আমরা কি অহংকারকে পূর্নভাবে অন্তর থেকে দূর করেছি?
যাদের সম্পদ নেই তারা কখনো সম্পদের অহংকার করে না অথবা যাদের কাছে অন্যের সম্পদ গচ্ছিত থাকে তারাও কখনো সেটা নিয়ে অহংকার করে না। কারণ অহংকার শুধু সেই জিনিসেই আসে যা নিজের মালিকানাধীন মনে করা হয়।
যখন কেহ ভাবে আমার শক্তি আছে, জ্ঞান আছে, সম্পদ আছে, যোগ্যতা আছে তখনই মনে শয়তান কুমন্ত্রণা দেয় যে, তুমি তো অমুক থেকে বড় বা তমুক থেকে বেশি যোগ্য। মনে অহংকার বাসা বাধতে থাকে।
অনেকে এই সমস্যার সমাধানে অন্তরে এই ধারনা উদয় করার চেষ্টা করেন যে, আমি এখনো তেমন কিছুই হতে পারি নি বা আমার দ্বারা তেমন বড় কোন কাজই তো হয় নি। কিন্তু যেখানে নিজের চোখে দেখছে সে অনেক কিছুই পারছে তখন সুক্ষ্মভাবে আত্বিক গরিমা থেকেই যায়, কারণ নিজের চোখকে তো আর অবিশ্বাস করতে পারবে না। অনেকে ভিবিন্ন কাজে ব্যস্ত থেকে তা ভুলে থাকার চেষ্টা করেন।
অহংকারের মনস্তাত্ত্বিক সমধান হচ্ছে, প্রথমত; কোন কিছুই নিজের মনে না করা। আমি যে ভাল কাজ করেছি তা আমার না বরং আল্লাহর নেয়ামত। আমার যোগ্যতার মালিক আমি নই বরং আল্লাহর রহমত। আমি যা পারছি তা আমার শক্তি হচ্ছে না বরং আল্লাহ তায়ালার শক্তিতে হচ্ছে। "লা হাউলা ও ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল"।
দ্বিতীয়ত; নিজেকে কিছুই মনে না করা। অন্যের থেকে ছোট নাকি বড় বিতর্ক হবে তো তখন যখন আমার কিছু থাকবে, কিন্তু নিজের কিছু না থাকলে অহংকার মনোভাব আসবে কিভাবে?
অর্থাৎ এমনটা ভাবা যে, আমি সাধারণ একটা গাছের পাতা থেকেও নিম্ন যদি আল্লাহ তায়ালা সাহায্য না করেন, আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ছাড়া আমি আসলে শূন্য, পৃথিবীর সবকিছু থেকে নিকৃষ্ট। যেমনটা সাহাবারা নিজেদের ব্যপারে ভাবতেন।
বারবার এই চিন্তাটা মনে গভীর থেকে ভাবলে এক সময় দৃঢ়ভাবে বসে যাবে ইনশাআল্লাহ।
Comment