লুকিয়ে থাকা শাইখ, 💗 তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ ! ❤️💓

[নীরবতার প্রাচীর]

আজ মাগরিবের নামাজ পড়লাম এক বিভাগীয় শহরের মসজিদে, মসজিদটি খুবই দৃষ্টিনন্দন !

মূলত আমার এক বন্ধুর আমন্ত্রণে সেখানে যাই।

অনেকের সঙ্গে কথা হয়,
মুহূর্তটা খুবই উপভোগ করি! সবচেয়ে অবাক হই এক ছোট ভাইয়ের কথা শুনে,

সে বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের অবস্থা,উম্মাহর উত্থান-পতন নিয়ে আলোচনা করে!

খোরাসানে তা'লিবান ও মাগরেবে কায়েদাতুল ইসলামের উত্থান নিয়ে সে ব্যাপক আশাবাদি !

মিডিয়া কিভাবে আমাদের ব্রেইন ওয়াশ করে,
কিভাবে জিহা'দের অপব্যাখ্যা করে, এটা নিয়েও চমকপ্রদ তথ্য উত্থাপন করে ওই ছোট ভাইটি!

এত ছোট্ট একটা মানুষ
অথচ ইসলাম নিয়ে তার জানাশোনায় যেন কোন কমতি নেই, এটাই যেন তার ধান-জ্ঞান সবকিছু!

তার এই বিশদ নলেজ দেখে আমি তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি,
সে শহরের এক নামি-দামি স্কুলে সবেমাত্র ক্লাস এইটে পড়ে!

মূলত,
ইসলামের প্রতি তার এই আগ্রহ জন্মেছে ইউটিউবে
শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহর ভিডিও দেখার পর!

উম্মাহ নেটওয়ার্ক থেকেই
সে জিহা'দ-কিতাল,আক্বীদাহ,
আল ওয়ালা ওয়াল বারা'র মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে

অবাক করার মত বিষয়
সে কখনো ফেসবুক চালায়নি!

পড়ার ল্যাপটপে শুধু ইউটিউবের ভিডিও দেখতো,
আর সেখান থেকেই সে আবিষ্কার করে তামিম আল আদনানীকে!

আর তখন থেকেই
তার বিনোদন হয়ে উঠেছে
ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা!

যারা বলেন তামিম আল আদনানী প্রকাশ্যে আসে না কেনো?

তাদেরকে বলতে চাই,'
আপনার প্রকাশ্যে থাকা অসংখ্য আলেমের চেয়ে,

লুকিয়ে থাকা তামিম আল আদনানীর দাওয়াতের শক্তি
অনেক বেশি! ইনশা-আল্লাহ

এই ঘটনা তার আরো
একটি প্রমাণ!

ক্লাস এইটের ছোট্ট শিক্ষার্থীদের মাঝেও তার দাওয়াহ পৌঁছে গেছে!

আল্লাহ আকবার কাবীরা

✍️ এক মুওয়াহিদ

[Ilmuddin]

আলহামদুলিল্লাহ, আমিও একজন দোকানিকে ভাই তামিম আল আদনানীর লেকচার শুনতে পেয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, নীরবে হলেও দাওয়াত পৌচাচ্ছে।

[abu basir2]

আলহামদুলিল্লাহ!
এভাবেই পৌঁছে যাক প্রতিটি মানুষের কাছে বিশুদ্ধ আকিদাহ ও নববীমানহাজের দাওয়াহ।

[আবু আসাদুল্লাহ]

আমিও সর্বোপ্রথম সঠিক পথ খুজে পেয়েছিলাম ওনার লেকচারের মাধ্যমে। আগে জানতাম না কিসের পিছে দৌড়াচ্ছি। ছিলাম এক দুনিয়ার প্রতি আসক্ত, ক্যারিয়ার ফিতনায় পড়েছিলাম।
.
মনে করতাম শুধু নামাজ রোজা হজ, যাকাত এর মধ্যেই ইসলাম সীমাবদ্ধ।
ছিলাম এক অন্ধকারের মধ্যে। গনতন্ত্র, সেকুলারিজম ইত্যাদি কুফুরী মতবাদ কে জায়েয মনে করতাম।
.

একদিন শাইখের লেকচার শুনার পর চিন্তা করলাম আমি কিসের পিছে যাচ্ছি?
আমার লক্ষ কি?
এই দুনিয়ায় প্রানীর মতো তো আমার থাকার কথা না। একটা অবলা প্রানী! তার কাজকি?
তার কাজ খাওয়া দাওয়া ঘুমানো আর আল্লাহর জিকির করা। কিন্তু আমার রব আমাকে এতটুকুর জন্যতো আর পাঠান নি। পরে বুঝলাম এ জীবন এখানে সীমাবদ্ধ নয়।
.
আরো জ্ঞান অর্জনের পর জানলাম যে" আল্লাহ মুমিনের জানও মালকে খরিদ করে নিয়েছেন এর বিনিময়ে তাকে জান্নাত দিয়েছেন।"

.

পরে চিন্তা করার পর বুঝলাম আল্লাহ এমনে এমনে খরিদ করেন নি। আল্লাহ লক্ষও বলে দিয়েছেন। তা পৃথিবীতে আল্লাহর আইন কায়েম করা। আর জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এর পথে জীবন বিলিয়ে শহিদ হওয়া।
.

একজন যখন কেউ এই পথে আসে তখন সে চিন্তায় পড়ে কোনটা মানবে। তানজিম আল কায়দা না দাওলা।
আলহামদুলিল্লাহ আমার এই সমস্যায় পড়তে হয়নি আল্লাহ আমাকে সাহায্য করেছেন। সঠিক তানজিম খুজে পেয়েছি।
.

তারপরও মাঝে মাঝে মন পরিবর্তন হতো। তখন মনে হতো দুনিয়া লোভি হয়ে যাচ্ছি। তখন এর প্রতিকার হিসেবে কাজ করেছিল সাদিক আব্দুল্লাহ হাফিঃ এর এই বক্তব্যটা

"জীবনের সফলতা কী ?
জীবনের সফলতা অর্থ যদি টাকা পয়সা উপার্জন করা হয় তাহলে শহীদ কে যে সম্পদ দেয়া হবে তার তুলনায় ধনসম্পদ মাছির পাখার সমান ও না ইনশা-আল্লাহ জীবনের সফলতা মানে যদি উন্নত মানের খাবার দাবার খাওয়া হয়ে থাকে তবে শহীদের জান্নাতে মেহমানদারি করা হবে জান্নাতের মাছ দিয়ে ইনশা-আল্লাহ জীবনের সফলতা মানে যদি সুন্দর সুন্দর ঘরবাড়ি বানানো হয় !! তবে শহীদদের জান্নাতের যে ঘর দেয়া হবে যেটা ব্যাপারে রাসূল আরবী সাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যার প্রশস্ততা ইয়ামনের শহর সানা থেকে শামের শহর জামিয়া পর্যন্ত ইনশা-আল্লাহ যেটা বানানো হয়েছে বাহিরে হীরা ও ইউকুদ দিয়ে আর ভিতরে মেশক ও কাপড় দিয়ে ইনশা-আল্লাহ জীবনের সফলতা মানে যদি সুন্দর রমণীকে বিয়ে করা হয় তবে এক্ষেত্রে শহীদদের মোকাবেলা কোন মানুষ করতে পারবে যে কেউ শহীদ হওয়ার সাথে সাথে জান্নাতের দুই হুর জান্নাত থেকে একশত জোড়া পোশাক নিয়ে পৌঁছে যাবে ইনশা-আল্লাহ এমনকি তার চেহারায় হাত বুলিয়ে হাত বুলিয়ে তার জান্নাতের আগমনের সুসংবাদ জানাবে ইনশা-আল্লাহ এমন হুর ইনশা-আল্লাহ যাদের সৌন্দর্য কাছে দুনিয়ার সৌন্দর্য ইনশা-আল্লাহ অম্লান হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ যাদের কে দেখে পূর্ণিমার চাঁদেও সরম লজ্বা পাবে ইনশা-আল্লাহ জীবনের সফলতা মানে যদি এরকম কিছু কে বলা হয় সন্তান তার পিতা মাতা আত্নীয় স্বজন উপকারে আসবে তবে সেক্ষেত্রে শহীদ কিয়ামতের দিন তার নিজ পিতা মাতা ও আত্নীয় স্বজনের উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ অথচ, সেদিন কেউ কারো উপকারে আসবে না প্রত্যেক মানুষ তার নিজ ঘামে ডুবে এক এক নেকির সন্ধানে তার নিজ আত্ন য় বন্ধু বান্ধবেরা কাছে ধন্য দিতে থাকবে ইনশা-আল্লাহ কিন্তু শহীদ তার নিজ আত্নীয়দের উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ যাদের ব্যাপারে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গেছে ইনশা-আল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন শহীদ ব্যক্তি তার পরিবার নিজ আত্নীয় স্বজন পরিবার বর্গের মধ্যে হতে সওর জন উপর ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ জীবনের সফলতা আসলে কী ? এটাই সবচেয়ে সফল জীবন যে এই দূঢ় তরুণ ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে আটকে থাকে না তারা সবকিছু কে পিছনে ফেলে সবচেয়ে উজ্জ্বল জিনিসকে নির্বাচন করে না দুনিয়ার ধন সম্পদ তাদের দৃষ্টি কারে না দুনিয়ার জশ খ্যাতি তাদের কে প্রভাবিত করে না এসব যুবকের মনে বেপরোয়া আকর্ষণ প্রভাব বিস্তার করে না দুনিয়ার মোহ তাদেরকে প্রলুব্ধ করতে পারে বরং তাদের অন্তর চীরস্থায়ী জান্নাতের নেয়ামত সমূহের প্রতি লেগে থাকে যেখানে সম্মানের কোন তুলনা নাই যেখানকার সৌন্দর্য কখনো মলিন হবে না ইনশা-আল্লাহ যেখানে জীবনের স্থায়ীত্ব সর্বদা ইনশা-আল্লাহ যৌবনের শীর্ষে থাকবে না কোন দুনিয়ার দুঃখ দূর্দশা তাদের কে স্পর্শ করবে যেখানে সবকিছু থাকবে ইনশাআল্লাহ যা যে কোন অন্তর ইনশা-আল্লাহ তামান্না করতে পারে যেখানে সব মন-বাসনা পূর্ণ করা হবে ইনশা-আল্লাহ যা কোন অন্তর চাইতে পারে ইনশাআল্লাহ জগতের প্রতিপালক ইরশাদ করে তোমাদের মন যা চায় এবং তোমরা যা দাবী কর ইনশা-আল্লাহ যেখানে সবকিছু থাকবে যা যে মন বাসনা করে তাহলে আপনি চিন্তা করেন যাদের কাছে সাফাল্যের মাপকাঠি এত তা উচু তাদের কাছে দুনিয়ার স্থান কোথায় ? যা কি না মাছির পাখির দানা পরিমাণও নয় যুবক ভাইয়েরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত কর কারা জীবনের বাপারে উওম পরিকল্পনা করেছে কারা নিজেদের বুঝ শক্তি খাটিয়েছেন কাদের স্বকল্প ও অভিপ্রায় দুঃদৃষ্টি সম্পন্ন । কারো জীবনের বহুদূর পর্যন্ত গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করেছেন কারো জীবনের সফলতা দেখেছেন ।"

যাই হোক আমার জীবনে এ বড় পরিবর্তনের শুরুতে ছিল ওনার লেকচার গুলো।
আল্লাহ ওনাকে উত্তম প্রতিদান দিক আমিন।

এই অধমের জন্য দোয়া করবেন যেন শহিদী মৃত্যু হাসিল করতে পারি।

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ..