Announcement

Collapse
No announcement yet.

এখনি সময় সালেহীনগণের মত হওয়ার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এখনি সময় সালেহীনগণের মত হওয়ার

    এখনি সময় সালিহীনগণের মত হওয়ার-
    আজকের দিনটি আমাদের জীবন থেকে চলে যাবে, আগামী দিনটিও। এভাবে এক এক করে বছরের প্রতিটি দিন আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। আমরা যদি মেহনত করে ইবাদাত-বন্দেগী করি তবু, যদি অলসতা ও অবহেলা করি তবু সময় চলেই যাবে। থাকবে শুধু আমাদের মেহনতের সুফল। যে সময় চলে যাবে তা আর ফিরে আসবে না। সুতরাং প্রিয় ভাইয়েরা! আসুন আল্লাহর দান মহামূল্যবান নেয়ামত রমাদানে আমরা মেহনত করি। যে ভাবে আমাদের আকাবির-আসলাফগণ মেহনত করেছেন। আমি আপনাদেরকে কয়েকজন সালাফের ইবাদাতের কথা বলব ইনশাআল্লাহ। হে আল্লাহ আপনিই তাওফিক দাতা।
     হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইআব রহ: বিশিষ্ট তাবেয়ীর ইবাদাত- তিনি বলেন
    ما أذن المؤذن منذ ثلاثين سنة إلا وأنا في المسجد.
    ত্রিশ বছর যাবত মুআযযিন আযান দেয়ার সময় আমি মসজিদেই ছিলাম।
    অর্থাৎ: তিনি ত্রিশবছর আযানের পূর্বেই নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে চলে যেতেন। সুবহানাল্লাহ !
    - قال: ما فاتتني الصلاة في جماعة منذ أربعين سنة .
    তিনি আরো বলেন-চল্লিশ বছর যাবৎ আমার জামাতে নামাজ পড়া মিস হয়নি।

    ইমাম আবু হানিফা রহ: এর ইবাদাত-
    فقد قال أبو عاصم النبيل كان أبو حنيفة يسمى الوتد لكثرة صلاته، واشتهر عنه أنه كان يحيى الليل صلاة ودعاء وتضرعا.
    আবু আসেম আন্ নাবীল বলেন আবু হানিফা রহ: এতো বেশী নামাজ পড়তেন যে তার পায়ের গোড়ালীতে ব্যাথা আরম্ভ হয়ে যেত। তাঁর থেকে প্রসিদ্ধ রিওয়ায়েত আছে, আবু হানিফা রহ: রাত্রি জাগরণ করতেন নামাজ, দু্আ ও কাঁন্না-কাটির দ্বারা।
    فقد روي من وجهين أن أبا حنيفة قرأ القرآن كله في ركعة.
    দুভাবে বর্ণিত আছে যে, আবু হানিফা রহ: এক রাকাতে পুরো কুরআন খতম করেছেন।
    فقد روى لنا القاسم بن معن أن أبا حنيفة قام ليلة يردد قوله _تعالى_ " بل الساعة موعدهم والساعة أدهى وأمر " القمر 46 ويبكي ويتضرع إلى الفجر.
    কাসেম ইবনে মাআন বলেন কোন এক রাতে আবু হানিফা রহ: বার বার এই
    " بل الساعة موعدهم والساعة أدهى وأمر "আয়াতটি তিলাওয়াত করছিলেন আর কাঁন্না-কাটি ও রোনাজারী করে পুরো রাত কাটিয়ে দিলেন।
    قال كان أبو حنيفة طويل الصمت كثير العقل.
    ইমাম আবু হানিফা রহ: দীর্ঘ সময় চুপ থাকতেন এবং তিনি ছিলেন প্রখর মেধার অধিকারী।

    • ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ: এর ইবাদাত


     قيامه الليل: قال المروذي: رأيت أبا عبد اللـه يقوم لورده قريبا من نصف الليل حتى يقارب السحر.
    তাঁর কিয়ামুল লাইল সম্পর্কে মারওয়াজী রহ: বলেন- আমি আবু-আব্দুল্লাহকে দেখেছি নামাজে নিয়মিত তিলাওয়াতের জন্যে প্রায় অর্ধরাতে দাঁড়াতেন প্রায়
    সাহরী র্পযন্ত (নামাজে তিলওয়াত করতেন)।
    قـلـة نومـه: فإذا صلى عشاء الآخرة، ركع ركعات صالحة، ثم يوتر وينام نومة خفيفة، ثم يقوم فيصلي ، وكانت قراءته لينة، ربما لم أفهم بعضها.
    তাঁর অল্প নিদ্রা সম্পর্কে বলেন- তিনি এশার নামাজ আদায় করে কয়েক রাকাত নফল পড়তেন অত:পর বিতির আদায় করে কিছুক্ষণ ঘুমাতেন। অত:পর উঠে আবার নামাজ পড়তেন।আর তাঁর ক্বেরাত ছিল খুবই নিচু আওয়াজে মাঝে মাঝে কিছু অংশ আমি বোঝতাম না।
    كثير الصيام: وكان يصوم ويدمن، ثم يفطر ما شاء اللـه ،ولا يترك صوم الاثنين والخميس وأيام البيض ، فلما رجع من العسكر، أدمن الصوم إلى أن مات.
    তাঁর বেশী বেশী সিয়াম পালন সম্পর্কে বর্ণিত আছে- তিনি রোজা রাখতেন এবং ধারাবাহিক রাখতেন অত:পর যখন আল্লাহ চাইতেন ভাঙ্গতেন। তিনি কখনো সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজা ছাড়তেন না।যখন তিনি জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন এর পর থেকে মৃত্যু র্পযন্ত সিয়াম পালন করেছেন।
    ইমাম বুখারী রহ: এর ইবাদাত-
     عبادته في الليل:كان يصلي في وقت السحر ثلاث عشرة ركعة .
    তাঁর রাত্রিকালীন ইবাদাত সম্পর্কে বর্ণিত আছে তিনি সাহরীর সময় তের রাকাত সালাত আদায় করতেন।
    • حفـظ لسانـه: يقول البخاري: ما اغتبت أحدا قط منذ علمت أن الغيبة تضر أهلها.
    তাঁর যবানের হিফাজত সম্পর্কে তিনি বলেন যখন থেকে আমি জেনেছি গীবত শুধু গীবতকারীকেই ক্ষতিসাধন করে তখন থেকে আর কখনো আমি কারো গীবত করিনি।
    - كان البخاري مخصوصا بثلاث خصال مع ما كان فيه من الخصال المحمودة:
    1- كان قليل الكلام .
    2- وكان لا يطمع فيما عند الناس .
    3- وكان لا يشتغل بأمور الناس، كل شغله كان في العلم.
    তাছাড়াও ইমাম বুখারী রহ: প্রশংসনীয় তিনটি গুণে গুণান্নিত ছিলেন
    1. তিনি কম কথা বলতেন।
    2. মানুষের কাছে থাকা সম্পদের প্রতি তাঁর কোন লোভ ছিল না।
    3. তিনি মানুষের কোন বিষয় নিয়ে কখনো ব্যস্ত হতেন না বরং সর্বদা তিনি ইলম চর্চায় ব্যস্ত থাকতেন।
    قال تعالى: ( أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللـه فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِه )
    আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-ওরাই তাঁরা যাদেরকে আল্লাহ হিদায়েত দিয়েছেন।সুতরাং তোমরা তাঁদের আদর্শ অনুস্বরণ কর।
Working...
X