Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে... আসুন এই মাসের ফযিলত জেনে নেই।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে... আসুন এই মাসের ফযিলত জেনে নেই।

    আজকে (শুক্রবার) সন্ধ্যার পর থেকে জিলহজ্ব মাস শুরু হয়েছে। জিলহজ্বের প্রথম দশক বেশ ফজিলত পূর্ণ। আসুন এর ফজিলত ও আমল জানা যাক।

    জিলহজ্বের প্রথম দশকের ফযিলত ও আমলঃ
    .
    "শপথ ফজরের, শপথ দশ রাত্রির" সূরা ফজরঃ (১-২)
    ইবনে আব্বাস, ইবনে যুবায়ের, মুজাহিদ রাঃ সহ সালাফগণ এখানে ১০ রাত্রি বলতে জিলহজ্বের প্রথম দশককে বোঝানো হয়েছে বলে মত দিয়েছেন।
    .
    জাবির রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘পৃথিবীর দিনগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিনগুলো হলো দশকের দিনসমূহ। অর্থাৎ জিলহজের (প্রথম) দশদিন। জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর পথে জিহাদেও কি এর চেয়ে উত্তম দিন নেই? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদেও এর চেয়ে উত্তম দিন নেই। হ্যাঁ, কেবল সে-ই যে (জিহাদে) তার চেহারাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।’ (মুসনাদ বাযযার : ১১২৮; মুসনাদ আবী ই‘আলা : ২০৯০)
    .
    রাত সমূহের মধ্যে যেমন রমাদানের শেষ ১০ রাত শ্রেষ্ঠ তেমনি দিন সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল জিলহজ্বের ১ম ১০ দিন। এমনকি তা রমাদনের শেষ ১০ দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। তাই এই মূল্যবান সময়ে আমাদের উচিত আমলের প্রতি যত্নশীল হওয়া। এই মূল্যবান দিনগুলো দেখা যায় আমরা হেলায় কাটিয়ে দেই অথচ আমাদের উচিত দিনগুলো থেকে পরিপূর্ণভাবে ফায়দা হাসিল করা। আমরা যা করতে পারিঃ
    .
    ১. রোজা রাখা। জিলহজ্বের প্রথম দিন থেকে কুরবানির আগের দিন পর্যন্ত আমরা রোজা রাখতে পারি। দিনের শ্রেষ্ঠ নফল আমল হলো রোজা। কারণ এতে সার্বক্ষণিক সওয়াব পাওয়া যায়। এছাড়া রোজার কারণে নফল আমলে আগ্রহ বাড়ে এবং গোনাহ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়।
    .
    হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জিলহজের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রত্যেক দিনের রোযা এক বছরের রোযার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায়। (তিরমিজী শরীফ, হাদীস নং-৭৫৮, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৭৫৭,কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১২০৮৮)
    .
    ২. রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সময় বেশি করে তাসবীহ (সুবাহানআল্লাহ্), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ্), তাকবীর (আল্লাহু আকবার), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্) পড়তেন।
    .
    আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমার রাঃ থেকে বর্ণিত, রসূল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহর নিকট এই দশ দিনের নেক আমল অপেক্ষা অন্য কোনো দিনের আমল অধিক প্রিয় নয়। সুতরাং তোমরা এ সময়, তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্) তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ্), তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পড়।" [মুসনাদে আহমাদ]
    .
    ৩. যারা কুরবানী করার ইচ্ছে পোষণ করছেন এবং যারা কুরবানি করবেন না তারা উভয়ই জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত চুল ইত্যাদি কাটবেন না, যদি ৪০ দিন না হয়ে থাকে এগুলো না কাটার মেয়াদ। যদি ৪০ দিনের বেশি হয়ে থাকে, তাহলে এসব কেটে ফেলা আবশ্যক। নতুবা ১০ দিন পর কুরবানীর পর পরিস্কার করবে। এ কাজটি সুন্নাত।

    হযরত উম্মে সালমা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন যে, যখন [জিলহজের প্রথম] ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছে করে, সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে। (সুনানে নাসায়ীকুবরা, হাদীস নং- ৪৪৫৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১৪৯)
    .
    ৪. তওবা করা। এ ব্যাপারে তো আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হলো যখন তাঁর কোনো বান্দা তওবা করে তার কাছে ফিরে আসে। অতএব আমাদের বেশি বেশি তওবা, ইস্তেগফার করা উচিত।
    .
    আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের জিলহজ্বের প্রথম দশদিন নেক আমল করার মাধ্যমে তার নৈকট্য হাসিল করার তৌফিক দিন।

    শামের জন্য কাঁদো.....

  • #2
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ ফজিলত পূর্ণ মুহর্তগুলো উত্তম ভাবে কাটানোর তাওফীক দান করুন, আমিন।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
        CMS

        Comment

        Working...
        X