لا أبالي على أي حال أصبحت ؟ على ما أحب أم على ما أكره ؟ ذلك بأني لا أدري : الخيرة فيما أحب أم فيما أكره .
-سيدنا عمر بن الخطاب رضي الله عنه
56 : কী দিয়ে আমার দিন শুরু হয় আমি তার কোনও পরোয়া করি না। আমি যা পছন্দ করি তা দিয়ে? না যা অপছন্দ করি তা দিয়ে? কারণ, আমার তো জানা নেই, আমি যা পছন্দ করি তাতে আমার কল্যাণ, না যা আমি অপছন্দ করি তাতে কল্যাণ।
-হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাযি.; মাওয়ায়েযে সাহাবা রাযি : 29
•┈┈•
يروي عن الحسن البصري رحمه الله تعالى : أن رجلا شكا إليه الجدوبة، فقال له : استغفر الله
وشكا آخر : الفقر ، فقال له : استغفر الله
وشكا إليه آخر : جفاف بستانه ، فقال : استغفر الله
وقال له آخر : ادع الله أن يرزقني ولدا ، فقال : استغفر الله
فقيل له في ذلك
فقال : ما قلت من عندي شيئا ، إن الله تعالى يقول في سورة نوح :
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا . سورة نوح : ١٢،١١،١٠
57 : একবার এক ব্যক্তি হযরত হাসান বসরী রহ.র কাছে এসে অনাবৃষ্টির অভিযোগ করল তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি ইস্তেগফার পড়তে থাকো। আরেকজন এসে অভাব-অনটনের অভিযোগ করলো তাকেও বললেন, তুমি ইস্তেগফার পড়তে থাকো। তৃতীয় আরেকজন এসে তার বাগান শুকিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলে তাকেও বললেন, ইস্তেগফার পড়তে থাকো। চতুর্থ আরেকজন এসে বলল, আমার জন্য দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাকে সন্তান দান করেন তাকেও বললেন, তুমি ইস্তেগফার পড়তে থাকো। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি সবাইকে যে একই কথা বললেন, এর কী কারণ? তিনি উত্তরে বললেন, আমি এর কোনটাই নিজ থেকে বলিনি। কোরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُۥ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوٰلٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنّٰتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهٰرًا .
অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহাক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। সূরা নূহ : 10-12
নাহরুল খায়ের আলা আইসারিত তাফাসীর
•┈┈•
مصيبة تُقبِل بها على الله خير لك من نعمة تُنسيك ذكر الله .
58 : যে মুসিবত আপনাকে আল্লাহমুখী করে তা ওই নেয়ামত অপেক্ষা উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর কথা ভুলিয়ে দেয়।
-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
•┈┈•
قال ابن القيم رحمه الله : أفضل أهل كل عَمَلٍ أَكثرُهم فيه ذِكْرًا لله عز وجل
فأفضل الصُّوَّام أكثرهم ذِكرًا لله عز وجل
وأفضل المُتَصَدِّقِين أكثرهم ذِكرًا لله عز وجل
وأفضل الحُجَّاج أكثرهم ذِكرًا لله عز وجل
وهكذا سائر الأحوال.
الوابل الصيب لابن القيم ص: 75
59 : যে কোনো আমল কারীদের মধ্যে উত্তম হল তারা, যারা ওই আমল করার সময় অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করে। রোজাদারদের মধ্যে উত্তম হল, যারা রোজা রেখে অধিক পরিমাণে যিকির করে। সদকাকারীদের মধ্যে উত্তম হল, যারা সদকা করার সময় অধিক পরিমাণে যিকির করে। হাজীদের মধ্যে উত্তম হল, যারা হজ করার সময় বেশি পরিমাণে আল্লাহর যিকির করে। অন্যান্য সকল আমলের ব্যাপারেও একই কথা।
ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ.
•┈┈•
حضور القلب عند الدعاء شرط للإجابة،
أكثر دعاء الناس : {اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ }
ومع ذلك يَضِلُّون؛
لأن دعاء اللسان بلا حضور الجنان هذيان .
الشيخ عبدالعزيز الطريفي حفظه الله تعالى
60 : দোয়ার সময় অন্তরের উপস্থিতি দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত। মানুষ সবচেয়ে বেশি যে দোয়াটি করে তা হল,
{اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ }
আমাকে সিরাতে মুস্তাকিম তথা সরল পথ দেখান।
তা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ বিপথগামী। এর কারণ, অন্তরের উপস্থিতি ছাড়া শুধু ‘মুখের দোয়া’ তেমন কোনো ফল বয়ে আনে না। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কোনো গাফেল, উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না। জামে তিরমিযী : 3479)
শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারিফী হাফি.
-سيدنا عمر بن الخطاب رضي الله عنه
56 : কী দিয়ে আমার দিন শুরু হয় আমি তার কোনও পরোয়া করি না। আমি যা পছন্দ করি তা দিয়ে? না যা অপছন্দ করি তা দিয়ে? কারণ, আমার তো জানা নেই, আমি যা পছন্দ করি তাতে আমার কল্যাণ, না যা আমি অপছন্দ করি তাতে কল্যাণ।
-হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাযি.; মাওয়ায়েযে সাহাবা রাযি : 29
•┈┈•
يروي عن الحسن البصري رحمه الله تعالى : أن رجلا شكا إليه الجدوبة، فقال له : استغفر الله
وشكا آخر : الفقر ، فقال له : استغفر الله
وشكا إليه آخر : جفاف بستانه ، فقال : استغفر الله
وقال له آخر : ادع الله أن يرزقني ولدا ، فقال : استغفر الله
فقيل له في ذلك
فقال : ما قلت من عندي شيئا ، إن الله تعالى يقول في سورة نوح :
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا . سورة نوح : ١٢،١١،١٠
57 : একবার এক ব্যক্তি হযরত হাসান বসরী রহ.র কাছে এসে অনাবৃষ্টির অভিযোগ করল তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি ইস্তেগফার পড়তে থাকো। আরেকজন এসে অভাব-অনটনের অভিযোগ করলো তাকেও বললেন, তুমি ইস্তেগফার পড়তে থাকো। তৃতীয় আরেকজন এসে তার বাগান শুকিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলে তাকেও বললেন, ইস্তেগফার পড়তে থাকো। চতুর্থ আরেকজন এসে বলল, আমার জন্য দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাকে সন্তান দান করেন তাকেও বললেন, তুমি ইস্তেগফার পড়তে থাকো। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি সবাইকে যে একই কথা বললেন, এর কী কারণ? তিনি উত্তরে বললেন, আমি এর কোনটাই নিজ থেকে বলিনি। কোরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُۥ كَانَ غَفَّارًا يُرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوٰلٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنّٰتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهٰرًا .
অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহাক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। সূরা নূহ : 10-12
নাহরুল খায়ের আলা আইসারিত তাফাসীর
•┈┈•
مصيبة تُقبِل بها على الله خير لك من نعمة تُنسيك ذكر الله .
58 : যে মুসিবত আপনাকে আল্লাহমুখী করে তা ওই নেয়ামত অপেক্ষা উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর কথা ভুলিয়ে দেয়।
-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
•┈┈•
قال ابن القيم رحمه الله : أفضل أهل كل عَمَلٍ أَكثرُهم فيه ذِكْرًا لله عز وجل
فأفضل الصُّوَّام أكثرهم ذِكرًا لله عز وجل
وأفضل المُتَصَدِّقِين أكثرهم ذِكرًا لله عز وجل
وأفضل الحُجَّاج أكثرهم ذِكرًا لله عز وجل
وهكذا سائر الأحوال.
الوابل الصيب لابن القيم ص: 75
59 : যে কোনো আমল কারীদের মধ্যে উত্তম হল তারা, যারা ওই আমল করার সময় অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করে। রোজাদারদের মধ্যে উত্তম হল, যারা রোজা রেখে অধিক পরিমাণে যিকির করে। সদকাকারীদের মধ্যে উত্তম হল, যারা সদকা করার সময় অধিক পরিমাণে যিকির করে। হাজীদের মধ্যে উত্তম হল, যারা হজ করার সময় বেশি পরিমাণে আল্লাহর যিকির করে। অন্যান্য সকল আমলের ব্যাপারেও একই কথা।
ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ.
•┈┈•
حضور القلب عند الدعاء شرط للإجابة،
أكثر دعاء الناس : {اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ }
ومع ذلك يَضِلُّون؛
لأن دعاء اللسان بلا حضور الجنان هذيان .
الشيخ عبدالعزيز الطريفي حفظه الله تعالى
60 : দোয়ার সময় অন্তরের উপস্থিতি দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত। মানুষ সবচেয়ে বেশি যে দোয়াটি করে তা হল,
{اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ }
আমাকে সিরাতে মুস্তাকিম তথা সরল পথ দেখান।
তা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ বিপথগামী। এর কারণ, অন্তরের উপস্থিতি ছাড়া শুধু ‘মুখের দোয়া’ তেমন কোনো ফল বয়ে আনে না। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কোনো গাফেল, উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না। জামে তিরমিযী : 3479)
শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারিফী হাফি.
Comment