পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বারবার ঘটেছে যে, অঞ্চল দখলের মাধ্যমে সমকালীন সবল জাতিগুলো দুর্বল জাতিগুলোকে জয় করে নিজেদের গোলামে পরিণত করে নিয়েছে । কিন্তু যখনই
বিজয়ীদের শক্তির সূর্য অস্তমিত হতে শুরু করেছে, অমনি গোলামির জিঞ্জিরও ভেঙে যাওয় শুরু করেছে।কিন্তু আধুনিক যুগে শক্তিশালী জাতিগুলো দুর্বল জাতিগুলোকে অঞ্চল জয় করা
ব্যতিরেকেই গোলাম বানিয়ে নিচ্ছে । আর এই গোলামি এতটাই ঘৃণ্য ও জঘন্য যে, বিজয়ী জাতির পতনের পরও যেমনটা তেমনই রয়ে যায় ।
দৈহিক গোলামি অতটা ক্ষতিকর ও নিন্দনীয় নয়, যতটা নিন্দনীয় ও ক্ষতিকর মানসিক গোলামি । কারণ, একটি জাতির চিন্তা-চেতনা যদি স্বাধীন হয়, তা হলে তারা কখনও পরাজয় মেনে
নেয় না এবং সুযোগ পেলেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে । অপর দিকে কোনো জাতি যদি মানসিক গোলামির শিকার হয়ে পড়ে, তা হলে ভেতর থেকে তাদের নিজেদের মতো করে চিন্তা করার
যোগ্যতা হারিয়ে যায় । মানসিক গোলামির শিকার জাতি আপন মস্তিষ্কে চিন্তা করে না । পরিস্থিতিকে তারা নিজেদের চোখে দেখে না। গ্রভুরা যেদিকে খুশি তাদের চিন্তার গতিকে ঘুরিয়ে দেয় ।
বড় ব্যাপার হলো, নিজেদেরকে, এরা গোলামই মনে করে না। ভাবে, আমরা তো স্বাধীনই আছি । মানসিক গোলামির সবচেয়ে বড ক্ষতিটি হলো, মানসিকভাবে গোলাম জাতি ভালো কে মন্দ
আর মন্দ কে ভালো, ক্ষতি কে উপকার আর উপকার কে ক্ষতি, শত্রু কে বন্ধু আর বন্ধু কে শত্রু মনে করে ।
খেলাফতের পতনের পর থেকে আজ অবধি মুসলিম উম্মাহ এই মানসিক গোলামির শিকার | এই গোলামির বিষক্রিয়া মুসলমানদের মস্তিষ্কে এই ধারণাটি বদ্ধমূল করে দিয়েছে যে, এ-যুগে
ইসলামি খেলাফতের কোনো প্রয়োজন নেই - সময় এখন গণতন্ত্রের । এভাবে মানসিক গোলামির ফলে মুসলমান গণতন্ত্রকে ইসলামি খেলাফতের “উত্তম বিকল্প" ঠিক করে নিয়েছে।
এই মানসিক গোলামি মুসলমানদের মধ্য থেকে কুরআন-হাদীছ অনুসারে চিন্তার করার যোগ্যতা ও অনুভূতি বের করে দিয়েছে । ফলে এখন মুসলমান কোনো একটি বিষয়কে কুরআন-হাদীছের
আলোকে পর্যালোচনা করে না । এখন তারা সবকিছু পর্যালোচনা করে পাশ্চাত্য মিডিয়ার মাথায় । পশ্চিমারা একটি বিষয়কে যেভাবে মুল্যায়ন করে, মুসলমানও আজ বিষয়টিকে সেভাবেই
ভাবতে শুরু করে। আমাদের শাসক-লেখক-বুদ্ধিজীবীদের চিন্তা ও কলম আজ সেই পথেই চলে, যে-পথের দিকে
ইসলামের শত্রুরা আঙ্গুলিনির্দেশ করে । অবশেষে যখন গন্তব্যে উপনীত হয় তখন দেখা যায়, এটি সেই জায়গা, যেটি পশ্চিমা চিন্তাবিদরা আগেই ঠিককরে রেখেছে। অথচ তারা মনে করে,
আমরা বিরাট কিছু অর্জন করে ফেলেছি । আমরা অনেক কাজ করছি।
রাশিয়ার আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশ, আফগান মুসলমানদের জিহাদ ও বিজয়, তালেবানের ইসলামি শাসন, আফগানিস্তানের উপর আমেরিকার আগ্রাসন, উপসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার
আগমন, আমেরিকার ইরাক দখল, ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের নিপীড়ন, আমেরিকার উপর এগারো সেপ্টেম্বরের আক্রমণ এবং এ-জাতীয় অন্যান্য ঘটনাগুলোকে আমরা এখানে
দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করতে পারি । এই বিষয়গুলোতে তথাকথিত মুসলমান লেখক-বুদ্ধিজীবীদের মূল্যায়ন-পর্যালোচনা মুসলমানদের মনে সাহস জোগানোর পরিবর্তে মনোবল হারানোর কাজ
করেছে । তাদের মূল্যায়ন মুসলমান সমাজের উপর বিরূপ ও ভুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে । মানসিকভাবে গোলাম হওয়ার কারণে তারা আল্লাহর শক্তিকে পরাশক্তি প্রমাণিত করার স্থলে
কাফের রাষ্ট্রগুলোকে সুপার পাওয়ার সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছে যে, যা-কিছু ঘটে,সব কাফেরদের মর্জি অনুসারেই ঘটে - ওরা যা চায়, তা-ই হয় । কাজেই তোমরাও আমাদের মতো
কাফেরদের মানসিক গোলাম হয়ে যাও ।
কেন এই পরিবর্তনঃ এর একমাত্র কারণ, মুসলমান বর্তমান পরিস্থিতিকে কুরআন-হাদীছের আলোকে বুঝবার চেষ্টা করে না। তারা তাকিয়ে থাকে পশ্চিমা প্রচার মাধ্যমগুলোর দিকে | তারপর
ওরা যা বোঝায়, বিনা বিচারে তা-ই বুঝে নেয় । এই সত্যটি আজ অস্বীকার করবার কোনোই সুযোগ নেই যে, আজ আমাদের অধিকাংশ শিক্ষিতজন পশ্চিমাদের মানসিক গোলামির শিকার ।
কিন্তু অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে, হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে হলে, ঈমানি কর্তব্য পালন করতে হলে আমাদেরকে এই গোলামির শিকল ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে হবে । আমাদেরকে
কুরআন-হাদিছের আলোকে কর্মনীতি প্রস্তুত করতে হবে । বিশ্বপরিস্থিতিকে কুরআন-হাদীছের চোখে দেখার ও মুল্যায়ন করার অভ্যাস ও যোগ্যতা গড়ে তুলতে হবে । অন্যথায় আজীবনই
আমরা পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থই হব আর এই অবস্থাতেই কেয়ামত এসে পড়বে । তখন না অতীতের আয়না আমাদের সঠিক চিত্র দেখাবে, না আমরা ভবিষ্যতের নির্ভুল ছবি
দেখতে সক্ষম হব,না ইউরোপের পুনরুত্থান রহস্য উন্মোচনে সফল হব,না আমরা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের তাৎপর্য উপলদ্ধি করতে পারব,না আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের
মধ্যকার শীতল যুদ্ধের নাটক বুঝতে পারব । অনুরূপ না আমেরিকা-চীন কিংবা ভারত-চীনের শত্রুতার রহস্য আমাদের সম্মুখে উন্মোচিত হবে ।
তাই আমাদের অবশ্য এই গোলামীর জিঞ্জির ভেঙ্গে মানসিক এবং শারীরিকভাবে স্বাধীন হতে হবে । আর প্রথমত আমাদের এই উম্মাহর সমস্যা ও বাধাগুলো বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী
নিজেদেরকে ও সমাজকে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে । কারণ, রোগ নির্ণয় সঠিক না হলে ব্যবস্থাপত্রও সঠিক হয় না ।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যতে ঘটবে এমন অনেকগুলো ঘটনা স্পষ্ট ভাষায় খোলাসাভাবে বর্ণনা করেছেন, যাতে মুসলমানরা তার আলোকে নির্ভুল পরিকল্পনা প্রস্তুত
করতে পারে, ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের আগে থেকেই তৈরি করে নিতে পারে এবং শক্রর মোকাবেলায় নিজেদের যথাসময়ে প্রস্তুত করে রাখতে পারে !তাই আমাদের দ্বীনের গভীর জ্ঞান অর্জন
করতে হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে ।
আল্লাহপাক মুসলিম উম্মাহকে দীনের সঠিক বুঝ ও সফলতা দান করুন । আমীন ।
মাওলানা আসেম ওমর (রহঃ)
লাহোর, পাকিস্তান
বিজয়ীদের শক্তির সূর্য অস্তমিত হতে শুরু করেছে, অমনি গোলামির জিঞ্জিরও ভেঙে যাওয় শুরু করেছে।কিন্তু আধুনিক যুগে শক্তিশালী জাতিগুলো দুর্বল জাতিগুলোকে অঞ্চল জয় করা
ব্যতিরেকেই গোলাম বানিয়ে নিচ্ছে । আর এই গোলামি এতটাই ঘৃণ্য ও জঘন্য যে, বিজয়ী জাতির পতনের পরও যেমনটা তেমনই রয়ে যায় ।
দৈহিক গোলামি অতটা ক্ষতিকর ও নিন্দনীয় নয়, যতটা নিন্দনীয় ও ক্ষতিকর মানসিক গোলামি । কারণ, একটি জাতির চিন্তা-চেতনা যদি স্বাধীন হয়, তা হলে তারা কখনও পরাজয় মেনে
নেয় না এবং সুযোগ পেলেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে । অপর দিকে কোনো জাতি যদি মানসিক গোলামির শিকার হয়ে পড়ে, তা হলে ভেতর থেকে তাদের নিজেদের মতো করে চিন্তা করার
যোগ্যতা হারিয়ে যায় । মানসিক গোলামির শিকার জাতি আপন মস্তিষ্কে চিন্তা করে না । পরিস্থিতিকে তারা নিজেদের চোখে দেখে না। গ্রভুরা যেদিকে খুশি তাদের চিন্তার গতিকে ঘুরিয়ে দেয় ।
বড় ব্যাপার হলো, নিজেদেরকে, এরা গোলামই মনে করে না। ভাবে, আমরা তো স্বাধীনই আছি । মানসিক গোলামির সবচেয়ে বড ক্ষতিটি হলো, মানসিকভাবে গোলাম জাতি ভালো কে মন্দ
আর মন্দ কে ভালো, ক্ষতি কে উপকার আর উপকার কে ক্ষতি, শত্রু কে বন্ধু আর বন্ধু কে শত্রু মনে করে ।
খেলাফতের পতনের পর থেকে আজ অবধি মুসলিম উম্মাহ এই মানসিক গোলামির শিকার | এই গোলামির বিষক্রিয়া মুসলমানদের মস্তিষ্কে এই ধারণাটি বদ্ধমূল করে দিয়েছে যে, এ-যুগে
ইসলামি খেলাফতের কোনো প্রয়োজন নেই - সময় এখন গণতন্ত্রের । এভাবে মানসিক গোলামির ফলে মুসলমান গণতন্ত্রকে ইসলামি খেলাফতের “উত্তম বিকল্প" ঠিক করে নিয়েছে।
এই মানসিক গোলামি মুসলমানদের মধ্য থেকে কুরআন-হাদীছ অনুসারে চিন্তার করার যোগ্যতা ও অনুভূতি বের করে দিয়েছে । ফলে এখন মুসলমান কোনো একটি বিষয়কে কুরআন-হাদীছের
আলোকে পর্যালোচনা করে না । এখন তারা সবকিছু পর্যালোচনা করে পাশ্চাত্য মিডিয়ার মাথায় । পশ্চিমারা একটি বিষয়কে যেভাবে মুল্যায়ন করে, মুসলমানও আজ বিষয়টিকে সেভাবেই
ভাবতে শুরু করে। আমাদের শাসক-লেখক-বুদ্ধিজীবীদের চিন্তা ও কলম আজ সেই পথেই চলে, যে-পথের দিকে
ইসলামের শত্রুরা আঙ্গুলিনির্দেশ করে । অবশেষে যখন গন্তব্যে উপনীত হয় তখন দেখা যায়, এটি সেই জায়গা, যেটি পশ্চিমা চিন্তাবিদরা আগেই ঠিককরে রেখেছে। অথচ তারা মনে করে,
আমরা বিরাট কিছু অর্জন করে ফেলেছি । আমরা অনেক কাজ করছি।
রাশিয়ার আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশ, আফগান মুসলমানদের জিহাদ ও বিজয়, তালেবানের ইসলামি শাসন, আফগানিস্তানের উপর আমেরিকার আগ্রাসন, উপসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার
আগমন, আমেরিকার ইরাক দখল, ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের নিপীড়ন, আমেরিকার উপর এগারো সেপ্টেম্বরের আক্রমণ এবং এ-জাতীয় অন্যান্য ঘটনাগুলোকে আমরা এখানে
দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করতে পারি । এই বিষয়গুলোতে তথাকথিত মুসলমান লেখক-বুদ্ধিজীবীদের মূল্যায়ন-পর্যালোচনা মুসলমানদের মনে সাহস জোগানোর পরিবর্তে মনোবল হারানোর কাজ
করেছে । তাদের মূল্যায়ন মুসলমান সমাজের উপর বিরূপ ও ভুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে । মানসিকভাবে গোলাম হওয়ার কারণে তারা আল্লাহর শক্তিকে পরাশক্তি প্রমাণিত করার স্থলে
কাফের রাষ্ট্রগুলোকে সুপার পাওয়ার সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছে যে, যা-কিছু ঘটে,সব কাফেরদের মর্জি অনুসারেই ঘটে - ওরা যা চায়, তা-ই হয় । কাজেই তোমরাও আমাদের মতো
কাফেরদের মানসিক গোলাম হয়ে যাও ।
কেন এই পরিবর্তনঃ এর একমাত্র কারণ, মুসলমান বর্তমান পরিস্থিতিকে কুরআন-হাদীছের আলোকে বুঝবার চেষ্টা করে না। তারা তাকিয়ে থাকে পশ্চিমা প্রচার মাধ্যমগুলোর দিকে | তারপর
ওরা যা বোঝায়, বিনা বিচারে তা-ই বুঝে নেয় । এই সত্যটি আজ অস্বীকার করবার কোনোই সুযোগ নেই যে, আজ আমাদের অধিকাংশ শিক্ষিতজন পশ্চিমাদের মানসিক গোলামির শিকার ।
কিন্তু অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে, হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে হলে, ঈমানি কর্তব্য পালন করতে হলে আমাদেরকে এই গোলামির শিকল ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে হবে । আমাদেরকে
কুরআন-হাদিছের আলোকে কর্মনীতি প্রস্তুত করতে হবে । বিশ্বপরিস্থিতিকে কুরআন-হাদীছের চোখে দেখার ও মুল্যায়ন করার অভ্যাস ও যোগ্যতা গড়ে তুলতে হবে । অন্যথায় আজীবনই
আমরা পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থই হব আর এই অবস্থাতেই কেয়ামত এসে পড়বে । তখন না অতীতের আয়না আমাদের সঠিক চিত্র দেখাবে, না আমরা ভবিষ্যতের নির্ভুল ছবি
দেখতে সক্ষম হব,না ইউরোপের পুনরুত্থান রহস্য উন্মোচনে সফল হব,না আমরা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের তাৎপর্য উপলদ্ধি করতে পারব,না আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের
মধ্যকার শীতল যুদ্ধের নাটক বুঝতে পারব । অনুরূপ না আমেরিকা-চীন কিংবা ভারত-চীনের শত্রুতার রহস্য আমাদের সম্মুখে উন্মোচিত হবে ।
তাই আমাদের অবশ্য এই গোলামীর জিঞ্জির ভেঙ্গে মানসিক এবং শারীরিকভাবে স্বাধীন হতে হবে । আর প্রথমত আমাদের এই উম্মাহর সমস্যা ও বাধাগুলো বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী
নিজেদেরকে ও সমাজকে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে । কারণ, রোগ নির্ণয় সঠিক না হলে ব্যবস্থাপত্রও সঠিক হয় না ।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যতে ঘটবে এমন অনেকগুলো ঘটনা স্পষ্ট ভাষায় খোলাসাভাবে বর্ণনা করেছেন, যাতে মুসলমানরা তার আলোকে নির্ভুল পরিকল্পনা প্রস্তুত
করতে পারে, ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের আগে থেকেই তৈরি করে নিতে পারে এবং শক্রর মোকাবেলায় নিজেদের যথাসময়ে প্রস্তুত করে রাখতে পারে !তাই আমাদের দ্বীনের গভীর জ্ঞান অর্জন
করতে হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে ।
আল্লাহপাক মুসলিম উম্মাহকে দীনের সঠিক বুঝ ও সফলতা দান করুন । আমীন ।
মাওলানা আসেম ওমর (রহঃ)
লাহোর, পাকিস্তান
Comment