মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বলেছেন- ‘পৃথিবীর সব প্রাণীকেই মৃত্যু স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ অর্থাৎ জীবন যার আছে মৃত্যু তার সুনিশ্চিত। আর দুনিয়াতে সবচেয়ে কষ্টদায়ক হচ্ছে মৃত্যু। কারো আপন জনের মৃত্যুতে স্বজনের বিয়োগ ব্যাথাই নয় বরং মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিও প্রচণ্ড শারীরিক কষ্টের সম্মুখীন হন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মৃত্যুকালীন সময়ের এ কষ্টের বিবরণ তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন। আবার মৃত্যুর এ ভয়াবহতা থেকে মুক্তি লাভের সুস্পষ্ট আমলও শিখিয়ে গেছেন।
আমরা কয়েকটি পর্বে সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
১.মৃত্যুর স্বরণ ও আল্লাহ তায়ালার প্রতি সু-ধারণা
২.মৃত্যুর যন্ত্রণা
৩.মুমিন ও কাফেরের মৃত্যু
৪.ভালো মৃত্যুর উপায়
৫.শহীদদের মৃত্যু
৬.শহীদদের মৃত্যুর যন্ত্রণা কম হবার হাকিকত
মৃত্যুর স্বরণ ও আল্লাহ তায়ালার প্রতি সু-ধারণাঃ
আমরা এ পৃথিবিতে এমন ভাবে বসবাস করছি যেন,আমরা কখনোই মৃত্যুবরণ করবোনা।দুনিয়ার প্রতি অধিক ভালোবাসা আমাদেরকে মৃত্যুর স্বরণ থেকে গাফেল করে রেখেছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
হে মানব সম্প্রদায়! সুখ-শান্তি বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ করো।
(তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
হরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো হে আল্লাহর রাসুল সবচাইতে বুদ্ধিমান লোক কে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত থাকে।
(ইবনে মাজাহ)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
সংকটময় মুহূর্তে বান্দা যখন মৃত্যুকে স্মরণ করে, তখন তার এ স্মরণ সংকটময়তাকে দূর করে দেয় আর সুখের কালে মৃত্যুকে স্মরণ করে তখন এ স্মরণ তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে দূরে ঠেলে দেয়।
যখন মৃত্যু নিকটবর্তী হয় তখন আল্লাহর রহমতের আশাই অধিক হওয়া উচিত এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আগ্রহই প্রবল হওয়া উচিত। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে আগ্রহী হয় আল্লাহও তার সাক্ষাতে আগ্রহী হন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের প্রত্যেকে যেন শুধু এ অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে যে, সে আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করে।-
সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৮৭৭
তবে অনেক মূর্খ মুসলমান আল্লাহ তাআলার রহমত ও মাগফিরাতের অর্থ ভুল বোঝে এবং বেপরোয়াভাবে গুনাহয় লিপ্ত হয়;
মারূফ কারখী রাহ. বলেন, তুমি যার অনুগত নও, তার দয়ার আশা করা তোমার নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু নয়।
জনৈক আলিম বলেছেন, মাত্র তিন দিরহাম চুরি করার অপরাধে যিনি দুনিয়ায় তোমার একটি অঙ্গ কাটার আদেশ দিয়েছেন আখিরাতে যে তিনি এরূপ শাস্তি দিবেন না-তা তুমি কীভাবে নিশ্চিত হলে?----চলবে ইনশাল্লাহ............
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মৃত্যুকালীন সময়ের এ কষ্টের বিবরণ তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন। আবার মৃত্যুর এ ভয়াবহতা থেকে মুক্তি লাভের সুস্পষ্ট আমলও শিখিয়ে গেছেন।
আমরা কয়েকটি পর্বে সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
১.মৃত্যুর স্বরণ ও আল্লাহ তায়ালার প্রতি সু-ধারণা
২.মৃত্যুর যন্ত্রণা
৩.মুমিন ও কাফেরের মৃত্যু
৪.ভালো মৃত্যুর উপায়
৫.শহীদদের মৃত্যু
৬.শহীদদের মৃত্যুর যন্ত্রণা কম হবার হাকিকত
মৃত্যুর স্বরণ ও আল্লাহ তায়ালার প্রতি সু-ধারণাঃ
আমরা এ পৃথিবিতে এমন ভাবে বসবাস করছি যেন,আমরা কখনোই মৃত্যুবরণ করবোনা।দুনিয়ার প্রতি অধিক ভালোবাসা আমাদেরকে মৃত্যুর স্বরণ থেকে গাফেল করে রেখেছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
হে মানব সম্প্রদায়! সুখ-শান্তি বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ করো।
(তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
হরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো হে আল্লাহর রাসুল সবচাইতে বুদ্ধিমান লোক কে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত থাকে।
(ইবনে মাজাহ)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-
সংকটময় মুহূর্তে বান্দা যখন মৃত্যুকে স্মরণ করে, তখন তার এ স্মরণ সংকটময়তাকে দূর করে দেয় আর সুখের কালে মৃত্যুকে স্মরণ করে তখন এ স্মরণ তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে দূরে ঠেলে দেয়।
যখন মৃত্যু নিকটবর্তী হয় তখন আল্লাহর রহমতের আশাই অধিক হওয়া উচিত এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আগ্রহই প্রবল হওয়া উচিত। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে আগ্রহী হয় আল্লাহও তার সাক্ষাতে আগ্রহী হন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের প্রত্যেকে যেন শুধু এ অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে যে, সে আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করে।-
সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৮৭৭
তবে অনেক মূর্খ মুসলমান আল্লাহ তাআলার রহমত ও মাগফিরাতের অর্থ ভুল বোঝে এবং বেপরোয়াভাবে গুনাহয় লিপ্ত হয়;
মারূফ কারখী রাহ. বলেন, তুমি যার অনুগত নও, তার দয়ার আশা করা তোমার নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু নয়।
জনৈক আলিম বলেছেন, মাত্র তিন দিরহাম চুরি করার অপরাধে যিনি দুনিয়ায় তোমার একটি অঙ্গ কাটার আদেশ দিয়েছেন আখিরাতে যে তিনি এরূপ শাস্তি দিবেন না-তা তুমি কীভাবে নিশ্চিত হলে?----চলবে ইনশাল্লাহ............
Comment