আমরা জানি যে এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা দিয়েছিলেন হযরত সুলাইমান আঃ কে।যার রাজত্ব ছিলো গোটা পৃথিবী ব্যাপি।এমনকি জ্বিনের উপর উনার বাদশাহী ছিলো। কিন্তু এতো বিশাল রাজত্ব তিনি কিভাবে অর্জন করলেন? যুদ্ব করেতো দেশ বিজয় করা যায় কিন্তু জ্বীনের উপর রাজত্ব করা যায় না। উনি কিভাবে জ্বীনের উপর বাদশাহী পেলেন?
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন
قَالَ رَبِّ اغۡفِرۡ لِیۡ وَ ہَبۡ لِیۡ مُلۡکًا لَّا یَنۡۢبَغِیۡ لِاَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِیۡ ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَہَّابُ ﴿۳۵﴾
সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে এমন এক রাজ্য দান কর, যার অধিকারী আমার পরে অন্য কেউ হতে পারবে না। নিশ্চয়ই তুমি মহাদাতা।’( সুরা সোয়াদ ৩৫)
সুলাইমান আঃ মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন যেন উনাকে এমন রাজত্ব দেওয়া হয় যা উনার পরে আরো কেউ লাভ করবে না। ফলে আল্লাহ দোয়া কবুল করলেন।এমন রাজত্ব দিলেন যে,বাতাসও উনার অধীনস্থ হয়ে গেলো।
এতো বিশাল রাজত্ব লাভ করলেন দোয়ার ফলে, অথচ আমরা দোয়াকে খুব হালকাভাবে দেখি। তেমন গুরুত্ব দিতে চাই না।
আমরা যদি আল্লাহর নিকট দোয়া করতাম,দ্বীনের জন্য অনেক বড় কিছু করতে চাইতাম তাহলে আল্লাহ আমাদেরও অনেক বড় কিছুই দিতেন।
আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার দ্বারা কি আর হবে,ইলম নাই, শারীরিক, মানসিক দিক থেকে দূর্বল। কিন্তু না, আপনি যার কাছে চাইবেন তিনিতো সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি যেভাবে রাতে দিন বানাতে পারেন, তিনি চাইলে আপনার দ্বারাও অনেক কিছু করাতে পারেন।
মূসা আঃ এর ভাই হযরত হারুন আঃ তো সাধারন মানুষই ছিলেন। অথচ মূসা আঃ যখন উনার জন্য দোয়া করছেন তখন মহান আল্লাহ সাধারন মানুষ থেকে নবী বানিয়ে দিয়েছেন।
যিনি একজন সাধারন মানুষ কে দোয়ার ফলে নবী বানিয়ে দিয়েছেন তিনি চাইলে আমার আর আপনার মত দূর্বল, অক্ষমদের দ্বারাও জিহাদের বিশাল কাজ করিয়ে নিতে পারেন।
ইসলাম গ্রহনের পূর্বে হযরত ওমর রাঃ কি ছিলেন! অথচ সেই ওমর রাঃ এর ব্যাপারে রাসূল সাঃ বলেছেন আমার পর কেউ নবী হলে ওমরই হতো। শুধু তাই না মহান আল্লাহ ওমর রাঃ অর্ধ পৃথিবীর খলীফা বানিয়ে দিয়েছেন।
ওমর রাঃ ইসলামে প্রবেশ ও এতো মার্যাদার পিছনের কারন হলো রাসূল সাঃ এর দোয়া।
আপসোস আমরা দোয়াকে খুব গুরুত্ব দিয় না। আমরা অনেকেই দ্বীনের পথে আসার প্রথমদিকে খুব জযবা থাকে। একটা পর্যায়ে খুব আপসোস করে বলি যে,কোথায় আমার সেই আগ্রহ, কোথায় সেই ইবাদাতের স্বাদ। আমরা মনে করি সেই আগ্রহ উদ্দীপনা হয়ত আর আসবে না।
কিন্তু আমরা এরকম আপসোসই করি, দুই রাকাত নামায পড়ে রবের নিকট দোয়া করি না।
যিনি আমাকে পূর্বে এরকম জযবা দিয়েছেন তিনি চাইলে আগের চেয়ে আরো বেশি দ্বীনের প্রতি আগ্রহ দিতে পারেন। কিন্তু আমরা তার নিকট নিজের অভাব অভিযোগ পেশ করি না।
আমরা দ্বীনের পালনের ক্ষেত্র নানান সমস্যা দেখাই। অথচ যিনি সমস্যা দূর করতে পারেন, যিনি হাজারো সমস্যা ভিতরেও আমার দ্বারা দ্বীনের কাজ করাতে পারেন তার নিকট দোয়া করি না।
আপনি চাওয়া তো সুলাইমান আঃ এর চাওয়ার মত হবে না।অথচ যিনি সুলাইমান আঃ এর বড় চাওয়া পূরন করতে পারেন তিনি তো আপনার চাওয়া ও পূরন করতে পারেন। তিনিতো সব পারেন।
আপনি যদি অনুভব করেন যে, আপনার ইমান একদমই দূর্বল হয়ে গেছে, আগের মত আগ্রহ পাচ্ছেন না। আপনি প্রতিদিন দুই রাকাত নামায পড়ুন খুব একনিষ্ঠ ভাবে। এরপর খুব কাকুতি মিনতি সহ দোয়া করুন। আপনি ইতিপূর্বে কি ছিলেন আর এখন কেমন হলেন তা নিয়ে চিন্তা করুন।
মনে রাখবেন, আপনি অনেকের সাথে নিজের ইমান আমল দূর্বলতার কথা বললে তারা আপনাকে হয়ত কিছু পরামর্শ দিতে পারবে। কিন্তু তারা আপনাকে পরিবর্তন করতে পারবে না। সে ক্ষমতা তাদের নেই। সেই ক্ষমতা হলো মহান আল্লাহর। তাই তার কাছেই নিজের অবস্থান উন্নতির জন্য দোয়া করুন।
মুসা আঃ এর মত নবী মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি তার কাজের সহজতার জন্য দোয়া করেছেন।অথচ আমরা কি কখন নিজেদের উপর থাকা দায়িত্ব সহজ করে দেওয়ার জন্য দোয়া করেছি?
আল্লাহ যেন আমাদের কে জিহাদ করা সহজ করে দেন৷ গাজওয়াতুল হিন্দে অংশগ্রহন যেন সহজ হয় সেজন্য কি কখনও দোয়া করেছি?
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন
قَالَ رَبِّ اغۡفِرۡ لِیۡ وَ ہَبۡ لِیۡ مُلۡکًا لَّا یَنۡۢبَغِیۡ لِاَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِیۡ ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَہَّابُ ﴿۳۵﴾
সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে এমন এক রাজ্য দান কর, যার অধিকারী আমার পরে অন্য কেউ হতে পারবে না। নিশ্চয়ই তুমি মহাদাতা।’( সুরা সোয়াদ ৩৫)
সুলাইমান আঃ মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন যেন উনাকে এমন রাজত্ব দেওয়া হয় যা উনার পরে আরো কেউ লাভ করবে না। ফলে আল্লাহ দোয়া কবুল করলেন।এমন রাজত্ব দিলেন যে,বাতাসও উনার অধীনস্থ হয়ে গেলো।
এতো বিশাল রাজত্ব লাভ করলেন দোয়ার ফলে, অথচ আমরা দোয়াকে খুব হালকাভাবে দেখি। তেমন গুরুত্ব দিতে চাই না।
আমরা যদি আল্লাহর নিকট দোয়া করতাম,দ্বীনের জন্য অনেক বড় কিছু করতে চাইতাম তাহলে আল্লাহ আমাদেরও অনেক বড় কিছুই দিতেন।
আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার দ্বারা কি আর হবে,ইলম নাই, শারীরিক, মানসিক দিক থেকে দূর্বল। কিন্তু না, আপনি যার কাছে চাইবেন তিনিতো সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি যেভাবে রাতে দিন বানাতে পারেন, তিনি চাইলে আপনার দ্বারাও অনেক কিছু করাতে পারেন।
মূসা আঃ এর ভাই হযরত হারুন আঃ তো সাধারন মানুষই ছিলেন। অথচ মূসা আঃ যখন উনার জন্য দোয়া করছেন তখন মহান আল্লাহ সাধারন মানুষ থেকে নবী বানিয়ে দিয়েছেন।
যিনি একজন সাধারন মানুষ কে দোয়ার ফলে নবী বানিয়ে দিয়েছেন তিনি চাইলে আমার আর আপনার মত দূর্বল, অক্ষমদের দ্বারাও জিহাদের বিশাল কাজ করিয়ে নিতে পারেন।
ইসলাম গ্রহনের পূর্বে হযরত ওমর রাঃ কি ছিলেন! অথচ সেই ওমর রাঃ এর ব্যাপারে রাসূল সাঃ বলেছেন আমার পর কেউ নবী হলে ওমরই হতো। শুধু তাই না মহান আল্লাহ ওমর রাঃ অর্ধ পৃথিবীর খলীফা বানিয়ে দিয়েছেন।
ওমর রাঃ ইসলামে প্রবেশ ও এতো মার্যাদার পিছনের কারন হলো রাসূল সাঃ এর দোয়া।
আপসোস আমরা দোয়াকে খুব গুরুত্ব দিয় না। আমরা অনেকেই দ্বীনের পথে আসার প্রথমদিকে খুব জযবা থাকে। একটা পর্যায়ে খুব আপসোস করে বলি যে,কোথায় আমার সেই আগ্রহ, কোথায় সেই ইবাদাতের স্বাদ। আমরা মনে করি সেই আগ্রহ উদ্দীপনা হয়ত আর আসবে না।
কিন্তু আমরা এরকম আপসোসই করি, দুই রাকাত নামায পড়ে রবের নিকট দোয়া করি না।
যিনি আমাকে পূর্বে এরকম জযবা দিয়েছেন তিনি চাইলে আগের চেয়ে আরো বেশি দ্বীনের প্রতি আগ্রহ দিতে পারেন। কিন্তু আমরা তার নিকট নিজের অভাব অভিযোগ পেশ করি না।
আমরা দ্বীনের পালনের ক্ষেত্র নানান সমস্যা দেখাই। অথচ যিনি সমস্যা দূর করতে পারেন, যিনি হাজারো সমস্যা ভিতরেও আমার দ্বারা দ্বীনের কাজ করাতে পারেন তার নিকট দোয়া করি না।
আপনি চাওয়া তো সুলাইমান আঃ এর চাওয়ার মত হবে না।অথচ যিনি সুলাইমান আঃ এর বড় চাওয়া পূরন করতে পারেন তিনি তো আপনার চাওয়া ও পূরন করতে পারেন। তিনিতো সব পারেন।
আপনি যদি অনুভব করেন যে, আপনার ইমান একদমই দূর্বল হয়ে গেছে, আগের মত আগ্রহ পাচ্ছেন না। আপনি প্রতিদিন দুই রাকাত নামায পড়ুন খুব একনিষ্ঠ ভাবে। এরপর খুব কাকুতি মিনতি সহ দোয়া করুন। আপনি ইতিপূর্বে কি ছিলেন আর এখন কেমন হলেন তা নিয়ে চিন্তা করুন।
মনে রাখবেন, আপনি অনেকের সাথে নিজের ইমান আমল দূর্বলতার কথা বললে তারা আপনাকে হয়ত কিছু পরামর্শ দিতে পারবে। কিন্তু তারা আপনাকে পরিবর্তন করতে পারবে না। সে ক্ষমতা তাদের নেই। সেই ক্ষমতা হলো মহান আল্লাহর। তাই তার কাছেই নিজের অবস্থান উন্নতির জন্য দোয়া করুন।
মুসা আঃ এর মত নবী মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি তার কাজের সহজতার জন্য দোয়া করেছেন।অথচ আমরা কি কখন নিজেদের উপর থাকা দায়িত্ব সহজ করে দেওয়ার জন্য দোয়া করেছি?
আল্লাহ যেন আমাদের কে জিহাদ করা সহজ করে দেন৷ গাজওয়াতুল হিন্দে অংশগ্রহন যেন সহজ হয় সেজন্য কি কখনও দোয়া করেছি?
Comment