মুফতি রফি উসমানী বাঃ দাঃ লিখেছেন।
হযরত শাইখুল হিন্দ (রহ) এর বাণী
আমার শ্রদ্বেয় পিতা মুফতি শফি সাহেব (রহ) (মুফতিয়ে আযম পাকিস্থান) বলতেন- জৈনক ব্যক্তি শাইখুল হিন্দ হযরত মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদ হাসান (রহ) কে জিজ্ঞাস করেন যে, সূফী দরবেশরা অনেক বছর পর্যন্ত তাদের মুরিদদেরকে যে ধরনের মুজাহাদা ও সাধনা করান, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের দ্বারা এমন মুজাহাদা করাতেন না। তাহলে সূফীয়ে কেরাম কেন তা করান?
হযরত শাইখুল হিন্দ রহ. উত্তরে বললেন- আসল কথা হল এই যে, তরিকতের মধ্যে মুজাহাদা ও সাধনা মূল উদ্যেশ্য না। মূল উদ্যেশ্য হলো আত্বার সংশোধন। যার উদ্যেশ্য হল- আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক সঠিক ও সুদৃঢ় করা এবং নফসকে শরিয়তের আনুগত্য করতে অভ্যস্ত করা। এ উদ্যেশ্য অর্জনের লক্ষে নফসের চিকিৎসারুপে এ সমস্ত মুজাহাদা করানো হয়। যাতে নফস কষ্ট করতে এবং স্বীয় কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধচারণে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এরুপ অভ্যস্ত হয়ে গেলে তার জন্য শরিয়তের অনুশীলন সহজ হয়ে যায়। তখন শরিয়তের উপর আমল করতে শুধু পদপ্রদর্শনের প্রয়োজন পড়ে। আর মুর্শিদ এ কাজটিই সম্পাদন করে থাকেন।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচার্যে শুধুমাত্র জিহাদের দ্বারাই সাহাবায়ে কেরামের এ উদ্দেশ্য এতো অধিক পরিমানে অর্জন হতো যে, তাদের অন্য কোন মুজাহাদা বা সাধনার প্রয়োজন ছিল না। তারা একটি মাত্র জিহাদের দ্বারাই আধ্যাত্বিকতার এমন উচ্চমার্কসমূহ অতিক্রম করতেন যা অন্যদের বছরকে বছর মুজাহাদা করার দ্বারা অর্জন হয় না।
এখনো যদি কোন লোক কামেল মুর্শিদের বা কোরআন- সুন্নাহর গভীর জ্ঞানের অধিকারী হক্বানী কোন আলেমের তত্ববধানে থেকে আল্লাহর পথে জিহাদে লিপ্ত থাকে, তাহলে তাদের অধিক মুজাহাদার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ জিহাদ নিজেই একটা মুজাহাদা, যা আধ্যাত্বিক ও আভ্যন্তরীণ উন্নতি লাভ এবং তাআল্লুক মাআল্লার জন্য অব্যর্থ ব্যবস্থাপত্র।
আল্লাহর পথের মুজাহিদ, মুফতি রফি উসমানী দাঃ বাঃ( পৃঃ১৮২-১৮৩)
দেখুন শাইল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহ. আমাদের হাদিসের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি, ফিকহের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি, জিহাদের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি, তাসাওউফের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি। আর এঘটনা বর্নণাসূত্র সন্দেহাতীত। কিন্তু আজ আমরা আকাবিরদের নামে মিথ্যা প্রচার করে নফসের জিহাদের কারণে জিহাদের ফরজ বিধান আদায় করতে পারছি না।
হযরত শাইখুল হিন্দ (রহ) এর বাণী
আমার শ্রদ্বেয় পিতা মুফতি শফি সাহেব (রহ) (মুফতিয়ে আযম পাকিস্থান) বলতেন- জৈনক ব্যক্তি শাইখুল হিন্দ হযরত মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদ হাসান (রহ) কে জিজ্ঞাস করেন যে, সূফী দরবেশরা অনেক বছর পর্যন্ত তাদের মুরিদদেরকে যে ধরনের মুজাহাদা ও সাধনা করান, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের দ্বারা এমন মুজাহাদা করাতেন না। তাহলে সূফীয়ে কেরাম কেন তা করান?
হযরত শাইখুল হিন্দ রহ. উত্তরে বললেন- আসল কথা হল এই যে, তরিকতের মধ্যে মুজাহাদা ও সাধনা মূল উদ্যেশ্য না। মূল উদ্যেশ্য হলো আত্বার সংশোধন। যার উদ্যেশ্য হল- আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক সঠিক ও সুদৃঢ় করা এবং নফসকে শরিয়তের আনুগত্য করতে অভ্যস্ত করা। এ উদ্যেশ্য অর্জনের লক্ষে নফসের চিকিৎসারুপে এ সমস্ত মুজাহাদা করানো হয়। যাতে নফস কষ্ট করতে এবং স্বীয় কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধচারণে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এরুপ অভ্যস্ত হয়ে গেলে তার জন্য শরিয়তের অনুশীলন সহজ হয়ে যায়। তখন শরিয়তের উপর আমল করতে শুধু পদপ্রদর্শনের প্রয়োজন পড়ে। আর মুর্শিদ এ কাজটিই সম্পাদন করে থাকেন।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচার্যে শুধুমাত্র জিহাদের দ্বারাই সাহাবায়ে কেরামের এ উদ্দেশ্য এতো অধিক পরিমানে অর্জন হতো যে, তাদের অন্য কোন মুজাহাদা বা সাধনার প্রয়োজন ছিল না। তারা একটি মাত্র জিহাদের দ্বারাই আধ্যাত্বিকতার এমন উচ্চমার্কসমূহ অতিক্রম করতেন যা অন্যদের বছরকে বছর মুজাহাদা করার দ্বারা অর্জন হয় না।
এখনো যদি কোন লোক কামেল মুর্শিদের বা কোরআন- সুন্নাহর গভীর জ্ঞানের অধিকারী হক্বানী কোন আলেমের তত্ববধানে থেকে আল্লাহর পথে জিহাদে লিপ্ত থাকে, তাহলে তাদের অধিক মুজাহাদার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ জিহাদ নিজেই একটা মুজাহাদা, যা আধ্যাত্বিক ও আভ্যন্তরীণ উন্নতি লাভ এবং তাআল্লুক মাআল্লার জন্য অব্যর্থ ব্যবস্থাপত্র।
আল্লাহর পথের মুজাহিদ, মুফতি রফি উসমানী দাঃ বাঃ( পৃঃ১৮২-১৮৩)
দেখুন শাইল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহ. আমাদের হাদিসের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি, ফিকহের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি, জিহাদের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি, তাসাওউফের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি। আর এঘটনা বর্নণাসূত্র সন্দেহাতীত। কিন্তু আজ আমরা আকাবিরদের নামে মিথ্যা প্রচার করে নফসের জিহাদের কারণে জিহাদের ফরজ বিধান আদায় করতে পারছি না।
Comment