Announcement

Collapse
No announcement yet.

গুনাহ নিয়ে কিছু কথা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গুনাহ নিয়ে কিছু কথা।

    আমরা যখন কোন ইবাদাত করি তখন ইবাদাত কবুলের অনেক শর্ত পূরন করতে হয়। হালাল খেয়ে ইবাদাত করতে হয়,এরপরে ইখলাসের সাথে ইবাদাতটি করতে হয়,এরপরে ইবাদাতে মনোযোগ ঠিক রাখতে হয়। যেমনঃ নামায শুধু হালাল খেয়ে ইখলাসের সাথে পড়লেই হবে না,ওযু ঠিক মত করতে হবে, নাপাকি থেকে ভালোভাবে পবিত্র হতে হবে, সাথে সাথে মনোযোগ সহ পড়তে হবে। এরপরে রোযার ক্ষেত্রেও অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। সবগুলো শর্ত ঠিক মত আদায় করে কোন ইবাদাত করলে আশা করা যায় আল্লাহ কবুল করবেন। কিন্তু দেখা যায় অনেক কারনেই আমাদের অনেক ইবাদাত কবুল না হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
    কিন্তু গুনাহের ক্ষেত্রে এমন কোন শর্ত নাই, কেউ যদি কোন মেয়ের দিকে ইচছা কৃত তাকায় তাহলেতো তার গুনাহ হবেই। কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে সেক্ষেত্রে তার গুনাহটা হবেই, তাতে অন্যকোন শর্ত নাই।
    এজন্য দেখা যায়,গুনাহ কম হলেও সেটা অনেক মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারন বিভিন্ন শর্তের অপূর্নতার কারনে দেখা যায় আমাদের অনেক ইবাদাত কবুল হয় না, দিনের পর দিন নামায পড়লেও সে নামায কবুল হয় না, অপরদিকে গুনাহ যত কমই হয় সেটা অনবরত করার ফলে অনেক বেশি হয়ে যায়।

    গুনাহের উদাহরন হলো, মনে করুন একটি পাত্রে এক কেজি পানি নিলেন, এরপর সে পাত্রে এক ফোটা নাপাকি দিলেন। এবার বলুন এক ফোটা নাপাকি কি পুরো পাত্রের পানিকে নাপাক বানাবে নাকি এক কেজি পানি এক ফোটা নাপাকিকে পবিত্র বানাবে?
    আপনি যত ইবাদাতই করুন, যদি কোন গুনাহ অনবরত হতে থাকে সেটার কারনে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
    অনেকেই অনেক বেশি ইবাদাত করলেও অনেক গুনাহকে তুচ্ছ মনে করে অনবরত করতে থাকে।তারা মনে করেন এই ছোট গুনাহে আর কি ক্ষতি হবে।একটু চিন্তা করুন একটন আমের মধ্যে যদি একটি নষ্ট আম রাখা হয় তাহলে এটার কারনে অনেকগুলো আম নষ্ট হয়ে যাবে। অথচ ভালো আমের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার পরেও এই ভালো গুলোর কারনে নষ্ট আমটি ভালো হয়ে যাবে না।
    হাদিসে এসেছেঃ
    সুনানে ইবনে মাজাহতে সহী সনদে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে,

    عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏:‏ ‏ لأَعْلَمَنَّ أَقْوَامًا مِنْ أُمَّتِي يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِحَسَنَاتٍ أَمْثَالِ جِبَالِ تِهَامَةَ بِيضًا فَيَجْعَلُهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَبَاءً مَنْثُورًا ‏ ‏.‏ قَالَ ثَوْبَانُ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا جَلِّهِمْ لَنَا أَنْ لاَ نَكُونَ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لاَ نَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏ أَمَا إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ وَمِنْ جِلْدَتِكُمْ وَيَأْخُذُونَ مِنَ اللَّيْلِ كَمَا تَأْخُذُونَ وَلَكِنَّهُمْ أَقْوَامٌ إِذَا خَلَوْا بِمَحَارِمِ اللَّهِ انْتَهَكُوهَا ‏ ‏.‏

    "সাওবান রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি আমার উম্মতের এমন কিছু লোক সম্পর্কে জানি যারা কিয়ামতের দিন তিহামার শুভ্র পর্বতমালা সমতুল্য নেকআমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ তাদের সকল নেকআমল বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেবেন।

    সাওবান রাযি. বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের পরিচয় আমাদেরকে দিন, পরিস্কারভাবে বলুন, তারা কারা? যেন নিজের অজান্তে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাই।

    তিনি বলেন, তারা তোমাদেরই ভাই, তোমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতোই ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক যে, নির্জনে আল্লাহর হারামকৃত কাজে লিপ্ত হবে"। সুনানে ইবনে মাজাহ ৪২৪৫ (হাদিসটি সহীহ)
    চিন্তা করুন, পাহাড় সমতুল্য আমল গুনাহের কারনে নিক্ষিপ্ত ধুলিকনায় পরিনত করে দিবেন। গুনাহ কতটা ভয়ংকর।
    এই গুনাহের কারনে মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাও কমে যায়,।মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা হলো সবচেয়ে পবিত্র ও সবচেয়ে দামি ভালোবাসা। এই ভালোবাসাই হলো দ্বীনি কাজের মূল ভিত্তি। যার অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা যত বেশি থাকে সে ততবেশি দ্বীনের কাজ করার প্রতি আগ্রহী হয়। এই পবিত্র ভালোবাসা যে জায়গায় থাকবে সেটা কত পবিত্র হতে হয়, অথচ গুনাহের কারনে অন্তরে যখন দাগ পড়তে থাকে তখন এই ভালোবাসা কমতে থাকে। এই গুনাহের কারনেই অন্তর কলুষিত হয়। আর কলুষিত অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার মত এই পবিত্র ভালোবাসা চলে যায়।
    কেননা পবিত্র ও অপবিত্র জিনিস একত্রে থাকতে পারে না।
    গুনাহ কতটা মারাত্মক হলে বনী ইসরাইলের একজনের গুনাহের কারনে মহান আল্লাহ বৃষ্টি পর্যন্ত বন্ধ করে দিছেন। গোটা জাতি বৃষ্টি থেকে বন্ছিত হয়েছে।
    আবার বনী ইসরাইলের একজনের যিনার কারনে ৭০ হাজার লোক প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
    অথচ আজ আমরা গুনাহ সম্পর্কে পুরোপুরি অসচেতন।আগে যে গুনাহগুলোকে খুবই মারাত্মক মনে করা হতো আজ যে গুনাহগুলোকে খুবই হালকা ভাবে দেখা হচ্ছে। অথচ সেই গুনাহগুলোকে পূর্ববর্তীরা বড়ই মারাত্মক ভাবে দেখতেন। আজ ইউটিউব বা ফেইসবুকে যারা খারাপ কিছু দেখেন না তারাও অনিচ্ছায় অনেক খারাপ ছবি দেখতে হয়। কেননা এরকম খারাপ ছবি বার বার আসতে থাকে। অথচ পূর্ববর্তী আলেমরা নারীদের ছবি দেখাতো দূরের কথা গোপহীন বালকদের দিকেও তাকতেন না। উনারা কত সতর্ক ছিলেন।অথচ আজকের অবস্থা দেখুন, আমরা জানি যে, ইউটিউব ফেইসবুকে একের পর এক খারাপ ছবি আসবে তবুও আমরা এটা ছালানো বাদ দিতে পারি না। আমরা সারা জীবনে একটা তাফসীর পড়তে পারি না, অথচ জ্ঞান অর্জনের অজুহাত দিয়ে ইউটিউব বা ফেইসবুকে মগ্ন থাকি।

    যারা ভালো দ্বীনদ্বার তারা মোটেও ইউটিউব বা ফেইসবুক চালানো উচিত নয়৷ তাদের উচিত বেশি বেশি বই পড়া, তাফসীর পড়া।

  • #2
    وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ - عَنْ سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ أَيُّكُمْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ الْفِتَنَ فَقَالَ قَوْمٌ نَحْنُ سَمِعْنَاهُ ‏.‏ فَقَالَ لَعَلَّكُمْ تَعْنُونَ فِتْنَةَ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَجَارِهِ قَالُوا أَجَلْ ‏.‏ قَالَ تِلْكَ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصِّيَامُ وَالصَّدَقَةُ وَلَكِنْ أَيُّكُمْ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ الْفِتَنَ الَّتِي تَمُوجُ مَوْجَ الْبَحْرِ قَالَ حُذَيْفَةُ فَأَسْكَتَ الْقَوْمُ فَقُلْتُ أَنَا ‏.‏ قَالَ أَنْتَ لِلَّهِ أَبُوكَ ‏.‏ قَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ تُعْرَضُ الْفِتَنُ عَلَى الْقُلُوبِ كَالْحَصِيرِ عُودًا عُودًا فَأَىُّ قَلْبٍ أُشْرِبَهَا نُكِتَ فِيهِ نُكْتَةٌ سَوْدَاءُ وَأَىُّ قَلْبٍ أَنْكَرَهَا نُكِتَ فِيهِ نُكْتَةٌ بَيْضَاءُ حَتَّى تَصِيرَ عَلَى قَلْبَيْنِ عَلَى أَبْيَضَ مِثْلِ الصَّفَا فَلاَ تَضُرُّهُ فِتْنَةٌ مَا دَامَتِ السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ وَالآخَرُ أَسْوَدُ مُرْبَادًّا كَالْكُوزِ مُجَخِّيًا لاَ يَعْرِفُ مَعْرُوفًا وَلاَ يُنْكِرُ مُنْكَرًا إِلاَّ مَا أُشْرِبَ مِنْ هَوَاهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ حُذَيْفَةُ وَحَدَّثْتُهُ أَنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا يُوشِكُ أَنْ يُكْسَرَ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ أَكَسْرًا لاَ أَبَا لَكَ فَلَوْ أَنَّهُ فُتِحَ لَعَلَّهُ كَانَ يُعَادُ ‏.‏ قُلْتُ لاَ بَلْ يُكْسَرُ ‏.‏ وَحَدَّثْتُهُ أَنَّ ذَلِكَ الْبَابَ رَجُلٌ يُقْتَلُ أَوْ يَمُوتُ ‏.‏ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ ‏.‏ قَالَ أَبُو خَالِدٍ فَقُلْتُ لِسَعْدٍ يَا أَبَا مَالِكٍ مَا أَسْوَدُ مُرْبَادًّا قَالَ شِدَّةُ الْبَيَاضِ فِي سَوَادٍ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَمَا الْكُوزُ مُجَخِّيًا قَالَ مَنْكُوسًا ‏.‏

    আবদুলাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... হুযাইফাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, একদিন আমরা উমার (রাযিঃ) এর কাছে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ফিতনাহ সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বললেন, আমরা শুনেছি। উমর (রাযিঃ) বললেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেন, সালাত, সিয়াম ও সদাকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের ন্যায় ধেয়ে আসবে।

    হুযাইফাহ (রাযিঃ) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রাযিঃ) বললেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। হুযাইফাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মত এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দু’ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের ন্যায়; আসমান ও জমিন যতদিন থাকবে ততদিন কোন ফিতনা তার কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কালো কলসির ন্যায়, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভাল-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।

    হুযাইফাহ (রাযিঃ) বললেন, "উমর (রাযিঃ) কে আমি আরো বললাম, আপনি এবং সে ফিতনার মধ্যে একটি বন্ধ দরজা রয়েছে। অচিরেই সেটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। উমার (রাযিঃ) বললেন, সর্বনাশ! তা ভেঙ্গে ফেলা হবে? যদি ভেঙ্গে ফেলা না হত তাহলে হয়ত পুনরায় বন্ধ করা যেত। হুযাইফাহ (রাযিঃ) উত্তর করলেন, না ভেঙ্গে ফেলাই হবে। হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বললেন, আমি ’উমার (রাযিঃ) কে এ কথাও শুনিয়েছি, সে দরজাটি হল একজন মানুষ; সে নিহত হবে কিংবা স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করবে। এটি কোন গল্প নয় বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস।

    وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسولَ الله ﷺ قَالَ أتدرُونَ مَنِ المُفْلِسُ ؟ قَالُوا : المفْلسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرهَمَ لَهُ ولا مَتَاع فَقَالَ إنَّ المُفْلسَ مِنْ أُمَّتي مَنْ يأتي يَومَ القيامَةِ بصَلاَةٍ وَصِيامٍ وزَكاةٍ، ويأتي وقَدْ شَتَمَ هَذَا وقَذَفَ هَذَا، وَأَكَلَ مالَ هَذَا وسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وهَذَا مِنْ حَسناتهِ فإنْ فَنِيَتْ حَسَناتُه قَبْل أنْ يُقضى مَا عَلَيهِ أُخِذَ منْ خَطَاياهُم فَطُرِحَتْ عَلَيهِ ثُمَّ طُرِحَ في النَّارِ ২২৪০) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে? তাঁরা বললেন, ’আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম এবং কোন আসবাব-পত্র নেই।’ তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে। (কিন্তু এর সাথে সাথে সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো (অবৈধরূপে) মাল ভক্ষণ করেছে। কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর এ (অত্যাচারিত)কে তার নেকী দেওয়া হবে, এ (অত্যাচারিত)-কে তার নেকী দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবী পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 06-29-2022, 09:20 AM.
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X