জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের ব্যাপারে দুটি সংশয় ও নিরসন
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিহিল আমিন-
সম্মানিত ভাইদেরকে আজকে দুটি কথা বলবো ইনশা আল্লাহ...
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিহিল আমিন-
সম্মানিত ভাইদেরকে আজকে দুটি কথা বলবো ইনশা আল্লাহ...
এক
সম্প্রতি অনেক ভাই এ ভূখণ্ডের আল-কায়েদার মুজাহিদদের ব্যাপারে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে থাকেন। অনেকে মাশা আল্লাহ নসিহাহও দিয়ে থাকেন। যারা মুজাহিদদের ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেন এবং নসিহাহ দিয়ে থাকেন, ওই সকল ভাই ও বোনদেরকে আন্তরিক মোবারকবাদ। কিছু কিছু বিষয়ে বাস্তবতা থাকলেও অনেক সময়ই অনেক অভিযোগের বাস্তবতা আসলে থাকে না।
তো সম্মানিত ভাইয়েরা! আমরা এটা অস্বীকার করি না যে আমাদের ভুল হতে পারে না! তবে আমরা উম্মাহকে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে আমরা সর্বদা চেষ্টা করি ভুলত্রুটি থেকে বেঁচে থাকতে এবং সর্বদা হকের উপর চলতে। আপনারা যারা ফোরামে আমাদেরকে বিভিন্ন নসিহাহ দিয়ে থাকেন, এগুলা আপনাদের ভাইদের সামনে যায়। আমরা আশা করি আপনারা আরও বেশি বেশি নসিহাহ/মাশওয়ারা দিবেন। যারা তানযিমে যুক্ত আছেন, তারা তো তানযিমের চেইনেই দিবেন, আর যারা তানযিমে যুক্ত নন, তারা ফোরামেই একক মাশওয়ারাতে পোস্ট দিতে পারেন ইনশা আল্লাহ। তবে ভাই ও বোনদের প্রতি আবেদন থাকবে, অবশ্যই মুজাহিদদের জানুন! তাদের বুঝার চেষ্টা করুন!
দুই
সম্প্রতি এক ভাই আল-কায়েদার হাতে বাইয়াত ভঙ্গকারী দলগুলোর ক্ষেত্রে আচরণবিধি কেমন হবে, সেটা নিয়ে সংশয় পেশ করেছেন- ওই ভাইসহ অন্যান্য সকল ভাইকে অনুরোধ করবো আপনারা শামের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় আল কায়েদার إن الله أبى علي من قتل مؤمن নামে প্রদত্ত বার্তাটি ভালোভাবে পড়ুন- https://sahab.it/?p=3703
পুরো বার্তাটি পড়লে আশা করি সংশয় কেটে যাবে ইনশা আল্লাহ। আমরা আশা রাখি বরাবরের মত হয়তো অচিরেই আন নাসর মিডিয়ার ভাইয়েরা এটারও অনুবাদ আপনাদের কাছে পেশ করবেন। তবে আমি আপাতত বার্তাটির ৪ নাম্বার পয়েন্টটির অনুবাদ পেশ করছি-
"৪-কোন গ্রুপের অধীনস্থদের অন্য গ্রুপের অধীনে দ্বীনের কাজ করার স্বাধীনতা খর্ব করা বৈধ নয়। যতক্ষণ না মুসলমানরা একজন ব্যক্তিকে (আমীর হিসেবে) মান্য করতে একমত হয়। কারণ দ্বীনি কাজসহ সমস্ত ইবাদাত পরস্পরের সন্তুষ্টির মাধ্যমে হয়, জোর জবরদস্তির মাধ্যমে নয়।
আর মুমিনদের জন্য শর্ত পূরণ করা জরুরী। তাই যে ব্যক্তি কোন দলের সাথে দ্বীনের কাজ করার বাইআত ও অঙ্গিকার করেছে সে তার অঙ্গিকার ভঙ্গ করতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার আমীরদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিজের বিষয়ে দায়িত্বমুক্তি ও দলে না থাকার ঘোষণা না দিবে। আর আমিরদের জন্য তার পথে বাঁধা হওয়া জায়েয নেই। তারপর সে যেখানে, যাদের সাথে কাজ করতে চায় সেক্ষেত্রেও বাঁধা দেয়া জায়েয নেই। জিহাদি কাজকে মজবুত করা ও যুবকদেরকে জিহাদে টানার জন্য বর্তমানে এর প্রয়োজন খুব-ই বেশি। জামাতবদ্ধ ইবাদাতের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেয়াই হলো মূলনীতি। তাই বান্দা যার সাথে চায়, যেখানে থেকে চায় – সেখানে থেকেই ইবাদাত করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোন দোষ নেই। এই ইসলামি মূলনীতির মাধ্যমে ইসলামের কাজগুলো সুশৃঙ্খলাবদ্ধ হয়।"
আর মুমিনদের জন্য শর্ত পূরণ করা জরুরী। তাই যে ব্যক্তি কোন দলের সাথে দ্বীনের কাজ করার বাইআত ও অঙ্গিকার করেছে সে তার অঙ্গিকার ভঙ্গ করতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার আমীরদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিজের বিষয়ে দায়িত্বমুক্তি ও দলে না থাকার ঘোষণা না দিবে। আর আমিরদের জন্য তার পথে বাঁধা হওয়া জায়েয নেই। তারপর সে যেখানে, যাদের সাথে কাজ করতে চায় সেক্ষেত্রেও বাঁধা দেয়া জায়েয নেই। জিহাদি কাজকে মজবুত করা ও যুবকদেরকে জিহাদে টানার জন্য বর্তমানে এর প্রয়োজন খুব-ই বেশি। জামাতবদ্ধ ইবাদাতের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেয়াই হলো মূলনীতি। তাই বান্দা যার সাথে চায়, যেখানে থেকে চায় – সেখানে থেকেই ইবাদাত করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোন দোষ নেই। এই ইসলামি মূলনীতির মাধ্যমে ইসলামের কাজগুলো সুশৃঙ্খলাবদ্ধ হয়।"
Comment