Announcement

Collapse
No announcement yet.

চরমপন্থা এবং জঙ্গীবাদ বলতে পশ্চিমা মিডিয়া গুলো মূলত আমাদেরকে কী বুঝাতে চায় ❓

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চরমপন্থা এবং জঙ্গীবাদ বলতে পশ্চিমা মিডিয়া গুলো মূলত আমাদেরকে কী বুঝাতে চায় ❓


    একজন মুসলিমের ব্যক্তিত্ব ও পরিচয় স্বতন্ত্র।

    সে কাফিরদের অনুকরণ করে না।


    কাফিরদের বানানো নতুন নতুন ট্রেন্ডে সে গা ভাসায় না।

    মুসলিম স্রোতের টানে
    ভেসে আসা খড়কুটো না।


    সে ঈমানের শক্তিতে বলীয়ান,
    তাওহিদের পরিচয়ে সুদৃঢ়।


    সবকিছুতেই সে অন্যদের চেয়ে স্বতন্ত্র

    আর তাই যে শব্দগুলো সে ব্যবহার করে,
    সেগুলোও আলাদা।


    কাফের, মুশরিক আর মুনাফিকদের ব্যবহার করা শব্দগুলো মুসলিমদের মুখে উচ্চারিত হতে দেখা খুব দুঃখজনক।


    শুধু দুঃখজনক না,
    কাফের মুশরিকদের তৈরি করা পরিভাষাগুলো মিম্বার থেকে হুবহু একইভাবে উচ্চারিত হতে দেখাটা অত্যন্ত কুৎসিত
    একটা ব্যাপার।

    এ কুৎসিত ব্যাপারটা আজ আমাদের নিয়মিত দেখতে হচ্ছে।


    আমরা প্রায়ই দেখি,
    বিভিন্ন আলিম অতিথি হিসেবে বিভিন্ন টক-শোতে যান।

    এসব অনুষ্ঠানে সাধারণত এমন উপস্থাপিকারা থাকে, যারা অনর্গল শুধু মিথ্যাই বলে যায়‌ না
    বরং ,‌‌ নিজেদের দেহগুলোও উন্মুক্ত করে রাখে।

    সেই সাথে অনুষ্ঠানে আলিমদের পাশাপাশি অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এমন সব লোকদের যাদের অন্তর
    তাওহিদ ও রিসালাতের প্রতি ঘৃণায় ভরা।

    আশ্চর্যের ব্যাপারে হলো, সেখানে গিয়ে
    শাইখরা ওই মানুষগুলোর ভাষাতেই,

    তাদের সাথে সুর মিলিয়ে ‘উগ্রবাদ আর জঙ্গীবাদ’
    নিয়ে কথা বলেন।

    বিশ্বাস করুন,
    পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে খুব জঘন্য আর কুৎসিত মনে হয়।
    গা গুলিয়ে ওঠে।

    আচ্ছা কাফের,
    মুশরিক, মুনাফিক আর দুনিয়ার জন্য দ্বীন বিক্রি করা লোকেরা‌ উগ্রবাদ’ বলতে কী বোঝায়?


    এ প্রশ্নের উত্তর কি আমরা জানি না?

    আল্লাহর যমীনে আল্লাহর শরীয়াহ কায়েম হোক,

    এ মাটিতে চূড়ান্ত আইন হোক
    ইসলামী শরীয়াহ—

    এই চাওয়াটা ওদের সংজ্ঞা অনুযায়ী উগ্রবাদ।


    বিধানদাতা এক আল্লাহ, শাসনকর্তৃত্ব কেবলই আল্লাহর।

    আল্লাহ ছাড়া আর কেউ
    সার্বভৌম না।

    সংবিধান, গণতন্ত্র কিংবা আন্তর্জাতিক আইন,

    যা কিছু আল্লাহর দ্বীনের
    সাথে সাংঘর্ষিক,

    তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব না—

    এ কথাগুলো বিশ্বাস করাও
    তাদের মতে উগ্রবাদ।

    অথচ,,
    একজন আলিম বা দা'ঈ এমন-সব লোকের মাঝে বসে তাদের সাথে সুর মিলিয়ে এই ‘উগ্রবাদের’ বিরোধিতা করছেন।
    নিন্দা জানাচ্ছেন।

    তারপর আবার এসে বলছেন আরে আমি তো উগ্রবাদ বলতে ‘দ্বীনের মধ্যে সীমালঙ্ঘনকে বুঝিয়েছি।'.….
    কতটা কুৎসিত এবং জঘন্য একটা ব্যাপার!

    না! এ অজুহাত গ্রহণযোগ্য না। কক্ষনো না।

    কারণ, আপনি যাই বুঝিয়ে থাকুন না কেন, ‘উগ্রবাদ’ বলতে তারা কী বোঝায় সেটা তো আপনি জানেন।
    তারা সাধারণ

    মানুষের সামনে কোন জিনিসকে উগ্রবাদ হিসেবে তুলে ধরে, সেটাও আপনার জানা।
    তাহলে আপনি কেন তাদের বুঝের বিরোধিতা করলেন না?

    📙আয়নার বাতিঘর 🕯️
    প্রিয় শায়েখ ডাঃ ইয়াদ আল কুনাইবি
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    আমরা যদি পৃথিবীর বুকে দ্বীন কায়েম করে পথভ্রষ্ট মানুষগুলোকে ইসলামের পথে এনে তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাই তাহলে আমরা তাদের শুধু উপকারই করলাম ।এমনি ভাবে আমরা যদি ঐ সকল কাফেরদের হত্যা করি যারা নিজরাও জাহান্নামে যাবে এবং অন্যান্য মানুষদেরও জাহান্নামে নিয়ে যাতে চায় তখন আমরা পৃথিবী বাসীর জন্য শুধু কল্যাণ বয়ে আনলাম এবং কূফরিকে ঘৃনা করা ব্যতিত কোন ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না । কারণ কূফরিকে সার্বিক ভাবে প্রত্যাখ্যান করার নামই হল ঈমান।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X