কোরআন থেকে তাকওয়ার ৮ প্রতিদানঃ
তাকওয়া তথা খোদাভীতি মুমিনের অপরিহার্য গুণ। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন- "ইমান হল বিবস্ত্র, আর তাকওয়া হল তার পোষাক"। তাকওয়া বিহীন ইমান অসম্পূর্ণ। তাই তাকওয়া অর্জন করা আবশ্যক৷ এখানে স্মরণ রাখা উচিত যে, তাকওয়া মানে বেশি বেশি নামাজ, রোজা করার নাম নয়, বরং তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয়ে তার আদিষ্ট বিষয়গুলো পালন করা, এবং নিষিদ্ধ বিষয়গুলো পরিহার করা। এক কথায় গুনাহ মুক্ত থাকার নাম তাওকয়া। হাঁ, এর পরে যদি বাড়তি আমল করা যায় তাহলে তা অবশ্যই মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হবে৷ কোরআন ও হাদীসে তাওকয়া অর্জনকারীর জন্য রয়েছে অজস্র ফযীলত। আজকে আমরা কোরআন থেকে কয়েকটি বিশেষ ফযীলত তুলে ধরব। সামনে প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আলাদা আলোচনা করার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ।
তাকওয়া তথা গুনাহ মুক্ত জীবনের বিশেষ ৮ টি ফজিলতঃ
১- আল্লাহ হক বাতিল চিনার জন্য অন্তরে হেদায়েত ঢেলে দিবেন।
﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تَتَّقُوا اللَّهَ يَجْعَلْ لَكُمْ فُرْقَانًا وَيُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ ﴾ [الأنفال: 29]
অর্থঃ হে মু'মিনগণ! যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য ফোরকান সৃষ্টি করে দিবেন ( তোমাদের অন্তরে হক বাতিল পার্থক্য করার নূর তৈরি করে দিবেন), এবং তোমাদের গুনাহ সমূহ মিটিয়ে দিবেন, ও তোমাদের ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহ পরায়ণ। (সূরা আনফাল-২৯)
২- গুনাহ হলে ক্ষমা করে দিবেন।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُعْظِمْ لَهُ أَجْرًا" (الطلاق:5)
অর্থঃ "যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার গুনাহ মাপ করে দিবেন, এবং মহাপ্রতিদান দান করবেন"।
৩- দুনিয়ার জীবনের সকল কাজ সহজ করে দিবেন।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْراً (الطلاق:4)
অর্থঃ যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দিবেন। ( সূরা ত্বলাক-৪)
৪- কঠিন পরিস্থিতিতেও আল্লাহ তা’আলা রাস্তা বের করে দিবেন।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا (الطلاق:2)
অর্থঃ " যে ব্যক্তি তাওকয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তা'লা তার জন্য (যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে) রাস্তা তৈরি করে দিবেন৷ ( ত্বলাক-২)
৫- এমন যায়গা থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করবেন যেখান থেকে সে কখনো কল্পনাও করেনি।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا * وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ(الطلاق:2-3)
অর্থঃ যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তালা তার জন্য (যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে) রাস্তা তৈরি করে দিবেন এবং এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন, যেখান থেকে সে ধারণাও করেনি। (ত্বলাক-২,৩)
৬- আল্লাহ নিজেই তার শিক্ষক হয়ে যাবেন।
(وَاتَّقُواْ اللّهَ وَيُعَلِّمُكُمُ اللّهُ وَاللّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ) [البقرة:282]،
অর্থঃ "তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, আল্লাহ তোমাদের শিক্ষা দিবেন (ইলম দান করবেন), আর আল্লাহ সব বিষয়ে মহা জ্ঞানি। (সূরা বাকারাঃ২৮২)
৭- আল্লাহ তাকে ভালবাসবেন।
بَلَى مَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ وَاتَّقَى فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ ﴾ [آل عمران: 76]
অর্থঃ " হাঁ, যে ব্যক্তি স্বীয় ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান-৭৬)
৮- আল্লাহ তাকে চিরস্থায়ী জান্নাত দান করবেন।
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ - (الزاريات:19)
অর্থঃ "নিশ্চয়ই মুত্তাকীগণ বাগানসমূহে ও ঝর্ণাসমূহে থাকবে (বেহেশতে বিচরণ করবে)। (সূরা যারিয়াত-১৯)
اللهم اجعلنا للمتقين اماما.
তাকওয়া তথা খোদাভীতি মুমিনের অপরিহার্য গুণ। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন- "ইমান হল বিবস্ত্র, আর তাকওয়া হল তার পোষাক"। তাকওয়া বিহীন ইমান অসম্পূর্ণ। তাই তাকওয়া অর্জন করা আবশ্যক৷ এখানে স্মরণ রাখা উচিত যে, তাকওয়া মানে বেশি বেশি নামাজ, রোজা করার নাম নয়, বরং তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয়ে তার আদিষ্ট বিষয়গুলো পালন করা, এবং নিষিদ্ধ বিষয়গুলো পরিহার করা। এক কথায় গুনাহ মুক্ত থাকার নাম তাওকয়া। হাঁ, এর পরে যদি বাড়তি আমল করা যায় তাহলে তা অবশ্যই মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হবে৷ কোরআন ও হাদীসে তাওকয়া অর্জনকারীর জন্য রয়েছে অজস্র ফযীলত। আজকে আমরা কোরআন থেকে কয়েকটি বিশেষ ফযীলত তুলে ধরব। সামনে প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আলাদা আলোচনা করার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ।
তাকওয়া তথা গুনাহ মুক্ত জীবনের বিশেষ ৮ টি ফজিলতঃ
১- আল্লাহ হক বাতিল চিনার জন্য অন্তরে হেদায়েত ঢেলে দিবেন।
﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تَتَّقُوا اللَّهَ يَجْعَلْ لَكُمْ فُرْقَانًا وَيُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ ﴾ [الأنفال: 29]
অর্থঃ হে মু'মিনগণ! যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য ফোরকান সৃষ্টি করে দিবেন ( তোমাদের অন্তরে হক বাতিল পার্থক্য করার নূর তৈরি করে দিবেন), এবং তোমাদের গুনাহ সমূহ মিটিয়ে দিবেন, ও তোমাদের ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহ পরায়ণ। (সূরা আনফাল-২৯)
২- গুনাহ হলে ক্ষমা করে দিবেন।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُعْظِمْ لَهُ أَجْرًا" (الطلاق:5)
অর্থঃ "যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার গুনাহ মাপ করে দিবেন, এবং মহাপ্রতিদান দান করবেন"।
৩- দুনিয়ার জীবনের সকল কাজ সহজ করে দিবেন।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْراً (الطلاق:4)
অর্থঃ যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দিবেন। ( সূরা ত্বলাক-৪)
৪- কঠিন পরিস্থিতিতেও আল্লাহ তা’আলা রাস্তা বের করে দিবেন।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا (الطلاق:2)
অর্থঃ " যে ব্যক্তি তাওকয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তা'লা তার জন্য (যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে) রাস্তা তৈরি করে দিবেন৷ ( ত্বলাক-২)
৫- এমন যায়গা থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করবেন যেখান থেকে সে কখনো কল্পনাও করেনি।
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا * وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ(الطلاق:2-3)
অর্থঃ যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তালা তার জন্য (যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে) রাস্তা তৈরি করে দিবেন এবং এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন, যেখান থেকে সে ধারণাও করেনি। (ত্বলাক-২,৩)
৬- আল্লাহ নিজেই তার শিক্ষক হয়ে যাবেন।
(وَاتَّقُواْ اللّهَ وَيُعَلِّمُكُمُ اللّهُ وَاللّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ) [البقرة:282]،
অর্থঃ "তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, আল্লাহ তোমাদের শিক্ষা দিবেন (ইলম দান করবেন), আর আল্লাহ সব বিষয়ে মহা জ্ঞানি। (সূরা বাকারাঃ২৮২)
৭- আল্লাহ তাকে ভালবাসবেন।
بَلَى مَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ وَاتَّقَى فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ ﴾ [آل عمران: 76]
অর্থঃ " হাঁ, যে ব্যক্তি স্বীয় ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান-৭৬)
৮- আল্লাহ তাকে চিরস্থায়ী জান্নাত দান করবেন।
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ - (الزاريات:19)
অর্থঃ "নিশ্চয়ই মুত্তাকীগণ বাগানসমূহে ও ঝর্ণাসমূহে থাকবে (বেহেশতে বিচরণ করবে)। (সূরা যারিয়াত-১৯)
اللهم اجعلنا للمتقين اماما.
Comment