ইবরাহীমী সহীফার বিষয়বস্তুঃ হযরত আবুযর গিফারী (রা) রসূলুল্লাহ্ (সা)-কে প্রশ্ন করেছিলেন, ইবরাহীম (আ)-এর সহীফা কিরূপ ছিল ? রসূলুল্লাহ্ (সা) বলেন: এসব সহীফায় শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত বর্ণিত হয়েছিল। তন্মধ্যে এক দৃষ্টান্তে অত্যাচারী বাদশাহকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে। হে ভুঁইফোঁড় গর্বিত বাদশাহ্, আমি তোমাকে ধনৈশ্বর্য স্তূপীকৃত করার জন্য রাজত্ব দান করিনি, বরং আমি তোমাকে এজন্য শাসনক্ষমতা অর্পণ করেছি, যাতে তুমি উৎপীড়িতের বদদোয়া আমার পর্যন্ত পৌঁছতে না দাও। কেননা, আমার আইন এই যে, আমি উৎপীড়িতের দোয়া প্রত্যাখ্যান করি না, যদিও তা কাফিরের মুখ থেকে হয়।
অপর এক দৃষ্টান্তে সাধারণ মানুষকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে:বুদ্ধিমানের কাজ হল, নিজের সময়কে তিনভাগে বিভক্ত করা। এক ভাগ তার পালনকর্তার ইবাদত ও তাঁর সাথে মুনাজাতের, এক ভাগ আত্মসমালোচনার ও আল্লাহর মহাশক্তি এবং কারিগরি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার এবং এক ভাগ জীবিকা উপার্জনের ও স্বাভাবিক প্রয়োজনাদি মেটানোর।
আরও বলা হয়েছে। বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য এই যে,সে সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল থাকবে, উদ্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকবে এবং জিব্বার হিফাযত করবে। যে ব্যক্তি নিজের কথাকেও নিজের কর্ম বলে মনে করবে, তার কথা খুবই কম হবে এবং কেবল জরুরী বিষয়ে সীমিত থাকবে।
( দেখুন মারেফুল কুরআনের সুরা আলার তাফসীর )