কে আছে এমন যার অসংখ্য হুর প্রয়োজন?
আল্লাহ তাআলার সাক্ষাতের পরেই জান্নাতের মধ্যে যে নেয়ামত সবচেয়ে বেশি আনন্দদায়ক হবে নি:সন্দেহে তা হল, হুরেঈনার সাক্ষাৎ। দুনিয়ার মুমিন নারীদের সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক জান্নাতীকে তার আমল অনুপাতে হুরেঈনা দান করবেন। জান্নাতে যারা বেশি সংখ্যক হুরেঈনা লাভ করবে তাদের অন্যতম হল, শহীদ ফী সাবীলিল্লাহ। কিন্তু হাদীস শরীফ বলে, শাহাদাত অর্জন ছাড়াও এমন একটা আমল আছে, যে আমলের বদৌলতে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে তার ইচ্ছামত হুরেঈনা গ্রহণ করার সুযোগ দিবেন। কী বিশ্বাস হচ্ছে না?! তাহলে চলুন হাদীসটা পড়ে নেই।
সাহাল বিন মুআয তার পিতা মুআয থেকে বর্ণনা করেন, নবীজী সা. বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি নিজ অধিনস্তদের উপর রাগ কার্যকর করার ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামাতের দিন তাকে সমস্ত মাখলুকাতের সামনে ডাকবেন এবং তাকে যত ইচ্ছা ততো হুরেঈনা নিয়ে যাওয়ার এখতিয়ার দিবেন’’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৭৭৯, মুহাক্কিকগণ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, সুনানে তিরমিযীতেও হাদীসটি আছে। ইমাম নববী হাদীসটি রিয়াযুস সালেহীন এবং আযকার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যে ব্যক্তি নিজ অধিনস্ত কারো উপর রাগ করল এবং রাগ ঝাড়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করত বকাঝকা-মারধোর করল না, বরং তাকে ক্ষমা করে দিল, রাগ সংবরণ করল, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে সমস্ত মানুষের সামনে ডাকবেন এবং এই মর্মে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন যে, তার মধ্যে অধিনস্তদের উপর রাগ নিয়ন্ত্রণের মহা উত্তমগুণটি ছিল। আর রাগ নিয়ন্ত্রণের কারণে তাকে বাহবাহ দিবেন অতঃপর যত ইচ্ছা ততো হুরেঈনা নিয়ে যাওয়ার অধিকার দিবেন। এই হাদীসের মধ্যে এ কথার ইঙ্গিতও রয়েছে যে, এই গুণের অধিকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা নেয়ামতপূর্ণ জান্নাতে দাখেল করাবেন এবং তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন।
তীবী রহ. বলেছেন, রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রশংসা করা হয়েছে কারণ এর দ্বারা নফসে আম্মারাকে পরাস্ত করা হয়। এ জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনের মধ্যেও রাগ নিয়ন্ত্রণকারী এবং ক্ষমাকারীদের প্রশংসা করেছেন, মুত্তাকীদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ হচ্ছে,
ব্যাখ্যার জন্য দেখুন: আওনুল মা‘বুদ- শরহু সুনানি আবি দাউদ।
তাই আসুন হে ভাই! নিজ অধিনস্ত স্ত্রী-সন্তান এবং কর্মচারীদের উপর রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখি আর এমন অসংখ্য হুরেঈনা জিতে নেই, যাদের উরনাটাই দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যকার সমস্ত সম্পদ থেকে দামি, যারা দুনিয়ায় উঁকি দিলে দিবাকরের আলো ম্লান হয়ে যাবে। যাদের মুখের লালা এত এত মিষ্টি হবে যে, সমুদ্রে থুথু ফেললে গোটা সমুদ্রের পানি মিষ্টি হয়ে যাবে। যারা সমবয়স্ক এবং উন্নত বক্ষের অধিকারী। সত্তরটি কাপড় পরিধান করা সত্ত্বেও যাদের হাড়ের মগজ দৃষ্টিগোচর হবে। যারা হবে সোহাগী, স্বামীভক্তা, স্বামীর প্রেমে পাগল এবং যাদের চোখ অন্যকোনো পুরুষের দিকে উঠবে না আর নিজেদের ভুবনমোহনী রূপ ও আখলাকে হাসানা দ্বারা স্বামীদের দৃষ্টিও নিজেদের দিকে ধরে রাখবে।যাদেরকে কোনো জ্বিন ও ইনসান আজতক স্পর্শ করেনি। যারা আপনার আমার জন্য জান্নাতের বাগানে দৃষ্টিনন্দন তাবুতে বসে অপেক্ষার প্রহর গুণছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল ভাইকে কবুল করেন। অসংখ্য অগণিত হুর প্রাপ্তির যোগ্যতা দান করেন। আমীন।
আল্লাহ তাআলার সাক্ষাতের পরেই জান্নাতের মধ্যে যে নেয়ামত সবচেয়ে বেশি আনন্দদায়ক হবে নি:সন্দেহে তা হল, হুরেঈনার সাক্ষাৎ। দুনিয়ার মুমিন নারীদের সাথে সাথে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক জান্নাতীকে তার আমল অনুপাতে হুরেঈনা দান করবেন। জান্নাতে যারা বেশি সংখ্যক হুরেঈনা লাভ করবে তাদের অন্যতম হল, শহীদ ফী সাবীলিল্লাহ। কিন্তু হাদীস শরীফ বলে, শাহাদাত অর্জন ছাড়াও এমন একটা আমল আছে, যে আমলের বদৌলতে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে তার ইচ্ছামত হুরেঈনা গ্রহণ করার সুযোগ দিবেন। কী বিশ্বাস হচ্ছে না?! তাহলে চলুন হাদীসটা পড়ে নেই।
عن سهل بن معاذ، عن أبيه، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من كظم غيظا وهو قادر على أن ينفذه، دعاه الله عز وجل على رءوس الخلائق يوم القيامة حتى يخيره الله من الحور العين ما شاء» قال أبو داود: " اسم أبي مرحوم: عبد الرحمن بن ميمون "
সাহাল বিন মুআয তার পিতা মুআয থেকে বর্ণনা করেন, নবীজী সা. বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি নিজ অধিনস্তদের উপর রাগ কার্যকর করার ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামাতের দিন তাকে সমস্ত মাখলুকাতের সামনে ডাকবেন এবং তাকে যত ইচ্ছা ততো হুরেঈনা নিয়ে যাওয়ার এখতিয়ার দিবেন’’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৭৭৯, মুহাক্কিকগণ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, সুনানে তিরমিযীতেও হাদীসটি আছে। ইমাম নববী হাদীসটি রিয়াযুস সালেহীন এবং আযকার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যে ব্যক্তি নিজ অধিনস্ত কারো উপর রাগ করল এবং রাগ ঝাড়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করত বকাঝকা-মারধোর করল না, বরং তাকে ক্ষমা করে দিল, রাগ সংবরণ করল, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে সমস্ত মানুষের সামনে ডাকবেন এবং এই মর্মে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন যে, তার মধ্যে অধিনস্তদের উপর রাগ নিয়ন্ত্রণের মহা উত্তমগুণটি ছিল। আর রাগ নিয়ন্ত্রণের কারণে তাকে বাহবাহ দিবেন অতঃপর যত ইচ্ছা ততো হুরেঈনা নিয়ে যাওয়ার অধিকার দিবেন। এই হাদীসের মধ্যে এ কথার ইঙ্গিতও রয়েছে যে, এই গুণের অধিকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা নেয়ামতপূর্ণ জান্নাতে দাখেল করাবেন এবং তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন।
তীবী রহ. বলেছেন, রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রশংসা করা হয়েছে কারণ এর দ্বারা নফসে আম্মারাকে পরাস্ত করা হয়। এ জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনের মধ্যেও রাগ নিয়ন্ত্রণকারী এবং ক্ষমাকারীদের প্রশংসা করেছেন, মুত্তাকীদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ হচ্ছে,
{ والكاظمين الغيظ والعافين عن الناس}
‘আর যারা রাগ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে’ (সূরা আলে ইমরান-১৩৪)ব্যাখ্যার জন্য দেখুন: আওনুল মা‘বুদ- শরহু সুনানি আবি দাউদ।
তাই আসুন হে ভাই! নিজ অধিনস্ত স্ত্রী-সন্তান এবং কর্মচারীদের উপর রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখি আর এমন অসংখ্য হুরেঈনা জিতে নেই, যাদের উরনাটাই দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যকার সমস্ত সম্পদ থেকে দামি, যারা দুনিয়ায় উঁকি দিলে দিবাকরের আলো ম্লান হয়ে যাবে। যাদের মুখের লালা এত এত মিষ্টি হবে যে, সমুদ্রে থুথু ফেললে গোটা সমুদ্রের পানি মিষ্টি হয়ে যাবে। যারা সমবয়স্ক এবং উন্নত বক্ষের অধিকারী। সত্তরটি কাপড় পরিধান করা সত্ত্বেও যাদের হাড়ের মগজ দৃষ্টিগোচর হবে। যারা হবে সোহাগী, স্বামীভক্তা, স্বামীর প্রেমে পাগল এবং যাদের চোখ অন্যকোনো পুরুষের দিকে উঠবে না আর নিজেদের ভুবনমোহনী রূপ ও আখলাকে হাসানা দ্বারা স্বামীদের দৃষ্টিও নিজেদের দিকে ধরে রাখবে।যাদেরকে কোনো জ্বিন ও ইনসান আজতক স্পর্শ করেনি। যারা আপনার আমার জন্য জান্নাতের বাগানে দৃষ্টিনন্দন তাবুতে বসে অপেক্ষার প্রহর গুণছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল ভাইকে কবুল করেন। অসংখ্য অগণিত হুর প্রাপ্তির যোগ্যতা দান করেন। আমীন।
Comment