আপনি যদি একটি পাত্রে দুধ রাখতে চান তাহলে আগে সেই পাত্র পরিষ্কার করতে হবে। যদি পাত্রে সামান্য নাপাকি থাকে তাহলে পাত্রকে দুধ দ্বারা যতই পরিপূর্ণ করুন তাতে লাভ হবে না। কেননা দুধ নাপাক হয়ে যাবে। অপরদিকে পাত্র পরিষ্কার করে সামান্য দুধ রাখলেও তা ঠিক থাকবে, তাই দুধ রাখার আগে পাত্র পরিষ্কার করা আবশ্যক।
আমাদের নফসের অবস্থাও একটি পাত্রের মত, যদি তা ঠিক না হয় তাহলে ইসলামের বিধি নিষেধ জানার পর পালন করার পরিবর্তে বিপরীত চিন্তাই আসবে। যে চিন্তা দ্বারা ইসলামের ক্ষতি করার সম্ভবনাই বেশি থাকে। মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَ قَدۡ خَابَ مَنۡ دَسّٰىہَا ﴿ؕ۱۰﴾
এবং সে ব্যর্থ হবে, যে তাকে ( নফস)কলুষিত করবে। ( সুরা শামস ১০)
এখানে তাকে ব্যর্থ বলা হয়েছে যার নফস কলুষিত। আপনার টাকা পয়সা,ক্ষমতা না থাকাকে ব্যর্থতা বলা হয় নি। কলুষিত নফসকে ব্যর্থতা বলা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার নফস কলুষিত ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি ব্যর্থ৷ আর যে নিজে ব্যর্থতার মধ্যে আছে সে উম্মাহর সফলতার জন্য কিইবা করবে?
হাদিসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاءِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ ، عَنْ شَيْبَانَ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : قَالَ أَبُو بَكْرٍ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، قَدْ شِبْتَ ، قَالَ : " شَيَّبَتْنِي هُودٌ ، وَالْوَاقِعَةُ ، وَالْمُرْسَلاتُ ، وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ ، وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ " .
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আবু বকর (রাঃ) আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার চুল তো সাদা হয়ে গিয়েছে। আপনি বার্ধক্যে পৌছে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সূরা হূদ, ওয়াকিয়া, মুরসালাত, আম্মা ইয়াতাসা-আলূন, ইযাশ-শামসু কুভভিরাত আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে দিয়েছে।মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৩৩১৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১৭৫; জামেউস সগীর, হা/৬০৩৬; সিলসিলা সহীহাহ,হা/৯৫৫।
রাসূল সাঃ এতো বিপদ আপদের সম্মুখীন হয়েও উনার চুল সাদা হয় নি। অথচ কুরআনের কয়েকটা সূরা উনার চূলকে সাদা বানিয়ে দিয়েছে। অথচ এই সূরা সমূহ পড়ে আমার একটা চূল সাদা করাতো দূরের কথা, এক ফোঁটা চোখের পানি ঝরে না। তাহলে আমদের কলব কতটা কঠিন হতে পারে, আমাদের নফস কতটা কলুষিত হতে পারে!
আপনার নফস যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে আপনি সফল। মহান আল্লাহ বলেনঃ
قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ زَکّٰىہَا ۪ۙ﴿۹﴾
। সে সফলকাম হবে, যে তাকে ( নফসকে)পরিশুদ্ধ করবে। (সুরা শামস ৯)
আপনার টাকা, বাড়ি, গাড়ি নাই, কিন্তু আপনার নফস পরিশুদ্ধ সুতরাং আপনিই সফল। এটা তার কথা যিনি সবচেয়ে বড় জ্ঞানী,যিনি সকল সফলতার ও ব্যর্থতার মালিক।
তাই নিজের নফসের দিকে খেয়াল করুন। একজন ব্যক্তি হঠাৎ করে একদিনে যোদ্ধা হতে পারে না, যুদ্বের ময়দান যেতে পারে না। বরং দীর্ঘদিন প্রশিক্ষন দিতে দিতেই তাকে যুদ্বা হতে হয়। যে যোদ্ধা যত বেশি প্রশিক্ষন দেয় সে যুদ্বের তত উপযুক্ত হয়,ভালো যোদ্বা হয়।
একজন ব্যক্তি কলুষিত নফস নিয়ে হঠাৎ করে দ্বীনের জন্য বড় কিছু করতে পারে না। বরং তাকে নফসের পরিশুদ্ধির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করতে হয়।
যে যত ইবাদাত বন্দেগির মাধ্যমে নফসকে পরিশুদ্ধ করবে সেই তত সফল, তার মাধ্যমেই উম্মাহ সফলতা পাবে ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নফসের অবস্থাও একটি পাত্রের মত, যদি তা ঠিক না হয় তাহলে ইসলামের বিধি নিষেধ জানার পর পালন করার পরিবর্তে বিপরীত চিন্তাই আসবে। যে চিন্তা দ্বারা ইসলামের ক্ষতি করার সম্ভবনাই বেশি থাকে। মহান আল্লাহ বলেনঃ
وَ قَدۡ خَابَ مَنۡ دَسّٰىہَا ﴿ؕ۱۰﴾
এবং সে ব্যর্থ হবে, যে তাকে ( নফস)কলুষিত করবে। ( সুরা শামস ১০)
এখানে তাকে ব্যর্থ বলা হয়েছে যার নফস কলুষিত। আপনার টাকা পয়সা,ক্ষমতা না থাকাকে ব্যর্থতা বলা হয় নি। কলুষিত নফসকে ব্যর্থতা বলা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার নফস কলুষিত ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি ব্যর্থ৷ আর যে নিজে ব্যর্থতার মধ্যে আছে সে উম্মাহর সফলতার জন্য কিইবা করবে?
হাদিসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاءِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ ، عَنْ شَيْبَانَ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : قَالَ أَبُو بَكْرٍ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، قَدْ شِبْتَ ، قَالَ : " شَيَّبَتْنِي هُودٌ ، وَالْوَاقِعَةُ ، وَالْمُرْسَلاتُ ، وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ ، وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ " .
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, আবু বকর (রাঃ) আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার চুল তো সাদা হয়ে গিয়েছে। আপনি বার্ধক্যে পৌছে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সূরা হূদ, ওয়াকিয়া, মুরসালাত, আম্মা ইয়াতাসা-আলূন, ইযাশ-শামসু কুভভিরাত আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে দিয়েছে।মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৩৩১৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১৭৫; জামেউস সগীর, হা/৬০৩৬; সিলসিলা সহীহাহ,হা/৯৫৫।
রাসূল সাঃ এতো বিপদ আপদের সম্মুখীন হয়েও উনার চুল সাদা হয় নি। অথচ কুরআনের কয়েকটা সূরা উনার চূলকে সাদা বানিয়ে দিয়েছে। অথচ এই সূরা সমূহ পড়ে আমার একটা চূল সাদা করাতো দূরের কথা, এক ফোঁটা চোখের পানি ঝরে না। তাহলে আমদের কলব কতটা কঠিন হতে পারে, আমাদের নফস কতটা কলুষিত হতে পারে!
আপনার নফস যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে আপনি সফল। মহান আল্লাহ বলেনঃ
قَدۡ اَفۡلَحَ مَنۡ زَکّٰىہَا ۪ۙ﴿۹﴾
। সে সফলকাম হবে, যে তাকে ( নফসকে)পরিশুদ্ধ করবে। (সুরা শামস ৯)
আপনার টাকা, বাড়ি, গাড়ি নাই, কিন্তু আপনার নফস পরিশুদ্ধ সুতরাং আপনিই সফল। এটা তার কথা যিনি সবচেয়ে বড় জ্ঞানী,যিনি সকল সফলতার ও ব্যর্থতার মালিক।
তাই নিজের নফসের দিকে খেয়াল করুন। একজন ব্যক্তি হঠাৎ করে একদিনে যোদ্ধা হতে পারে না, যুদ্বের ময়দান যেতে পারে না। বরং দীর্ঘদিন প্রশিক্ষন দিতে দিতেই তাকে যুদ্বা হতে হয়। যে যোদ্ধা যত বেশি প্রশিক্ষন দেয় সে যুদ্বের তত উপযুক্ত হয়,ভালো যোদ্বা হয়।
একজন ব্যক্তি কলুষিত নফস নিয়ে হঠাৎ করে দ্বীনের জন্য বড় কিছু করতে পারে না। বরং তাকে নফসের পরিশুদ্ধির জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করতে হয়।
যে যত ইবাদাত বন্দেগির মাধ্যমে নফসকে পরিশুদ্ধ করবে সেই তত সফল, তার মাধ্যমেই উম্মাহ সফলতা পাবে ইনশাআল্লাহ।
Comment