মুমিন কিছু দূর্বলতা নিয়ে আলোচনাঃ
এই পৃথিবীতে নবীরা ছিলেন নিষ্পাপ। উনাদের ভিতরে কোন দোষ ছিলো না।উনাদের ভিতরে ছিলো গুন। তাও কোন সাধারন গুন নয় বরং সবচেয়ে সেরা গুনের অধিকারি ছিলেন উনারা।কিন্তু আমাদের সবার ভিতরেই দোষ এবং গুন উভয়টাই আছে।তবে আমাদের সবার ভিতরেই বিশেষ কিছু দূর্বলতা আছে আবার বিশেষ কিছু দোষ আছে।আমরা যদি বিশেষ দূর্বলতা গুলো সম্পর্কে যদি সতর্ক হই সেগুলো থেকে মুক্তি পাই তাহলেই আমাদের বিশেষ গুনগুলো আস্তে আস্তে বিকশিত হবে ইনশাআল্লাহ।
যেমন মুক্তা কোন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় বা আকাশ থেকে পড়ে না।বরং এটা কাদার ভিতরে ঝিনুকের মধ্য থাকে।কেউ মুক্তা পেতে চাইলে তাকে আগে কাদা থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করতে। এরপর ঝিনুকের ভিতর মুক্তা পাবে।তাও সব ঝিনুকের ভিতর পাবে না। তেমন স্বর্ন বা হিরা বেলায় একই অবস্থা।
আপনার ভিতরের দূর্বলতা গুলো কাঁদা ও ঝিনুকের মত অথবা মাটির মত। যখন এগুলো থেকে আপনি মুক্ত হতে পারবেন। তখন আপনার বিশেষ গুন গুলো ভেসে উঠবে।আমরা অনেক সময়ই অনেক ছোট বাচ্চার ভিতরে আশ্চর্য ধরনের প্রতিবা বা গুন দেখে ধারনা করি যে, বাচ্ছাটি বড় হলে অনেক বড় কিছু হবে। হয়ত ডাক্তার, বা আলেম বা বিজ্ঞানী অথবা সৎসাহসী। কিন্তু দেখা যায় যখনি বাচ্ছাটির বিশেষ দোষগুলো বা দূর্বলতা গুলো প্রকাশিত হয় তখন আস্তে আস্তে ধ্বংস দিকে পা বাড়ায়।
মানুষে দূর্বলতা গুলো একেক জনের একেক রকম হয়।যেমন যাদের নেশা,যিনা, সুদ বা ঘুষ ইত্যাদি রকমের পাপ করার সুযোগ কম এবং নেক করার সুযোগ বেশি তাদের দূর্বলতা হয় ভিন্ন ধরনের।তারা অহংকার, হিংসা অথবা গিবত ইত্যাদি ধরনের পাপ জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি।তাদেরকে শয়তান এদিকে দিয়ে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করে।আমরা প্রথমত আমাদের দোষগুলো খুজে বের করার টেষ্টা করবে।যদি নিজের দোষ বের করতে না পারি তাহলে এই দোষগুলো আমাদের শেষ করে দিবে।
আসুন আমরা যেনে নিয় আমাদের কিছু দূর্বলতা বা দোষ সম্পর্কে।
১.অংকারঃ
এটি খুবই মারাত্মক। কারন শয়তান ছিলো ফেরেশতাদের শিক্ষক। সে প্রচুর ইবাদাত করত। কিন্ত তার পতন কিভাবে হলো? তার পতন যিনা,সমকামিতা বা সুদ ঘুস ইত্যাদির কারনে হয় নি। বরং তার পতন হয়েছিলো।অহংকারের কারনে।সে অহংকার করেছিলো।যার কারনে সে মুয়াল্লিমুল মালাইকা থেকে শয়তান হলো।
তাই আমাদের অহংকার থেকে সাবধান হতে হবে।আল্লাহ দরবারে দোয়া করতে হবে।এবং অহংকার দূর হয় এমন কাজ করতে হবে।অনেকে বলেন যে,আমি আমার শিক্ষকের জুতা এগিয়ে দিয় এতে অহংকার দূর করার চেষ্টা করি।আসলে এটা ভুল কথা। উজিরে যদি বাদশাহর জুতা এগিয়ে দেয় এটা উজিরের গর্বের বিষয়।কিন্তু উজির যদি তার সমপর্যায়ের কারো জুতা এগিয়ে দেয় সেটা হলো বিনয়ের বিষয়।অহংকার দূর করার জন্য বেশি বেশি সালাম দিবো।তবে দেখে দেখে কথিত উচ্চ স্তরের বা ধনাট্যতের নয় বরং তাদেরকে দেওয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি দরিদ্র, অসহায়, রিকশা চালক বা ভ্যান চালক, নিজের থেকে জ্ঞান কম ওয়ালা এ ধরনের লোকদের সালাম দিবো।তাদের সাথে মুসাফা বা মোলাকাত করবো।মাঝে মাঝে পুরান জামা বা তালিযুক্ত জামা গায়ে দিবো।নিজের জুতা চিড়ে গেলে নিজেই সেলাই করার চেষ্টা করবো।মাটিতে বসে ভাত খাবো।
নামাযে দারিদ্র্য অসহায়দের সাথে শরীর লাগিয়ে দাড়াবো।এছাড়াও অসহায় বা দারিদ্র্য শ্রেনীর লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করবো।তাদের সুখ দুঃখের কথা জিজ্ঞেস করবো।বাজারে তাদের সাথে হাটবো।
২.হিংসা।
হিংসা হলো আরেক ভয়ংকর দোষ। যেটা মানুষের নেককে যেমন পূড়িয়ে দেয় তেমনি মানুষের অন্তরের জ্বালা বাড়ায়।তাই হিংসা দূর হওয়ার জন্য দোয়া করবো।যার ভালো গুন দেখে হিংসা হয় তার জন্য দোয়া করবো। যেন আল্লাহ তাকে আরো উন্নতি দেন এবং তার গুনগুলো দিয়ে যেন সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। যার ব্যাপারে হিংসা হয় তার পিছনে তার গুনগুলোর প্রসংশা করবো।যার ব্যাপারে হিংসা হয় তার সাথে উঠাবসা করবো।এবং তার উন্নতির জন্য সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করবো পরামর্শ দিবো। ইনশাআল্লাহ হিংসা দূর হবে।
৩.অধিক খাওয়াঃ-
আসলে অধিক পরিমানে খাওয়ার উদাহরন হলো। একটা কাঠে টুকরায় আপনি পেট্রল দিলেন।আর শয়তান এসে শুধু কাঠের টুকরায় আগুন দিবে।আর যদি আপনি কাঠের টুকরায় পেট্রলের বদলে পানি দেন। তাহলে শয়তান হাজারো রকমের চেষ্টা করলেও আগুন জ্বালাতে পারবে না।কারন শয়তানের কাছেতো শুকানোর বা পেট্রল দেওয়ার ব্যাবস্থা নাই।এটাই হলে অধিক খাওয়ার ক্ষতি। অধিক খাওয়া যে,কি পরিমান ক্ষতি করে এটা আমরা ভাবতেও পারি না।অধিক খাওয়ার কারনে একদিকে ইবাদাতে অলসতা আসে অপরদিকে গুনাহের দিকে আগ্রহ বাড়ে।আর অবিবাহিত হলেতো কোন কথাই নাই।অধিক খাওয়ার কারনে আপনার নামাযে একগ্রতা আসবে না।আপনি নামাযে স্বাদ পাবেনা।বেশি খেলে মানুষের জ্ঞান লোপ পায়।শরীর যেমন অলস হয় মস্তিষ্কও তেমনি অলস হয়। একারনে আগের মনিষীরা বলতেনঃ খালি পেট জ্ঞানের হাড়ি।দেখবেন ছাত্র জীবনে যারা খুবই মেধাবী তারা খুবই কম খায়।তাদের শরীর খুবই চিকন হয়।আমরা মনে করি শুধু পাপ করলেই অন্তর কঠিন হয়।আসলে পাপ করলে যেমন অন্তর কঠিন হয়। বেশি খেলেও অন্তর কঠিন।
এমন অনেকেই আছেন যারা রাতে খাবার একটু বেশি খেলে সকালের ফজর কাযা হয়।আর অবিবাহিত হলোতো আরো কত পাপ জড়িত হয়।আমার নিকট মনে হয় মানুষের পাপ করার মধ্যে অধিক খাওয়ার ভুমিকা অনেক বেশি।এমন অনেকেই আছেন যারা বেশি খেয়ে অলস হতে হতে এক সময় নামায কাযা করে। আস্তে আস্তে বাদ দিয়ে দেয়। এরপর পাপের দিকে ঝুকে পড়ে।এবার চিন্তা করুন আসল সমস্যা কোথায়।
আদম আঃ কে শয়তান প্রথমে যে ধোকা দিয়েছিলো। সেটা খাবার দিয়েই দিয়েছিলো।
দারানী রহঃ বলেনঃ যখন দুনিয়া কিংবা আখেরাত সংশ্লিষ্ট কোন দরকারি ও প্রয়োজনীয় কিছু করতে চাও তখন তা পূরন বা সম্পুন্ন না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য গ্রহন করো না।কারন খাদ্য গ্রহন করার ফলে বুদ্বীতে পরিবর্তন আসে।
কেউ বলেছেনঃ অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহনের ফলে ইবাদাতে হৃাস পায়। কারন মানুষের শরীর ভারী হয়।চোখের পাতা ঘুম ও সমস্ত অঙ্গ ঢিলে হয়ে আসে।
অন্য এক মনিষী বলেছেনঃমানুষের কর্ম ও কথা খাওয়া ও পান করার উপর নির্ভরশীল। পেট যদি হারাম ঢুকানো হয়। তাহলে কর্ম কথায় তাই বের হয়। যদি বাজেও অপ্রয়োজনীয় জিনিস ঢুকানো হয়। তবে কথায় ও কাজে তাই বের হয়।।
আমরা অনেকেই বলি ইবাদাতের করার জন্য খেলে সওয়াব হবে।কিন্তু এত বেশি খাই যে ইবাদাতেই অলসতা চলে আসে।
মনে রাখবেন, আপনি আপনার পেট নিয়ন্ত্রণ না করলে একদিন পেট আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।আপনি একটু দৌড়তে চাইবেন। কিন্তু পেট দৌড়তে দিবে না,বসতে দিবে না,একটু বেশি নামায পড়তে দিবে না।
একদিন হয়ত আপনার ডায়বেটিস হবে।তখন কত খাবার সামনে থাকবে আপনি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে আপসোস করবেন
"রাসুল সাঃ বলেছেনঃ সকল রোগের উৎস বদহজমী, আর সকল ঔষধের ভিত্তি ক্ষুধা ও অল্প খাওয়া"
রাসুল সাঃ বলেছেনঃ বান্দা ততক্ষন পর্যন্ত মুত্তাকী হতে পারবে না।যতক্ষণ না সে সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য তৎপ্রতি ধাবিতকারী সমস্যাহীন বস্তুগুলোকে পরিত্যাগ করে।( তিরমিজি ২৪৫১)
খাওয়া বা পান করা গুনাহ বা সমস্যা না। কিন্তু এগুলো গুনাহ এবং সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।
রাসুল সাঃ বলেছেনঃإِنَّكَ لَنْ تَدَعَ شَيْئًا اتِّقَاءً لِلَّهِ، إِلَّا آتَاكَ اللهُ خَيْرًا مِنْهُ. مسند أحمد: 20746، قال الهيثمي في مجمع الزوائد (18129): رجاله رجال الصحيح. قال الشيخ شعيب الأرنؤوط في تحقيق المسند: إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الصحيح غير صحابيّه. اهـ وقال الشيخ الألباني (سلسلة الأحاديث الضعيفة: 1/ 62): سنده صحيح على شرط مسلم. اهـ
আল্লাহর ভয়ে যদি তুমি কোনো কিছু পরিত্যাগ কর তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তোমাকে এর চেয়ে উত্তম জিনিস দান করবেন। -মুসনাদে আহমাদ: ২০৭৪৬
তাই আপনি আল্লাহর ভয়ে কম কম খান। যাতে খাওয়ার কারনে ইবাদাতে অলসতা না আসে এবং পাপের আকর্ষন না আসে।ইনশাআল্লাহ আল্লাহ উত্তম কিছু অবশ্যই দিবেন।আপনি নামায পড়ে খুব স্বাদ পাবেন।অন্যান্য ইবাদাতেও প্রচুর স্বাদ পাবেন।
বিশ্বাস করুর অধিক খাওয়া কি পরিমান ক্ষতি করে আপনি কম না খেলে বুজতে পারবেন না।
দ্বীনের জন্য কিছু করতে চাইলে খাওয়া কম খান।এটা দুনিয়াবী জিবনের জন্যও ভালো হবে।আর খাওয়া থেকে যথা সম্বব দূরে থাকুন। কেননা খাওয়ার আশপাশে থাকলে বিরত থাকা কঠিন হয়ে যায়।
৪.রাগঃ-
রাগ এক ভয়ংকর সমস্যা। এটা থেকে অনেকে মুক্তি পেতে চাইলেও পারে না।রাগের কারনে মানুষ এমন কাজ করে যেটার জন্য পরে হাজারো আপসোস করে।যে সময়গুলো শয়তান বেশি ধোকা দেয় তার মধ্যে একটা হলো রাগ।রাগের আমরা সবসময় সতর্ক হবো।রাগ ধমনের হাদিসগুলো নিচের বেডরুমে লিখে রাগবো।যেন সবসময় হাদিসগুলো সামনে পড়ে। যাতে রাগ উঠলেই সাথে এটার বিরুদ্ধে ভালোভাবে অবস্থান নেওয়া যায়।
রাগ উঠলেই বসে যাবো। তাতে রাগ না কমলে শুয়ে যাবো।তাতে না কমলে ওযু করবো।যদি আপনার ব্যাপারে কারো রাগ উঠতে দেখেন তাকে কৌশলে বসানোর বা শোয়ানের অথবা ওযু করানো চেষ্টা করুন।সব সময় একটা কথা মনে রাগবেন।কেউ আপনার নিজেকে কিছু বললে ধৈর্য্য ধরুন। দেখবেন আল্লাহ এমন সময় আনবেন যে সময় আপনি হয়ত তার উপর রাগ হবে কিন্তু সে কিছু বলার সাহস হবে।বিশেষ নিজের স্ত্রী বেলায় এমনটা করবেন।স্ত্রী রাগ হলে আপনি রাগ হবেন না।আবার একদিন আপনি রাগ হলে দেখবেন স্ত্রী রাগ করবে না।
মনে রাগবেন আগুনকে আগুন দিয়ে নিভানো যায় না বরং পানি দিয়ে নেভাতে হয়।আবার পানিকেও উত্তপ্ত করতে হলে আগুন প্রয়োজন হয়।তাই নিজেকেই স্থীর করতে হবে কখন আপনি পানির ভুমিকা রাগবেন আর কখন আগুনের মত হবেন।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্র রাগ হতেই হয়।যেমন আপনার সামনে যদি ইসলাম বা কোরআন, হাদিস নিয়ে আজে বাজে মন্তব্য করে তাহলে আপনি যদি রাগ না হন তাহলে বুজতে হবে আপনার ইমানে সমস্যা আছে।কেননা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাগ আসে সাধারনত মানব শরীরে রক্ত মাংস ইত্যাদির গরম বা শরীরে অন্য কোন সমস্যার কারনে। তেমনি ইসলাম বিদ্বেষী কাজ হলে রাগ আসে ইমানের কারনে।যদি রাগ না আসে তাহলে বুজতে হবে ইমানের দূর্বলতা বা নেফাকীর কারনে।
৫.নারী মদ, বা অনর্থক কাজ
অনেক মানুষ আছে যারা নারীদের প্রতি খুবই দূর্বল।তাদের নারীদের প্রতি আকর্ষন বেশী।তাদের শারীরিক উত্তেজনা প্রবল। এটা তাদের বিশেষ দূর্বলতা।যারা কারনে তারা নারী ফেতনা থেকে বেচে থাকা খুবই কঠিন।তারা সময় মত নারী না পেলে বিভিন্ন ফায়েসা কাজে জড়িয়ে পড়ে।যেমনঃ সমকামিতা বা হস্তমৈথুন ইত্যাদি
আবার অনেকে উত্তেজনা কম হলেও চেহারা ও শারীরিক সৌন্দর্য বেশি। যারা ফলে অনেক নারী তাকে বিভিন্ন কু প্রস্তাব দেয়।এতে নারীর ফেতনা থেকে বেচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।তাই যার এই দূর্বলতাটা মারাত্মক তাকে আগে দূর্বলতা ক্ষতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা আবশ্যক। তাকে আগে দূর্বলতা টা কত ভয়ংকর সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে এটাকে খুবই সিরিয়াসলি দূর্বল জায়গা হিসেবে দেখতে হবে।এবং সার্বক্ষণিক কিভাবে এটা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান থাকতে হবে।
আবার অনেকের মদ ও গানবাদ্যের প্রতি বিশেষ ভাবে আসক্ত থাকে।তাই তাকে অবশ্যই এসব বিষয় সতর্ক হতে হবে।
৬.অন্যের বিরুধীতা করা।
দ্বীনদ্বার দের মধ্যে একটা মারাত্মক সমস্যা হলো বিরুধীতা করা।শুধু ভালো ভালো মানুষদের দোষ চর্চা করা।রাসুল সাঃ মাক্কী জীবনে মানুষকে দ্বীনের দিকে আহবান করেছেন। কিন্তু কারো নাম ধরে বিরুধীতা করেন নি।বরং কাফের দের বৈশিষ্ট্য ছিলো সরাসরি আল্লাহর রাসূল সাঃ নাম ধরে গালিগালাজ ও বিরুধীতা করা। আপনি কেন বিরুধী করেন? আপনি অন্যের যে ভুলটির কারনে তার বিরুধীতা করেন আপনি প্রথমে শোকর করেন যে, আল্লাহ আপনাকে সে ভুলটি থেকে মুক্ত রেখেছেন।এরপর আপনি তার জন্য দোয়া করুন৷ আম ভাবে ভুলটি নিয়ে আলোচনা করুন হেকমতের সাথে।
আর যিনি ভুল করেছেন তার সাথে গিয়ে সুন্দর ভাবে আলোচনা করুন।
আর আপনার যিনি বিরুধীতা করেন আপনি তার জন্য দোয়া করুন।কয়েক বার তাকে হাদিয়া দিন। তাকে কিছু খাওয়ান। দেখবেন ঠিক হয়ে যাবে।শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ এর যারা বিরুধীতা করতেন তিনি তাদের জন্য হাদিয়া পাঠাতেন।কয়েকবার পাঠানোর পর তাদের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে গেছে।
বিরুধীতার কারনে অনেকে দ্বীন থেকে ছিটকে পড়ে।এটা বড়ই স্পর্শকাতর।
৭.কাপুরুষতা।
অনেকের দূর্বল দিক হলো ভীরুতা।অবশ্য যারা পাপিষ্ঠ তাদের জন্য এটা কিছুটা ভালো।তারা অনেক সময় ভীরুতার কারনে অনেক পাপ করতে পারে না।তবে এটা দ্বীনদারদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। কারন দ্বীনদাররা ভীরুতার কারনে অনেক দ্বীন কাজ করতে ভয় পায়।এটা দ্বীনের পথে চলার একটা বড় বাঁধা। আসলে যার অন্তরে আল্লাহর ভয় যত বেশি তার অন্তরে অন্যান্য ভয় তত কম।
পৃথিবীর সব বাতিকে যদি একটা মাঠে এনে দুপুর বেলা মেঘমুক্ত আকাশে উত্তপ্ত সূর্যের আলোর মাঝে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তখন কি সূর্যের আলোর সামনে বাতির আলোকে দেখা যাবে? অবশ্যই না।
মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভয় যত বেশি থাকে ততবেশি তার অন্যান্য ভয় থাকে না।
৮.অন্যকে নিজের মত মনে করা।
আমরা অনেকেই মনে করি আমি যেরকম অন্যকেও সেরকম হতে হবে।আমি যেমন সাহসী ও শক্তিশালী। অন্যরাও আমার মতই সাহসী শক্তিশালী হতে হবে আমার মত কাজ করতে হবে।যদি আমার মত না পারে তাহলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি।কেন সে এটা পারলো না কেন সে ওটা করলো না।সে কেন অন্যায় দেখার সাথে সাথে প্রতিবাদ করলো না।আমি হলে একটা কিছু করে ছাড়তাম।আসলে এমন মনমানষিকতা ঠিক না।আপনি হয়ত শক্তশালি। তাই আপনি অনেক কিছু পারেন। কিন্তু আরেক জন শক্তিশালী না।সে কি আপনার মত পারবে?আপনি কেন তাকে তুচ্ছ করেন?আপনি হয়ত জানেন না তার অপরাগতার কারনে সে রাতের আধারে উঠে কান্নাকাটি করে।আপনি হয়ত ভালো একটা পরিবেশে বড় হয়েছেন। কখন কোন মেয়ের সাথে কথা বলেন নি।তাই বলে অন্য একটা ছেলের ব্যাপারে বলতে পারেন না যে, সে কেন মেয়ের সাথে প্রেম করে? সে কেন আজই ত্যাগ দিচ্ছে না? সে কত নীচু সারাক্ষণ একটা মেয়েকে নিয়ে পড়ে থাকে।আপনি বরং তাকে বুঝান।তাকে সঙ্গ দিন।তাকে এর ক্ষতি সম্পর্কে বলুন।আল্লাহ হয়ত আপনাকে তার জায়গায় রাখতে পারতেন।আপনি তার জন্য দোয়া করুন।আপনি হয়ত বিড়ি খান না। তাই বলে আরেক জন খায় বলে তাকে খুব তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না।বরং তাকে বুজান। ভালোকরে বলুন।সে হয়ত উপদেশ গ্রহন করবে।তবে আবার সব জায়গায় নরম নরম বুজানো উচিত নয়।যেমন আপনার সামনে কেউ আল্লাহ বা আল্লাহর রাসুল সাঃ কে গালী দিলো তখন নরম নরম ভাবে বুজাতে যাইয়েন না।
আপনার সামনে আপনার স্ত্রীর বা মায়ের গায়ে হাত দিলে তাদের ইজ্জত হানি করলে আপনি তো কাপুরুষতা বা শারীরিক দূর্বলতার অজুহাতে বসে থাকবেন না।বরং আঘাতকারীকে প্রতিহত করবেন।আপনার মা বা স্ত্রীর ইজ্জতের চেয়ে আল্লাহর রাসুল সাঃ এর ইজ্জতের দাম কোটি কোটি গুন বেশি।কিন্তু উনার নামে কেউ কিছু বললে আপনার গায়ে লাগে না।কারন আপনি আপনার স্ত্রীকে যেমন ভালোবাসেন মা কে যেমন ভালোবাসেন। আপনি আল্লাহর রাসুল সাঃ কে তেমন ভালোবাসেন না।
৯.গীবত করা বা অপবাদ দেওয়াঃ
এটা দ্বীনদারদের ভিতরে খুব বেশি ও খুব বড় সমস্যা। অথচ রাসুল সাঃ বলেছেন গীবত যেনার চেয়েও মারাত্নক।
যেনাকাররা সবসময় যেনা করার সুযোগ পায় না এবং যেনা একবার করলে দ্বীতিয় বার করার জন্য অপেক্ষা করতে হয় চাইলেও পারা যায় না।কিন্তু গীবত মানুষ কোন দোকানে বা ঘরে বসে সকাল থেকে দুপুর বা বিকাল পর্যন্ত ও করতে থাকে। তাও কত মজা করে। বিশেষ করে অনেক দ্বীনদাররা ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক গীবত করেই যায়।কেউ কেউ হঠাৎ দ্বীনের পথে এসে কয় দিন ভালো আমল করলে বা বড় কোন আমল করতে পারলেই গীবত শুরু করে দেয়।সারাক্ষণ বলে বেড়ায় অমুক আলেম এটা করলো কেন? ওটা বললো না কেন? অমুক বাতে ফেরকাবাজ আরো অনেক কিছু। গীবতের চেয়ে আরো মারাত্নক বুহতান বা অপবাদ দেওয়া।আমরা অনেকেই কত মেয়ের নামে কত অপবাদ দিয়েছি।হয়ত শরীয়া আইনে কয়েক হাজার বেত খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে আছি।আসলে এগুলোর কারনে মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকেই মানুষের টাকা আত্নসাত করে, জবরদখল করে নিয়ে। তাও কত ঝামেলা পোহাতে হয়।এরপর সম্পদগুলো দিয়ে সাময়িক সময় কিছু আনন্দ করে।এরপর একদিন আখেরাতে সম্পদ আত্নসাতের কারনে তাকে নেক দিতে হবে বা নেক না থাকলে গুনাহের ভাগ নিতে হবে।কিন্তু যারা গিবত করে তারা বিনা ঝামেলায় গিবত করে নিজের নেক দিতেই থাকে অথবা গুনাহ নিতেই থাকে। কিন্তু যে ব্যক্তি সম্পদ দখল করলো সেতো সাময়িক কিছু উপভোগ করলো।কিন্তু আপনি কি করলেন?আপনি কি উপভোগ করলেন?
একটু ভেবে দেখুন তো আপনার জিবনে কষ্ট করে কোন আমল টি করেছেন? হয়ত এত বেশি গিবত করেছেন যে কিয়ামতের দিন আপনার সবচেয়ে কষ্টকর আমলটি আরেকজনে দিয়ে দিতে হবে।হয়ত আপনার জিহাদের আমল বা রিমান্ডে মার খাওয়ার সওয়াব অথবা ছয় মাসের তাহাজ্জুদের সওয়াব কিংবা সারাজিবনের রোযার সওয়াব অন্য কাউকে দিয়ে দিতে হবে।আপনার হয়ত সব নেক শেষ হয়ে যাওয়ার পর আরেক জনের যেনার গুনাহ, ও সমকামিতার গুনাহ আপনার গাড়ে চলে আসছে
৯.অধিক কথা বলা বা না জেনে কথা বলাঃ-
যারা অধিক কথা বলে তারা ভালো বলতে চাইলেও অধিক ভুল করে।আর যারা প্রয়োজনীয় কথা বলে তারা ভুল বলতে চাইলে অনেক সময় বলা হয় না।
কোন এক মনিষী বলেছেনঃকথা যতক্ষণ মুখে থাকে ততক্ষণ অধিনে থাকে। কিন্তু যখন মুখ থেকে বের হয় তখন মানুষ তার কথার অধিন হয়ে যায়।তাই বেশি কথা বলা ঠিক না।
না জেনে কথা বলা চরম অন্যায়। আপনি কোন বিষয় কথা বলতে হলে জেনে বলবেন।আপনি দেখলেন আপনার ভালো বন্ধুটা কোন মেয়ের সাথে হেঁটে যাচ্ছে। আপনি হঠাৎ করেই বলার দরকার নাই যে আপনার বন্ধু কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক। কারন হয়ত আপনার বন্ধু তার বোনকে নিয়ে হেটে যাচ্ছে। আবার আপনি মেয়ের সাথে বন্ধুকে দেখে এটাও বলার দরকার নাই যে, আপনার বন্ধু কত ভালো সে কোন মেয়ের সাথে কথা বলতেই পারে না।হয়ত সত্যিই সত্যিই সে অন্য মেয়েকে নিয়েই রাস্তে হেটেছে।
আপনার কোন বন্ধুর ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করুন। কেননা সন্দেজ ধরে রাখলে শত্রুতা বাড়তে থাকবে
কেউ কিছু বললে আপনি হঠাৎ করেই কমেন্ট করতে যাবেন না।কেননা সে হয়ত এক দৃষ্টিকোন থেকে কথাটা বলছে। আপনি আরেক দৃষ্টিকোন থেকে কথাটা বুঝেছেন।তাই কোন আলেম বা ভালো লোক কোন কথা বললে গভীর ভাবে চিন্তা করুন।
১০.নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালোঃ
এটা খুবই মারাত্নক একটা চিন্তা।আমরা অনেকেই দ্বীনের পথে আসার পর অনেক কাজ নিজের কাছে কঠিন মনে হলে চেষ্টা করি সহজ পথ খুজে বের করার জন্য।চিন্তা করি একবারে না করার চেয়ে আন্তত কিছু করতে পারলাম এটাই অনেক। অথচ ইসলামে কোরআন ও হাদীসে যেটা যেভাবে করতে বলা হয়েছে সেটাকে সেভাবে করতে হবে।কোরআন ও হাদীসের বাহিরে গিয়ে কিছু করা যাবে না।যেমনঃ আপনি যদি সরাসরি হক কথা বলতে না পারেন তাহলে বলবেন না।কিন্তু হক কথাও বলতে চাচ্ছেন আবার ভয়ও পাচ্ছেন। আর এজন্য কথা এমনভাবে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বললেন যে,নিজের হক কথাটা নিজেই বুজলেন আর কেউ বুজলো।আর আপনি মনে মনে ভাবলেন যাক,একবারে না বলার চেয়ে কিছুতো বললাম।কিন্তু আপনি জানেন আপনি একটা ভুল করলে সেটা শুধু আপনার ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকে না।সেটা অনেক মানুষের ভীতরে বিস্তার লাভ করে।আপনি খতিব হয়ে মসজিদে একটা ভুল করলে সেটা পুরো মনজিদের মানুষ শুনে। এবং আস্তে আস্তে বাহিরে চড়িয়ে পড়ে। তাই কথা বলতে খুবই সাবধান।
হযরত হোসাইন রাঃ কি পারতেন না এজিদের সাথে একটু আপোস করতে? তিনি কি এটা ভাবতে পারতেন না যে,আমি মরে গেলে নেতৃত্ব দিবে কে? আমি সামনে বেঁচে থাকলে উম্মাহর জন্য আবার কিছু করতে পারবো।এগুলো কি তিনি ভেবেছেন? তিনি বাতিলের কাছে কোন আপোষ করেন। বরং জীবন দিয়ে দিয়েছেন।আমরা অনেকেই নিজে দ্বীনের জন্য অনরক কষ্ট করতে চাইলেও অন্তত মানুষের কষ্টের কথা ভেবে দ্বীনের ব্যাপারে একটু নমনীয় বা সহজ পথ বেচে নেওয়ার চেষ্টা করি।কিন্তু এটা কি ঠিক? আচ্ছা আমরা কি আল্লাহর বান্দাকে আল্লাহর চাইতে বেশি ভালোবাসতে পারবো? যিনি তার বান্দাকে ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন তিনিই তার বান্দাকে বিধান দিয়েছেন।তিনিই জানেন বান্দার জন্য কোনটা ভালো ও কল্যানকর।তাহলে আপনি কে দ্বীনের ব্যাপারে সহজ পথ বের করার?কথাটা কঠিন করে ফেললাম এজন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
আসলে এমন চিন্তা বড়ই খারাপ।এটা অনেকের ক্ষেত্রে নেক সুরতে শয়তানের ধৌকার মতই।অনেকে আবেগের বশে বা ভুলক্রমে করে ফেলেন।এটা আমাদের প্রায় অনেকের ভিতরেই আছে।আমরা এমন সময় এমন অনেক কাজ করি বা কথা যেটার কারনে ইসলামের ক্ষতি হতে পারে কল্পনাতেও আসে না।এমন কাজ করার প্লান নিই যেটা আসলেই মারাত্মক ভুল। কিন্তু আমাদের কাছে খুবই ভালো মনে হয়।অথচ ইসলামের শত্রুরা একই ক্ষতি করতে কত কষ্ট করে।কিন্তু আমরা অনিচ্ছাকৃতই এসব কাজ করে ফেলি।এটা আসলে চরম ভুল।তাই আমরা আল্লাহ দরবারে দোয়া করবো যেন এমন কাজের চিন্তা কখনও মাথাই না।
আমরা ভালো মনে ভুল কাজ করি এটার উদাহরন ভুরি ভুরি দেওয়া যাবে।কিন্তু দিতে গেলে অনেকের মনে কষ্ট লাগবে। কেননা ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আলাদা আলাদা বই রচনা করতে হবে।যেমন ধরুন আল্লাহর রাসুল সাঃ মদিনায় ক্ষমতা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোন সন্ধি বা চুক্তি কারও সাথেই করেন নি।কিন্তু আজ আমরা কোরআন শাসনের জন্য ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই কত সন্ধি বা চুক্তি করে থাকি। তাও আবার চুক্তিতে কোরআনের আইন বাস্তবায়নের কোন শর্ত থাকে।যেটার জন্য এত কষ্ট সেটাই হলো না।কিন্তু বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা হলো।যাই হোক যে যেটাকে ভালোবাসে সে সেটার পক্ষে হাজারো দলিল বের করার চেষ্টা করে। যুক্তি খোজে।তবে ভাই! নফল নামায পড়ে আল্লাহকে বলবেন যেন আল্লাহ এমন ধরনে অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে রক্ষা করেন।
১১.নিজের দোষ স্বীকার না করা এবং নিজের মতকে বড় মনে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করাঃ
অনেকেই কথা বা কাজের ক্ষেত্রে নিজের ও নিজের দলের নিজের মা বাবার দোষ স্বীকার করেন না।নিজের কথা বা মত কে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চান।এটাকেই সঠিক মনে করেন।নিজের আমিত্যকে ধরে রাখতে চান।কথার ক্ষেত্রে সঠিক যাচাই না করে নিজের মত নিয়ে গোড়ামী করেন।নিজেকে সম্পর্ন আবেগহীন, বিবেক বান, সব বুজার অধীকারী ও ত্রুটিহীন মনে করেন।আবার অনেকে নিজের দুই একটি কাজ সঠিক করলে মনে করেন তার সব কাজ সঠিক হবে।তার নেতার সব কাজ সঠিক হবে।এটার কারনে মানুষ অনেক কল্যান থেকে বঞ্চিত হয়।
ওহুদের যুদ্বে আল্লাহর রাসুল সাঃ যখন পরামর্শ করলেন। তখন অনেক সংখ্যক সাহাবী মদীনার বাহিরে গিয়ে যুদ্বে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন।কিন্তু আল্লাহ রাসুল সাঃ মদীনার ভিতরে থেকেই যুদ্বের পরামর্শ দিলেন।কিন্তু তিনি সাহাবীদের পরামর্শ গ্রহন করলেন। অথচ তিনি সব মানুষের মাঝর সেরা জ্ঞানী মানুষ এবং তিনি শ্রেষ্ট মানুষ। সুতরাং উনার পরামর্শও শ্রেষ্ট।তিনিতো একাই সিদ্বান্ত নিতে পারতেন।কিন্তু তিনি নিলেন না।বরং সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করে নিজেরটা বাদ দিয়ে সাহাবীদের টা গ্রহন করলেন।সুবহানাল্লাহ কত বিনয়ী নবী।
এটা আমাদের জন্য শিক্ষা। আমি আরেক জনের চেয়ে জ্ঞানী। তার অর্থ এটা নয় যে, আমি কাউকে প্রাধান্য দিবো না বা কারো সাথে পরামর্শ করবো না।
আল্লাহ আমাদের দূর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠার তাওফিক দান করুক।