন।।
Comment