#* আল্লাহ তাআলা বলেন,
*ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ .
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাকো বিনয় ও কাকুতি-মিনতি সহকারে এবং চুপিসারে। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
সূরা আরাফ : 55
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ .
যখন তোমরা নামায সম্পন্ন করো তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত (সর্বাবস্থায়) অবস্থায় আল্লাহর যিকির করো। সূরা নিসা : 103
# হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাযি. বলেন,
*أي بالليل والنهار، في البر والبحر والسفر والحضر والغنى والفقر والمرض والصحة والسر والعلانية.
আয়াতের উদ্দেশ্য হল, রাতে, দিনে, স্থলে, জলে, সফরে, বাড়িতে, স্বচ্ছল অবস্থায়, অসচ্ছল অবস্থায়, অসুস্থ থাকা কালে, সুস্থ থাকা কালে, গোপনে, প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করো।
# ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন,
إن في دوام الذكر في الطريق والبيت والحضر والسفر والبقاع تكثيرا لشهود العبد يوم القيامة فإن البقعة والدار والجبل والأرض تشهد للذاكر يوم القيامة .
রাস্তায়, ঘরে, সফরে, মাঠে ময়দানে তথা সর্বত্র আল্লাহর যিকির করার দ্বারা কেয়ামতের দিন বান্দার পক্ষে সাক্ষ্য দানকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কারণ, (যেখানে যেখানে যিকির করা হয়েছে ওসব) মাঠ, বাড়িঘর, পাহাড়-পর্বত ও জমি সবই কেয়ামতের দিন যিকিরকারীর পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।
- আল ওয়াবিলুস সাইয়িব : 81
প্রথম আবেদন :
দোয়া ও আযকারের রুহ হল, অন্তরের বিনয়। আর এটি তখনই হয় যখন দোয়া ও আযকার অর্থ বুঝে, অর্থের প্রতি লক্ষ্য করে পড়া হয়। অর্থ বুঝা ছাড়া এমনি পড়লে যদিও ফায়েদা থেকে খালি না কিন্তু অর্থ বুঝে, অর্থের প্রতি মনোযোগ দিয়ে পড়া হলে ফায়দা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। দোয়ার মূল প্রাণও এটাই। অল্প কথায় বললে, দোয়া আসলে করার জিনিস। শুধু*পড়ার জিনিস না। এজন্য সবার খেদমতে আরয, যে সব দোয়া ও আযকার আমরা নিয়মিত পড়ি ধীরে ধীরে যদি এগুলোর অর্থ বুঝে নিই এবং পড়ার সময় অর্থের প্রতি লক্ষ্য করে দোয়া গুলো করি তাহলে ইনশাআল্লাহ দোয়ার দ্বারা কাঙ্ক্ষিত উপকারিতা আমরা পাবো। আপনি আল্লাহর কাছে কী চাচ্ছেন? তা যেন দোয়ার সময় আপনার অন্তরে উপস্থিত থাকে।
দ্বিতীয় আবেদন :
আমরা সকাল বিকালের আযকারগুলো যেমন গুরুত্বের সাথে পড়ে থাকি অন্যান্য সময়ের মাসনূন দুআগুলোও ওরকম গুরুত্বের সাথে পড়ার চেষ্টা করি। যেমন, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার দোয়া, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া, পানাহার করার দোয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি কখনো কোন দোয়া পড়তে ভুলে যাই তাহলে পরে যখনই মনে হবে তখনই পড়ে নেব। যেমন ধরুন, আপনি ঘর থেকে বের হলেন, কিছুদূর যাওয়ার পর বাসে উঠলেন, তখন মনে হল, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়াটা পড়া হয়নি। বাসে উঠার দোয়াটাও পড়া হয়নি। তাহলে এখন ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া, বাসে উঠার দোয়া দুটোই পড়ে নিন। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা দোয়া এক একটি ঔষধের মতো। ডাক্তার আপনাকে কোন ঔষধ দিলে যদি নির্ধারিত সময়ে তা খেতে ভুলে যান তাহলে পরে যখন মনে হয় তখন তো খেয়ে নেন। তাই না? ঠিক তেমনি এক একটি দোয়া আমাদের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেয়া এক একটি ঔষধের মতো। প্রত্যেকটা দোয়াতে এমন কিছু ফায়দা আছে যা লাভ করার জন্যই ওই দোয়াটা আমাদেরকে পড়তে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে পড়তে না পারলেও দোয়াটা যেন একদম ছুটে না যায়।
তৃতীয় আবেদন :
মাসনুন দোয়াগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের উচিত, প্রতিটি কাজের শুধু একটি বা দুটি দোয়া নয় বরং হাদিসে এক একটি কাজের যতগুলো দোয়া এসেছে ধীরে ধীরে সবগুলো দোয়া মুখস্থ করে ফেলার চেষ্টা করা এবং আমলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা। সাধারণ লোকজন যেমন কোন কাজের শুধু একটা বা দুইটা দোয়াই জানে আমরা যেন তাদের মতো না হই। আমাদের উচিত, ধীরে ধীরে প্রতিটা কাজের সবগুলো দোয়া মুখস্থ করে নেয়া। যেমন ধরুন, ঘুমানোর পূর্বে সাধারণভাবে সবাই একটি দোয়াই জানে কিন্তু হাদিসে ঘুমানোর পূর্বে সাত আটটা দোয়া এসেছে। 'হিসনুল মুসলিম' থেকে যদি আমরা ধীরে ধীরে দোয়াগুলো মুখস্থ করে নিয়মিত আমল করতে চেষ্টা করি তাহলে ইনশাআল্লাহ সকাল বিকালের আযকারের মতো এ দোয়াগুলোও আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। একজন মুজাহিদের জন্য দোয়া ও আযকার অনেক বড় হাতিয়ার।*
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করেন।
*
*ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ .
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাকো বিনয় ও কাকুতি-মিনতি সহকারে এবং চুপিসারে। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
সূরা আরাফ : 55
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ .
যখন তোমরা নামায সম্পন্ন করো তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত (সর্বাবস্থায়) অবস্থায় আল্লাহর যিকির করো। সূরা নিসা : 103
# হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাযি. বলেন,
*أي بالليل والنهار، في البر والبحر والسفر والحضر والغنى والفقر والمرض والصحة والسر والعلانية.
আয়াতের উদ্দেশ্য হল, রাতে, দিনে, স্থলে, জলে, সফরে, বাড়িতে, স্বচ্ছল অবস্থায়, অসচ্ছল অবস্থায়, অসুস্থ থাকা কালে, সুস্থ থাকা কালে, গোপনে, প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করো।
# ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন,
إن في دوام الذكر في الطريق والبيت والحضر والسفر والبقاع تكثيرا لشهود العبد يوم القيامة فإن البقعة والدار والجبل والأرض تشهد للذاكر يوم القيامة .
রাস্তায়, ঘরে, সফরে, মাঠে ময়দানে তথা সর্বত্র আল্লাহর যিকির করার দ্বারা কেয়ামতের দিন বান্দার পক্ষে সাক্ষ্য দানকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কারণ, (যেখানে যেখানে যিকির করা হয়েছে ওসব) মাঠ, বাড়িঘর, পাহাড়-পর্বত ও জমি সবই কেয়ামতের দিন যিকিরকারীর পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।
- আল ওয়াবিলুস সাইয়িব : 81
প্রথম আবেদন :
দোয়া ও আযকারের রুহ হল, অন্তরের বিনয়। আর এটি তখনই হয় যখন দোয়া ও আযকার অর্থ বুঝে, অর্থের প্রতি লক্ষ্য করে পড়া হয়। অর্থ বুঝা ছাড়া এমনি পড়লে যদিও ফায়েদা থেকে খালি না কিন্তু অর্থ বুঝে, অর্থের প্রতি মনোযোগ দিয়ে পড়া হলে ফায়দা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। দোয়ার মূল প্রাণও এটাই। অল্প কথায় বললে, দোয়া আসলে করার জিনিস। শুধু*পড়ার জিনিস না। এজন্য সবার খেদমতে আরয, যে সব দোয়া ও আযকার আমরা নিয়মিত পড়ি ধীরে ধীরে যদি এগুলোর অর্থ বুঝে নিই এবং পড়ার সময় অর্থের প্রতি লক্ষ্য করে দোয়া গুলো করি তাহলে ইনশাআল্লাহ দোয়ার দ্বারা কাঙ্ক্ষিত উপকারিতা আমরা পাবো। আপনি আল্লাহর কাছে কী চাচ্ছেন? তা যেন দোয়ার সময় আপনার অন্তরে উপস্থিত থাকে।
দ্বিতীয় আবেদন :
আমরা সকাল বিকালের আযকারগুলো যেমন গুরুত্বের সাথে পড়ে থাকি অন্যান্য সময়ের মাসনূন দুআগুলোও ওরকম গুরুত্বের সাথে পড়ার চেষ্টা করি। যেমন, ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার দোয়া, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া, পানাহার করার দোয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি কখনো কোন দোয়া পড়তে ভুলে যাই তাহলে পরে যখনই মনে হবে তখনই পড়ে নেব। যেমন ধরুন, আপনি ঘর থেকে বের হলেন, কিছুদূর যাওয়ার পর বাসে উঠলেন, তখন মনে হল, ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়াটা পড়া হয়নি। বাসে উঠার দোয়াটাও পড়া হয়নি। তাহলে এখন ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া, বাসে উঠার দোয়া দুটোই পড়ে নিন। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা দোয়া এক একটি ঔষধের মতো। ডাক্তার আপনাকে কোন ঔষধ দিলে যদি নির্ধারিত সময়ে তা খেতে ভুলে যান তাহলে পরে যখন মনে হয় তখন তো খেয়ে নেন। তাই না? ঠিক তেমনি এক একটি দোয়া আমাদের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেয়া এক একটি ঔষধের মতো। প্রত্যেকটা দোয়াতে এমন কিছু ফায়দা আছে যা লাভ করার জন্যই ওই দোয়াটা আমাদেরকে পড়তে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে পড়তে না পারলেও দোয়াটা যেন একদম ছুটে না যায়।
তৃতীয় আবেদন :
মাসনুন দোয়াগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের উচিত, প্রতিটি কাজের শুধু একটি বা দুটি দোয়া নয় বরং হাদিসে এক একটি কাজের যতগুলো দোয়া এসেছে ধীরে ধীরে সবগুলো দোয়া মুখস্থ করে ফেলার চেষ্টা করা এবং আমলে নিয়ে আসার চেষ্টা করা। সাধারণ লোকজন যেমন কোন কাজের শুধু একটা বা দুইটা দোয়াই জানে আমরা যেন তাদের মতো না হই। আমাদের উচিত, ধীরে ধীরে প্রতিটা কাজের সবগুলো দোয়া মুখস্থ করে নেয়া। যেমন ধরুন, ঘুমানোর পূর্বে সাধারণভাবে সবাই একটি দোয়াই জানে কিন্তু হাদিসে ঘুমানোর পূর্বে সাত আটটা দোয়া এসেছে। 'হিসনুল মুসলিম' থেকে যদি আমরা ধীরে ধীরে দোয়াগুলো মুখস্থ করে নিয়মিত আমল করতে চেষ্টা করি তাহলে ইনশাআল্লাহ সকাল বিকালের আযকারের মতো এ দোয়াগুলোও আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। একজন মুজাহিদের জন্য দোয়া ও আযকার অনেক বড় হাতিয়ার।*
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করেন।
*
Comment