ইসমুল আযাম
যে নামে ডেকে দু’আ করলে আল্লাহ তা’আলা সারা দেন ও দু’আ কবুল করেন।
আমরা দু’টি ইসমুল আ’যাম সম্পর্কে জানবো ইনশাআল্লাহ।
প্রথমটিঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ، الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই বলে প্রার্থনা করছি যে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনিই আল্লাহ, আপনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। আপনি একক, অমুখাপেক্ষী, যিনি জন্মদান করেননি ও জন্মগ্রহন করেননি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ইসমুল আ’যাম সম্পর্কে বলেছেনঃ কসম তার যার হাতে আমার প্রাণ, নিশ্চয় এ ব্যক্তি (যে ব্যক্তি এই ইসমুল আ’যাম পড়ে অতঃপর দু’আ করে) আল্লাহ’র কাছে তার ইসমু আ’যাম ধরে দু’আ করেছে, যে নাম ধরে ডাকলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নাম ধরে চাইলে তিনি তা প্রদান করেন। [১]
দ্বিতীয়টিঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই বলে প্রার্থনা করছি যে, সকল প্রশংসা আপনার, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি মহাদাতা, আপনি আসমানসমূহ ও পৃথিবীর উদ্ভাবক, হে মহত্ব ও সম্মানের মালিক, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বকর্তৃত্বময় অভিভাবক।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ইসমুল আ’যাম সম্পর্কে বলেছেনঃ নিশ্চয় সে (যে এই ইসমুল আ’যাম পড়ে অতঃপর দু’আ করে) আল্লাহ তা’আলার কাছে ইসমু আ’যাম ধরে দু’আ করেছে, যে নামে ডাকলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নামে চাইলে তিনি প্রদান করেন। [২]
আল্লাহ তা’আলা চান আমরা যেনো কেবল তার কাছেই চাই, তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি, তার উপরই ভরসা করি। অথচ আমরা এতটাই গাফেল যে, আমরা দুনিয়াবাসীর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকি, অথচ দুনিয়াবাসী নিজেই আল্লাহ তা’আলার মুখাপেক্ষী!
আসুন, আমরা কেবল তার কাছেই ভিক্ষা চাই, যিনি কারও মুখাপেক্ষী নন, যার ভান্ডার কখনো ফুরাবার নয়! আসুন, আমরা আল্লাহ তা’আলার ইসমুল আ’যাম পড়ে অতঃপর তার কাছে দু’আ করার অভ্যাস গড়ে তুলি। এই দুটি ইসমুল আ’যাম যেকোনো সময় পড়ে দু’আ করা যাবে, এরজন্য ওজু-গোসলের প্রয়োজনও নেই।
১. সুনানে আবু দাউদ, হাঃ ১৪৯৩ ; সুনানে তিরমিযী, হাঃ ৩৪৭৫। হাদীসটি সহীহ।
২. সুনানে আবু দাউদ, হাঃ ১৪৯৫ ; সুনানে নাসাঈ, হাঃ ১৩০০ ; সুনানে তিরমিযী, হাঃ ৩৫৪৪। হাদীসটি সহীহ।
সংগৃহীত!!
Comment