Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমাদের দায়িত্ব কি শুধু পণ্য বর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমাদের দায়িত্ব কি শুধু পণ্য বর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

    ___________________

    পণ্য বর্জন-- এটা সাময়িক একটা প্রতিক্রিয়া, যা পরবর্তীতে প্রশমিত হয়ে যায়। ফ্রান্সের ইস্যুতেও যখন মুসলিম বিশ্বে ফ্রান্সের পণ্য বয়কট হচ্ছিলো, এটা সাময়িক কিছুটা প্রভাব ফেলেছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আবেগ প্রশমিত হয়ে যায়, মানুষ এসব ভুলে যায়। ফ্রান্সের শেয়ারমার্কেটে পড়া নেতিবাচক প্রভাব স্বাভাবিক হয়ে যায়।

    ইসরায়েলও যখন ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু করে, তখন আমরা কোক-পেপসি-নকিয়া এরকম পণ্য বয়কটের আহবান করি। কারণ তারা ইসরায়েলকে অনুদান দেয়। যদি বলেন ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অনুদান দেয় কে? অবশ্যই আমেরিকা। এখন বিক্ষোভকারী মুসলিমদের যদি বলা হয়, আমে_রিকান টা_র্গে_টে আ_ঘা_ত হা_নতে? পরক্ষণেই রক্ত হিম হয়ে যাবে মার্কিন ড্রোনের কথা চিন্তা করে।

    ফ্রান্সের অর্থনৈতিক শক্তির অন্যতম উৎস পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে লুট করা খনিজ। সে এখনো তা চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে তাকে বিতাড়িত করতে জি_হাদ চালিয়ে যাচ্ছে আল ক্বাইদা। মালি থেকে বিতাড়িত করেছে, আরো অনেক দেশ বাকি। এখন প্রশ্ন হলো, এই মুজাহিদদের সাহায্য করার ব্যপারে মুসলিমদের কি কোনো পদক্ষেপ আছে? বিভিন্ন "মুসলিম" দেশ যখন জাতিসংঘের ছায়াতলে আফ্রিকার সাহেলে সেনা পাঠায় মুজাহিদদের দমন করতে, তখন ওইসব দেশের আলেমগণ এর বিরুদ্ধে কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন?
    উদাহরণস্বরুপ, কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ থেকে সেনা পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানি সেনারাও আছে।

    এসব খোদাদ্রোহী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া তো দূরে থাক, বরং মুজাহিদদের বিরুদ্ধেই বলা হয়, "ইসলাম প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাদের আগ্রাসী মনোভাব আমরা পছন্দ করি না! আমাদের আগাতে হবে ধীরে-সুস্থে, শান্তিপূর্ণভাবে!"

    যখন আমেরিকা থেকে রাসুলুল্লাহ(সা) কে ব্যঙ্গ করে মুভি ইউটিউবে ছাড়া হয়, দাবী তোলা হয় ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিতে। কিন্তু ইউটিউব সরালো না। তখন দাবী তোলা হলো ইউটিউব বন্ধ করে দিতে। কিন্তু গুগল বললো ইউটিউব অফ করবে না। ধীরে ধীরে প্রতিবাদী মুসলিমদের আবেগ সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে উপচে পড়া ফেনার মতোই ভ্যানিশ হয়ে গেলো।

    এমন বুদবুদে আবেগবিশিষ্ট আমাদেরকে রাসুল(সা) এর কোনো প্রয়োজন নেই। রাসুল(সা) এর প্রয়োজন, মুহাম্মাদ বুয়েরির মতো লোকদের, যিনি শাতিমের রসুল থিওডোর ভ্যানগঘকে জাহান্নামে পাঠান। প্রয়োজন শহীদ মু-কু-ল রানা(রহ) এর মতো মু_জা_হিদদের যিনি শাতিম অ-ভি-জিতকে হত্যার পরিকল্পক ছিলেন। প্রয়োজন ঐসব যুবকদের, যারা এইপর্যন্ত বহু শাতিমকে হত্যা করেছেন। প্রয়োজন ওইসব যুবকদের, যারা কাশ্মীর, ওয়াজিরিস্তান, সোমালিয়া, শাম, এবং আফ্রিকার সাহেলে খোদাদ্রোহিদের বিরুদ্ধে জি-হাদ চালিয়ে যাচ্ছেন।

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    এতগুলো মানুষ যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননার কারনে‌ মিটিং মিছিল করে যায় তারা যদি সবাই শাতিম হত্যার জন্য প্রকৃত পক্ষে প্লান করে যেত। তারা অস্ত্র ক্রয় করত। তারা এর জন্য বাহিনী গঠন করত ।শূরার মাধ্যমে একক নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করত তাহলে আমার মনে হয় পৃথিবীতে একটি শাতিমও বেঁচে থাকতে পারত না।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X