Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাহাজ্জুদ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাহাজ্জুদ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

    ⭕তাহাজ্জুদ নিয়ে মোটিভেশনাল কিছু কথা এইভাবে তাহাজ্জুত পড়ে দেখুন, আজ থেকে আপনার সকল অভিযোগ বন্ধ হয়ে যাবে! ইনশাআল্লাহ রাত ২/৩ টা তাহাজ্জুত এর সময় হয়েছে, ওঠো! ওয়াশরুমে যাও, মিসওয়াক শেষে উত্তমরুপে ওযু বা গোসল করে সবচেয়ে সুন্দর ও পবিত্র জামাটি পরিধান করো; কাউকে দেখানোর জন্য না! একমাত্র তোমার রব আল্লাহর জন্য। চোখে সুরমা লাগাও, মাথার চুল আঁচড়া ও হালাল সুগন্ধি লাগাও। নিজেকে উত্তমরুপে সাজাও, আজকের এই গোসল, এই সাজ আল্লাহর জন্য। শুধুই মহান সৃষ্টিকর্তার জন্য, জায়নামাজ বিছিয়ে ধীরস্থির ভাবে দুই রাকাত নামাজ পড়ো। নামাজান্তে সেজদায় লুটিয়ে চোখের পানি ছেড়ে মহান সেই রবকে ডাকো, যিনি তোমার প্রার্থনা শোনার জন্য, তোমার চোখের পানি দেখার জন্য প্রথম আসমানে নেমে এসেছেন, ধৈর্য্যধারণ করে, প্রশান্তচিত্তে, নামাজের মধ্যে তাঁকে ডাকতে থাকো। সেই রব তোমার দোয়া কবুল করবেন না তো আর কার দোয়া কবুল করবেন! তোমার ডাক শুনবেন না তো আর কার ডাক শুনবেন! তুমি আর সেই ব্যক্তি কি এক হয়ে গেলে যিনি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে আর তুমি অশ্রুবর্ষণ করে মহান রবের কুদরতি পা সিক্ত করছো! না না তুমি আল্লাহর রহমতের ছাঁয়ার নিচে আর সে অনেক অনেক দূরে। তোমার প্রার্থনায় আরশ কেঁপে ওঠছে, তকদির দোলছে, অবশেষে আল্লাহ তকদির পরিবর্তন করে বান্দার আরজি কবুল করেন। وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ – الاسراء. “আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর ‎‎তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা ‎যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে ‎প্রতিষ্ঠিত করবেন”। (সূরা ইসরা:৭৯)
    তোমার দোয়া কবুল হয় না, তোমার দুঃখ মোচন হয় না, তোমার বিপদ আরো বেড়েই চলছে...। ওই নিয়মে ডাকতে থাকো,যদি ডাকার মতো তাঁকে ডাকো তবে তোমার দোয়া কবুল হতে ১মিনিটও লাগবে না।
    আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আমি যখন কোনো কিছু করার ইচ্ছে করি তখন তাকে এতটুকুই বলি যে 'হয়ে যাও' সুতরাং তা হয়ে যায়!! [ সূরা আন'নহল: 40 ]
    পৃথিবীতে এমন কেউ কি আছে যে আল্লাহর কাছে কিছু চেয়েছে কিন্তু আল্লাহ তা দেয়নি? প্রমাণ করতে পারবে?
    হুমম...হুবহু সেই জিনিসটি হয়তো দেননি তবে তার থেকে অনেক অনেক গুণ উত্তম কিছু দিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রার্থনাকারী অবশ্যই তা টের পেয়ে লজ্জিত হয়ে বলেছেন- হায়! আমি কত বোকা, না বুঝে কত ছোট প্রার্থনাই না করেছিলাম। কখনো কি আল্লাহর জন্য নিজেকে সাজিয়েছো? ঐ ভাবে মহান রবকে ডেকেছো? তাহলে প্রস্তুত হয়ে যাও আজ থেকেই উঠো,তাহাজ্জুদ পড়ো...
    ⭕ আল্লাহ আমাদের সকলের নেক দোয়া গুলো কবুল করুন,#আমিন আমার জন্য ও দোয়া দরখাস্ত রইল।

  • #2
    أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْقَعْقَاعُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ رَحِمَ اللَّهُ رَجُلاً قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى ثُمَّ أَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّتْ فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ وَرَحِمَ اللَّهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ ثُمَّ أَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَصَلَّى فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ الْمَاءَ ‏"‏ ‏.‏১৬১৩। ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে, অতঃপর তার স্ত্রীকেও জাগিয়ে দেয়, সেও তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে। যদি তার স্ত্রী জাগ্রাত হতে না চায় তবে তার মুখমণ্ডলে পানির ছিটা দেয়। ওই মহিলার উপরও আল্লাহ তা’আলা রহম বর্ষন করুন, যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে। অতঃপর তার স্বামীকেও জাগিয়ে দেয়, সেও তাহাজ্জ্বুদের সালাত আদায় করে। সে যদি জাগ্রত হতে না চায় তবে তার মুখে পানির ছিটা দেয়া। صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ و أبي سعيد رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قالا قال رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا أَيْقَظَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ مِنْ اللَّيْلِ فَصَلَّيَا أَوْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ جَمِيعًا كُتِبَا فِي الذَّاكِرِينَ وَالذَّاكِرَاتِ. رواه أبو داود (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) ও আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যদি কোন মানুষ নিজের পরিবারকে নিদ্রা হতে জাগ্রত করে উভয়ে নামায আদায় করে অথবা উভয়ে দু’রাকাআত নামায আদায় করে, তবে তাদেরকে যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারীনী নারীদের মধ্যে শামিল করা হবে।’’
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X