Announcement

Collapse
No announcement yet.

ধারাবাহিক "ভাষার ভয়াবহতা" সিরিজ ভলিউমঃ ০৪ "অনর্থক সমালোচনা"

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ধারাবাহিক "ভাষার ভয়াবহতা" সিরিজ ভলিউমঃ ০৪ "অনর্থক সমালোচনা"

    ধারাবাহিক "ভাষার ভয়াবহতা" সিরিজ

    ভলিউমঃ ০৪
    "অনর্থক সমালোচনা"


    বি-ইসমিহী তায়ালা।
    বা'দাল হামদি ওয়াস্সলাহ।

    মুহতারাম পাঠকবৃন্দ!
    বনী
    আদম যে সমস্ত কথা বলে তার মধ্যে অধিকাংশই থাকে অনর্থক। আর অধিকাংশ অনর্থক জিনিসগুলো কথাবার্তার মাধ্যমেই হয়ে থাকে, আর তা হলো ফায়েদাহীন কথা।
    যে সমস্ত মিথ্যা সমালোচনার ক্ষেত্রে তাকে বাধ্য করা হয়নি।
    কতেক মানুষ ধ্বংসাত্মক কথার মাধ্যমে তার সাথী ভাইদের নিকট অপরের দোষ বর্ননা করে। তারা এটিকে কোন অনর্থক কিংবা ধ্বংসাত্মক বলে মনে করে না। তারা এসমস্ত অনর্থক কিংবা ধ্বংসাত্মক কাজ কে সাধারণ দৃষ্টিতেই দেখে। এবং মনেকরে এটা কোন দোষ না। অথচ এটা হচ্ছে মারাত্মক একটা দোষ... যার দোষ বর্ননা করছেন সে যদি ক্ষমা না করে আল্লাহ তায়ালা ও ক্ষমা করবেন না।

    আবূ আব্দুর রহমান বিলাল ইবনে হারেস মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

    -রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “মানুষ আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। পক্ষান্তরে মানুষ আল্লাহ তা‘আলার অসন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।”
    (তিরমিযী, হাসান সহীহ তিরমিযী ২৩১৯)

    -সূরায়ে-আন নিসা ৪:১৪০ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَقَدۡ نَزَّلَ عَلَیۡكُمۡ فِی الۡكِتٰبِ اَنۡ اِذَا سَمِعۡتُمۡ اٰیٰتِ اللّٰهِ یُكۡفَرُ بِهَا وَیُسۡتَهۡزَاُ بِهَا فَلَا تَقۡعُدُوۡا مَعَهُمۡ حَتّٰی یَخُوۡضُوۡا فِیۡ حَدِیۡثٍ غَیۡرِهٖۤ ۫ۖ اِنَّكُمۡ اِذًا مِّثۡلُهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ جَامِعُ الۡمُنٰفِقِیۡنَ وَالۡكٰفِرِیۡنَ فِیۡ جَهَنَّمَ جَمِیۡعَۨا ۙ

    আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।

    ইবনে সারইন রঃ বলেন:
    একদা আনসারদের থেকে একজন কোন এক মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলো। ফলে তিনি তাদের কে অনর্থক কথাবার্তায় মত্ত দেখে তাদেরকে বললেন, তোমরা সবাই অজু করো কেনোনা তোমাদের মধ্যে হতে কতেক এমন কথা বলেছে... যা অজু ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    -এখানে অজু করার কথা দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন.. যে এটা এমন একটা অনর্থক কাজ যা অজু ভঙ্গের কারণগুলোর মতো মারাত্মক বিষয়... ।

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ!
    অসুন আমরা অনর্থক সমালোচনা থেকে বেঁচে থাকি। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে অনর্থক কথাবার্তা কিংবা সমালোচনা থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করেন, আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন। ও-আখিরু দা'ওয়ানা আনীল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।

    আলহামদুলিল্লাহ। আমরা আমাদের ধারাবাহিক সিরিজের চতুর্থ ভলিউম এখানেই শেষ করছি।
    পরবর্তী ভলিউম অচিরেই আসছে... ইনশাআল্লাহ।

    হয় শাহাদাহ না হয় বিজয়!

  • #2
    আসসালামু আলাইকুম আখি, সবগুলো পর্ব পিডিএফ করে দেওয়ার অনুরোধ। আখি, অডিও করে করে গেলে অনেক অনেক উপকার হতো।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment

    Working...
    X