মরণঘাতী এ ভাইরাস আসার কারণ কি? আমরা তাওবা করতে পেরেছি কি?
প্রথমেই আমরা একটি হাদীসের দিকে লক্ষ্য করি-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ” يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ: لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ، حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا، إِلَّا فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ، وَالْأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلَافِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪০১৯]
হাদীস বলছে, যখন অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে, তখন মহামারী ছড়িয়ে পড়বে। এমন সব রোগ আসবে, ইতোপূর্বে যে রোগ সম্পর্কে মানুষ জানতো না।
দেখুন এ রোগের উদ্ভব চীন থেকে। যেখানে রয়েছে যৌনতা ও অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। ভয়ানক আকার ধারণ করেছে যতগুলো রাষ্ট্রে। সবগুলো রাষ্ট্রই যৌনতা ও অশ্লীলতার দায়ে দুষ্টু। সেখান থেকেই তা বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আমাদের প্রথমে এসব ভয়াবহ মহামারী রোগের মূল উৎসকে বন্ধ করতে হবে।
যৌনতা ও অশ্লীলতার বিস্তৃতি বন্ধ করতে হবে। অর্ধনগ্ন বিলবোর্ড, অশ্লীল সিনেমা, পর্নগ্রাফী ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। শালীন ও ভদ্র জীবনে ফিরে আসতে হবে। পরিবার ও সমাজকে একটি সুস্থ ও শালীন জীবন এবং পরিবেশ উপহার দিতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো: আমরা কি এই মরণঘাতী ভাইরাস আসার পরেও নিজেদেরকে পাপমুক্ত করতে পেরেছি? পেরেছি কি প্রকৃত তাওবা করে আমাদের রবের দিকে ফিরে আসতে? আমাদের প্রত্যেকের মুহাসাবা করা দরকার। নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারকে যাবতীয় অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখার এখনই উপযুক্ত সময়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন। আমীন
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ” يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ: لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ، حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا، إِلَّا فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ، وَالْأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلَافِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪০১৯]
হাদীস বলছে, যখন অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে, তখন মহামারী ছড়িয়ে পড়বে। এমন সব রোগ আসবে, ইতোপূর্বে যে রোগ সম্পর্কে মানুষ জানতো না।
দেখুন এ রোগের উদ্ভব চীন থেকে। যেখানে রয়েছে যৌনতা ও অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। ভয়ানক আকার ধারণ করেছে যতগুলো রাষ্ট্রে। সবগুলো রাষ্ট্রই যৌনতা ও অশ্লীলতার দায়ে দুষ্টু। সেখান থেকেই তা বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আমাদের প্রথমে এসব ভয়াবহ মহামারী রোগের মূল উৎসকে বন্ধ করতে হবে।
যৌনতা ও অশ্লীলতার বিস্তৃতি বন্ধ করতে হবে। অর্ধনগ্ন বিলবোর্ড, অশ্লীল সিনেমা, পর্নগ্রাফী ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। শালীন ও ভদ্র জীবনে ফিরে আসতে হবে। পরিবার ও সমাজকে একটি সুস্থ ও শালীন জীবন এবং পরিবেশ উপহার দিতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো: আমরা কি এই মরণঘাতী ভাইরাস আসার পরেও নিজেদেরকে পাপমুক্ত করতে পেরেছি? পেরেছি কি প্রকৃত তাওবা করে আমাদের রবের দিকে ফিরে আসতে? আমাদের প্রত্যেকের মুহাসাবা করা দরকার। নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারকে যাবতীয় অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখার এখনই উপযুক্ত সময়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন। আমীন
********************
Comment