“”এসো উত্তম চরিত্রে নিজেকে শোভিত করি।লজ্জা পর্ব ১।””
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন।ওয়াসসালাতু ওয়াসসালাম আলা রসুলিহিল আমিন।ওয়ালা আলিহি ওয়াছ হাবিহি আজ মাইন। আম্মাবাদ।প্রিয় উপস্হিতি,শিকর একটি গাছের মূল ভিত্তি হলেও, বস্তুুত গাছটির সৌন্দর্য নির্ভর করে তার শাখা প্রশাখার উপর।একটি গাছের ডালপালা বা শাখা প্রশাখা যত বেশী হবে তার শোভা ততই বৃদ্ধি পাবে।সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে তার ফলের পরিমানও। পক্ষান্তরে ডালপালাবিহীন একটি গাছ জীবিত থাকলেও তার যেমন কোন শোভা থাকে না।তেমনি তা থেকে কোন ফলও পাওয়া যায় না।এক সময় হয়তো গাছটি জীবনই হুমকীর মুখে পতিত হয়। ঠিক তেমনিভাবে ইসলাম নামক বৃক্ষটির মূল হলো ঈমান।এবং তার সত্তর এর ও বেশী শাখা প্রশাখা রয়েছে।এসব শাখা ঈমানের ভিতকে মজবুত করে।ঈমানদারের ঈমানের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলে।ঈমান শাখাসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ন শাখা হলো আল হায়া তথা লজ্জা।সহিহ মুসলিমে বর্নিত রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ঈমানের ষাট বা সত্তুরের অধিক শাখা রয়েছে আর তার মধ্য থেকে সর্বোত্তম শাখা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা। এবং সর্বনিম্ন বা সবচেয়ে ছোট শাখা হলো রাস্তা থেকে কস্টধায়ক বস্তুু সরিয়ে দেয়া। আর লজ্জা ঈমানেরই একটি অঙ্গ।লজ্জা বিষয়টা কি?আর আমরা কিভাবে বুঝবো আমাদের মাঝে লজ্জা আছে।লজ্জা হলো কোন অশ্লীল বা খারাপ কাজ করার সময় অন্তরে এক ধরনের সংকোচবোধ তৈরি হবে।এবং মন্দ কাজটি না করার খেয়াল অন্তরে অটুট থাকবে।একজন ব্যাক্তি ঠিক তখনই অশ্লীল বা খারাপ কাজে লিপ্ত হতে পারে তার মাঝে লজ্জা থাকে না।লজ্জা মানুষের এমনই এক উত্তম বৈশিষ্ট্য। যা আল্লাহ ছুবহানা ওয়া তায়ালা মানব জাতির মধ্য শুরু থেকে দিয়ে রেখেছেন। তাইতো সৃষ্টির প্রথম মানব মানবী আদম(আঃ) বা হাওয়া(আঃ) যখন ভুল করে নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করেন শাস্তি স্বরুফ তাদের শরীর জান্নাতি পোষাক খুলে যায়। তখন তারা লজ্জার কারনে নিজেদের সতর ঠেকে রেখেছিলো।সুতরাং লজ্জা হলো মানুষের স্বভাবগত বিষয়। কিন্তু মানুষ যখন পরিবার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাবে বিভিন্ন মন্দ কাজে জরিয়ে পরে।তখন তার থেকে চরিত্রের এই স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য এক সময় উঠে যায়।ফলে সে প্রবৃত্তির লালসা পূরনের মাঝেই উম্যাদ হয়ে যায়।এ কারনেই বলা হয় নির্লজ্জ ব্যাক্তি যে কোন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে।লজ্জা ঈমানের সকল শাখা প্রশাখার মূল উৎস স্বরুপ।এর দ্বারা মানুষ যাবতীয় গুনা ও খারাপ কাজ থেকে বেচে উঠতে পারে। লজ্জা কে দুভাগে ভাগ করা যায়।(১)শরীর লজ্জা। (২) সামাজিক লজ্জা।আল্লাহর তায়ালার ভয়ে সমস্ত গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।এবং সকল নেক কল্যানের কাজ আকরে ধরা হলো শরীর লজ্জা।আল্লাহ ছুবহানা তায়ালার ভয়ে সমস্ত গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।এবং সকল নেক কল্যানের কাজ আকরে ধরা হলো শরীর লজ্জা। আল্লাহ ছুবহানা তায়ালা সুরা নিসার ১০৮ নং আয়াতে বলেন, তারা মানুষ থেকে গোপন করতে চায় কিন্তুু আল্লাহর থেকে গোপন করে না, অথচ তিনি তাদের সংগেই আছেন রাতে যখন তারা, তিনি যা পছন্দ করেন না– এমন বিষয়ে পরামর্শ করে এবং তারা যা করে আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে আছেন। সুনানে তিরমিজি ও মুসনাদে আহমদে বর্নিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন একবার রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে যথাযথভাবে লজ্জা করো।তখন আমরা বললাম হে আল্লাহর রসুল আলহামদুলিল্লাহ, আমরা আল্লাহকে লজ্জা করি।রাসুল (সাঃ) বললেন, তোমরা যেভাবে করো এভাবে নয়। আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে লজ্জাশীলতা হচ্ছে,তুমি তোমার মাথাকে হেফাজত করবে।মাথা যা কিছু একত্রিত করেছে।অর্থাৎ চোখ, কান, মুখ এগুলো দ্বারা আল্লাহর নাফারমানি থেকে বিরত থাকবে।হারাম খানা পিনা ভক্ষন থেকে পেটকে হেফাজত করবে। এবং সে যা কিছু অন্তরভূক্ত করেছে তা থেকে মৃতু্্যকে স্মরন করো।তোমাদের মধ্যে যে ক্রমানয়ে পরিবর্তন ঘটেছে তুমি যে মৃতু্্যর মধ্যে এগিয়ে যাচ্ছো সেই কথাকে স্মরন করো।আর যেই ব্যাক্তি আখিরাত কামনা করবে সে ইহকালীন জীবনের চাকচিক্য পরিত্যাগ করবে। আর এগুলো করতে পারবে সেই আল্লাহর প্রতি যথাযথ লজ্জাশীলতা প্রদর্শন করল।মানুষ বা সমাজের ভয়ে কোন কাজ থেকে বিরত থাকা হলো সামাজিক লজ্জা। সামাজিক লজ্জার কারনে মানুষ যদি অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে থাহলে তা প্রশংসনিয়। তবে কেউ যদি মানুষ কি বলবে সমাজ এটাকে কিভাবে গ্রহন করবে।এসব ভেবে মানুষ ও সমাজকে লজ্জা করে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা থেকে বিরত থাকে তা হবে অতি নিন্দনীয়।প্রিয় উপস্হিতি, লজ্জা ও ঈমান এই দুটি জিনিষ একটি অপরটির সাথে ওতৎপোৎভাবে জরিত।যখন সমাজ থেকে লজ্জা চলে যায় তখন মানুষের ঈমান ও চলে যায়।আজকে এই নির্লজ্জতার কারনেই দিন দিন বেঈমানের সংখ্যা বাড়ছে। হাদীস শরীফে বর্নিত রয়েছে রাসুল(সাঃ)বলেছেন, লজ্জা ও ঈমান হচ্ছে একত্রে থাকা দুই সহোচর।যখন উভয়টার একটাকে উঠিয়ে নেয়া হবে। তখন অপরটাও উঠে যাবে।এই যে আমাদের সমাজে বর্তমানে এতো অশ্লীলতা এতো বেহায়াপনা কেন এসব বেড়ে চলছে কেন এতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এর মূল কারন হচ্ছে সমাজ থেকে বর্তমানে লজ্জা উঠে গেছে।আজকের সমাজের বাস্তবতা হলো এখন পরিবার থেকেই সন্তান নির্লজ্জতা শিখছে।মা বাবা সন্তানের সামনে বসে অশ্লীল মুভি সিরিয়াল দেখছে।পরিবারের সবাই একসাথে বসে নাটক সিনেমা দেখে বিনোদন করছে।মা তার সন্তানকে শর্ট পোষাক পরাচ্ছে।মেয়েকে খোলামেলা সাজে সাজিয়ে দিচ্ছে।এমন নির্লজ্জ পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারনেই এসব সন্তানরাই বড় হয়ে বেহায়াপনায় লিপ্ত হচ্ছে।উলঙ্গপনাকে ফ্যাশন বলছে।সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে নগ্নভাবে নিজেকে প্রদর্শন করছে।যদি মা বাবার মাঝে কিংচিৎ পরিমানও লজ্জা থাকত।নিজের মেয়েকে এমন অশ্লীলতায় লিপ্ত হতে দিতো না।ভাই তা বোনের ক্ষেত্ৰে এমন নির্লজ্জ হয়ে বাহিরে ঘুরে বেড়ানোকে সাপোর্ট করতো না।আজ সমাজে সুধু লজ্জা না থাকার কারনেই অবৈধ প্রেম , পরকিয়া মানুষের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে গুরে বেড়াচ্ছে।বাসায় এনে আড্ডায় মেতে উঠছে।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,যদি তোমার লজ্জা না থাকে তাহলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারো।জনৈক কবি বলছেন, তুমি যখন নির্জন রাতের পরিনতিকে ভয় না করবে এবং তোমার লজ্জা না থাকবে তখন তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারো। সুতরাং আল্লাহর কছম দিয়ে বলছি,সমাজ থেকে সুখ শান্তি দূর হয়ে যাওয়ার মৌলিক কারন হচ্ছে লজ্জা চলে যাওয়া।আবারও যদি সুখ শান্তিকে ফিরে পেতে হয়, আবারও যদি কল্যানের জীবনকে ফিরে পেতে যাই।তাহলে আমাদের লজ্জাশীল হতে হবে।বুখারী ও মুসলিমে বর্নিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, লজ্জা কল্যানই বয়ে আনে।সহিহ মুসলিমে অপর বর্ননায় এসেছে, লজ্জার সবটুকু কল্যানই কল্যান।প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আসুন আমরা লজ্জার ভূষনে নিজেকে শোভিত করি।নিজেদের সন্তান পরিবারের লোকদেরকে এই উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দেই।আল্লাহ ছুবহানা ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে লজ্জাশীল হওয়ার তওফিক দান করুন আমিন।ওমা আলাইনা ইল্লাল বালা।@ বেশী বেশী শেয়ার করুন
“”এসো উত্তম চরিত্রে নিজেকে শোভিত করি পর্ব ২
উত্তম চরিত্র পর্ব ২
সম্মানিত উপস্থিতি আমরা ধারাবাহিক ভাবে মুমিন এর আখলাক
নিয়ে আলোচন করছিলাম
আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বিনয় ও কোমলতা
বিনয় ও কমলোতা একজন সৎ চরিত্রবান মানুষ এর অন্যতম
উত্তম চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্য যা তাকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের মর্যাদার
উচ্চ্য আসনে সমশিন করতে সহায়তা করে
যে ব্যাক্তি যত বেশি বিনয় ও কমল হবে
ইহোকাল ও পরকালে সে তত বেশি মর্যাদা লাভ করবে
কেননা আমাদের মহান প্রতিপালক হচ্ছেন কমল
আর তিনি কমলতা কে পছন্দ করেন।
সহিহ বুখারির এক হাদিস এ বর্নিত হয়েছে
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন
নিশ্চই আল্লাহ কোমল তিনি সব বিষয় এর ক্ষেত্রে কমলতা পছন্দ করেন
সহিহ মুসলিম এ বর্নিত হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন
নিশ্চই আল্লাহ কমল তিনি কমলতা কে পছন্দ করেন এবং তিনি কমলতার কারনে
যে প্রতিদান দিয়ে থাকেন কঠোরতা বা অন্য কোনো আচরন এর কারনে ততটা
প্রতিদান দেন না।
অপর এক হাদিস এ বর্নিত হয়েছে
যাকে কোমলতা বা নম্রতার কিছু অংশ হয়েছে তাকে দুনিয়া ও আখিরাত
এর বিরাট কল্যান এর অংশ দেওয়া হয়েছে
আর যাকে কমলতা ও নিম্রতার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে
তাকে দুনিয়া ও আখিরাত এর বিরাট কল্যান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে
রাসুলুল্লহা (সাঃ) আরো বলেছেন
নিশচয় আল্লাহ হাজ্জা ওয়াজাল নম্রতার কারনে যা দান করেন কোঠোরতার কারনে
তা দান করেন না।
আল্লাহ যখন কোনো বান্দা কে ভালোবাসেন তখন তাকে নম্রতার মত নেয়ামত দান করেন।
কোনো।গৃহ বাসি নম্রতা পরিহার করলে তারা কেবল কল্যান থেকেই বঞ্চিত হয়
সুনানে তিরমিজির অপর এক হাদিস এ বর্নিত হয়েছে
আমি কি তুমাদের জানিয়ে দিব না কে জাহান্নাম এর জন্য হারাম
অথবা কার জন্য জাহান্নাম কে হারাম করা হয়েছে
জাহান্নাম প্রত্যেক এই ব্যাক্তির জন্য হারাম
যে আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত নম্র ও কোমল
প্রিয় উপস্থিতি,
আজ যদি আমরা আমাদের সমাজ এর দিকে লক্ষ করি
কয়জন মানুষ এর মাঝে এই নম্রতা ও কোমলতার আচরন পরিলক্ষিত হয়
কয়জন কে আপন অবস্থান এ বিনয়ি দেখা যায়
অনেকের ই অবস্থা হলো এমন তারা নিজেদের
অধিন্সত দের সাথে অসহায় দুর্বল প্রকিতির লোক দের সাথেই
অকারনেই কঠোরতা করে সামান্য বেপার নিয়েই অন্যের উপর
চরা মেজাজ দেখায়
অগদুত্যপুর্ন আচরন করে দু চার টাকা নিয়ে ও খেটে খাওয়া ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মানুষ
দের সাথে ঝগরা শুরু করে এমন কি তাদের কে মারার জন্য উদ্ভুত্য হয় আসলেই কি
এটা তাদের সাথে করনিয়।
তারা কি এমন ব্যাবহার ই পাওয়ার যোগ্য যেখানে প্রয়োজন ছিল
তাদের কস্টের কথা ভেবে অভাব গ্রস্থতার কথা চিন্তা করে
কিছু টাকা আরো বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা তাদের সাথে মিস্টি ভাষায় কথা বলা
সেই খানে দেখা যায়। নিজের প্রভাব দেখানোর জন্য অশ্রাব্য গালি-গালাজ করতে থাকে।
ধমক এর সাথে হুকুম জাহির করে
সমাজ এ আজ প্রত্যেকে নিজের পদ পদবির প্রভাব খাটাতে চায়
সহজ ভাবে কোনো কাজ সম্পাদন করতে চায় না
উপরি পাওনা ছাড়া সামান্য উপকার এমন কি নিজের কর্তব্য টুকু ও পালন করতে রাজি
হয় না।
শাসক গুষ্টি ও তাদের আমলা দের অবস্থা তো একেবারে শোচনীয়
তাদের নৈতিক পদস্খলন ভ্রষ্টতার মাত্রা সিমা ছারিয়ে গেছে নিজের লোক দের
ছাড়া অন্য দের প্রতি তারা বিন্দু মাত্র নম্রতা দেখায় না
সর্বদা অন্য কে ফাসানোর কাযে লিপ্ত থাকে।
সহিহ মুসলিম এ বর্নিত হয়েছে
হে আল্লাহ যে আমার উম্মত এর কোনো রুপ করতৃত্বভার লাভ করে
এবং তাদের প্রতি কঠোর আচরন করে
তুমি তাদের প্রতি কঠোর হও আর সে আমার উম্মত এর কোনো রুপ
কর্তৃত্ব ভার লাভ করে তাদের প্রতি নম্র আচরণ করে
তুমি তার প্রতি সদয় হও
আরো আশ্চর্য জনক অবস্থা হলো কেউ কোনো ভালো কাজ করছে তো সেটা
কে ও সহ্য করতে পারে না বরং তার মানহানি করতে মিথ্যাচার করতে তগাকে
এসব কেনো হচ্ছে এসব কেনো করা হচ্ছে এর কারন হচ্ছে বিনয়
এর অভাভ নম্রতা ও কমলোতার অভাব নিজেকেই বড় কিছু মনে করার কারনে এমন হচ্ছে
আজ রাস্তা ঘাট এ চলতে গেলে দেখেবেন হাটা চলার মাঝে ও কত মানুষ দাম্ভিকতা দেখাচ্ছে
অন্য কে তুচ্ছ জ্ঞান করছে অযথা কাউকে ছোট করে কথা বলছে
অথচ আল্লাহর অনুগত বান্দা দের সভাব হলো তারা গবে বিনয়ী ক
নম্র ভদ্র আল্লাহ সুবহানা ওতায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদ এ এরশাদ করছেন:
রহমান এর বান্দা তো তারাই যারা পৃথিবিতে নম্র ভাবে চলার ফেরা করে
এবং তাদের কে যখন অজ্ঞ লোকেরা সম্ভোধন করে তখন তারা বলে সালাম
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনি আল্লাহর জন্য অন্যের সাথে বিনয় ও কমলতার পরিচয় দিন।
মুসলিম ভাইদের প্রতি সদয় ও ঋদ্বতা-পুর্ন আচরন করুন
এতে আপনার মর্যাদা ও সম্মান একটু ও কমবে না বরং তা আরো বৃদ্ধি পাবে
রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেছেন,
যে ব্যাক্তি আল্লাহর জন্য বিনয় হবে আল্লাহ তার মর্যাদা কে বৃদ্ধি করে দিবেন।
পরিশেষ এ একটি বিষয় আমাদের ভালো ভাবে জেনে রাখতে হবে
কিভাবে আমরা প্রত্যেক কাজে বিনয় ও কোমলতা পদর্শন করব?
আমাদের সালাফ দের মধ্য থেকে অন্যতম একজন সুফিয়ান সাওরি (রহঃ)
তিনি তার ছাত্র দের উদ্দ্যেশ্য করে বল্যেন
তোমরা কি জানো বিনয় ও কামলতা কি?
তারা বল্য হ
ে আবু মুহাম্মদ আপনি বলুন
তিনি বল্যেন বিনয় হচ্ছে প্রত্যেক বিষয় কে তার আপন স্থান এ
রাখা
যেমন,
কঠোরতা কে তার আপন স্থান এ রাখা, নম্রতা তার আপন স্থান এ রাখা
তরবারি কে তার আপন স্থান এ রাখা, চাবুক কে তার শিয় স্থান এ রাখা
এক কথায় প্রতিটি বস্তুকেই তার আপন স্থান এ রাখার নামই হলো বিনয় ও কমলতা
এই বিষয় টি খুব ভালোভাবেই আমাদের সরন রাখতে হবে
প্রতিটি বস্তুকেই তার আপন স্থান এ রাখাকেই বিনয় বা কমলতা বলা হয়।
সুতরাং, নামাজ কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
রোজা কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
হজ্ব কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
যাকাত কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
দাওয়াত ও তাবলীগ কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
ঠিক তেমন ই জিহাদ ও ক্বিতাল কে আপন স্থান এ রাখার নাম ই হলো কমলতা
আল্লাহর প্রতিটি হুকুমের বাস্তবায়ন ঠিক সেভাবেই করতে যেভাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে গেছেন আর সেভাবে করলেই তা হবে এই ক্ষেত্রে বিনয় ও কামলতার পরিচয়
আল্লাহ সুবাহান ওতায়ালা আমাদেরকে বিনিয় ও কমলতার সঠিক অর্থ বুজে আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন।ওয়াসসালাতু ওয়াসসালাম আলা রসুলিহিল আমিন।ওয়ালা আলিহি ওয়াছ হাবিহি আজ মাইন। আম্মাবাদ।প্রিয় উপস্হিতি,শিকর একটি গাছের মূল ভিত্তি হলেও, বস্তুুত গাছটির সৌন্দর্য নির্ভর করে তার শাখা প্রশাখার উপর।একটি গাছের ডালপালা বা শাখা প্রশাখা যত বেশী হবে তার শোভা ততই বৃদ্ধি পাবে।সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে তার ফলের পরিমানও। পক্ষান্তরে ডালপালাবিহীন একটি গাছ জীবিত থাকলেও তার যেমন কোন শোভা থাকে না।তেমনি তা থেকে কোন ফলও পাওয়া যায় না।এক সময় হয়তো গাছটি জীবনই হুমকীর মুখে পতিত হয়। ঠিক তেমনিভাবে ইসলাম নামক বৃক্ষটির মূল হলো ঈমান।এবং তার সত্তর এর ও বেশী শাখা প্রশাখা রয়েছে।এসব শাখা ঈমানের ভিতকে মজবুত করে।ঈমানদারের ঈমানের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলে।ঈমান শাখাসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ন শাখা হলো আল হায়া তথা লজ্জা।সহিহ মুসলিমে বর্নিত রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ঈমানের ষাট বা সত্তুরের অধিক শাখা রয়েছে আর তার মধ্য থেকে সর্বোত্তম শাখা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা। এবং সর্বনিম্ন বা সবচেয়ে ছোট শাখা হলো রাস্তা থেকে কস্টধায়ক বস্তুু সরিয়ে দেয়া। আর লজ্জা ঈমানেরই একটি অঙ্গ।লজ্জা বিষয়টা কি?আর আমরা কিভাবে বুঝবো আমাদের মাঝে লজ্জা আছে।লজ্জা হলো কোন অশ্লীল বা খারাপ কাজ করার সময় অন্তরে এক ধরনের সংকোচবোধ তৈরি হবে।এবং মন্দ কাজটি না করার খেয়াল অন্তরে অটুট থাকবে।একজন ব্যাক্তি ঠিক তখনই অশ্লীল বা খারাপ কাজে লিপ্ত হতে পারে তার মাঝে লজ্জা থাকে না।লজ্জা মানুষের এমনই এক উত্তম বৈশিষ্ট্য। যা আল্লাহ ছুবহানা ওয়া তায়ালা মানব জাতির মধ্য শুরু থেকে দিয়ে রেখেছেন। তাইতো সৃষ্টির প্রথম মানব মানবী আদম(আঃ) বা হাওয়া(আঃ) যখন ভুল করে নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করেন শাস্তি স্বরুফ তাদের শরীর জান্নাতি পোষাক খুলে যায়। তখন তারা লজ্জার কারনে নিজেদের সতর ঠেকে রেখেছিলো।সুতরাং লজ্জা হলো মানুষের স্বভাবগত বিষয়। কিন্তু মানুষ যখন পরিবার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাবে বিভিন্ন মন্দ কাজে জরিয়ে পরে।তখন তার থেকে চরিত্রের এই স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য এক সময় উঠে যায়।ফলে সে প্রবৃত্তির লালসা পূরনের মাঝেই উম্যাদ হয়ে যায়।এ কারনেই বলা হয় নির্লজ্জ ব্যাক্তি যে কোন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে।লজ্জা ঈমানের সকল শাখা প্রশাখার মূল উৎস স্বরুপ।এর দ্বারা মানুষ যাবতীয় গুনা ও খারাপ কাজ থেকে বেচে উঠতে পারে। লজ্জা কে দুভাগে ভাগ করা যায়।(১)শরীর লজ্জা। (২) সামাজিক লজ্জা।আল্লাহর তায়ালার ভয়ে সমস্ত গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।এবং সকল নেক কল্যানের কাজ আকরে ধরা হলো শরীর লজ্জা।আল্লাহ ছুবহানা তায়ালার ভয়ে সমস্ত গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।এবং সকল নেক কল্যানের কাজ আকরে ধরা হলো শরীর লজ্জা। আল্লাহ ছুবহানা তায়ালা সুরা নিসার ১০৮ নং আয়াতে বলেন, তারা মানুষ থেকে গোপন করতে চায় কিন্তুু আল্লাহর থেকে গোপন করে না, অথচ তিনি তাদের সংগেই আছেন রাতে যখন তারা, তিনি যা পছন্দ করেন না– এমন বিষয়ে পরামর্শ করে এবং তারা যা করে আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে আছেন। সুনানে তিরমিজি ও মুসনাদে আহমদে বর্নিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন একবার রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে যথাযথভাবে লজ্জা করো।তখন আমরা বললাম হে আল্লাহর রসুল আলহামদুলিল্লাহ, আমরা আল্লাহকে লজ্জা করি।রাসুল (সাঃ) বললেন, তোমরা যেভাবে করো এভাবে নয়। আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে লজ্জাশীলতা হচ্ছে,তুমি তোমার মাথাকে হেফাজত করবে।মাথা যা কিছু একত্রিত করেছে।অর্থাৎ চোখ, কান, মুখ এগুলো দ্বারা আল্লাহর নাফারমানি থেকে বিরত থাকবে।হারাম খানা পিনা ভক্ষন থেকে পেটকে হেফাজত করবে। এবং সে যা কিছু অন্তরভূক্ত করেছে তা থেকে মৃতু্্যকে স্মরন করো।তোমাদের মধ্যে যে ক্রমানয়ে পরিবর্তন ঘটেছে তুমি যে মৃতু্্যর মধ্যে এগিয়ে যাচ্ছো সেই কথাকে স্মরন করো।আর যেই ব্যাক্তি আখিরাত কামনা করবে সে ইহকালীন জীবনের চাকচিক্য পরিত্যাগ করবে। আর এগুলো করতে পারবে সেই আল্লাহর প্রতি যথাযথ লজ্জাশীলতা প্রদর্শন করল।মানুষ বা সমাজের ভয়ে কোন কাজ থেকে বিরত থাকা হলো সামাজিক লজ্জা। সামাজিক লজ্জার কারনে মানুষ যদি অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে থাহলে তা প্রশংসনিয়। তবে কেউ যদি মানুষ কি বলবে সমাজ এটাকে কিভাবে গ্রহন করবে।এসব ভেবে মানুষ ও সমাজকে লজ্জা করে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা থেকে বিরত থাকে তা হবে অতি নিন্দনীয়।প্রিয় উপস্হিতি, লজ্জা ও ঈমান এই দুটি জিনিষ একটি অপরটির সাথে ওতৎপোৎভাবে জরিত।যখন সমাজ থেকে লজ্জা চলে যায় তখন মানুষের ঈমান ও চলে যায়।আজকে এই নির্লজ্জতার কারনেই দিন দিন বেঈমানের সংখ্যা বাড়ছে। হাদীস শরীফে বর্নিত রয়েছে রাসুল(সাঃ)বলেছেন, লজ্জা ও ঈমান হচ্ছে একত্রে থাকা দুই সহোচর।যখন উভয়টার একটাকে উঠিয়ে নেয়া হবে। তখন অপরটাও উঠে যাবে।এই যে আমাদের সমাজে বর্তমানে এতো অশ্লীলতা এতো বেহায়াপনা কেন এসব বেড়ে চলছে কেন এতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এর মূল কারন হচ্ছে সমাজ থেকে বর্তমানে লজ্জা উঠে গেছে।আজকের সমাজের বাস্তবতা হলো এখন পরিবার থেকেই সন্তান নির্লজ্জতা শিখছে।মা বাবা সন্তানের সামনে বসে অশ্লীল মুভি সিরিয়াল দেখছে।পরিবারের সবাই একসাথে বসে নাটক সিনেমা দেখে বিনোদন করছে।মা তার সন্তানকে শর্ট পোষাক পরাচ্ছে।মেয়েকে খোলামেলা সাজে সাজিয়ে দিচ্ছে।এমন নির্লজ্জ পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারনেই এসব সন্তানরাই বড় হয়ে বেহায়াপনায় লিপ্ত হচ্ছে।উলঙ্গপনাকে ফ্যাশন বলছে।সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে নগ্নভাবে নিজেকে প্রদর্শন করছে।যদি মা বাবার মাঝে কিংচিৎ পরিমানও লজ্জা থাকত।নিজের মেয়েকে এমন অশ্লীলতায় লিপ্ত হতে দিতো না।ভাই তা বোনের ক্ষেত্ৰে এমন নির্লজ্জ হয়ে বাহিরে ঘুরে বেড়ানোকে সাপোর্ট করতো না।আজ সমাজে সুধু লজ্জা না থাকার কারনেই অবৈধ প্রেম , পরকিয়া মানুষের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে গুরে বেড়াচ্ছে।বাসায় এনে আড্ডায় মেতে উঠছে।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,যদি তোমার লজ্জা না থাকে তাহলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারো।জনৈক কবি বলছেন, তুমি যখন নির্জন রাতের পরিনতিকে ভয় না করবে এবং তোমার লজ্জা না থাকবে তখন তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারো। সুতরাং আল্লাহর কছম দিয়ে বলছি,সমাজ থেকে সুখ শান্তি দূর হয়ে যাওয়ার মৌলিক কারন হচ্ছে লজ্জা চলে যাওয়া।আবারও যদি সুখ শান্তিকে ফিরে পেতে হয়, আবারও যদি কল্যানের জীবনকে ফিরে পেতে যাই।তাহলে আমাদের লজ্জাশীল হতে হবে।বুখারী ও মুসলিমে বর্নিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, লজ্জা কল্যানই বয়ে আনে।সহিহ মুসলিমে অপর বর্ননায় এসেছে, লজ্জার সবটুকু কল্যানই কল্যান।প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আসুন আমরা লজ্জার ভূষনে নিজেকে শোভিত করি।নিজেদের সন্তান পরিবারের লোকদেরকে এই উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দেই।আল্লাহ ছুবহানা ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে লজ্জাশীল হওয়ার তওফিক দান করুন আমিন।ওমা আলাইনা ইল্লাল বালা।@ বেশী বেশী শেয়ার করুন
“”এসো উত্তম চরিত্রে নিজেকে শোভিত করি পর্ব ২
উত্তম চরিত্র পর্ব ২
সম্মানিত উপস্থিতি আমরা ধারাবাহিক ভাবে মুমিন এর আখলাক
নিয়ে আলোচন করছিলাম
আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বিনয় ও কোমলতা
বিনয় ও কমলোতা একজন সৎ চরিত্রবান মানুষ এর অন্যতম
উত্তম চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্য যা তাকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের মর্যাদার
উচ্চ্য আসনে সমশিন করতে সহায়তা করে
যে ব্যাক্তি যত বেশি বিনয় ও কমল হবে
ইহোকাল ও পরকালে সে তত বেশি মর্যাদা লাভ করবে
কেননা আমাদের মহান প্রতিপালক হচ্ছেন কমল
আর তিনি কমলতা কে পছন্দ করেন।
সহিহ বুখারির এক হাদিস এ বর্নিত হয়েছে
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন
নিশ্চই আল্লাহ কোমল তিনি সব বিষয় এর ক্ষেত্রে কমলতা পছন্দ করেন
সহিহ মুসলিম এ বর্নিত হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন
নিশ্চই আল্লাহ কমল তিনি কমলতা কে পছন্দ করেন এবং তিনি কমলতার কারনে
যে প্রতিদান দিয়ে থাকেন কঠোরতা বা অন্য কোনো আচরন এর কারনে ততটা
প্রতিদান দেন না।
অপর এক হাদিস এ বর্নিত হয়েছে
যাকে কোমলতা বা নম্রতার কিছু অংশ হয়েছে তাকে দুনিয়া ও আখিরাত
এর বিরাট কল্যান এর অংশ দেওয়া হয়েছে
আর যাকে কমলতা ও নিম্রতার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে
তাকে দুনিয়া ও আখিরাত এর বিরাট কল্যান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে
রাসুলুল্লহা (সাঃ) আরো বলেছেন
নিশচয় আল্লাহ হাজ্জা ওয়াজাল নম্রতার কারনে যা দান করেন কোঠোরতার কারনে
তা দান করেন না।
আল্লাহ যখন কোনো বান্দা কে ভালোবাসেন তখন তাকে নম্রতার মত নেয়ামত দান করেন।
কোনো।গৃহ বাসি নম্রতা পরিহার করলে তারা কেবল কল্যান থেকেই বঞ্চিত হয়
সুনানে তিরমিজির অপর এক হাদিস এ বর্নিত হয়েছে
আমি কি তুমাদের জানিয়ে দিব না কে জাহান্নাম এর জন্য হারাম
অথবা কার জন্য জাহান্নাম কে হারাম করা হয়েছে
জাহান্নাম প্রত্যেক এই ব্যাক্তির জন্য হারাম
যে আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত নম্র ও কোমল
প্রিয় উপস্থিতি,
আজ যদি আমরা আমাদের সমাজ এর দিকে লক্ষ করি
কয়জন মানুষ এর মাঝে এই নম্রতা ও কোমলতার আচরন পরিলক্ষিত হয়
কয়জন কে আপন অবস্থান এ বিনয়ি দেখা যায়
অনেকের ই অবস্থা হলো এমন তারা নিজেদের
অধিন্সত দের সাথে অসহায় দুর্বল প্রকিতির লোক দের সাথেই
অকারনেই কঠোরতা করে সামান্য বেপার নিয়েই অন্যের উপর
চরা মেজাজ দেখায়
অগদুত্যপুর্ন আচরন করে দু চার টাকা নিয়ে ও খেটে খাওয়া ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মানুষ
দের সাথে ঝগরা শুরু করে এমন কি তাদের কে মারার জন্য উদ্ভুত্য হয় আসলেই কি
এটা তাদের সাথে করনিয়।
তারা কি এমন ব্যাবহার ই পাওয়ার যোগ্য যেখানে প্রয়োজন ছিল
তাদের কস্টের কথা ভেবে অভাব গ্রস্থতার কথা চিন্তা করে
কিছু টাকা আরো বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা তাদের সাথে মিস্টি ভাষায় কথা বলা
সেই খানে দেখা যায়। নিজের প্রভাব দেখানোর জন্য অশ্রাব্য গালি-গালাজ করতে থাকে।
ধমক এর সাথে হুকুম জাহির করে
সমাজ এ আজ প্রত্যেকে নিজের পদ পদবির প্রভাব খাটাতে চায়
সহজ ভাবে কোনো কাজ সম্পাদন করতে চায় না
উপরি পাওনা ছাড়া সামান্য উপকার এমন কি নিজের কর্তব্য টুকু ও পালন করতে রাজি
হয় না।
শাসক গুষ্টি ও তাদের আমলা দের অবস্থা তো একেবারে শোচনীয়
তাদের নৈতিক পদস্খলন ভ্রষ্টতার মাত্রা সিমা ছারিয়ে গেছে নিজের লোক দের
ছাড়া অন্য দের প্রতি তারা বিন্দু মাত্র নম্রতা দেখায় না
সর্বদা অন্য কে ফাসানোর কাযে লিপ্ত থাকে।
সহিহ মুসলিম এ বর্নিত হয়েছে
হে আল্লাহ যে আমার উম্মত এর কোনো রুপ করতৃত্বভার লাভ করে
এবং তাদের প্রতি কঠোর আচরন করে
তুমি তাদের প্রতি কঠোর হও আর সে আমার উম্মত এর কোনো রুপ
কর্তৃত্ব ভার লাভ করে তাদের প্রতি নম্র আচরণ করে
তুমি তার প্রতি সদয় হও
আরো আশ্চর্য জনক অবস্থা হলো কেউ কোনো ভালো কাজ করছে তো সেটা
কে ও সহ্য করতে পারে না বরং তার মানহানি করতে মিথ্যাচার করতে তগাকে
এসব কেনো হচ্ছে এসব কেনো করা হচ্ছে এর কারন হচ্ছে বিনয়
এর অভাভ নম্রতা ও কমলোতার অভাব নিজেকেই বড় কিছু মনে করার কারনে এমন হচ্ছে
আজ রাস্তা ঘাট এ চলতে গেলে দেখেবেন হাটা চলার মাঝে ও কত মানুষ দাম্ভিকতা দেখাচ্ছে
অন্য কে তুচ্ছ জ্ঞান করছে অযথা কাউকে ছোট করে কথা বলছে
অথচ আল্লাহর অনুগত বান্দা দের সভাব হলো তারা গবে বিনয়ী ক
নম্র ভদ্র আল্লাহ সুবহানা ওতায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদ এ এরশাদ করছেন:
রহমান এর বান্দা তো তারাই যারা পৃথিবিতে নম্র ভাবে চলার ফেরা করে
এবং তাদের কে যখন অজ্ঞ লোকেরা সম্ভোধন করে তখন তারা বলে সালাম
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনি আল্লাহর জন্য অন্যের সাথে বিনয় ও কমলতার পরিচয় দিন।
মুসলিম ভাইদের প্রতি সদয় ও ঋদ্বতা-পুর্ন আচরন করুন
এতে আপনার মর্যাদা ও সম্মান একটু ও কমবে না বরং তা আরো বৃদ্ধি পাবে
রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেছেন,
যে ব্যাক্তি আল্লাহর জন্য বিনয় হবে আল্লাহ তার মর্যাদা কে বৃদ্ধি করে দিবেন।
পরিশেষ এ একটি বিষয় আমাদের ভালো ভাবে জেনে রাখতে হবে
কিভাবে আমরা প্রত্যেক কাজে বিনয় ও কোমলতা পদর্শন করব?
আমাদের সালাফ দের মধ্য থেকে অন্যতম একজন সুফিয়ান সাওরি (রহঃ)
তিনি তার ছাত্র দের উদ্দ্যেশ্য করে বল্যেন
তোমরা কি জানো বিনয় ও কামলতা কি?
তারা বল্য হ
ে আবু মুহাম্মদ আপনি বলুন
তিনি বল্যেন বিনয় হচ্ছে প্রত্যেক বিষয় কে তার আপন স্থান এ
রাখা
যেমন,
কঠোরতা কে তার আপন স্থান এ রাখা, নম্রতা তার আপন স্থান এ রাখা
তরবারি কে তার আপন স্থান এ রাখা, চাবুক কে তার শিয় স্থান এ রাখা
এক কথায় প্রতিটি বস্তুকেই তার আপন স্থান এ রাখার নামই হলো বিনয় ও কমলতা
এই বিষয় টি খুব ভালোভাবেই আমাদের সরন রাখতে হবে
প্রতিটি বস্তুকেই তার আপন স্থান এ রাখাকেই বিনয় বা কমলতা বলা হয়।
সুতরাং, নামাজ কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
রোজা কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
হজ্ব কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
যাকাত কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
দাওয়াত ও তাবলীগ কে তার স্থান এ রাখার নাম কমলতা
ঠিক তেমন ই জিহাদ ও ক্বিতাল কে আপন স্থান এ রাখার নাম ই হলো কমলতা
আল্লাহর প্রতিটি হুকুমের বাস্তবায়ন ঠিক সেভাবেই করতে যেভাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে গেছেন আর সেভাবে করলেই তা হবে এই ক্ষেত্রে বিনয় ও কামলতার পরিচয়
আল্লাহ সুবাহান ওতায়ালা আমাদেরকে বিনিয় ও কমলতার সঠিক অর্থ বুজে আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন
Comment