চোখের পানি ঝরানোর মত একটি লিখা।
একদিন মা আয়েশা (রাঃ) রাসূল এর সাথে ছিলেন। রাসূল কে বেশ উৎফুল্ল দেখে হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।'
রাসূল আয়েশা রা.-এর জন্য দোয়া করলেন। "হে আল্লাহ! আয়েশাকে মাফ করে দাও। তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দাও, তার আগামীর গুনাহ মাফ করে দাও, তার গোপনে করা গুনাহ মাফ করে দাও, তার প্রকাশ্যে করা গুনাহও মাফ করে দাও।"
রাসূল এর দোয়া শুনে হযরত আয়েশা (রাঃ) হাসলেন। রাসূল আয়েশাকে জিজ্ঞেস করলেন,
'আমার এই দোয়া কি তোমাকে আনন্দিত করেছে?'
হযরত আয়েশা রা. বললেন, 'কি করে এমন দোয়া কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পারে!'
আমাদের প্রিয় নবী হযরত আয়েশা রা.কে বললেন, 'আল্লাহর কসম! আমি আমার উম্মতের জন্য আমার প্রতিটি নামাজে এই একই দোয়া করি।'
যে দোয়া রাসূল উনার প্রিয়তম স্ত্রীর জন্য
করেছেন, সেই একই দোয়া প্রতি নামাজে তিনি তাঁর উম্মতের জন্য করেছেন, আপনার জন্য, আমার জন্য
করেছেন। তিনি আমাদের রাসূল (সাঃ)
একদিন চলার পথে রাসূল কেঁদে উঠলেন। সাহাবারা কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি আমার ভাইদের জন্য কাঁদছি।' সাহাবারা
জিজ্ঞেস করলেন, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি আপনার ভাই নই?'
রাসূল বললেন, 'তোমরা তো আমার সাথী। আমার ভাই হল তারা, যারা আমার পরে আসবে আর আমাকে
না দেখেই আমার উপর ঈমান আনবে।'
রাসূল আমার জন্য আপনার জন্য কেঁদেছেন, আমাদেরকে মিস করেছেন, আমরা এই দুনিয়াতে আসার আগেই। আমরা কতোটুকু মিস করি প্রিয়
নবীজীকে? কেঁদেছি ক'ফোটা চোখের জল ফেলে? যে নবী আমাদের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজে দোয়া করতেন, সেই নবীর নামে আমরা দিনে ক'বার দরুদ
পড়ি? ভালোবেসে তার সুন্নাহ নিজের জীবনে কতোটা পালন করি?
রাসূল সাঃ একটি গাছে হেলান দিয়ে খুতবাহ দিতেন, তখনও মিম্বার তৈরি হয়নি। মিম্বর তৈরি হলে পরের
সপ্তাহে রাসূল যখন মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুৎবা
দিচ্ছিলেন, সাহাবারা বলেন, গাছের ভেতর থেকে শিশুর মত অঝোরে কান্না তারা শুনতে পেয়েছেন। একটি গাছও রাসূল কে মিস করেছে, তার জন্য
চোখের পানি ফেলেছে।
রাসূল সাঃএর মৃত্যুর পর হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আর আযান দিতে পারেন নি। এরপর একদিন
হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মদীনা ছেড়েই চলে গিয়েছিলেন। একদিন তিনি রাসূল (সাঃ)কে স্বপ্নে দেখলেন।
রাসূল হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলছেন, "এতদিনেও কি তোমার সময় হয়নি আমার রওজায় আসার?" ছয় বছর পর কোন একদিন হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে মদীনায় সবাই আযান দিতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু তিনি মনঃস্থির করেছেন, রাসূলের জন্য যে আযান দিতেন তা আর কোনদিন কারো জন্য দিবেন না। শেষে হযরত উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর অনুরোধে হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আযান দেওয়া শুরু করলেন। সেই আযান, সেই মধুময় সময়, রাসূলুল্লাহর স্মৃতি সব একসাথে ভেসে আসা শুরু করল। কিছুক্ষণের জন্য মানুষ মনে করল, রাসূল আবার ফিরে এসেছেন, মদীনার ঘর থেকে সবাই বেরিয়ে আসা শুরু করল, হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন আযানে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহর জায়গায় এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন, পুরো মদীনা জুড়ে হু হু কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যায়নি।
শেষ কবে আমরা আমাদের প্রিয় নবীজীর জন্য কেঁদেছি?
কবে? কবে?? কবে???
(সংগৃহীত)
একদিন মা আয়েশা (রাঃ) রাসূল এর সাথে ছিলেন। রাসূল কে বেশ উৎফুল্ল দেখে হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।'
রাসূল আয়েশা রা.-এর জন্য দোয়া করলেন। "হে আল্লাহ! আয়েশাকে মাফ করে দাও। তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দাও, তার আগামীর গুনাহ মাফ করে দাও, তার গোপনে করা গুনাহ মাফ করে দাও, তার প্রকাশ্যে করা গুনাহও মাফ করে দাও।"
রাসূল এর দোয়া শুনে হযরত আয়েশা (রাঃ) হাসলেন। রাসূল আয়েশাকে জিজ্ঞেস করলেন,
'আমার এই দোয়া কি তোমাকে আনন্দিত করেছে?'
হযরত আয়েশা রা. বললেন, 'কি করে এমন দোয়া কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পারে!'
আমাদের প্রিয় নবী হযরত আয়েশা রা.কে বললেন, 'আল্লাহর কসম! আমি আমার উম্মতের জন্য আমার প্রতিটি নামাজে এই একই দোয়া করি।'
যে দোয়া রাসূল উনার প্রিয়তম স্ত্রীর জন্য
করেছেন, সেই একই দোয়া প্রতি নামাজে তিনি তাঁর উম্মতের জন্য করেছেন, আপনার জন্য, আমার জন্য
করেছেন। তিনি আমাদের রাসূল (সাঃ)
একদিন চলার পথে রাসূল কেঁদে উঠলেন। সাহাবারা কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি আমার ভাইদের জন্য কাঁদছি।' সাহাবারা
জিজ্ঞেস করলেন, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি আপনার ভাই নই?'
রাসূল বললেন, 'তোমরা তো আমার সাথী। আমার ভাই হল তারা, যারা আমার পরে আসবে আর আমাকে
না দেখেই আমার উপর ঈমান আনবে।'
রাসূল আমার জন্য আপনার জন্য কেঁদেছেন, আমাদেরকে মিস করেছেন, আমরা এই দুনিয়াতে আসার আগেই। আমরা কতোটুকু মিস করি প্রিয়
নবীজীকে? কেঁদেছি ক'ফোটা চোখের জল ফেলে? যে নবী আমাদের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজে দোয়া করতেন, সেই নবীর নামে আমরা দিনে ক'বার দরুদ
পড়ি? ভালোবেসে তার সুন্নাহ নিজের জীবনে কতোটা পালন করি?
রাসূল সাঃ একটি গাছে হেলান দিয়ে খুতবাহ দিতেন, তখনও মিম্বার তৈরি হয়নি। মিম্বর তৈরি হলে পরের
সপ্তাহে রাসূল যখন মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুৎবা
দিচ্ছিলেন, সাহাবারা বলেন, গাছের ভেতর থেকে শিশুর মত অঝোরে কান্না তারা শুনতে পেয়েছেন। একটি গাছও রাসূল কে মিস করেছে, তার জন্য
চোখের পানি ফেলেছে।
রাসূল সাঃএর মৃত্যুর পর হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আর আযান দিতে পারেন নি। এরপর একদিন
হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মদীনা ছেড়েই চলে গিয়েছিলেন। একদিন তিনি রাসূল (সাঃ)কে স্বপ্নে দেখলেন।
রাসূল হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলছেন, "এতদিনেও কি তোমার সময় হয়নি আমার রওজায় আসার?" ছয় বছর পর কোন একদিন হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে মদীনায় সবাই আযান দিতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু তিনি মনঃস্থির করেছেন, রাসূলের জন্য যে আযান দিতেন তা আর কোনদিন কারো জন্য দিবেন না। শেষে হযরত উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর অনুরোধে হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আযান দেওয়া শুরু করলেন। সেই আযান, সেই মধুময় সময়, রাসূলুল্লাহর স্মৃতি সব একসাথে ভেসে আসা শুরু করল। কিছুক্ষণের জন্য মানুষ মনে করল, রাসূল আবার ফিরে এসেছেন, মদীনার ঘর থেকে সবাই বেরিয়ে আসা শুরু করল, হযরত বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন আযানে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহর জায়গায় এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন, পুরো মদীনা জুড়ে হু হু কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যায়নি।
শেষ কবে আমরা আমাদের প্রিয় নবীজীর জন্য কেঁদেছি?
কবে? কবে?? কবে???
(সংগৃহীত)