বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালাম আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন।
মুহতারাম শাইখগণ!
নিচের বিষটির ব্যাপারে শারিয়াতের কি হুকুম তা আপনাদের নিকট জানতে চাইছি।
মুহতারাম শাইখগণ!
নিচের বিষটির ব্যাপারে শারিয়াতের কি হুকুম তা আপনাদের নিকট জানতে চাইছি।
অনুসরণঃ
অনুসরণ হল কারো মতামতকে গ্রহণ করা করা, সেই অনুযায়ী আমল করা। যেমনঃ একজন ত্বলিবে ইলম তার শাইখের সাথে সফর করছে। দুটো রাস্তার মাঝে শাইখ ডান দিকের রাস্তাটিকে বেঁছে নিল, শাইখের এই সিদ্ধান্তটি মেনে নিয়ে ত্বলিবে ইলমও ডানদিকের রাস্তায় চলতে থাকল। এক্ষেত্রে সে তার শাইখকে অনুসরণ করল।
অনুকরণঃ
অনুকরণ হল হুবহু/কোন কিছু অনুরূপে কোন কিছু করা। যেমনঃ ত্বলিবে ইলম একদিন একাকী সেই রাস্তায় চলার সময় তার শাইখকে ঠিক যেভাবে চলতে দেখেছিল সেও হুবুহ তাকে নকল করে অর্থাৎ, শাইখ যে ভঙ্গিতে চলছিল, যে গতিতে চলছিল, চলার পথে তার শাইখের চেহারায় যেমন ভাব প্রকাশিত হচ্ছিল, সে ত্বলিবে ইলমও চলার ক্ষেত্রে ঠিক তার শাইখকে হুবহু নকল করে চলছে। এটি হল অনুকরণ।
অনুকরণ করা কেন প্রয়োজনঃ
ত্বলিবে ইলম নিজের মত নিজে আমল করতে গেলে সেভাবে উত্তমতার সাথে করা যায় না যেভাবে করা যায় নিজের চাইতে উত্তম কাউকে বা তার শাইখকে অনুকরণ করার দ্বারা। যেমন ত্বলিবে ইলমের ইলম কম এবং ঈমান দুর্বল তাই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা কিংবা নেক আমল করা তার জন্য কষ্টকর। কিন্তু সে তার শাইখকে অনুকরণ করলে তার জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা কিংবা নেক আমল করা অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়াও শাইখের মাঝে যে বিনয়,নম্রতা, গম্ভীরতা, ধিরস্থিরতা এবং আত্মমর্যাদাবোধ রয়েছে তা ত্বলিবে ইলমের মাঝে নেই। তাই শাইখের অনুকরণ করলে ত্বলিবে ইলমের মাঝেও এসব গুণ সহজে ফুটে উঠে এবং এগুলো থাকলে নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর ইবাদত করা এবং মানুষদের সাথে সেভাবে মুয়ামালাত করা তার জন্য সহজ হয়। তবে ত্বলিবে ইলমের অন্তরে এ বিশ্বাসই রয়েছে যে, আল্লাহর তাওফিক ব্যতীত সে কোন গুনাহ থেকেও বাঁচতে পারবে না এবং নেক আমল করারও নয়। এ বিশ্বাসও রয়েছে যে, আল্লাহর ইচ্ছার মোকাবেলায় তার শাইখের এই অনুকরণ তার কোন কাজেই আসবে না। সে তার শাইখের সন্তুষ্টির জন্য তার অনুকরণ করছে না, বরং সে তা করছে কেবল নিজেকে নিজে সাহায্য করার জন্য। সে এ বিশ্বাসও রাখে না যে তার শাইখ গায়েব জানেন কিংবা সে যা করছে তার শাইখ তা জানতে পারছে। (আল্লাহ তাকে হিফাজত করুন) এবং সে শাইখের ভয়ে গুনাহ পরিত্যাগ করছে না কিংবা শাইখের সন্তুষ্টির জন্য নেক আমল করছে না। বরং সে শাইখকে স্মরণ করছে এবং স্মরণ করে তার অনুকরণ করছে নিজের মাঝে উৎসাহ, সচেতনতা ভাব এবং আল্লাহর ভয় সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য।
আল্লাহর ইবাদত করার সময় এক্ষেত্রে দুটির যেকোনো একটি হয়ঃ
(১) প্রথমতঃ নিজের স্থানে নিজেকেই নিজে চিন্তা করে আল্লাহর ইবাদত করা হয়। এটা স্বাভাবিকভাবে সকল মানুষেরই হয়ে থাকে। যেমন কেউ সকল দুনিয়াবি চিন্তা পরিত্যাগ করে একাগ্রতার সাথে সলাতে দাঁড়ালে সে নিজেই বুঝতে পারবে যে, সলাতে সে যখন তিলাওয়াত করছে বা তাসবিহ বলছে তখন নিজের মুখ কিভাবে নড়ছে, চেহারার ভঙ্গিমা কেমন ইত্যাদি নিজের অজান্তেই নিজের চিন্তায় ভেসে উঠে যদিও সে নিজেকে নিজে দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু এরপরও নিজের প্রতিচ্ছবি নিজের মনে ভেসে উঠে।
(২) দ্বিতীয়তঃ নিজের স্থানে নিজেকে নিজে কল্পনার পরিবর্তে তার শাইখকে কিভাবে করেছে তা কল্পনা করে তাকে অনুকরণ করা। এক্ষেত্রে ত্বলিবে ইলম, আমল করার সময় নিজের কল্পনার পরিবর্তে তার শাইখের কল্পনা করলে, তার মুখ কিভাবে নড়ছে, চেহারার ভঙ্গিমা কেমন ইত্যাদি নিজের অজান্তেই নিজের চিন্তায় শাইখের প্রতিচ্ছবি নিজের মনে ভেসে উঠে। যদিও সে শাইখকে দেখছে না, শাইখও তাকে দেখছে না। আর না সে শাইখের ইবাদত করছে। সে কেবল নিজেকে নিজে অনুকরণের পরিবর্তে তার শাইখের অনুকরণ করে আল্লাহর ইবাদত করছে।
এক্ষেত্রে ত্বলিবে ইলম নিজের স্থানে নিজেকে না ভেবে নিজের স্থানে তার শাইখকে কল্পনা করলে এবং কল্পনা করে তাকে অনুকরণ করলে তার জন্য আল্লাহর আনুগত্য করা এবং তার অবাধ্যতা থেকে বাঁচা তুলনামূলক অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু যদি নিজের স্থানে শাইখকে না কল্পনা করে তবে নিজের কল্পনাই চলে আসে আর সেক্ষেত্রে নিজের স্থানে নিজেকেই কল্পনা করলে এবং কল্পনা করে নিজেকেই নিজে অনুকরণ করলে আল্লাহর আনুগত্য করা এবং তার অবাধ্যতা থেকে বাঁচাও তুলনামূলক অনেক কঠিন হয়ে যায়। কারণ সে ত্বলিবে ইলম নিজেকে নিজে চিনে তাই আর নিজের কল্পনা করে কি ফায়দা হবে।
অনুসরণ থেকে অনুকরণঃ
অনুসরণ করা হল প্রাথমিক পর্যায় এরপরের পর্যায় হল অনুকরণ। এই দুটি পর্যায়ের মাঝে একটি বিষয় রয়েছে যা ব্যতীত কোন ব্যক্তি কাউকে অনুকরণ করতে পারে না। অর্থাৎ, নিচের কাজগুলো করা ব্যতীত একজন ত্বলিবে ইলম তার শাইখের অনুসরণের পর্যায় থেকে অনুকরণের পর্যায়ে যেতে পারে না। সেগুলো হলঃ
(১) তার শাইখের কথা বলার ভঙ্গি, কণ্ঠস্বর, তিনি কোন ক্ষেত্রে কোন কাজ কিভাবে করেছেন তা খুব ভাল ভাবে খেয়াল করা।
(২) শাইখের অনুপস্থিতিতে তার সে কাজগুলো নিয়ে চিন্তা বা স্মরণ করা, যেন ত্বলিবে ইলম তার শাইখকে অনুকরণে করার পূর্বে নিজে তা আত্মস্থ করতে পারে। যাকে পীর-পন্থীরা পীরের মোরাকাবা বলে। তবে ত্বলিবে ইলম তার শাইখকে এই মোরাকাবাকে স্বতন্ত্র কোন ইবাদত বা আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণ মনে করে না বরং শাইখকে এই মোরাকাবাকে আল্লাহর ইবাদত এবং আনুগত্যের সহায়ক হিসবে মনে করে থাকে।
(৩) শাইখের আমলগুলো করার ভঙ্গিমাকে মনে স্মরণ করে, ত্বলিবে ইলম সেভাবে আমল করা। যেমনঃ শাইখ কথা বলার সময় তার চেহারার ভঙ্গিমা, কণ্ঠস্বর, কোন শব্দ কোথায় কতটুকু জোরে-আসতে বলে থাকেন সেটি স্মরণ করে করে কথা বলা।
এক্ষেত্রে যেটি হয় সেটি হল সব সময় শাইখের এই বিষয়গুলো অনুকরণ করতে গিয়ে। শাইখের সূরত বা কাজগুলো করার ভঙ্গিমাকে সব সময় চিন্তায় বা স্মরণে রাখতে হয়।
(৪) এভাবে শাইখকে অনুকরণ করতে করতে একটি পর্যায়ে গিয়ে, প্রতিটি কাজে শাইখের সূরত বা কাজগুলো করার ভঙ্গিমার অনুকরণ দৃঢ়ভাবে আত্মস্থ হয়ে যায়। তখন ত্বলিবে ইলমের জন্য তার শাইখের সে কাজগুলো নিয়ে চিন্তা বা স্মরণ করা মধ্যে তার ভঙ্গিমার অনুকরণ ভুল হয় না।
(৫) এভাবে একটি পর্যায়ে, ত্বলিবে ইলমের মাঝে তার শাইখের ভঙ্গিমা এমনভাবে আত্মস্থ হয়ে যায় যে, ত্বলিবে ইলম তখন তার জাগায় তার পরিবর্তে নিজের শাইখকে মনে করতে শুরু করে। অর্থাৎ, সে কথা বললেও মনে হয় তার শাইখই কথা বলছেন, সে যেকোন আমল করলে মনে হয় তার শাইখই যেন সে আমলটি করছেন। যদিও সে খুব ভাল করেই জানে যে সে আর তার শাইখ দুজন সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং সেও তার সেই শাইখ নয় এবং তার সে শাইখও সে নয়। বরং প্রতিটি কাজে শাইখের মোরাকাবা করে এবং তার হুবহু অনুকরণ করতে করতে এখন তার প্রতিটি কাজের মাঝে সে তার শাইখকেই খুঁজে পাচ্ছে। একে পীর পন্থীরা দেখছি 'ফানা-ফিশ-শেখ' বলে থাকে।
একটি উদাহরণঃ
একজন ত্বলিবে ইলম তার পছন্দের কারীর কুরআন তিলাওয়াতের ভিডিও দীর্ঘ সময় যাবত মনোযোগের সাথে নিয়মিত দেখে এবং শ্রবণ করে থাকে। এরপর সে অবসর সময়ে তার মনে সেই কারীর তিলাওয়াত করার ভিডিওটি ভাসতে থাকে। কারীর তিলাওয়াত করার ভঙ্গিমাকে মনে স্মরণ করে বা মোরাকাবা করে তার মত করে তিলাওয়াত করার আত্মস্থ করার চেষ্টা করে। এরপর যখন সে ত্বলিবে ইলম কুরআন তিলাওয়াত করে তখন সেই কারীকে স্মরণ করে তার কিরাতের লেহান, তিলাওয়াত করার সময় কারীর চেহারার ভঙ্গিমা, কণ্ঠস্বর, কোন শব্দ কোথায় কতটুকু জোরে-আস্তে বলে ইত্যাদি ভঙ্গিমাকে স্মরণ করে এবং অনুকরণ করে কারীর মত তিলাওয়াত করার চেষ্টা করতে থাকে। এভাবে কারীকে অনুকরণ করতে করতে একটি পর্যায়ে গিয়ে, কিরাতের লেহান, তিলাওয়াত করার সময় কারীর চেহারার ভঙ্গিমা, কণ্ঠস্বর, কোন শব্দ কোথায় কতটুকু জোরে-আসতে টেনে বলতে হবে ইত্যাদিতে কারীর সূরত বা কাজগুলো করার ভঙ্গিমার অনুকরণ দৃঢ়ভাবে আত্মস্থ হয়ে যায়। তখন ত্বলিবে ইলমের জন্য সেই কারীর তিলাওয়াত নিয়ে চিন্তা-স্মরণ বা মোরাকাবা করা মাঝে কারীর সুরত এবং ভঙ্গিমার অনুকরণ ভুল হয় না। এভাবে একটি পর্যায়ে, ত্বলিবে ইলমের মাঝে তার কারীর ভঙ্গিমা এমনভাবে আত্মস্থ হয়ে যায় যে, ত্বলিবে ইলম তখন তার নিজের জাগায় তার নিজের পরিবর্তে কারীকেই মনে করতে শুরু করে। অর্থাৎ, যখন সে তিলাওয়াত করছে তখন মনে করে যে সেই কারীই তিলাওয়াত করছেন,তার তিলাওয়াতের মাঝে সে সেই কারীকেই খুঁজে পাচ্ছে। অর্থাৎ,'ফানা-ফিল-কারী'।
এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হলঃ
(১) শাইখের অনুসরণ থেকে তাকে অনুকরণ করার মধ্যবর্তী এই কাজগুলো কি সেই ত্বলিবে ইলমেরর জন্য শিরক হবে? যেহেতু অনুকরণ করতে গিয়ে উপরের কাজগুলো তাকে করতে হচ্ছে। যদিও সে মনে করে না যে, তার শাইখের অনুকরণ করলেই, আল্লাহর তার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না করলে হবেন না।
(২) প্রতিটি আমল করতে গিয়ে তাকে তার শাইখের ভঙ্গিমাকে স্মরণ বা মোরাকাবা করে আমল করতে হচ্ছে এবং একটি পর্যায়ে গিয়ে সে নিজেকে অস্তিত্বকে ভুলে গিয়ে তার পরিবর্তে নিজের মাঝে তার শাইখের অস্তিত্বকেই খুঁজে পায়। এক্ষেত্রে কি তা আল্লাহর ইবাদতের মাঝে শাইখকে মধ্যস্থতা করা হবে না? বা এজাতীয় কাজ কি শিরক বা বিদআত হবে কিনা? যদিও সে আল্লাহর জন্যই ইবাদত করছে, শাইখের জন্য নয় এবং সে এটিও মনে করে না যে, তার শাইখের মোরাকাবা করার দ্বারা তার শাইখ তা বুঝতে পারছেন কিংবা শাইখ তাকে কোন ফায়দা পৌছাতে পারবে। (আল্লাহ তাকে হিফাজত করুন)। বরং সে দেখছে যে যদি শাইখকে অনুকরণ করা না হয় তবে আমলে একাগ্রতা থাকে না এবং বিভিন্ন দিকে খেয়াল চলে যায়, যা তাকে গাফেলতির মাঝে নিয়ে যায়। তাই প্রতিটি আমলে তার শাইখকে অনুকরণ করতে গিয়ে তাকে তার শাইখের ভঙ্গিমাকে স্মরণ করে আমল করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে কি তা আল্লাহর ইবাদতের মাঝে শাইখকে মধ্যস্থতা করার শিরক/বিদআত হিসেবে গণ্য হবে?
(৩) ত্বলিবে ইলম নিজের স্থানে নিজেকেই নিজে চিন্তা করে আল্লাহর ইবাদত করা হয় তবে এর দ্বারা আল্লাহর প্রতি তার অন্যায় আবদারের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহর ভয় হালকা হয়ে যায় ফলে গুনাহ করা সহজ হয়ে যায় এবং নেক কাজ করা কঠিন হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে তার শাইখের মত কথা বলা এবং আমল করার দ্বারা আল্লাহর প্রতি তার ভয় বৃদ্ধি পায়। ফলে গুনাহ করা কঠিন এবং নেক কাজ সহজ হয়ে যায়। এটা কেবল নিজেকেই নিজে সাহায্য করার জন্য আর পরিশেষে আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই।
এ কারণে ত্বলিবে ইলম যে আমলই করছেন যেমনঃ সে আল্লাহর নিকট দুয়া, জিকির কিংবা আল্লাহর সাথে কথা বলা ইত্যাদি এসকল আমল করতে গিয়ে আমলের মাঝেও তার শাইখের মত করেই কথা বলছে, উচ্চারণ করছে। আল্লাহর সাথে কৃত আমল কিংবা আল্লাহর সাথে কথা বলার সময় ত্বলিবে ইলম তার নিজের মত করে কথা না বলে তার শাইখের ভঙ্গিমাকে স্মরণ করে তার মত করে কথা বলার কারণে কি আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন?
(৫) শাইখের অনুকরণ করতে করতে যখন শাইখের সকল ভঙ্গিমাই সেই ত্বলিবে ইলমের মাঝে চলে আসে, তখন কাজগুলো নিয়ে চিন্তা বা স্মরণ করা বা মোরাকাবা না করে যদি এমনিতেই শাইখের অনুকরণ চলে আসে এবং তার মত করে করে তবে সেটিও কি শিরক হবে কিনা?
(৪) শাইখের অনুকরণ করতে করতে যখন শাইখের সকল ভঙ্গিমাই সেই ত্বলিবে ইলমের মাঝে চলে আসে তখন যদি সে চাইলেও আমলের মাঝে আর নিজের মত করে করতে পারে না। নিজের মত করতে চাইলেও মনে হয় শাইখের মতই হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কি করণীয় যদি তা শিরকই হয়ে থাকে?
উপরোক্ত বিষয়টির ব্যাপারে আল্লাহ আপনাকে যে ইলম দান করেছেন সেই ইলম থেকে শরিয়তের আলোকে এর কি হুকুম এবং কী করণীয় তা অনুগ্রহ করে তা জানালে ভাল হত এবং এ ব্যাপারে ত্বলিবে ইলম ভাইটির এখন কী করণীয় তা নাসিহা দিতে ভুলবেন না শাইখ।
ওয়াস সালাম।
Comment