আল্লাহর ভয়ে ইমাম আবু হানিফার ক্রন্দন!
-------------------------------------------------
y ইমাম আবু হানিফা রহ. -এর ক্রন্দনের আওয়াজ রাতে বাড়ির বাইরে থেকেও শোনা যেত। এমনকি তার প্রতিবেশীরা পর্যন্ত তার প্রতি উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ত। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ বলেন : আল্লাহর শপথ! আমি ইমাম আবু হানিফা রহ. -এর সান্নিধ্য লাভ করেছি। যখন আমি তার চেহারার প্রতি দৃষ্টিপাত করতাম তখন সাথে সাথে অনুভব হতো যে, তিনি আল্লাহ তাআলার ভয়ে মুহ্যমান। কাসেম ইবনে মাআন বর্ণনা করেন, এক রাতে ইমাম সাহেব রহ. এ আয়াত পাঠ করলেন :
بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ
“বরং কেয়ামত হল তাদের প্রতিশ্রুত সময়, আর উক্ত সময় হচ্ছে অতি বিপদসঙ্কুল ও তিক্ত”। (সূরাতুল কামার : ৪৬) সারারাত তিনি এ আয়াতটি বারংবার পড়তে থাকেন আর কেঁদে কেঁদে ব্যাকুল হলেন। [উকুদুল জিমান- ২২৪]
আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুসাম রহ. বলেন- যখনই আমি ইমাম আবু হানিফাকে রহ. দেখতাম তার চোখে ও চেহারায় ক্রন্দনের চিহ্ন দেখতে পেতাম। ইয়াযিদ ইবনে কুমাইত যিনি নিজেও একজন বিশিষ্ট আল্লাহর অলী ছিলেন, বলেন- ইমাম আবু হানিফা রহ. অতিমাত্রায় আল্লাহভীরু ছিলেন।
একবার আলি ইবনে হুসাইন মুয়াজ্জিন এশার নামাযে সূরায়ে যিলযাল পাঠ করেন : ইমাম আবু হানিফা রহ. ও জামাতে শরিক ছিলেন। নামায শেষ করে যখন সবাই যার যার গন্তব্যে চলে গেল তখন আমি ইমাম আবু হানিফাকে দেখলাম তিনি বেশ চিন্তিত ও বিষণ্ন অবস্থায় বসে আছেন। তার শ্বাস খুব দ্রুত বের হচ্ছে। আমি ভাবলাম, আমার এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত যাতে তার একাকিত্বে বিঘ্ন না ঘটে। সুতরাং আমি বাতি জ্বলা অবস্থায় মসজিদ থেকে বেরিয়ে এলাম।
আর ইমাম আবু হানিফা দাঁড়ানো অবস্থায় স্বীয় দাড়ি ধরে এ দোয়া করছেন- হে সত্তা, তুমি সরিষা পরিমাণ ভালো কাজের প্রতিদান ভালো দ্বারা দান করো এবং সরিষা পরিমাণ অন্যায়ের প্রতিদান আযাব দ্বারা দিয়ে থাক, তুমি তোমার বান্দা নোমানকে দোযখ এবং দোযখের নিকটবর্তীকারী বস্তু থেকে রক্ষা কর, তোমার প্রশস্ত দয়া ও অনুকম্পায় আমাকে শামিল কর। [উকুদুল জিমান : ২২৫]
ইয়াহইয়া ইবনে নসর বলেন : আমার আব্বাজান ছিলেন ইমাম আবু হানিফা রহ. -এর বন্ধু। এ সুবাদে আমি মাঝে মধ্যে আবু হানিফা রহ. -এর গৃহে রাত যাপন করতাম। আমি তাকে সারা রাত নামাযে মশগুল দেখতাম। বিছানার ওপর বৃষ্টি ঝরার ন্যায় অশ্রু ঝরার শব্দ হতো। [উকুদুল জিমান : ২৩০]
-------------------------------------------------
y ইমাম আবু হানিফা রহ. -এর ক্রন্দনের আওয়াজ রাতে বাড়ির বাইরে থেকেও শোনা যেত। এমনকি তার প্রতিবেশীরা পর্যন্ত তার প্রতি উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়ত। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ বলেন : আল্লাহর শপথ! আমি ইমাম আবু হানিফা রহ. -এর সান্নিধ্য লাভ করেছি। যখন আমি তার চেহারার প্রতি দৃষ্টিপাত করতাম তখন সাথে সাথে অনুভব হতো যে, তিনি আল্লাহ তাআলার ভয়ে মুহ্যমান। কাসেম ইবনে মাআন বর্ণনা করেন, এক রাতে ইমাম সাহেব রহ. এ আয়াত পাঠ করলেন :
بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ
“বরং কেয়ামত হল তাদের প্রতিশ্রুত সময়, আর উক্ত সময় হচ্ছে অতি বিপদসঙ্কুল ও তিক্ত”। (সূরাতুল কামার : ৪৬) সারারাত তিনি এ আয়াতটি বারংবার পড়তে থাকেন আর কেঁদে কেঁদে ব্যাকুল হলেন। [উকুদুল জিমান- ২২৪]
আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুসাম রহ. বলেন- যখনই আমি ইমাম আবু হানিফাকে রহ. দেখতাম তার চোখে ও চেহারায় ক্রন্দনের চিহ্ন দেখতে পেতাম। ইয়াযিদ ইবনে কুমাইত যিনি নিজেও একজন বিশিষ্ট আল্লাহর অলী ছিলেন, বলেন- ইমাম আবু হানিফা রহ. অতিমাত্রায় আল্লাহভীরু ছিলেন।
একবার আলি ইবনে হুসাইন মুয়াজ্জিন এশার নামাযে সূরায়ে যিলযাল পাঠ করেন : ইমাম আবু হানিফা রহ. ও জামাতে শরিক ছিলেন। নামায শেষ করে যখন সবাই যার যার গন্তব্যে চলে গেল তখন আমি ইমাম আবু হানিফাকে দেখলাম তিনি বেশ চিন্তিত ও বিষণ্ন অবস্থায় বসে আছেন। তার শ্বাস খুব দ্রুত বের হচ্ছে। আমি ভাবলাম, আমার এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত যাতে তার একাকিত্বে বিঘ্ন না ঘটে। সুতরাং আমি বাতি জ্বলা অবস্থায় মসজিদ থেকে বেরিয়ে এলাম।
আর ইমাম আবু হানিফা দাঁড়ানো অবস্থায় স্বীয় দাড়ি ধরে এ দোয়া করছেন- হে সত্তা, তুমি সরিষা পরিমাণ ভালো কাজের প্রতিদান ভালো দ্বারা দান করো এবং সরিষা পরিমাণ অন্যায়ের প্রতিদান আযাব দ্বারা দিয়ে থাক, তুমি তোমার বান্দা নোমানকে দোযখ এবং দোযখের নিকটবর্তীকারী বস্তু থেকে রক্ষা কর, তোমার প্রশস্ত দয়া ও অনুকম্পায় আমাকে শামিল কর। [উকুদুল জিমান : ২২৫]
ইয়াহইয়া ইবনে নসর বলেন : আমার আব্বাজান ছিলেন ইমাম আবু হানিফা রহ. -এর বন্ধু। এ সুবাদে আমি মাঝে মধ্যে আবু হানিফা রহ. -এর গৃহে রাত যাপন করতাম। আমি তাকে সারা রাত নামাযে মশগুল দেখতাম। বিছানার ওপর বৃষ্টি ঝরার ন্যায় অশ্রু ঝরার শব্দ হতো। [উকুদুল জিমান : ২৩০]
Comment