আমাদের সাহাবায়ে কিরাম( রিদ)

[mohammod bin maslama]

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
আমাদের সাহাবায়ে কিরাম, আল্লাহ ওনাদের দ্বীনের জন্য নির্বাচন করেছিলেন। আল্লাহু আকবার, একেকজন সাহাবা কাফেরদের বিরুদ্ধে কত কঠোর ছিলেন! সাহাবায়ে কিরামের কুরবানির বদলায় আল্লাহ (তা‘আলা) দ্বীন আমাদের পর্যন্ত এনে দিয়েছেন। আজকে আমরা যদি কাফের/ নাস্তিকদের সন্তান হতাম তাহলে আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া আমরা কি নিজেদের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে মুসলিম হতে পারতাম??? (হিদায়াত) তো আল্লাহর হাতেই।প্রিয় ভাইয়েরা, আল্লাহর দেওয়া এই অসীম অনুগ্রহকে আজ যদি মূল্যায়ন না করি তাহলে পরকালে ও দুনিয়াই মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমাদের ভোগান্তির শেষ হবে না, জাহান্নামের শাস্তি কি আমরা সয়ে নিতে পারবো??? প্রিয় ভাইয়েরা, দুনিয়া নিতান্ত ক্ষনস্থায়ী। দুনিয়ার) পেছনে পড়ে, সুন্দরী স্ত্রীর পেছনে পড়ে, মালের পেছনে পড়ে আমরা যেনো দ্বীনের রাস্তা, ঈমানের রাস্তা, জিহাদের রাস্তাকে পরিহার না করি। প্রিয় ভাইয়েরা, আজকের (উম্মাহর) অবস্থা (খুবই) নাজুক! উম্মাহ আজ বিকারগস্ত! উম্মাহ আজ গোনাহকে আপন করে নিয়েছে! দাওয়াত তো প্রতিদিনই দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু উম্মাহর) সন্তান জিনা ব্যভিচার), শিরিককে কোনভাবেই ছাড়ছে না। তার মূল কারণ হচ্ছে (উম্মাহর) মাথার উপর শাসনের লাঠি) নাই। যখন শাসনের লাঠি) থাকবে না, সততা,আদর্শ যতই উত্তম ও সুন্দর হউক আপনার আদর্শ কেও গ্রহণ করবে না। আর যারাই করবে তারাই পালানোর পথ (খুঁজবে)। আপনি যদি নিজের পরিবারকে সেইফ করার শক্তি সামর্থ্য না থাকে পরিবারও আপনার পাশে থাকবে না। আজকে প্রচুর পরিমাণে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে কিন্তু উম্মাহ হিদায়তের(হিদায়াতের) দিকে আসছে না। এর মূল কারণই হলো উম্মাহের(উম্মাহর) জন্য ঢাল সরুপ(ঢালস্বরূপ) ছায়া দেওয়ার মত কিছু নেই। তাহলে দায়ীদের অধীনে কেন আসবে???? উম্মাহের(উম্মাহর) সন্তানদের ধংস করার শয়তান ও তার বন্ধুরা সর্বদা সব ধরণের কৌশল অবলম্বন করে চলছে! আধুনিকতার নাম দিয়ে আমাদের বোনদের ঘর থেকে করতে তারা সক্ষম হয়েছে! আমাদের ছেলেদেরকে গার্লফ্রেন্ড এর নাম দিয়ে বেগালা মেয়েদের সাথে ঘষাঘষি করাতে সক্ষম হয়েছে! স্বাধীনতার নাম দিয়ে নাস্তিক বানাতে সক্ষম হয়েছে! আজ উম্মাহের সন্তানরা ওয়াজও শুনছে আবার থার্টি-ফাস্টের নষ্ট অনুষ্ঠানও করছে। আর ফেইজবুক, ইউটিউব হলো বাকী হিদায়তটুকু ছিনিয়ে নেওয়ার শেষ মাধ্যম। আল্লাহ আপনি মুসলিমদের হিদায়তের উপর অটল রাখুন আমীন।

[আলী ইবনুল মাদীনী]

আনিন,আল্লাহ আমাদের যেন হকের উপর এস্তেকামাত রাখেন ৷

[mohammod bin maslama]

আমাদের উপর কয়েকভাবে আক্রমণ হচ্ছেঃ
১/ সামরিক,
২/ অর্থনৈতিক,
৩/ বুদ্ধিভিত্তিক,
যেখানে সামরিক আক্রমণের তাদের উদ্দেশ্য হাছিল যাচ্ছে সেখানে পরের দুইটা এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ভূমীতে ইংরেজরা সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে দখল করে, যখন মুসলিমরা বুঝতে পারল যে, আমাদের উপর জিহাদ করে কাফেরদের পরাজিত করা ফরজ তখনই বুদ্ধিভিত্তিক আগ্রাসন চালানো শুরু করলো। শুরু হয়ে গেলো জিহাদ বিরোধী দালালদের দৌড়ঝাপ। তারা কাদিয়ানীকে জিহাদের বিরুদ্ধে দাড় করে দিলো। তাকে সব ধরণের সাহায্য করেও যখন নিশ্চিত পরাজয় জেনে গেলো তখন তাদের বানানো দালালদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে পালালো! কিন্তু বুদ্ধিভিত্তিক আগ্রাসণের ফলে বেড়ে ওটঠা আগাছাগুলো সামনে এসে তাদের বাকী মিশনটুকু বাস্তবায়ন করলো। আর যখন বুদ্ধিভিত্তিক আগ্রাসন চালিয়ে কোন একটি এলাকা নিজেদের আদর্শে গড়া যায় তখন অর্থনৈতিক আগ্রাসনের পথ এমনিতেই খুলে যায়!! এই জন্য আমাদের ভুল করলে চলবে না। তাদের সব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। তারা নিজেরা দূরে বসে আছে কিন্তু আদর্শের লোকেরা তাদের মিশন বাস্তবায়ন করছে, তারা আমাদেরই দেশের লোক। এই জন্য আমাদের মধ্যে কেও কেও ধোকায় পড়তে পারে নিজ দেশের লোকদের সাথে যুদ্ধ করবো????