আমরা যখন কোন ইবাদাত করি তখন ইবাদাত কবুলের অনেক শর্ত পূরন করতে হয়। হালাল খেয়ে ইবাদাত করতে হয়,এরপরে ইখলাসের সাথে ইবাদাতটি করতে হয়,এরপরে ইবাদাতে মনোযোগ ঠিক রাখতে হয়। যেমনঃ নামায শুধু হালাল খেয়ে ইখলাসের সাথে পড়লেই হবে না,ওযু ঠিক মত করতে হবে, নাপাকি থেকে ভালোভাবে পবিত্র হতে হবে, সাথে সাথে মনোযোগ সহ পড়তে হবে। এরপরে রোযার ক্ষেত্রেও অনেকগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। সবগুলো শর্ত ঠিক মত আদায় করে কোন ইবাদাত করলে আশা করা যায় আল্লাহ কবুল করবেন। কিন্তু দেখা যায় অনেক কারনেই আমাদের অনেক ইবাদাত কবুল না হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
কিন্তু গুনাহের ক্ষেত্রে এমন কোন শর্ত নাই, কেউ যদি কোন মেয়ের দিকে ইচছা কৃত তাকায় তাহলেতো তার গুনাহ হবেই। কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে সেক্ষেত্রে তার গুনাহটা হবেই, তাতে অন্যকোন শর্ত নাই।
এজন্য দেখা যায়,গুনাহ কম হলেও সেটা অনেক মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারন বিভিন্ন শর্তের অপূর্নতার কারনে দেখা যায় আমাদের অনেক ইবাদাত কবুল হয় না, দিনের পর দিন নামায পড়লেও সে নামায কবুল হয় না, অপরদিকে গুনাহ যত কমই হয় সেটা অনবরত করার ফলে অনেক বেশি হয়ে যায়।
গুনাহের উদাহরন হলো, মনে করুন একটি পাত্রে এক কেজি পানি নিলেন, এরপর সে পাত্রে এক ফোটা নাপাকি দিলেন। এবার বলুন এক ফোটা নাপাকি কি পুরো পাত্রের পানিকে নাপাক বানাবে নাকি এক কেজি পানি এক ফোটা নাপাকিকে পবিত্র বানাবে?
আপনি যত ইবাদাতই করুন, যদি কোন গুনাহ অনবরত হতে থাকে সেটার কারনে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
অনেকেই অনেক বেশি ইবাদাত করলেও অনেক গুনাহকে তুচ্ছ মনে করে অনবরত করতে থাকে।তারা মনে করেন এই ছোট গুনাহে আর কি ক্ষতি হবে।একটু চিন্তা করুন একটন আমের মধ্যে যদি একটি নষ্ট আম রাখা হয় তাহলে এটার কারনে অনেকগুলো আম নষ্ট হয়ে যাবে। অথচ ভালো আমের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার পরেও এই ভালো গুলোর কারনে নষ্ট আমটি ভালো হয়ে যাবে না।
হাদিসে এসেছেঃ
সুনানে ইবনে মাজাহতে সহী সনদে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে,
عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ : لأَعْلَمَنَّ أَقْوَامًا مِنْ أُمَّتِي يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِحَسَنَاتٍ أَمْثَالِ جِبَالِ تِهَامَةَ بِيضًا فَيَجْعَلُهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَبَاءً مَنْثُورًا . قَالَ ثَوْبَانُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا جَلِّهِمْ لَنَا أَنْ لاَ نَكُونَ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لاَ نَعْلَمُ . قَالَ : أَمَا إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ وَمِنْ جِلْدَتِكُمْ وَيَأْخُذُونَ مِنَ اللَّيْلِ كَمَا تَأْخُذُونَ وَلَكِنَّهُمْ أَقْوَامٌ إِذَا خَلَوْا بِمَحَارِمِ اللَّهِ انْتَهَكُوهَا .
"সাওবান রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি আমার উম্মতের এমন কিছু লোক সম্পর্কে জানি যারা কিয়ামতের দিন তিহামার শুভ্র পর্বতমালা সমতুল্য নেকআমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ তাদের সকল নেকআমল বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেবেন।
সাওবান রাযি. বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের পরিচয় আমাদেরকে দিন, পরিস্কারভাবে বলুন, তারা কারা? যেন নিজের অজান্তে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাই।
তিনি বলেন, তারা তোমাদেরই ভাই, তোমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতোই ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক যে, নির্জনে আল্লাহর হারামকৃত কাজে লিপ্ত হবে"। সুনানে ইবনে মাজাহ ৪২৪৫ (হাদিসটি সহীহ)
চিন্তা করুন, পাহাড় সমতুল্য আমল গুনাহের কারনে নিক্ষিপ্ত ধুলিকনায় পরিনত করে দিবেন। গুনাহ কতটা ভয়ংকর।
এই গুনাহের কারনে মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাও কমে যায়,।মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা হলো সবচেয়ে পবিত্র ও সবচেয়ে দামি ভালোবাসা। এই ভালোবাসাই হলো দ্বীনি কাজের মূল ভিত্তি। যার অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা যত বেশি থাকে সে ততবেশি দ্বীনের কাজ করার প্রতি আগ্রহী হয়। এই পবিত্র ভালোবাসা যে জায়গায় থাকবে সেটা কত পবিত্র হতে হয়, অথচ গুনাহের কারনে অন্তরে যখন দাগ পড়তে থাকে তখন এই ভালোবাসা কমতে থাকে। এই গুনাহের কারনেই অন্তর কলুষিত হয়। আর কলুষিত অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার মত এই পবিত্র ভালোবাসা চলে যায়।
কেননা পবিত্র ও অপবিত্র জিনিস একত্রে থাকতে পারে না।
গুনাহ কতটা মারাত্মক হলে বনী ইসরাইলের একজনের গুনাহের কারনে মহান আল্লাহ বৃষ্টি পর্যন্ত বন্ধ করে দিছেন। গোটা জাতি বৃষ্টি থেকে বন্ছিত হয়েছে।
আবার বনী ইসরাইলের একজনের যিনার কারনে ৭০ হাজার লোক প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
অথচ আজ আমরা গুনাহ সম্পর্কে পুরোপুরি অসচেতন।আগে যে গুনাহগুলোকে খুবই মারাত্মক মনে করা হতো আজ যে গুনাহগুলোকে খুবই হালকা ভাবে দেখা হচ্ছে। অথচ সেই গুনাহগুলোকে পূর্ববর্তীরা বড়ই মারাত্মক ভাবে দেখতেন। আজ ইউটিউব বা ফেইসবুকে যারা খারাপ কিছু দেখেন না তারাও অনিচ্ছায় অনেক খারাপ ছবি দেখতে হয়। কেননা এরকম খারাপ ছবি বার বার আসতে থাকে। অথচ পূর্ববর্তী আলেমরা নারীদের ছবি দেখাতো দূরের কথা গোপহীন বালকদের দিকেও তাকতেন না। উনারা কত সতর্ক ছিলেন।অথচ আজকের অবস্থা দেখুন, আমরা জানি যে, ইউটিউব ফেইসবুকে একের পর এক খারাপ ছবি আসবে তবুও আমরা এটা ছালানো বাদ দিতে পারি না। আমরা সারা জীবনে একটা তাফসীর পড়তে পারি না, অথচ জ্ঞান অর্জনের অজুহাত দিয়ে ইউটিউব বা ফেইসবুকে মগ্ন থাকি।
যারা ভালো দ্বীনদ্বার তারা মোটেও ইউটিউব বা ফেইসবুক চালানো উচিত নয়৷ তাদের উচিত বেশি বেশি বই পড়া, তাফসীর পড়া।
কিন্তু গুনাহের ক্ষেত্রে এমন কোন শর্ত নাই, কেউ যদি কোন মেয়ের দিকে ইচছা কৃত তাকায় তাহলেতো তার গুনাহ হবেই। কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে সেক্ষেত্রে তার গুনাহটা হবেই, তাতে অন্যকোন শর্ত নাই।
এজন্য দেখা যায়,গুনাহ কম হলেও সেটা অনেক মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারন বিভিন্ন শর্তের অপূর্নতার কারনে দেখা যায় আমাদের অনেক ইবাদাত কবুল হয় না, দিনের পর দিন নামায পড়লেও সে নামায কবুল হয় না, অপরদিকে গুনাহ যত কমই হয় সেটা অনবরত করার ফলে অনেক বেশি হয়ে যায়।
গুনাহের উদাহরন হলো, মনে করুন একটি পাত্রে এক কেজি পানি নিলেন, এরপর সে পাত্রে এক ফোটা নাপাকি দিলেন। এবার বলুন এক ফোটা নাপাকি কি পুরো পাত্রের পানিকে নাপাক বানাবে নাকি এক কেজি পানি এক ফোটা নাপাকিকে পবিত্র বানাবে?
আপনি যত ইবাদাতই করুন, যদি কোন গুনাহ অনবরত হতে থাকে সেটার কারনে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
অনেকেই অনেক বেশি ইবাদাত করলেও অনেক গুনাহকে তুচ্ছ মনে করে অনবরত করতে থাকে।তারা মনে করেন এই ছোট গুনাহে আর কি ক্ষতি হবে।একটু চিন্তা করুন একটন আমের মধ্যে যদি একটি নষ্ট আম রাখা হয় তাহলে এটার কারনে অনেকগুলো আম নষ্ট হয়ে যাবে। অথচ ভালো আমের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার পরেও এই ভালো গুলোর কারনে নষ্ট আমটি ভালো হয়ে যাবে না।
হাদিসে এসেছেঃ
সুনানে ইবনে মাজাহতে সহী সনদে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে,
عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ : لأَعْلَمَنَّ أَقْوَامًا مِنْ أُمَّتِي يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِحَسَنَاتٍ أَمْثَالِ جِبَالِ تِهَامَةَ بِيضًا فَيَجْعَلُهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَبَاءً مَنْثُورًا . قَالَ ثَوْبَانُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا جَلِّهِمْ لَنَا أَنْ لاَ نَكُونَ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لاَ نَعْلَمُ . قَالَ : أَمَا إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ وَمِنْ جِلْدَتِكُمْ وَيَأْخُذُونَ مِنَ اللَّيْلِ كَمَا تَأْخُذُونَ وَلَكِنَّهُمْ أَقْوَامٌ إِذَا خَلَوْا بِمَحَارِمِ اللَّهِ انْتَهَكُوهَا .
"সাওবান রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি আমার উম্মতের এমন কিছু লোক সম্পর্কে জানি যারা কিয়ামতের দিন তিহামার শুভ্র পর্বতমালা সমতুল্য নেকআমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ তাদের সকল নেকআমল বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেবেন।
সাওবান রাযি. বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের পরিচয় আমাদেরকে দিন, পরিস্কারভাবে বলুন, তারা কারা? যেন নিজের অজান্তে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে যাই।
তিনি বলেন, তারা তোমাদেরই ভাই, তোমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতোই ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক যে, নির্জনে আল্লাহর হারামকৃত কাজে লিপ্ত হবে"। সুনানে ইবনে মাজাহ ৪২৪৫ (হাদিসটি সহীহ)
চিন্তা করুন, পাহাড় সমতুল্য আমল গুনাহের কারনে নিক্ষিপ্ত ধুলিকনায় পরিনত করে দিবেন। গুনাহ কতটা ভয়ংকর।
এই গুনাহের কারনে মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাও কমে যায়,।মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা হলো সবচেয়ে পবিত্র ও সবচেয়ে দামি ভালোবাসা। এই ভালোবাসাই হলো দ্বীনি কাজের মূল ভিত্তি। যার অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা যত বেশি থাকে সে ততবেশি দ্বীনের কাজ করার প্রতি আগ্রহী হয়। এই পবিত্র ভালোবাসা যে জায়গায় থাকবে সেটা কত পবিত্র হতে হয়, অথচ গুনাহের কারনে অন্তরে যখন দাগ পড়তে থাকে তখন এই ভালোবাসা কমতে থাকে। এই গুনাহের কারনেই অন্তর কলুষিত হয়। আর কলুষিত অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার মত এই পবিত্র ভালোবাসা চলে যায়।
কেননা পবিত্র ও অপবিত্র জিনিস একত্রে থাকতে পারে না।
গুনাহ কতটা মারাত্মক হলে বনী ইসরাইলের একজনের গুনাহের কারনে মহান আল্লাহ বৃষ্টি পর্যন্ত বন্ধ করে দিছেন। গোটা জাতি বৃষ্টি থেকে বন্ছিত হয়েছে।
আবার বনী ইসরাইলের একজনের যিনার কারনে ৭০ হাজার লোক প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
অথচ আজ আমরা গুনাহ সম্পর্কে পুরোপুরি অসচেতন।আগে যে গুনাহগুলোকে খুবই মারাত্মক মনে করা হতো আজ যে গুনাহগুলোকে খুবই হালকা ভাবে দেখা হচ্ছে। অথচ সেই গুনাহগুলোকে পূর্ববর্তীরা বড়ই মারাত্মক ভাবে দেখতেন। আজ ইউটিউব বা ফেইসবুকে যারা খারাপ কিছু দেখেন না তারাও অনিচ্ছায় অনেক খারাপ ছবি দেখতে হয়। কেননা এরকম খারাপ ছবি বার বার আসতে থাকে। অথচ পূর্ববর্তী আলেমরা নারীদের ছবি দেখাতো দূরের কথা গোপহীন বালকদের দিকেও তাকতেন না। উনারা কত সতর্ক ছিলেন।অথচ আজকের অবস্থা দেখুন, আমরা জানি যে, ইউটিউব ফেইসবুকে একের পর এক খারাপ ছবি আসবে তবুও আমরা এটা ছালানো বাদ দিতে পারি না। আমরা সারা জীবনে একটা তাফসীর পড়তে পারি না, অথচ জ্ঞান অর্জনের অজুহাত দিয়ে ইউটিউব বা ফেইসবুকে মগ্ন থাকি।
যারা ভালো দ্বীনদ্বার তারা মোটেও ইউটিউব বা ফেইসবুক চালানো উচিত নয়৷ তাদের উচিত বেশি বেশি বই পড়া, তাফসীর পড়া।
Comment