ব্যক্তিগত ভুল সংশোধন সিরিজ - পর্ব ৩ - মুখে দূর্গন্ধ থাকা
আমরা প্রতিদিন কত মানুষের সাথে কথা বলি যার ইয়ত্তা নেই ৷ একে অপরের সাথে ভাবের আদান প্রদান করতে হয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ,মুখ ও চোখের ইশারায় ৷
একজন মানুষের কথা সুন্দর হলে অন্যদের মনোযোগ সে ধরে রাখতে পারে ৷ আর কথাতো মুখ দিয়েই বলতে হয় ৷
ঠিকমত মুখ পরিষ্কার না করলে মুখ থেকে দূর্গন্ধ বের হয় ৷ কথা বলার সময় আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে ৷ তা অপরের জন্য বিরক্তি ও কষ্টের কারণ হয় ৷
ঘুম থেকে উঠে হাতে সময় না থাকলে ব্রাশ বা মেসওয়াক করা হয় না ৷ এরকম কয়েকদিন অতিবাহিত হলে অটোমেটিক মুখ থেকে দূর্গন্ধ আসবেই ৷
ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা ও মেসওয়াক করা ৷ আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আগে মেসওয়াক করা ৷ এছাড়া প্রয়োজনে অন্যান্য সময়েও মেসওয়াক করা ৷ এমন করলে মুখের ভিতর পরিষ্কার থাকবে ৷ দূর্গন্ধ থাকবে না ৷ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ আদায় হবে,আল্লাহ খুশি হবেন,নামাযে সাতাশ গুন সাওয়াব বাড়িয়ে দেওয়া হবে,মৃত্যুকালে ইমান নসিব হবে এবং মুখের ভেতর থেকে দূর্গন্ধ আসবে না ৷
মুখে দূর্গন্ধ থাকলে তা অপরের জন্য কষ্টের হয় ৷ আপনি কারো সাথে কথা বলছেন,আর মুখ থেকে দূর্গন্ধ বের হচ্ছে; তখন শ্রোতার আপনার কথা শুনার আগ্রহ থাকবে না ৷ সে দ্রুত আপনার থেকে পলায়ন করবে ৷ অথবা শুনলেও ঠেকাবশত ৷ মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হবে ৷ সর্বোপরি সে কষ্ট পাবে ৷
কারো সাথে সাক্ষাতে,মাজলিসে,দারসে কথা বলার সময় আশেপাশের মানুষের কষ্ট হবে ৷ তা একজন মুমিনের থেকে কাম্য নয় ৷
নামাযে এ সমস্যার সম্মুখীন হলে আরো কষ্ট হয় ৷ মুখে দূর্গন্ধ থাকলে ডানে বামের মুসল্লির কষ্ট হয় ৷ বিশেষ করে বৈঠকের সময় ৷
আর এতে ফেরেশতাদেরও কষ্ট পাওয়ার কথা ৷ কেননা, মুখে দূর্গন্ধ নিয়ে মাসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷
স্বামী-স্ত্রীর এ বিষয়ে আরো সর্তকতা কাম্য ৷
দায়ি,মুয়াল্লিমসহ সকল শ্রেণির মানুষকে এ বিষয়টি খেয়াল রাখা ৷
আল্লাহ আমাদের আমল করার তাউফিক দান করুন ৷ আমিন
Comment