উমর (রা) এর শিষ্টাচার

[Collected Notes]

শিষ্টাচার কাকে বলে এ নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে সংকীর্ন ধারনা রয়েছে। শত্রুতাপূর্ণ, রীতিবহির্ভূত, অনৈতিক কোন উক্তিকে নরমকথা ও ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় না। মুসলিম জাতিকে সীমাহীন অধঃপতনের দিকে নিয়ে যায় এমন রাস্তা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজন কঠোর তিরস্কারমূলক ভাষা।
.
ইবনে তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ রচিত ‘সারিম আল-মাসলুল’ এ একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, একদা একজন মুসলিম নামধারী ব্যক্তি ও একজন ইহুদীর মধ্যে বিবাদ হয় এবং তারা মীমাংসার জন্য রাসূল (সা) এর কাছে যান। রাসূল (সা) ইহুদী ব্যক্তিটির পক্ষে রায় দেন।
.
রাসূল (সা) এই রায় ঐ মুসলিম নামধারী ব্যক্তির পছন্দ হল না তাই সে বলল, চল আমরা উমার (রা) কাছে যায়, তিনি আমাদের মীমাংসা করবেন।
.
সুতরাং তারা উমার (রা) এর কাছে গেলেন এবং পুরো ঘটনা বর্ণনা করলেন। উমার (রা) বললেন, একটু অপেক্ষা কর, এই বলে তিনি (রা) বাড়ির মধ্যে গেলেন এবং ফিরে এসে ঐ মুসলিম নামধারী ব্যক্তির শিরশ্ছেদ করে দিলেন।
.
এই হল উমর (রা) এর শিষ্টাচারের নমুনা।
.
সুতরাং, পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী উচিৎ কাজটি করাই হল শিষ্টাচার।

[কালো পতাকাবাহী]

মাশা-আল্লাহ!

[internet]

মাশাল্লাহ, আখি সামনের চালিয়ে যান।