আইয়ামে বীজ এর রোজা
কি ও কেন?
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ'লামিন ওয়াসসলাতু ওয়াসসালামু আলা রসূলিহিল কারীম ওয়া আলিহি ও সহবিহি আজমায়ীন।
আম্মা-বা'দ
চন্দ্র মাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজ মাগরীব থেকে ১৩ শাবান শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং যারা আইয়ামে বীজের রোজা রাখতে চান তারা আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেহেরী খেয়ে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৩, ১৪, ১৫ শাবান) অর্থাৎ, ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এপ্রিল মাসের ০৮, ০৯ এবং ১০ তারিখ -এই তিনদিন রোজা রাখবেন ইনশাআল্লাহ।
আম্মা-বা'দ
চন্দ্র মাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজ মাগরীব থেকে ১৩ শাবান শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। সুতরাং যারা আইয়ামে বীজের রোজা রাখতে চান তারা আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেহেরী খেয়ে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৩, ১৪, ১৫ শাবান) অর্থাৎ, ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এপ্রিল মাসের ০৮, ০৯ এবং ১০ তারিখ -এই তিনদিন রোজা রাখবেন ইনশাআল্লাহ।
আইয়ামে বীজ কি?
চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫, এই দিনগুলোকে “আইয়ামে বীজ” বা আলোকিত দিনসমূহ বলা হয়। কারণ এই দিনগুলোতে চাঁদ সবচাইতে বেশি আলোকিত থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আইয়ামে বীজের তিনদিন নিয়মিত রোজা রাখতেন।
(১) আবু দরদা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ “আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন, যা আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই ত্যাগ করব না। সেগুলো হচ্ছে, প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা (আইয়ামে বীজের তিন দিন) পালন করা, সালাতুদ দোহার নামায পড়া এবং বিতির না পড়ে ঘুমাতে না যাওয়া” [মুসলিমঃ ৭২২, আবু দাউদঃ ১৪৩৩, আহমাদঃ ২৬৯৩৫]
(২) আবু যর রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মাসে (নফল) রোজা পালন করলে শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো [তিরমিযীঃ ৭৬১, নাসায়ীঃ ২৪২৪]
(৩) ক্বাতাদাহ ইবনে মিলহান রাদিয়াল্লাহু আ'নহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার জন্য আদেশ করতেন [আবু দাউদঃ ২৪৪৯, নাসায়ীঃ ২৪৩২]
(৪) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বাড়ীতে থাকাবস্থায় অথবা সফরে থাকা অবস্থায়, কখনোই আইয়ামে বীজের রোজা ছাড়তেন না [নাসায়ী ২৩৪৫]
প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোজা রাখার ফযীলতঃ
প্রত্যেক মাসে ৩টা করে রোজা রাখলে সারা বছর নফল রোজা রাখার সমান পাওয়া যায়, সুবহা’নাল্লাহ! কারণ, আল্লাহ যেকোনো ভালো কাজের প্রতিদান হিসেবে কমপক্ষে ১০ থেকে ৭০০ গুণ, বা তাঁর রহমত অনুযায়ী চাইলে আরো অনেক বেশি দান করেন। ৩*১০=৩০, এইভাবে প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখলে সারা বছরই নফল রোজা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখা, সারা বছর ধরে রোজা রাখার সমান [বুখারীঃ ১১৫৯, ১৯৭৫]
উল্লেখ্য কোনো কারণে আইয়ামে বীজ-এর এই তিন দিন রোজা রাখতে না পারলে, মাসের অন্য যেকোনো তিনদিন রাখলেও সারা বছর রোজা রাখার এই ফজিলত পাওয়া যাবে।
আর আগামী বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক রোজা রাখা আরেকটা সুন্নত, একই রোজায় এই নিয়তটাও যুক্ত করে নেবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে ফরজ সমুহের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল ইবাদত করার ও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য হাসিল করার তাওফিক দান করুন আমিন! আমাদের সকলকে সীরাতে মুস্তাকিমের উপর অবিচল রাখুন! আমিন!
নোটঃ
ঢাকায় আজ সেহেরীর শেষ সময় ০৪:২৮ ঘটিকা, আর ইফতারির সময় ০৬:১৭ ঘটিকা। অন্য শহরের সময় জানার জন্য এই সাইটে দেখুনঃ https://www.islamicfinder.org/world/
bangladesh/
বিঃদ্রঃ ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ও পরিমার্জিত
Comment