Announcement

Collapse
No announcement yet.

গনতন্ত্র

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গনতন্ত্র

    গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন কায়েমের স্বপ্ন দেখানো লোকেরা সমর্থকদের বিভ্রান্ত করছেন।
    .
    গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বা 'নির্বাচন' করে ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়ন সম্ভব না। এভাবে শরীয়াহ কায়েমের কথা বলা লোকদের দুটো শ্রেনী আছে -
    .
    ক) যারা এই বাস্তবতা বোঝেন
    খ) যারা বোঝেন না
    .
    প্রথম দল বুঝেশুনে সমর্থক ও অনুসারীদের ধোঁকা দিচ্ছে। দ্বিতীয় দল নিজেরা বিভ্রান্ত, এবং অন্যকেও বিভ্রান্ত করছে।
    .
    কেন এইভাবে ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা সম্ভব না, তার একটা দিক বলি। এটা একটা ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া আরগুমেন্ট। তাই মনোযোগ কাম্য।
    .
    সংসদীয় গণতন্ত্র বা সেক্যুলার সেক্যুলার সাংবিধানিক শাসন থেকে ইসলামী শাসনে যাওয়া শুধু সরকার পরিবর্তনের বিষয় না। এটা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোন দল কিভাবে এই পরিবর্তন করবে? কতোটুকু ভোট পেলে এধরণের আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব?
    .
    ধরুন কোন গণতান্ত্রিক ইসলামী দল ৬০% ভোট পেয়ে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। এ অবস্থায় তারা কি এই পরিবর্তন আনতে পারবে? যদি নির্বাচিত সরকার এমন করতে চায় তাহলে কি রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্য অংশ তাদের সমর্থন দেবে? প্রশাসন, জুডিশিয়ারি, বিভিন্ন বাহিনী যদি বেঁকে বসে, বাঁধা দেয় – তাহলে কী হবে?
    .
    বর্তমানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের পক্ষে সবচেয়ে বেশি যে দেশের উদাহরণ টানা হয়, সেটা হল তুরস্ক। তুরস্কে প্রায় ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও ইসলামী শরীয়াহ কায়েমের কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। করা তো অনেক দূরের কথা। বিশ বছরের অর্জন হিসেবে বলা হচ্ছে কট্টর সেক্যুলার অবস্থান থেকে সমাজ তুলনামূলকভাবে ইসলামী চেতনার দিকে আসার কথা।
    .
    ধরে নিলাম এই দাবি,পুরোপুরি সঠিক। কিন্তু এমন পন্থায় শেষ পর্যন্ত ইসলামী শরীয়াহ কায়েমের পর্যন্ত যেতে কতো সময় লাগবে? সময়টা আসলে মূল প্রশ্ন না। ধরা যাক ১০০ বছর লাগবে। এই ১০০ বছর কি একটা দল ক্ষমতায় থাকতে পারবে? এটা বাস্তবতসম্মত? নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলে তারা এই 'ইসলামীকরণ' এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে কি না?
    .
    মাত্র ৪০-৫০ বছরের ব্যবধানে ইখওয়ান-নাহদা-জামাআতের মতো দলগুলো গণতন্ত্র এবং লিবারেল ফ্রেইমওয়ার্কের বিরোধিতা থেকে, এগুলোর ইচ্ছুক কিংবা অনিচ্ছুক প্রচারকে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি পাড় হয়ে আসার পর দলের নেতাকর্মীরা ১০০ বছর বা ৫০ বছর পরও কি শরীয়াহ চাইবে?
    .
    গত ১০০ বছরে উম্মাহর সাধারন মানুষদের থেকে শুরু করে আলিমদের অনেকের মধ্যেও যেসব চিন্তাগত দাসত্ব ঢুকে পড়েছে, তার দিকে তাকালে এটাকে পাইপড্রিম ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।
    .
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, গণতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলোর ৫১% ভোট নিয়ে এককভাবে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা কতোটুকু? গণতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনে পারফরম্যান্স কেমন? আমি অল্প কিছুটা খোঁজার চেষ্টা করলাম -
    .
    পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৯১) - ১৯ আসন (জামাআতে ইসলামী ১৮, ইসলামী ঐক্যজোট ১),
    .
    সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৯৬) - ৪ আসন (জামাআতে ইসলামী ৩, ইসলামী ঐক্যজোট ১),
    .
    অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২০০১) – ১৯ আসন (জামাআতে ইসলামী ১৭, ইসলামী ঐক্যজোট ২। একটা প্রতিবেদনে দেখলাম ০১-এ ইসলামী ঐক্যজোট ৪টি আসন পেয়েছে। এই মূহুর্তে যাচাই করতে পারছি না। )
    .
    নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২০০৮) – ২ আসন (জামাআতে ইসলামী ২)
    .
    এই তথ্যগুলো কেবল একনজরে মূল ছবিটা দেখার জন্য। মূল প্রশ্ন হল, এই হারে, আনুমানিক কতো বছর এই দলগুলো এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার আশা করে? ৯০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ের ট্রেন্ডের দিকে তাকালে আগামী ৩০ কিংবা ৫০ বছরে কি বড় কোন অগ্রগতি আসা করা যায়? বিশেষ করে এই দলগুলোর কাজের পদ্ধতি, অ্যাপ্রোচ, মেসেজিং এ যেহেতু তেমন কোন মৌলিক পরিবর্তন আসেনি? এবং সমাজের পশ্চিমাকরণ এবং মেরুকরণ যখন অনেক বেড়ে গেছে?
    .
    জামাআতে ইসলামী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সুসংগঠিত। তাদেরও সর্বোচ্চ আসনসংখ্যা হল ১৮। যদি জামাআতে ইসলামীর এ অবস্থা হয় তাহলে অসংখ্য ভাগে বিভক্ত কওমি রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাবনা কেমন?
    .
    দুই সেক্যুলার জোটের কোন একটার অংশীদার হয়ে সরকারের যাওয়া ছাড়া নির্বাচনী রাজনীতিতে অন্য কোন বড় অর্জনের বাস্তবসম্মত সম্ভাবনা অন্তত আগামী ৩০ বছরের জন্য এ দলগুলোর সামনে দেখা যাচ্ছে না। এসব জোটের অংশ হয়ে নিশ্চিতভাবেই তারা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
    .
    জোট বা কোয়ালিশন সরকারে থেকে কী কী অর্জন হতে পারে তার বেশ কিছু উদাহরণ আমাদের সামনে আছে। চার-দলীয় জোটে ইসলামী ঐক্যজোটের সদস্য দলগুলো ছিল। মহাজোটে নাকি ৭০টার কাছাকাছি ইসলামী দল আছে। এসব জোটে অংশ নিয়ে কিছু টোকেন বিষয় ছাড়া আর তেমন কোন অর্জন হয়নি। এই অর্জনগুলোকে কোন অর্থেই ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রগতি বলা যায় না।
    .
    এই দলগুলো বড়জোর সেক্যুলার জোটের জুনিয়র পার্টনার হিসেবে ক্ষমতায় গিয়ে অল্প কিছু বিষয়ে সরকারী পলিসিকে সামান্য প্রভাবিত করতে পারে। খুব বেশি হলে দু-একটা মন্ত্রনালয় হয়তো কয়েক বছরের জন্য পেতে পারে। আর এটার সম্ভাবনাও অনেক, অনেক কম।
    .
    এটাকে কি ইসলাম কায়েমের পথ ও পদ্ধতি বলা যায়?
    .
    জামাআতে ইসলামী থেকে শুরু করে চরমোনেই– সবাই দাবি করেন তারা বিকল্প না পেয়ে এই পন্থায় ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা দেখছি সেক্যুলার জোটের জুনিয়র পার্টনার হওয়াটাই গণতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলোর জন্য সবচেয়ে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এর বেশি কিছু অর্জনের সম্ভাবনা নেই।
    .
    মনে রাখবেন, শাসনব্যবস্থা বদলানোর জন্য শুধু ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা ৫১% ভোট পাওয়া যথেষ্ট না। যদি ৫০ বছর পর এ দলগুলো এককভাবে ক্ষমতায় যেতেও পারে, তবুও কিভাবে সংসদীয় গণতন্ত্র আর পসিটিভ ল’-কে বিলুপ্ত করে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটা নিয়েও কোন স্পষ্ট উত্তর তাদের কাছে নেই (তুরস্কের আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
    .
    অর্থাৎ ক্ষমতায় গিয়ে কীভাবে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, তা নিয়েও স্পষ্ট বক্তব্য নেই। আবার এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনও বাস্তবসম্মত সম্ভাবনাও দেখা যায় না। গণতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলো বেশি থেকে বেশি এক ধরণের মাইনরিটি প্রেশার গ্রুপ বা লবির ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ভূমিকার দরকার আছে কি না, সেটার লাভক্ষতি কী- তা নিয়ে আলাদা আলোচনা হতে পারে।
    .
    কিন্তু এটাকে ইসলাম কায়েমের পদ্ধতি কেন বলা হচ্ছে?
    .
    এই দলগুলো জোরালোভাবে বলছে যে এটা ইসলাম কায়েমের পথ। অনেকে তো দ্বীনের বিধানের তাহরীফ করে একে ‘জি হ। [দ’-ও বলছেন!
    এই মিথ্যা স্বপ্ন দেখানোর কারণে বিশাল একটা অংশ মূল সমস্যার সমাধান নিয়ে কিছু করছে না, সমাধান নিয়ে চিন্তাও করছে না। তারা ধরে নিয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তারা দ্বীন কায়েমের কাজ করছেন! এই কাজের জন্য তারা জেলে যাচ্ছেন, রাস্তায় মার খাচ্ছেন, অনেকে রাজনৈতিক কিংবা নির্বাচনী 'সহিংসতা'-য় মারা যাচ্ছেন।
    .
    আবার 'হুজুর' এবং 'ইসলামী মাইন্ডেড' লোকেদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যবস্থার বৈধতা তৈরি হয়েছে। মানুষের মনে পাকাপোক্তভাবে বসে গেছে 'ভোট দেয়া দায়িত্ব', 'ভোট দেয়া আমানত'!
    .
    এইসব বাস্তবতা এড়িয়ে গিয়ে 'নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম' এর বুলি আওড়ানো লোকেরা আসলে কর্মী ও সমর্থকদের বিভ্রান্ত করছে। তাদের কুরবানীর বিনিময়ে দুনিয়াবি অর্থেও তুচ্ছাতিতুচ্ছ জিনিস কিনছে। যদি জেনেবুঝে করে, তাহলে তারা ভন্ড। যদি এই সহজ বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে তারা নির্বোধ এবং বিভ্রান্ত। দুই ক্ষেত্রেই এমন নেতা, আলিম ও দল পরিত্যাজ্য।
    আসসালামু আলাইকুম
    #লেখাটা আমার না।কপি করা লেখা।

  • #2
    গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং একে টিকিয়ে রাখার জন্য যখন সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন হয় এবং সশস্ত্র আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে ইসলামের জন্য এমনটার প্রয়োজন হবে না কেন? তাহলে কেনই বা। আমরা ৭১,এর যুদ্ধ করলাম।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      এই গনতন্ত্রের মূলনীতি হল তাদের কাছে হক বাতিল পার্থক্য বলতে কিছু নেই কারণ তাদের কাছে উভয়টিই সমান এবং তাদের কাছে ন্যায় আর অন্যায়ের ধর্ম বলতে কিছু নেই কারণ তাদের তাদের কাছে ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের মর্যাদা এক সমান । এবং উভয়টিকে তারা ব্যক্তির মতামত তুল্য মনে করে । যেমনটি দুনিয়াবি বিষয়ে পরস্পরের মতামতের ভিন্নতার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যেমন কেউ এখন একটি কাজ করতে চাইল অপর জন সেই কাজটি করতে চাইল না। তাই তাদের কাছে ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্ম এক সমান এবং এগুলো বিভিন্ন মতামত ছাড়া আর কিছু নয় । সুতরাং তাদের কাছে ইসলাম ধর্ম যেই ধরনের বাস্তবতার অধিকারী ঠিক অন্যান্য ধর্মও সেই ধরনের বাস্তবতার অধিকারী ।যা স্পষ্ট কুফরি মতাদর্শ সুতরাং যারা ইসলামকে এত হেয় চোখে দেখে তাদের ধরনা ধরে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে যাওয়া মূলত ইসলামকে হেয় করার নামান্তর । এবং যারা এই ধরনের কুফরি আক্বিদা লালন কারী তাদেরকে কিভাবে নির্বাচনে বিজয় হবার মাধ্যমে এই কুফরি আক্বীদা থেকে স্মরান যাবে যখন মুখ্য ক্ষমতা তাদের হাতে রয়েছে । এবং যখন কোরআনের মত বানী তাদেরকে এই কুফরি আক্বীদা থেকে স্মরাতে পারে নি এবং আল্লাহ তায়ালা হিদায়েতের জন্য যেই সব উপকরণ দিয়েছে তাও তাদেরকে এই আক্বিদা থেকে স্মরাতে পারেনি তাহলে সাধারণ নির্বাচনে বিজয় হওয়া তাদেরকে কিভাবে এই আক্বীদা থেকে স্মরাবে তাই তাদের সাথে আমাদের সংঘাত অনিবার্য কারণ তাদের মূলনীতি এবং আমাদের মূলনীতি পরস্পর বিরোধী। তাই নির্বাচনের আগে হোক বা পরে হক তাদের সাথে আমাদের সংঘাত অনিবার্য কিন্তু নির্বাচনের পর তাদের সাথে আমরা লড়াই করতে গেলে আমরা তাদের সাথে পেড়ে উঠব না কারণ তখন আমরা তাদের ফাঁদে ফেসে গিয়েছি তাই আমাদের জন্য উচিৎ হল তাদের হাতে ফেঁসে না গিয়ে দূর থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে কোন নির্বাচন না করেই তাদের সাথে সরাসরি যুদ্ধ করা কারণ তাদের সাথে আমাদের যুদ্ধ আগে থেকেই অনিবার্য।হয়ে আছে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment

      Working...
      X