Announcement

Collapse
No announcement yet.

যাদের শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজেই।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যাদের শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজেই।

    যাদের শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজেইঃ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ (وَاتَّقُواْ اللّهَ وَيُعَلِّمُكُمُ اللّهُ وَاللّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ) অর্থঃ "তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, আল্লাহ তোমাদের শিক্ষা দিবেন (ইলম দান করবেন), আর আল্লাহ সব বিষয়ে মহা জ্ঞানি। [সূরা বাকারা আয়াতঃ ২৮২] আপনি যতই ইলমের অধিকারী হোন না কেনো, যদি আল্লাহর ভয় আপনার হৃদয়ে না থাকে, তাহলে আপনার এই ইলেম আপনার উপকারে আসবেনা, যদিও এই ঠুনকো ইলেম দিয়ে দুনিয়াবী কিছু ফায়দা লাভ করে থাকেন। আর যারা আল্লাহ কে ভয় করেন, আল্লাহ তায়ালা তিনাদের জন্য ইলমের দরজা খুলে দেন, যার ফলে তিনারা এমন সব ইলেম অর্জন করার সুযোগ লাভ করেন যা সম্পূর্ন কল্পনাতীত। এই ইলম বিভিন্ন ভাবে অর্জিত হয়। এ জন্য দেখবেন একই কুরআন ও হাদিস পড়ে কেউ ইসলামের ও নিজের ক্ষতি করছে আবার ঠিক অন্যজন তা পড়ে নিজের ও উম্মাহর জন্য অনেক বিশাল কিছু করে ফেলেছে। কারন হলো তাকওয়াবানদের আল্লাহ তায়ালা বিভিন্নভাবে শিক্ষা দেন। যারা সত্যিকারভাবে আল্লাহকে ভয় করে এবং আল্লাহর ভয়ে হারাম কাজ ছেড়ে দেয় ও আদেশগুলো যথাযথ পালন করে এরা এমন ইলম লাভ করে। যেটা তাদের নিজেদেরই আশ্চর্য করে দেয়। ফলে এমন অবস্থা হয় যে, তখন তারা আক্ষেপ করে এজন্য যে, সবাই যদি তাদের মত এমন করে বুঝতো। যারা সত্যিকারে আল্লাহকে ভয় করে এরা কুরআন ও হাদিসের এমন নিগুঢ় তথ্য লাভ করে এবং সে আলোকে কাজ করে যা অন্যদের বুঝতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আপনি যদি তাকওয়াবান হতে পারেন তাহলে দেখবেন উপযুক্ত সময়, উপযুক্ত প্রেক্ষাপটে আপনি এমন ইলম লাভ করবেন যেটা অন্যরা কল্পনাও করতে পারবে না। আপনি আল্লাহকে যদি ভয় করেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে কুরআন হাদিসের ইলম না থাকলেও দেখবেন সত্যটা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সাহাবাদের সময় এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। যেমন উমর রাঃ এর নিকট এক মুনাফিক বিচার চাইতে গেলে তিনি তাকে হত্যা করেন। কিন্তু তিনি তখনও জানতেন না তার এ কাজ বৈধ হচ্ছে কিনা। পরে উনার কাজের পক্ষে আয়াত নাযিল হয়। আবার হযরত সাদ বিন মুয়াজ রাঃ ইহুদীদের ব্যাপারে এমন এক রায় দিয়েছেন, যে রায় স্বয়ং মহান আল্লাহ আরশে আযীম থেকে দিয়েছেন। কিন্তু সাদ বিন মুয়াজ রাঃ রায় দেওয়ার পূর্বে মহান আল্লাহর রায় সম্পর্কে জানতেন না। তাই সর্বাধিক তাকওয়াবান হোন তাহলে স্বয়ং মহান আল্লাহই আপনার শিক্ষক হয়ে যাবেন। দেখুন পবিত্র কুরআন একদিনে নাযিল হয়নি, বরং বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে কুরআন নাযিল হয়েছে ফলে কুরআন সাহাবীদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে প্রথিত হয়েছে। কিন্তু এখনতো এভাবে ওহী নাযিল হবে না। কিন্তু আপনি যদি তাকওয়াবান হতে পারেন, আল্লাহকে ভয় করতে পারেন ও একটু ধৈর্য্য ধরতে পারেন তাহলে দেখবেন কুরআন ও হাদিস থেকে যে ইলম আপনার যখন প্রয়োজন সে ইলম আপনি এমন এমন উৎস থেকে লাভ করবেন যার দরুন আপনার ঈমান বাড়তে থাকবে। আল্লাহর ভয় এবং উপকারী ইলেম যখন আপনার মাঝে আসবে, তখন আপনি বুঝতে পারবেন কোন আলিমরা রবকে বেশি ভয় করে। কোন আলিমরা রবের ভয়ে হক্ব কথা বলতে কোন ভয় করে না। একটু চিন্তুা করুন যে আলিম জান মাল দিয়ে দ্বীনের রাস্তায় জিহাদ করে তিনি বেশি রবকে ভয় করে নাকি যারা এসির নিচে বসে আরাম করে তারা বেশি ভয় করে? যারা সত্যিকারে রবের ভয়ে দ্বীনের কোন বড় আমল করতে বা হক্ব কথা বলতে ভয় পায় না এরাই বেশি আল্লাহকে ভয় করে। যার কারনে এরা কুরআন হাদিসের এমন নিগুঢ় রহস্য উন্মোচন করে যা অন্য আলিমদের বুঝতে অনেক দেরি হয়, আবার অনেকে বুঝার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়। একজন রোগী কি ডাক্তার কে বুঝতে পারে? একজন ডাক্তারকে বুজতে প্রয়োজন আরেকজন ডাক্তার। একজন তাকওয়াবান আলিমকে বুঝার জন্য প্রয়োজন, আরেকজন তাকওয়াবান আলিম। যখন গনতন্ত্র আবিষ্কার হয়েছিলো তখন বড় বড় আলিমরা এটাকে কুফরী ফতুয়া দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই গনতন্ত্রের সৌন্দর্যের মোহে পড়ে এটাকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহন করে নিয়েছেন। কিন্তু আজ সেই গনতন্ত্রের পক্ষের ব্যক্তিরাও এটা ভালোভাবে বুঝেছে গনতন্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, যা গত ১০০ বছর থেকে হয় নি, সামনেও হবে না। ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) যখন বিভিন্ন ব্যাপারে ফতুয়া দিচ্ছিলেন তখন অনেক আলিমই উনার বিরোধিতা করেছেন। কেননা তারাতো ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর মতো তাকওয়াবান নয়। তারা ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর মতো জিহাদ করেনি, জালেমের জুলুমের রোষানলে পড়েনি, কারাবাসের তীব্র কষ্ট অনুভব করেনি। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এর আজ কত ভক্ত, অথচ উনি বেচে থাকাকালীন বহু আলিম উনার বিরুদ্ধে ছিলো। উনাকে বেদায়াতি, পথহারা আরো কত কি বলেছে। তারা এই ইমামকে বুজতে পারি নি, কেননা তারাতো উনার মতো সত্যের উপর অটল থেকে দশবছর কারাবাসের জীবন অতিবাহিত করেনি। মূলত সত্যিকারের তাকওয়াবান আলিমরাই উম্মাহর সমস্যার ব্যাপারে সঠিক সিদ্বান্ত নিতে পারে, কেননা এদের শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ। আর যারা তাকওয়াবান নয় এরা যত বড় আলিম হোক, যত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক তারা উম্মাহর সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কুরআন হাদিস থেকে সঠিক ইলম অর্জন করতে পারে না। তাই যখন অনুসরন করবেন তাদেরই করুন যারা রবের পথে জান মাল দিয়ে জিহাদ করে। আর নিজেও মহান আল্লাহকে সর্বোচ্চ ভয় করুন। আগে পাপ ছেড়ে দিয়ে ধৈর্য্য ধরুন এরপরে দেখবেন রবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য আসছে।

  • #2
    মাশাআল্লাহ

    Comment


    • #3
      নাসিহাহ টি অনেক ভাল লাগলো, আল্লাহ তায়ালা আমল করার ততৌফিক দিন ""জাঝাকাল্লাহ খায়রান হাবিবী।
      সর্বোত্তম আমল হলো
      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

      Comment

      Working...
      X